রপ্তানি
ভারতে রপ্তানির উদ্দেশে বরিশাল ছেড়েছে ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান
সরকার মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় ১৯ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতের উদ্দেশ্যে বরিশাল ছেড়ে গেছে।
আগের দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
বরিশাল থেকে পাঁচ রপ্তানিকারক-মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, মাসফি এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ এবং সি গোল্ডকে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বরিশাল মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মহিমা এন্টারপ্রাইজের মালিক নিরব হোসেন টুটুল জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মহিমা এবং তানিশা এন্টারপ্রাইজ বুধবার বরিশাল শহরের তাদের গুদাম থেকে যৌথভাবে ভারতে ১৯টন ইলিশ রপ্তানি করেছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ইলিশের প্রথম চালান যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পৌঁছাবে।
সরকারিভাবে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগের প্রশংসা করে মাছ ব্যবসায়ী জহির সিকদার বলেন, রপ্তানির অনুমতি পেলে জাতীয় মাছের চোরাচালান কমবে এবং স্থানীয় বাজারে মাছের প্রাপ্যতাও বাড়বে।
তিনি বলেন, মনিটরিংয়ের অভাবে নিয়মিত যশোর, সাতক্ষীরা ও আগরতলা দিয়ে প্রচুর মাছ ভারতে পাচার হয়।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩ ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অনুমোদিত একজন রপ্তানিকারক ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে।
তবে ইলিশ রপ্তানিতে ৮টি শর্ত দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, রপ্তানির অনুমতিপ্রাপ্ত পণ্যগুলোর একটি ম্যানুয়াল পরিদর্শন করবে শুল্ক কর্তৃপক্ষ, প্রতিটি চালান শেষ হওয়ার পরে সমস্ত রপ্তানি নথি অবশ্যই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে, কেউ অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করতে পারবে না, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সাবকন্ট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ রপ্তানি করা যাবে না।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
এর আগে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ৫ হাজার টন ইলিশের চাহিদার কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা।
চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতার মাছ আমদানিকারকদের সমিতি কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে এই আবেদন জমা দেয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর আবেদনটি পায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ৫০৭ টাকা কেজি দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বছর পূজা উৎসব উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে রপ্তানি করা হয়েছিল ১ হাজার ৩০০ টন ইলিশ।
আগের বছরগুলোতেও একই ঘটনা ঘটেছে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি: চলতি বছর এক কোটি ৩৬ লাখ ডলার আয় বাংলাদেশের
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দরে মালামাল উঠানামাসহ খালাস প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে পড়ায় বন্দরের দুই পাশে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
এসব পণ্যের মধ্যে পচনশীল বিভিন্ন খাদ্যদ্রবসহ শিল্পকারখানার জরুরি কাজে ব্যবহৃত কাঁচামালও রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত চার হাজার যাত্রী পারাপার করেছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড সহ খালাশ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিনহা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
তবে একদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ধাকলে সরকারের ২০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমীর ছুটির কারণে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এদিকে, উভয় দেশের এই বন্দর এলাকায় পচনশীল পণ্যসহ কয়েক হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল অতিক্রমের অপেক্ষায় আছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক নিয়মে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে ৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার
গত অর্থবছরের (২০২২-২৩ অর্থবছরের) তুলনায় আগস্টে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার(৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, সামগ্রিক রপ্তানি আয়ে বড় অবদান রেখেছে দেশের পোশাক খাত।
আগস্টে রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার মধ্যে এটিকে সুসংবাদ হিসেবে দেখছে এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্টে রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে, সরকারের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। ওই মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিট্যান্স ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ১.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে পোশাক, ওষুধ, চামড়াসহ ২৬ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি হয়েছে। সেখান থেকে আগস্ট মাসে আয় হয়েছে ৪ দশমিক ৭৮ কোটি ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সে অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫১ কোটি মার্কিন ডলার, যা বৃদ্ধির প্রায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের রপ্তানি বাড়াতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি পণ্যের জন্য নগদ সহায়তা ঘোষণা করেছে।
২০২৩ অর্থবছর অনুযায়ী, রপ্তানিকারকরা ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে এই নগদ সহায়তা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুসারে, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৪৩টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাবে। এই ৪৩টি পণ্য গত বছরও একই রকম সহায়তা পেয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ঘোষিত নগদ সহায়তা রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
৩৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি করে মোট ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ একবছরে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ওভেন পোশাক থেকে আরএমজি রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই মাসে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার (১৩ আগস্ট) এক চিঠিতে জানিয়েছেন, একই সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানি বছরে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই বৃদ্ধি অবশ্যই চিত্তাকর্ষক। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি একটি বড় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
তাই বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ২০২৩ সালের বাকি সময়ের জন্য আমাদের সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, কারণ পোশাক এবং সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
চার বছরের মধ্যে চামড়া রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বিদ্যমান ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আগামী ৩-৪ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিসমূহ, সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ কমপ্লায়েন্স ও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) মানদণ্ড উন্নীতকরণ সংক্রান্ত একটি সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প সচিব ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির ও শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতিসহ ট্যানারি মালিক ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মুখ্য সচিব বলেন, সাভার ট্যানারি এস্টেটে সিইটিপি সংশোধন ও মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘এখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা যদি একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা কঠিন হবে না।’
সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যে চামড়া খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফাজ্জেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে এই পরিবেশ তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
কমপ্লায়েন্স একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের চামড়া খাতকে সংশোধন ও আপগ্রেড করতে হবে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
চলতি বছর ২৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে: কৃষি মন্ত্রণালয়
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিআরও কামরুল ইসলাম ভূইয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর মোট ১ হাজার ৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছিল।গতবছর ২৮টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছিল, এবছর ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১২৫৬ টন, ইতালিতে ২৯৬ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন, কুয়েতে ২১৮ টন, কানাডায় ৪০ টন উল্লেখযোগ্য।
এতে আরও বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।
আরও পড়ুন: ইউরোপের ৪ দেশে পাঠানোর মাধ্যমে আম রপ্তানি শুরু
২০১৭-১৮ সালে মাত্র ২৩২ টন, ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১৬৩২ টন, ২০২১-২২ সালে ১৭৫৭ টন আম রপ্তানি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানি কম হচ্ছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের প্রথম বছরেই গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন আম বেশি রপ্তানি হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর আরও ১৫-২০ দিন আম রপ্তানি হবে।
আরও পড়ুন: জাপানে আম রপ্তানি শুরু হবে শিগগিরই: কৃষিমন্ত্রী