আহত
ভোলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের কাছে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ, কনেসহ আহত ১৫
ভোলায় বিয়ে বাড়িতে গেটে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বরযাত্রীদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনে, তার বাবা ও শ্বশুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটির ফলে পন্ড হয়ে গেছে আয়োজনটি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মুসলিম পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরিফের সঙ্গে জামিরালতা এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে নুপুরের দু’মাস আগে বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে জামিরালতায় মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরকে অভ্যর্থনা জানাতে গেটে লাল ফিতা কেটে ভেতরে বরসহ অতিথিদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় বরের কাছে ৫ হাজার টাকা চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোল বাধে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ, মারধরসহ চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অতিথি আপ্যায়নের জন্য দুপুরের খাবার ফেলে দেয়া হয়। এতে করে নুপুর, তার বাবা হারুন, বরের বাবা জাকির হোসেনসহ দুই পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কনেসহ গুরুতর ৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪
লক্ষ্মীপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল জাতীয় মহাসড়কের সাইফিয়া দরবার শরীফ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আটিয়াতলি এলাকার মো. মনজুর ছেলে শাফায়েত হোসেন ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে রাজন হোসেন।
এছাড়া আহতরা হলেন- তুষার, রিয়াজ ও শোয়েব ইসলাম। শোয়েব লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার সোহেল রানার ছেলে, রিয়াজ চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় চলন্ত মোটরসাইকেলে বসা আরোহীরা সেলফি ধারণের চেষ্টা করছিল। এ সময় দ্রুতগতির আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, ‘আমরা দুইজনকে মৃত পেয়েছি। তুষার নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সিএনজি-ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশু কোরবানি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তাঁরা আহত হয়েছেন। কেউ পশু জবাই দেওয়ার সময় আহত হয়েছেন।
আবার কেউ আবার মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো দায়ের আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে আজ সকাল থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ৬০ জন ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ৪০ জনই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
হাসপাতালের ওই ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আরকান্দিা গ্রামের সেলিম আহমদ (৪৬)।
তিনি বলেন, সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে গ্রামে পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিসহ চারজন গরুটি ধরে রেখেছিলেন। হঠাৎ গরুটি লাফিয়ে ওঠে। তখন অন্যরা গরুর রশি ছেড়ে দেন।
এ সময় পাশে থাকা আরেক ব্যক্তির ধারালো দা তাঁর হাতে লেগে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
একই উপজেলার ডৌবারি এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন (৪৫) বলেন, গরু কোরবানির পর মাংস কাটছিলেন তিনি। এ সময় দায়ের আঘাত লাগে বাঁ হাতে। এতে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাসেল আহমদ (২৮) বাঁ হাতে দায়ের আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই জুবের আহমদ বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সিলেটে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের চরের বন্দ এলাকার বাসিন্দা আকিব আলী (৪০) বলেন, কোরবানির সময় নিজ হাতে থাকা ছুরি পায়ে লেগেছে। এতে বাঁ পায়ের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের শামসের নগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু মিয়া (২১) বাঁ হাতে ধারালো ছুরির আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই শাকিল আহমদ (২৩) বলেন, কোরবানির সময় ডান হাতে থাকা ছুরি পশুর গলায় চালাতে গিয়ে বাঁ হাতে লেগেছে। এতে মিঠুর চারটি আঙুলের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে।
ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের চিকিৎসক নিরুপম দত্ত বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের এক্স-রে করতে বলা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের কেউ গুরুতর অবস্থায় নেই। তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
বগুড়ার যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২
বগুড়ার শিবগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস উল্টে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৮ জুন) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের চন্ডিহারা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত একজনের নাম আল আমিন (১৫)। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। অপর ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কনস্টেবলসহ নিহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে রংপুরগামী বৈশাখী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
এঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে পারলেও অপর ব্যক্তির পরিচয় এখনও পাওয়া যায় নি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসময় ২০টি বসত ঘর, ১৫টি দোকান, চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার তজুমদ্দিন থানায় একটি একটি মামলা করা হয়েছে এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এসময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কাদের পণ্ডিতের ছেলে নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়।
এছাড়াও আব্বাস মোল্লা (৪৫), তারেকুর রহমান (৩২), মতিন (৩০), কামরুল ইসলামকে (২৮) আহত অবস্থায় তজুমদ্দিন হাসপাতালে আনা হয়।
জানা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন গ্রুপের এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভোলা-৩ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্যপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার গ্রুপের সমর্থক।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
তজুমদ্দিনের চাচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম হান্নান অভিযোগ করেন, রবিবার বিকালে চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের নেতৃত্বে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার পাঁচ শতাধিক আওয়ামী লীগের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তার বসত ঘরসহ স্থানীয় ৭-৮টি ঘর ও ১৫টি দোকান ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্যদিকে চাচড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের জানান, হান্নান চেয়ারম্যান তাদের লোকজনকে মারধর ও গুলি করেছেন। এতে যুবলীগ নেতা নাজিম গুলিবিদ্ধসহ তাদের পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তারা থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে তারা কারো ওপর হামলা করেননি।
তজুমদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, তিনি চাচড়া ইউনিয়নের ঘটনা শুনেছেন। সেখানে সাবেক চেয়ারম্যান হান্নান একজন ইউপি সদস্যকে তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও ওই এলাকার আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেছে। এ ঘটনা নিয়ে সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে লালমোহনের ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের ঘটনা তার জানা নেই।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে কোনো হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এক পক্ষ একটি মারামারির মামলা করেছে। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপরপক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের একটি মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা পারভিন আক্তারের দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ জুন) সকালে শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কিশোরের নাম- শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এফসিবি’ নামের কিশোর গ্যাং হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে (১৪) পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
ভিডিওটি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাতে ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আমিরুল হুদা ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে সে ফেনীর পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বৌবাজারে ভাড়া বাসায় থাকে।
মামলার আসামিরা হলো- শহরের ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬), আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জয় (১৫), প্রিয়ম (১৫), ইফাত (১৫), পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পিছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)। তারা শহরের ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, সেন্ট্রাল হাই স্কুল ও ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর। যেসব ঘটনায় মামলা হয় সে মামলায় এজহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলকে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
নাটোরে মাটিবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, আহত ১
নাটোরের লালপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভ্যানের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অপর এক নারী। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোহরকয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধা আফিয়া (৬০) মোহরকয়া গ্রামের জলির খামারুর স্ত্রী।
আহত নারী হলেন আনজেরা (৫৫)। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান যে দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মোহরকয়া এলাকায় মাটিবাহী ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন যে উত্তেজিত গ্রামবাসী ট্রাক্টরটি ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৭
কুষ্টিয়ায় আ. লীগ কর্মী ছুরিকাঘাতে নিহত
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, শিক্ষার্থী আহত
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘বহিরাগতদের’ হামলায় এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ১১টার দিকে এমসি কলেজের পঞ্চম ছাত্রাবাসের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম একিউএম শামসুল হুদা ইমরান। তিনি ওই কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাত ১১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলের পাশেই নিজের রুমে ছিলেন। এসময় উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনে তিনি এগিয়ে এসে দেখেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি (বহিরাগত) মাহিন তালুকদার কলেজের মাস্টার্স ফিজিক্স বিভাগের ছাত্র রাফসানের ওপর চড়াও হয়েছেন।
এসময় তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করলে বহিরাগত মাহিন তালুকদার তার ওপর লোহার কিছু একটা দিয়ে হামলা চালান। এতে শামসুল হুদা ইমরানের মাথা ফেটে যায়। ঠোঁটেও আঘাতপ্রাপ্ত হন ইমরান। এ অবস্থায় তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে তার মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান আহত একিউএম শামসুল হুদা ইমরান।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজ ৬ মাস ধরে বন্ধ, খোলা ছিল ছাত্রাবাস
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবু এনাম রিয়াজ জানান, ‘এটা তেমন বড় কোন ঘটনা নয়। গায়ে সাইকেল লাগা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। শামসুল হুদা ইমরান কিছুটা আহত হয়েছে।’
বহিরাগত কিভাবে এখানে থাকে; এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,‘ তারা সবসময় থাকে না, সিলেট আসলে মাঝে-মধ্যে থাকে। পুলিশকে বলেছি, কিন্তু তারাও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ‘হামলার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহিরাগত আছে কি না সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। বহিরাগতদের তাড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা চাইলে পুলিশ সহায়তা করবে।’
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, এমসি কলেজের পঞ্চম ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগ পরিচয়ে বিপুলসংখ্যক বহিরাগত নিয়মিত বসবাস করছে। ছাত্রাবাসের ৫০৩, ৫০৪ ও ৫০৫ নং কক্ষে বসবাস করছেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি (বহিরাগত) মাহিন তালুকদার।
মাহিন তালুকদার এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও সভাপতি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন রাহীর বন্ধু।
অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা রাহী বঙ্গবন্ধু হল তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ দখল করে বসবাস করছে। সে আবার, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেনের অনুসারী।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেন, নেতৃত্বে থাকায় কেউ অনুসারী হতেই পারে। তবে এমসি কলেজ ছাত্রলীগ এখন অনেক সুশৃঙ্খল। বৃহস্পতিবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে ছাত্রলীগ এরকম ঘটনা সমর্থন করে না।
এদিকে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবেন; জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু এনাম রিয়াজ বলেন, আমি তাদের (বহিরাগত) সঙ্গে কথা বলবো। কথা না শুনলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবো।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। তখন থেকেই দেশব্যপী সমালোচনার মুখে পড়ে এমসি কলেজ ও ছাত্রলীগ। সে সময় নানাবিধ চাপের মুখে বহিরাগতরা সাময়িক সরে গেলেও ফের কলেজ হোস্টেলে আস্তানা গেড়েছে তারা।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
প্রাইভেটকার উল্টে সিলেট এমসি কলেজের ২ ছাত্র নিহত
বাড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। বৃহস্পতিবার (২২জুন) দুপুরে আফতাবনগর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
মৃত শ্রমিকেরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলার কাজাইকাটা গ্রামের মংলা শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩২)।
আহতরা হলেন- মো. সাইদ হাসান (২৫) ও কামাল হোসেন (৩০)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
জানা গেছে, গুরতর আহত অবস্থায় সহকর্মীরা তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক দুপুর পৌনে ১টায় প্রথমে রবিউল ইসলামকে পরে সুমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহকর্মী রবিউলের বড় ভাই তৌফিজ শেখ জানান, আফতাবনগরে একটি নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের চার তালার বাহির অংশে মাচা বেঁধে সেখানে দাঁড়িয়ে প্লাস্টারের কাজ করছিলেন তারা। সেখান থেকে ঐ মাচা ভেঙে সবাই নিচে পড়ে যায়। পরে তাদের সহকর্মীদের সহায়তায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ দু’টি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বাকি দু'জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ফরিদপুরে গণপিটুনিতে আহত হাজতির মৃত্যু
ফরিদপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনির তিন দিন পর আহত এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন এলাকায় বিকালে নিজ গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত হাজতি হলেন- রিপন শেখ (৩৫)। তিনি মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের চান শেখে ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
ফরিদপুর কারাগারের জেল সুপার তায়েব উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, রিপন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে আসার পর গত ১৮ জুন আবার অসুস্থ হলে তাকে মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার জোয়ারের মোড় এলাকায় গত ৯ জুন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় তার নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
রিপন ৯-১৩ জুন পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিল।
তিনি বলেন, ১৮ জুন সন্ধ্যায় রিপন হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
হাজতির মৃত্যু প্রসঙ্গে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন সরকার জানান, রিপন গণপিটুনিতে আহত হওয়ার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে।
এরপর তার বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১
সাতকানিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১