অগ্নিকাণ্ড
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত সকল তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আহতদের মধ্যে কেউ চিকিৎসায় অর্থ সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
আদেশে সকল নৌযানের ফিটনেস সংক্রান্ত তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএ’র চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালালসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এর আগে ২৭ ডিসেম্বর সকল নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার এই রিট করেন।
অপরদিকে ২৬ ডিসেম্বর আরও একটি রিট করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। সেখানে নিহতদের আপাতত ১০ লাখ ও আহতদের পাঁচ লাখ টাকা করে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
ঝালকাঠির লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় সুগন্ধা নদী থেকে মঙ্গলবার আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, নিহতদের মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ১২ বছর এবং আরেক ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
নিহত ব্যক্তির মুখমন্ডল পোড়া ছিল এবং শরীরে অফ হোয়াইট শীতের পোশাক ও পড়নে জিন্সের প্যান্ট ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ডি.এ.ডি শফিক।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সিআইডির
টানা পঞ্চম দিনের মতো সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সোমবার লঞ্চ টার্মিনালে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম ৪১ জন নিখোঁজ যাত্রীর তথ্য দিয়েছে বলে জানান ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ ৮ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চ, জাহাজের ইঞ্জিনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২
ঝালকাঠির কাছে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ এ দাঁড়িয়েছে। সোমবার সকালে ঝালকাঠি জেলার শচিলাপুরে বিষখালী নদী থেকে সর্বশেষ লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জেলার জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকাল ৯টার দিকে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত হাকিম শরীফ (৬০) বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা।
তার পরিবারের তিন সদস্য - স্ত্রী প্রিয়া বেগম (৫৫), মেয়ে হাফসা (১৭) এবং ছেলে নাসির উল্লাহ (২)নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
তবে সোমবার টানা ৪র্থ দিনের মতো সুগন্ধা নদীতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড সদস্য ও দমকলকর্মীরা।
এদিকে লঞ্চ টার্মিনালে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুম এ পর্যন্ত ৪৭ জন নিখোঁজ যাত্রীর তথ্য দিয়েছে বলে জানান ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন।
লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের অন্যতম মালিক হামজালাল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৪১ জন। এছাড়া ঘটনায় ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীর সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
এমভি অভিযান-১০ এর মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঝালকাঠিতে এমভি আভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার নৌ আদালত।
রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির চারজন মালিক; মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো.খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এছাড়া লঞ্চ ও এর চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে নৌ পরিবহন বিভাগ।
অন্যদিকে, এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত: তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার বেলা ১২ টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে। গণকবরে নেয়ার পরে সাতজনের লাশ শনাক্ত করে তাদের স্বজনরা। এসময় ২১ কবরে ২৩ জনকে সমাহিত করা হয়, দুটি কবরে মা ও সন্তানসহ চারজনকে দাফন করা হয়।
এর আগে এদিন বেলা ১১টায় স্থানীয় সার্কিট হাউস মাঠে ৩০টি লাশের একত্রে জানাজা হয়।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন ঘটনাস্থলে এবং তিন জন হাসপাতালে মারা যান।এরপর ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ একজন মারা যান।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন বরগুনা জেলা প্রশাসনের দলের কাছে ৩৭টি লাশ হস্তান্তর করে। অন্যদিকে, বরগুনা জেলা প্রশাসন ঝালকাঠি ও বরিশালে চার জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। অবশিষ্ট ৩৩ লাশ শুক্রবার মধ্যরাতে বরগুনা নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলো শনাক্ত করার জন্য রাখা হয়। এখানে তিনটি লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৩০টি লাশের গোসল, কাপড় পরানো এবং কফিনে লাশ ভরাসহ স্বজনদের লাশ দেখানোর দায়িত্ব পালন করেন রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউট সদস্যরা। এ সব লাশ সমাহিত করার জন্য শহরতলীর পোটকা খালি সরকারি গণকবরস্থানে ৩০টি কবর তৈরির ব্যবস্থা করেন ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল হক স্বপন। দাফনকাজ শুরুর আগে আরও সাত লাশ শনাক্ত করে তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় এখানে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। ২৩ লাশ শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে তাদেরকে গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
যে সকল লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের পরিবারকে দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে, আহত হয়েছে শতাধিক।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শুক্রবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা লাশ গ্রহণ, স্বজনদের কাছে হস্তান্তর ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অজ্ঞাত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের তালিকা তৈরি করার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
লঞ্চের আগুনে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক: সামন্ত লাল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন শনিবার হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার প্রায় ২১ জনকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের মধ্যে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তামিম হাসানের (৮) শরীরের ৩০ শতাংশ, বাচ্চু মিয়ার (৫১) চার শতাংশ, ইসরাত জাহান সাদিয়ার (২২) ২০ শতাংশ, শাহিনুর খাতুনের (৪৫) ২৫ শতাংশ, মারুফার (৪৮) ১৫ শতাংশ, সেলিম রেজার (৪৫)১৮ শতাংশ, লামিয়ার (১৩) ১০ শতাংশ, মমতাজের (৭০) ৮ শতাংশ, মোহাম্মদ রাসেলের (৩৮) ১৮ শতাংশ, বঙ্কিম মজুমদারের (৬০) ১২ শতাংশ, মনিকা রাণীর (৪০) ৩০ শতাংশ, গোলাম রাব্বানীর (২০) ৯ শতাংশ, বিকাশ মজুমদার (১৬), খাতিজার (২৭) ১৫ শতাংশ এবং বশিরের (৩৫) শরীরের ৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাতে আহত হাবিব খান (৪৫) মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইয়ুব হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাবিব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ যাত্রী দগ্ধ ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান ১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার পোটকাখালী কবরস্থানে নিহতদের দাফনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয় বরগুনা জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে সাত জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, এখনো পর্যন্ত কতজন নিখোঁজের নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই, তবে তথ্য সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দু’একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন তবে শনাক্ত করে তাকে পরবরর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
এর আগে রাত পৌনে ১২টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছায় লাশবাহি গাড়ি। সারিসারি মৃতদেহ নামিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন রেডক্রিসেন্ট বরগুনার সদস্যরা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন অপেক্ষমান স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা যান। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শেবাচিমে র্যাবের ডিজি
ঝালকাঠিতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে শুক্রবার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) পরিদর্শন করেছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
র্যাব সদর দপ্তরের এএসপি (মিডিয়া) ইমরান খান বলেন, র্যাবের ডিজির নির্দেশে একটি হেলিকপ্টার বরিশালে পৌঁছেছে এবং গুরুতর আহত দুই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দিয়াবাড়ি নামক স্থানে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ এবং আহত ৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি এ দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মইনুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘লঞ্চ থেকে ৩৭টি লাশ এবং ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ইউএনবি বরিশাল প্রতিনিধি জানান, আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রী বহনকারী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রী এখন মালদ্বীপে অবস্থান করলেও তিনি দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা