এফবিসিসিআই
কাতারের সঙ্গে যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনে এফবিসিসিআইয়ের চুক্তি
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল (জেবিসি) প্রতিষ্ঠায় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। দুই দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কিউসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং কিউসিসিআই চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। মূলত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে এই চুক্তি সই হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে জেবিসি প্রতিষ্ঠা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। এ চুক্তির আওতায় কাতারের ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষেও কাতারের রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করা আরও সহজতর হবে। এছাড়া কাতার থেকে জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিও সহজ হবে। একইসঙ্গে জেবিসির মাধ্যমে কাতারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই ও কিউবিসিসিআইয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সেবা ও অন্যান্য শিল্প খাতে বাণিজ্য কার্যক্রম জোরদারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল।
এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই উভয়ই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও পরিষেবা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উপকৃত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়িক তথ্যের আদান-প্রদান, সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করাসহ অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেবিসি।
এছাড়া উভয় পক্ষই বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ বৈঠক আয়োজন করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজনে এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই সাব-কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিতকরণে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই
অনিয়ম ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজারে ইসলামিয়া শান্তি কমিটির নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এ সহযোগিতার আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে গোটা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সারা দেশের ব্যবসায়ীদের অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আরও বলেন, শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছর দেশব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।
আরও পড়ুন: অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণগুলো শনাক্ত করে লিখিত আকারে এফবিসিসিআইকে দিতে আহ্বান জানান তিনি। সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মত বিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃষক ও ভোক্তারা ভোগান্তিতে থাকলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন।
ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি কারচুপি হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, ক্যাশ মেমো ব্যবস্থা চালু করা গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
পণ্য কেনা-বেচার সময় রসিদ রাখার বিষয়ে জোর দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিয়া শান্তি সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া আড়ৎদারদের পাশাপাশি আমদানিকারকদেরও মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, সাবেক পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে কারওয়ান বাজার কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কমিটি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে এফবিসিসিআই
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বুধবার(২০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনশীলতা অর্জনে এ খাতের ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের উচ্চফলনশীল বীজ প্রাপ্যতা, খাদ্য উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জোরদার এবং জলবায়ু সহিষ্ণু জাত ও গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা নির্মাণ, উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বীজের গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নীতি প্রয়োগ করা উচিত।
ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি ডাল ও তৈলবীজসহ উদ্যান পালন, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের জোরালো ভূমিকা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও প্রথম সচিবদের (বাণিজ্যিক) তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) পদে সদ্য যোগদান করা কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য সাক্ষাতে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এসব আহ্বান জানান।
মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং বাজার বিস্তারের লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও আমাদের মূল লক্ষ্য বাণিজ্যিক দিকগুলোকে ঠিক রাখা। এ ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
এ সময় সদ্য যোগদান করা কর্মকর্তাদের কাছে বাজার বৈচিত্র্য এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে কাজ করা এবং সব ধরনের দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আরও শক্ত করার আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। এজন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও প্রথম সচিবদের (বাণিজ্যিক) সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে দেশীয় পণ্যগুলোকে প্রান্তিক বাজার থেকে তুলে এনে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে আসা। আর সেজন্য যোগদান করা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান তিনি।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ও প্রথম সচিবরা (বাণিজ্যিক) রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এসময় দেশীয় পণ্যগুলোকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই সহসভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, মো. মুনির হোসাইন, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর।
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
‘বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও সিডাব্লিউইআইসি’
আফ্রিকায় বাণিজ্যের বিরাট সম্ভাবনা দেখছে এফবিসিসিআই
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, আফ্রিকার বিশাল এই বাজারে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বাজার সৃষ্টিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের লাভবান হওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আফ্রিকান দেশগুলোতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
মাহবুবুল আলম বলেন, আফ্রিকার বাজার ধরতে পারলে সেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের বাইরেও আমাদের অনেক পণ্য আফ্রিকাতে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
আফ্রিকার দেশগুলোতে চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত অনেক জমি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে জমির দাম অনেক কম। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে সেখানে চাষাবাদ থেকে শুরু করে বড় ধরনের বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে বেশ আন্তরিক এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, আফ্রিকায় পণ্য উৎপাদন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানো যায়। আবার পরিশিষ্ট অংশ দেশে আনা যায়। আফ্রিকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নতুন বাজার ধরা গেলে দুই পক্ষই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। সরকারের সহযোগিতা পেলে নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা যাবে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ঢাকায় নিযুক্ত উগান্ডার অনারারি কনসাল আবুল হোসেন বলেন, আফ্রিকার দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। আফ্রিকায় ১০ থেকে ১৫টি দেশ রয়েছে- যেগুলো বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনাময়। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে নির্ভরশীল না হয়ে আফ্রিকায় বাজার খোঁজার সময় এসেছে এখন। এটি প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি ও কৃষিপণ্যের জন্য হতে পারে বিরাট সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। এছাড়া আফ্রিকায় ব্যবসা শুরু করা গেলে একই সঙ্গে সেখানে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে।
সভায় সিটি ব্যাংক ও পার্টেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, আমরা শুধু ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যবসা করছি। আফ্রিকায় ব্যবসা করার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো মোকাবিলা করা গেলে বাংলাদেশের জন্য বিশাল বড় বাজার হবে আফ্রিকা।
সভায় ভার্চুয়ারি অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ। ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আফ্রিকায় ব্যবসা ও বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সাল পর্যন্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
‘বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও সিডাব্লিউইআইসি’
‘বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও সিডাব্লিউইআইসি’
বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডাব্লিউইআইসি) যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিডাব্লিউইআইসির চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ডের সম্মানে আয়োজিত এক প্রীতি নৈশভোজে সিডাব্লিউইআইসির প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
আফ্রিকাসহ কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোতে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি পণ্যের রপ্তানি সম্প্রসারণে সিডাব্লিউইআইসি’র সহযোগিতাও চেয়েছে এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম বলেন, শিল্পের বহুমুখীকরণ, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই মাইলফলক ২০৪১ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হওয়ার জন্য ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আমরা সঠিক পথে আছি বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা এবং কমনওয়েলথ বিজনেস ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ব্যবসা খাত, জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের দ্বার উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সিডাব্লিউইআইসি। বিশেষ করে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিতে আমাদের সক্ষমতা তুলে ধরতে সিডাব্লিউইআইসির সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম করেন, আমরা প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং উদ্ভাবন, আইটি, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এসএমই খাতসহ নানা ব্যবসা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি।
আরও পড়ুন: ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
সিডব্লিউইআইসি চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে এর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সবাই বলছে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ রুপান্তরিত হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা দেখে আমি বলতে পারি নির্দিষ্ট সময়ের ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রুপান্তরিত হবে।
কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য জোরদার ও সম্ভাবনাময় খাতগুলো নিয়ে এফবিসিসিআই এর সঙ্গে সিডাব্লিউইআইসি কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন, কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই, এফবিসিসিআই পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ, মহাসচিব মো. আলমগীর এবং ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সাল পর্যন্ত রপ্তানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এসকেপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফরেন ট্রেড অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স) ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ (রাসেল)।
আরও পড়ুন: তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে কাজ করছেন। বর্তমানে এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার- স্লোগান নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, দেশকে সমৃদ্ধ করতে সব ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পোদ্যোক্তা থেকে শুরু করে দেশের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (২০২২-২০২৩) দেওয়া বক্তৃতায় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভেদাভেদ ভুলে দেশের অর্থনীতিকে সামনের এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ খুবই জরুরি।
দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অসহিষ্ণু কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে আমাদের ব্যবসায়ীরা।
মাহবুবুল আলম বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যসংক্রান্ত পরিস্থিতি ও নীতিমালা ক্রমশ আধুনিকায়ন করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যু যেমন: ক্রস বর্ডার ট্রেড ও কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের সুপারিশ প্রণয়ন, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা, অবকাঠামো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক সাপোর্ট, এনার্জি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বেসরকারি খাতের অবস্থান মতামত ও সুপারিশমালা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একাত্ম হয়ে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণে একটি স্মার্ট এফবিসিসিআই গড়ার ম্যানিফেস্টো নিয়ে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এফবিসিসিআই নিয়মিত কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের জানানোর জন্য প্রতি মাসে ই-বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে। একটি গতিশীল, ব্যবহারবান্ধব ও ইন্টার্যাক্টিভ এফবিসিসিআই গঠনে ডিজিটাল ওয়েবসাইট প্রবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এফবিসিসিআইয়ের কার্যক্রমকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য স্মার্ট অফিস তৈরির লক্ষ্যে গুলশানে এফবিসিসিআইর অফিস সম্প্রসারিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যবসায়ীদের কল্যাণে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় পুরান ঢাকায় নতুন শাখা অফিস খোলা ও উত্তরায় একটি ভকেশনাল সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা, গুলশানে এফবিসিসিআইয়ের এক্সটেন্ডেড অফিস চালু, এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন, পুরুষ জামানতকারী ছাড়াই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা কিস্তি প্রাপ্তি, আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোসহ পলিসি অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতের সুরক্ষায় বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকার কথা সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন মাহবুবুল আলম।।
গত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্য বিবরণী, এফবিসিসিআইয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, এফবিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং নতুন একটি প্রতিষ্ঠানকে নিরীক্ষক দেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় আগত সাধারণ পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্য শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, পরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বান
বিএসএমএ-কমনওয়েলথের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের সভা
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সম্ভাবনাময় বাজারে বাংলাদেশের ইস্পাত রপ্তানি বাড়াতে স্টিলখাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করবে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ অ্যানুয়াল সামিটে বাংলাদেশের স্টিল শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার প্রক্ষিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের (সিডব্লিউইআইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
এফবিসিসিআইর গুলশানে অফিসে (আকাশ টাওয়ার) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন, স্টিল ম্যানুফেকচারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সেক্রেটারি জেনারেল ড. সুমন চৌধুরীসহ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, একটি দেশের উন্নয়ন মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমান গড় মাথাপিছু ইস্পাত ব্যবহার হয় ৪৮ কেজি।
তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বেশিভাগই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অবকাঠামোতে প্রয়োজনীয় স্টিল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করে ডলারের উপর চাপ কিছুটা কমানো সম্ভব। স্টিল ম্যানুফ্যাকচারারদের শুধু গুণগত মান খেয়াল রাখতে হবে।
আলোচনায় ড. সুমন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এটি সর্বমোট ২০ মিলিয়ন টন হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের পরে বাংলাদেশে অবকাঠামো, নির্মাণ কাজ দ্রুত বাড়তে থাকলে ইস্পাতের চাহিদাও একই হারে বাড়ে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশের অনেক বড় বড় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ সময়, লৌহ ও লৌহজাত পণ্যকে রপ্তানিমুখী শিল্পে রূপান্তরের জন্য সরকারের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকাত চান ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে রয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে লৌহ ও লৌহজাত পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে বিশেষ শুল্ক সুবিধা, আংশিক বন্ড সুবিধা, নগদ সহায়তাসহ রপ্তানি অন্যান্য সহযোগিতা, রপ্তানিমুখী ইস্পাত কারখানায় জ্বালানি মূল্যে সুযোগ-সুবিধা, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতকরণসহ অন্যান্য নীতি সহায়তা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. আমির হোসেন নুরানী, মেট্রোসেম ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক শুনিল কুমার অধিকারীসহ ইস্পাত শিল্পের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল ও সার আমদানির অনুমোদন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির
জঙ্গিবাদ-অপরাজনীতির প্রতিবাদে ইআরডিএফবির মতবিনিময় সভা শনিবার