নিষেধাজ্ঞা
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ভোলার ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তিনি সোমবার তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়েছেন। ইলিশা, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন এলাকায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মোট ১৪টি অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের কাছ থেকে দুটি নৌকা, ১২ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং ২২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দুই জেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আটক অন্য জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
সমুদ্রে মাছ শিকারে বিরত জেলেদের জন্য আরও ১১ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
চাঁদপুরের হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, দুটি নৌকা ও মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ও শনিবার (১৪ অক্টোবর) হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও কোস্ট গার্ড।
গ্রেপ্তার ২৭ জেলের মধ্যে ২০ জেলেকে মৎস্য আইন মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং ৭ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
জব্দ করা মা ইলিশ হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহ্লা চৌধুরী বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা মা ইলিশ রক্ষায় গত ২ দিনে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের প্রথম দিনেই ২৭ জেলেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় গ্রেপ্তার করেছি।
পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারা দেশে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে।
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে বাংলাদেশের জাতীয় এই মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চর ভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না।
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় স্থানীয় প্রশাসন প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছে এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় প্রশাসন জেলার উপকূলীয় এলাকায় একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও পরিচালনা করেছে।
জেলেদের অলস সময় কাটাতে এবং কয়েকজনকে তাদের জাল মেরামত করতে দেখা গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিবন্ধিত ৪৩ হাজার ৭৭২ জন জেলের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম এক-দুই দিনের মধ্যে শেষ হবে।
এ সময় টাস্কফোর্স নিষেধাজ্ঞা অমান্য রোধে সার্বক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত এর পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করবেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, টাস্কফোর্স কমিটি কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং জেলার মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলে চাহিদা বাড়ছে নোনা ইলিশের
মুনাফালোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি: মৎস্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) থেকে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছটির সর্বোচ্চ প্রজননকালীন সময়ে নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে এ সময়ে ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।
২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
২০ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা, বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
তিনি বলেন, মাছ ধরার উপর বিধিনিষেধের উদ্দেশ্য হলো- এই সময়কালে ডিম দেওয়া মা ইলিশকে রক্ষা করা
একক প্রজাতির মাছ হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের সার্টিফাইড পেটেন্ট পণ্য হিসেবে স্বীকৃত মাছটি সাঁতার কেটে নদীতে ডিম দেয়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়।
চাঁদপুরকে বাংলাদেশের ইলিশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ পদ্মা নদীর মাছ অন্যান্য নদী থেকে আসা মাছের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ৩ দিনে ১৭৩ টন ইলিশ রপ্তানি
নির্বাচনের আগে আর কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই: শাহরিয়ার আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো দেশের কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত বিষয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোটেই (এমন কিছু হচ্ছে) না।’
অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শাহরিয়ার বলেন, তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেয়েছেন তা তারা জানেন না।
পররাষ্ট্র দপ্তরে তার ১০ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি করা হয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়গুলো বিচার করার আহ্বান জানান, কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই ভয়কে পুঁজি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায় সুইডেন : সুইডিশ পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্টেট সেক্রেটারি ডায়ানা জানসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, এসব (গুজব) ভেবে আপনাদের ঘুম নষ্ট করবেন না।’
কিছু ব্যক্তির উপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত করে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন ব্যক্তিও আমাদের বলেনি যে একটি টর্নেডো আসছে। আপনারা এই বিষয়ে গল্প বানান। তারা (মার্কিন) শুধুমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দগুলোও উচ্চারিত হয়নি।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব 'শান্তিপূর্ণ অঞ্চল' তৈরি করতে পারে: মোমেন
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজবে কান দেবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গুজব উপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার নতুন পর্যায় সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আল্লার দোহায়, এসব (গুজব) নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে ঘুম নষ্ট করবেন না।’
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের (পিইএএম) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম... একজন মানুষও আমাদের বলেনি যে ঝড় আসবে। আপনার (গণমাধ্যম) এসব বাবান। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এমনকি অংশগ্রহণমূলক বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার শব্দটিও উচ্চারণ করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
নির্বাচনী প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ এবং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করতে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে এসেছে।
মোমেন বলেন, তারা সফররত এনডিআই-আইআরআই'র যৌথ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। আরও বলেছেন, সরকার কোনো সহিংসতা ছাড়াই 'অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ' নির্বাচন করতে চায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি 'সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি' গড়ে তুলেছেন, যা 'অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী'।
মোমেন বলেন, 'তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেয়নি, তারা আমাদের কথা শুনেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সহিংসতামুক্ত করতে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তারা গত ১৫ বছরে অর্জিত তুলনামূলক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, কেউ এই সাফল্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
ড. মোমেন বলেন, তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মোমেন বলেন, জনগণ যদি অংশগ্রহণ করে এবং অবাধে ভোট দিতে পারে তাহলে তা অংশগ্রহণমূলক।
তিনি বলেন, তারা চায় সবাই নির্বাচনে অংশ নিক, কারণ সরকার পরিবর্তনের একটাই উপায়- তা হলো নির্বাচন।
আরও পড়ুন: কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এর আগে প্রতিনিধি দলের সদস্য দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ রবিবার বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিআই-আইআরআই যৌথ মিশন নির্বাচনী প্রস্তুতির অবস্থা মূল্যায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কথা শুনতে এবং একটি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন দেখাতে এসেছি।
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রতিনিধি দলের সহসভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণ এশীয়বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ এবং ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রাক্তন সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ; জামিল জাফর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির প্রাক্তন সহযোগী পরামর্শদাতা; এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এনডিআই আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ; আইআরআই-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও রয়েছন দলে।
বনি গ্লিক বলেন, 'এই যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের আগ্রহ ও সমর্থনের প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, 'আমরা প্রধান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করব। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী বিশ্লেষণ দেব।’
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং ২০০৫ সালে জাতিসংঘে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নীতিমালার ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মূল্যায়ন পরিচালনা করবে।
কার্যক্রম শেষে প্রতিনিধিদল তাদের মূল অনুসন্ধান, নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ এবং নির্বাচনের প্রতি নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহারিক সুপারিশের একটি বিবৃতি প্রকাশ করবে।
এনডিআই ও আইআরআই হলো নির্দলীয়, বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চার প্রতি সমর্থন ও শক্তিশালী করে।
প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার নিশ্চিত করলেও বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভয়েস অফ আমেরিকার (ভিওএ) বাংলা সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। জনগণ তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন। আমরা এটা করেছি। এখন হঠাৎ করে এই নিষেধাজ্ঞার পেছনে কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
তিনি বলেন, 'আজ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, ভবিষ্যতে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এটা তাদের উপর নির্ভর করে।’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণের অধিকার, তাদের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার এবং বেঁচে থাকার অধিকার- এগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি দেশটিতে বাংলাদেশের মানুষের প্রবেশে বাধা দেয়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন:মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, সেটা র্যাব হোক বা পুলিশ, কেউ অন্যায় করলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচার হয়। 'বিচার থেকে কেউ রেহাই পাবে না।'
তিনি বলেন, ‘তারা যদি মানবাধিকার বা ভোটাধিকারের কথা বলে, আমরাই আওয়ামী লীগই ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি, আমাদের দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
দেশের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এখন অনেক বদলে গেছে। ‘এটি তার আগের অবস্থায় ছিল না। বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। বেকারত্বের হার কমে গেছে, এখন তা ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভিসা নীতি আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন যা খুশি তাই খেতে পারে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটালাইজড। মানুষের ইন্টারনেট সুবিধা আছে। দেশকে ওয়াইফাই সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। মানুষ যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, সেজন্য সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ এখন ভোটাধিকার সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম এবং আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী
৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
সুন্দরবনে এবার পর্যটন মওসুম শুরুর পর থেকে দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভরা মৌসুমে সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হচ্ছেন বিদেশি পর্যটকরাও।
একটানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকদের মধ্যে বড় একটি অংশ বিদেশি।
সুন্দরী ইকো রিসোর্টের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আতিথেয়তা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই আমাদের স্বপ্ন। ঢাংমারি এমন একটা গ্রাম যেখানে গড়ে উঠেছে কিছু ইকো রিসোর্ট যাদের মাধ্যমে এই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের
কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও বিধিনিষেধের বিষয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে। একাত্তরে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারো নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে' এসব কথা বলেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন দুর্বল ব্যাটারির পুরোনো গাড়ি: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি। কি আশ্চর্য। মনে হয় আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট দিয়েছে।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোন কর্মীর গায়ে আঘাত করলে এবার পাল্টা আঘাত করা হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ কারো কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কিভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে।’
কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করেছে বিএনপি। ৪৮ মিনিটও তার মুক্তির জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি।’
ঢাকা জেলা আ’লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি আঞ্চলিক দৈনিকের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হচ্ছে, যারা সরকারের অবৈধ কাজে সহায়তা করেছে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রসাশন উৎকণ্ঠা রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই অবিলম্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন, অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়, এদেশের মানুষ এখন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এই সরকারকে। এদেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, নেতাদের কারাগারে আটক করেছে, আমরা আর সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকার সহজভাবে কথা শুনবে না, তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। তাই আন্দোলনের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। ’
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাবলম্বীবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
ধোলাইখাল মোড়ে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা রায় সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড, লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল