প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বিদ্যমান ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আগামী ৩-৪ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) সাভার চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিসমূহ, সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিবেশ কমপ্লায়েন্স ও লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) মানদণ্ড উন্নীতকরণ সংক্রান্ত একটি সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
শিল্প সচিব ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির ও শিল্প (বিসিক) চেয়ারম্যানসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতিসহ ট্যানারি মালিক ও চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মুখ্য সচিব বলেন, সাভার ট্যানারি এস্টেটে সিইটিপি সংশোধন ও মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তিনি বলেন, ‘এখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে দেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমরা যদি একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে এই খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা কঠিন হবে না।’
সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে ২০২৭ সালের মধ্যে চামড়া খাত থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তোফাজ্জেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এখানে এই পরিবেশ তৈরিতে সরকারি ও বেসরকারি খাত উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
কমপ্লায়েন্স একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের চামড়া খাতকে সংশোধন ও আপগ্রেড করতে হবে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা