রিমান্ড
খুলনায় জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ১০ ব্যক্তি পাঁচ দিনের রিমান্ডে
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার ১০ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- আনোয়ার কবির মিলন ওরফে মিদ্দাত হোসেন, সোহেল রানা, আমিনুল, কামরুল ইসলাম, রিফাত রহমান, আব্দুর রউফ, মো. শেখ ফরিদ, আব্দুল আলীম, মো. রফিকুল ইসলাম ও তালহা ইসলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিমাই চন্দ্র জানান, ১৮ মার্চ রাতে খালিশপুর বিআইডিসি রোডের কাশিপুর এলাকার আলম শেখের মালিকানাধীন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে র্যাব ওই ১০ জনকে আটক করে। পরে র্যাব বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করে।
তিনি জানান, মামলাটির অধিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরের দিন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। মঙ্গলবার আদালত তাদের ১০ জনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে খুলনায় আটক ১১
মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে: তথ্যমন্ত্রী
সুনামগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যা: তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং ছয় টুকরো করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে জগন্নাথপুরের অভি মেডিকেল হল ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ, মুদি দোকানদার অনজিৎ গোপ ও অরূপ ফার্মেসির মালিক অসিত গোপের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সুনামগঞ্জের আমলগ্রহণকারী বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান।
রিমান্ড শুনানি শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামির আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিন আসামির দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সুনামগঞ্জ আদালত পরিদর্শক মো. বদরুল আলম তালুকদার।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তিন আসামিকে সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
মৃত জোৎস্না জগন্নাথপুর থানার নারকেলতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছরকু মিয়ার স্ত্রী। তিনি ২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজের বাসায় দুই ছেলে, এক মেয়ে, বৃদ্ধা মা ও ভাই-বোনদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী।
সিআইডি জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের অভি মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান থেকে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওষুধ কেনার সুবাদে অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশের সঙ্গে শাহনাজ পারভীন জোৎস্নার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। জোৎস্না কিছুদিন ধরে শারীরিক গোপন সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জিতেশ জোৎস্নার মায়ের প্রেশার মাপার জন্য তাদের বাড়িতে যায়। তখন জোৎস্না তার গোপন সমস্যার কথা জিতেশকে জানালে সে তাকে ফার্মেসিতে যেতে বলে। ওইদিন বিকেলে জোৎস্না জিতেশের দোকানে গেলে দোকানে কাস্টমার রয়েছে বলে তাকে অপেক্ষা করতে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এদিকে রাত গভীর হলে জোৎস্নার বাসায় যাওয়ার অস্থিরতা বেড়ে যায়। তখন ওই ফার্মেসির মধ্যে জোৎস্নাকে একটি ঘুমের ওষুধ খেতে দেয় জিতেশ। এতে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তখন জিতেশ তার দুই সহযোগী অনজিৎ চন্দ্র গোপ ও অসীত গোপকে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। এরপর রাত গভীর হলে আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন জিতেশ ও তার দুই সহযোগী এনার্জি ড্রিংকস পান করে জোৎস্নাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
সিআইডি কর্মকর্তা জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জোৎস্না তার পরিবারকে জানাবে বলে জানান। তখন জিতেশ ও তার সহযোগীরা জোৎস্নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরে ওই ফার্মেসিতে থাকা ফল কাটার ছুরি দিয়ে জোৎস্না দুই হাত, দুই পা ও বুক-পেটসহ ছয় টুকরা করে। এরপর দোকানে থাকা ওষুধের কার্টন দিয়ে খন্ডিত অংশগুলো ঢেকে রেখে তারা ফার্মেসি তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই লাশের খণ্ডিত অংশ পাশের একটি মাছের খামারে ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় ও লোকজন চলে আসায় তারা সেই কাজটি করতে পারেনি।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সিআইডির এলআইসি শাখার একাধিক দল আসামিদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গত শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানার নুরেরচালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিতেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার পৌর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনজিৎ ও অসীত গোপকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
জামিন জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী রিমান্ডে
রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা জালিয়াতির মামলায় আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একজন বিচারক।
কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু সাঈদ চৌধুরী ওই আইনজীবীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার এলাকা থেকে শরীফ শাহরিয়ার সিরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ মামলায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রকৃত আসামি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামাতো ভাই বড় সোহাগের হয়ে যাবজ্জীবন কারাভোগকারী মো. হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা: স্বামী ও গাড়িচালকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জানা যায়, ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর রাজধানীর কদমতলী এলাকায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বড় সোহাগসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ওই মামলায় ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন বড় সোহাগ। ২০১৪ সালে জামিনে গিয়ে পলাতক হন তিনি।
২০১৭ সালে বড় সোহাগসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। পরের বছর হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে নিজেকে বড় সোহাগ পরিচয় দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সম্প্রতি প্রকৃত অপরাধী বড় সোহাগ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
১ ফেব্রুয়ারি সোহাগ ও হোসেনকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ হাজির করা হয়। প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় বিচারক জেসমিন আরা বেগম বড় সোহাগ, হোসেন ও দুই আইনজীবী শরীফ শাহরিয়ার সিরাজী ও ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কে আদেশ দেন।
পরে আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করা হয়।
এ মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তারাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতারণার আশ্রয়ে আত্মসমর্পন করা আসামি প্রকৃত আসামি নয় মর্মে জেনেও তাকে মিথ্যা ব্যক্তির মাধ্যমে প্রকৃত আসামি সাজিয়ে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নথি উপস্থাপনের দরখাস্ত, জামিনের দরখাস্ত ও ওকালতনামায় জাল দরখাস্ত দিয়ে এসব সৃজন করে তা সঠিক মর্মে দাবি করেন। তা ব্যবহার করে মিথ্যা ও ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে প্রতারণার আশ্রয়ে আদালত আত্মসমর্পনণ করিয়ে একজন অপর জনের নামে সাজা ভোগ করিয়ে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক হত্যা: রাজমিস্ত্রি আনারুল তিন দিনের রিমান্ডে
কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ: দুই নম্বর আসামি বাবুর ৩ দিনের রিমান্ড
ঢাবি অধ্যাপক হত্যা: রাজমিস্ত্রি আনারুল তিন দিনের রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষিকা অধ্যাপক সাইদা গফফারকে হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া রাজমিস্ত্রি আনারুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক মেহেদী পাভেল সুইট এ আদেশ দেন। অন্যদিকে, গতরাতেই অধ্যাপকের লাশ দাফন করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর রায় জানান, হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আনারুলকে শনিবার গাজীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চালান করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা এবং হত্যার প্রকৃত কি উদ্দেশ্য ছিল, এসব তথ্য বের করার জন্যই তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিকেলে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: বাসার পাশেই মিলল ঢাবির সাবেক অধ্যাপকের লাশ
নিহত অধ্যাপকের পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের বায়তুন নূর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ আদায় করা হয়। পরে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইদা গাফফারের লাশ গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় তার ভাড়া বাসার পাশের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতর থেকে শুক্রবার উদ্ধার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। এর আগে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ছেলে সাউদ ইফখার বিন জহির গ্রেপ্তার হওয়া রাজমিস্ত্রি আনারুল ইসলামসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে হামলার প্রতিবাদে কাওয়ালি অনুষ্ঠান
এবার ঢাবির গণযোগাযোগের ১২ শিক্ষার্থী পেলেন ‘সিতারা পারভীন’ পুরস্কার
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: আসামি আশিকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
কক্সবাজারে নারী পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর ছিদ্দিকি এই রিমান্ড আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য কাম্য নয়: হাইকোর্ট
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মহিউদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রবিবার আশিককে কক্সবাজার কারাগারে আনার পর সোমবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে শুনানির তালিকা দেন। মঙ্গলবার দুপুরে আদালত প্রধান আসামি আশিকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে মন্তব্য: ৩ দিনের রিমান্ডে কাটাখালী পৌর মেয়র
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক শংকর কুমার তার এই রিমান্ড দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার মেয়র আব্বাসের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আব্বাসের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আব্বাসের পক্ষে তার জামিনের আবেদন করেন আাইনজীবীরা। আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার আবেদন করা হয়েছিল। জেলকোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঢাকায় কাটাখালীর মেয়র আটক
আসামিপক্ষে রাজশাহী বারের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী শুনানি করেন। আর বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসলাম সরকার, মোজাফফর হোসেন ও মুসাব্বিরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেয়র আব্বাসের ঘরোয়া বৈঠকের দুটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। একটি অডিওতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে ‘পাপ হবে’ এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় আব্বাসকে। পর পর দুবার নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র হওয়া আব্বাসের এ রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাঁকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সিটি কর্পারেশনের একজন কাউন্সিলর।
এছাড়া পৌরসভার সব কাউন্সিলর মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। ১ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব ঢাকার একটি হোটেল থেকে আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: প্রতিটি ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোরআন অবমাননা: ইকবালসহ চারজনের আরও ৩ দিনের রিমান্ড
কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় তৃতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার দুপুরে সিআইডি পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ১নং আমুলী আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানি শেষে সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি ইকবাল ছাড়া কোরআন অবমাননা মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মণ্ডপে কোরআন পাওয়ার তথ্য ৯৯৯-এ কল করে জানানো ইকরাম হোসেন এবং নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি করে। পরবর্তীদের অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননা: সন্দেহভাজন ইকবাল ৭ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লায় আনা হয়েছে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেনকে
কোরআন অবমাননার ঘটনায় সন্দেহভাজন ইকবাল কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় মন্দির ভাঙচুর মামলায় ১৭ জন ৫ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লার ঠাকুরপাড়া কালী মন্দির ভাঙচুরে মামলায় ১৭ আসামিকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ এই আদেশ দেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোর্ট পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ জানান, কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতে ১৭ আসামিকে হাজিরে করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিচারক আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ন: কুমিল্লার ঘটনাটি পরিকল্পিত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়া দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন পাওয়ার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর জেরে ধরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতারণা মামলায় আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৩ জন রিমান্ডে
প্রতারণা মামলায় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবায়ের সিদ্দিক মানিকসহ তিনজনকে তিন দিনের রিমান্ড ও একজনকে বয়স বিবেচনায় জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মানিক চন্দ্র দাস এই আদেশ দেন।
এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জেলা সদরের বোয়ালমারির উজ্জ্বলের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবায়ের সিদ্দিক মানিক, পরিচালক মাহমুদ সিদ্দিক রতন ও তাদের বাবা আবু বকর সিদ্দিক এবং ম্যানেজার মিনারুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনও করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
ওইদিনই আদালত চারজনকেই কারাগারে পাঠনোর আদেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিজ্ঞ বিচারক তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপাল চন্দ্র মন্ডল জানান, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ প্রতারণা মামলায় ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) গ্রেপ্তার চারজনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর এই আবেদন করলে মঙ্গলবার শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত তিনজনের তিনদিন ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।’
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্ট চুয়াডাঙ্গার সদরে মোমিনপুরে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বড়সড় কার্যালয় খুলে তাদের কার্যক্রম শুরু করে অফারের মাধ্যমে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করতে থাকে। এরপরই সারাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার অর্ডার আসতে থাকে। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় কোটি কোটি টাকার অর্ডার ডেলিভারি দিতে বাকি রাখে। এমনকি বিগত কয়েক মাস ধরে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ারসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে দিশেহারা হয়ে পড়েন গ্রাহকেরা। এ কারণেই বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টে অভিযান চালায় র্যাব। সে সময় র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ শরিফুল আহসান জানিয়েছিলেন, আতিকুর রহমান উজ্জ্বল নামে এক ব্যক্তি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪৮০ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। এরই প্রেক্ষিতে খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবাইর সিদ্দিকীসহ চারজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় প্রতারণায় মামলায় হস্তান্তর করা হয়।
পরীমণির রিমান্ড: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলে আদালতের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনজীবী ইতিপূর্বে দেয়া লিখিত ব্যাখ্যা পড়ে শোনান। আদালত শুনানি নিয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি মাদক মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তাফাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
দুই বিচারকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে জেড আই খান পান্না, পরীমণির পক্ষে মজিবুর রহমান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় পরীমণির দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি চারদিনের রিমান্ডে
গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। পরে দ্বিতীয় দফায় গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এরপর তৃতীয় দফায় গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম।
এ মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরীমণি। এই আবেদনের শুনানি করে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমণির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। এছাড়া পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন। হাইকোর্টের এই রুল জারির পর গত ৩১ আগস্ট পরীমণিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।
অন্যদিকে হাইকোর্টে পরীমণির আবেদনের শুনানিতে তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাঁদের দেয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে আবারও লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলেন হাইকোর্ট। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ও ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন দুই ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা