নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি আঞ্চলিক দৈনিকের একটি অংশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সচিবালয়ে আলোচনা হচ্ছে, যারা সরকারের অবৈধ কাজে সহায়তা করেছে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রসাশন উৎকণ্ঠা রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে এ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধোলাইখালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা তাকে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নিয়ে যেতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাই অবিলম্বে নেত্রীকে মুক্তি দিন, অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়, এদেশের মানুষ এখন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এই সরকারকে। এদেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার, নির্যাতন করেছে, নেতাদের কারাগারে আটক করেছে, আমরা আর সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিন: ফখরুল
তিনি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ সরকার সহজভাবে কথা শুনবে না, তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ সৃষ্টি করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। তাই আন্দোলনের তরঙ্গ সৃষ্টি করতে হবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। ’
এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বাবলম্বীবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
ধোলাইখাল মোড়ে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা রায় সাহেব বাজার, টিপু সুলতান রোড, লক্ষ্মীবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন: ‘মেগা দুর্নীতির’ মাধ্যমে কিছু মানুষ ধনী হয়েছেন: বিএনপি নেতা নজরুল
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠান: ফখরুল
১২ অক্টোবর-২ নভেম্বর ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারাদেশে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালানো হবে।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হালদায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদই শুধু নয়, এটি জিআই সনদপ্রাপ্ত একটি সম্পদ যা বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের আলাদা পরিচয় বহন করে। অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের কারণে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টি, বিভিন্ন সময়ে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখা, জাটকা নিধন বন্ধ করা, আহরণ বন্ধ থাকাকালে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়াসহ নানাভাবে সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়লে মৎস্যজীবীরাই সে ইলিশ আহরণ করবে। তারাই লাভবান হবেন। সরকার শুধু ইলিশ উৎপাদনের পরিসর বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশ যাতে কোনোভাবে বিপন্ন না হয় সেক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। ইলিশ সারাদেশের সম্পদ। এজন্য এ মাছ রক্ষায় সবাই মিলে আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
ইলিশ সংক্রান্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দ করা খাবার ও অর্থ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ইলিশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দরিদ্র-অসহায় মৎস্যজীবীদের ব্যবহার করে এক শ্রেণির মুনাফা লোভী দুর্বৃত্ত। তারা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে নদীতে-সমুদ্রে মাছ ধরতে জেলেদের নামায়। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদ রক্ষায় রাষ্ট্র চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। এর ব্যত্যয় ঘটালে, যতই প্রভাবশালী হোক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত এলাকায় এ সময় প্রয়োজনে বরফ কল বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ লাখ টন: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ইলিশের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মিয়ানমারের মার্কিন-নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে এ দুটি ব্যাংকের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই দুটি ব্যাংক হলো- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য ৫২ আবেদন জমা বাংলাদেশ ব্যাংকে: মুখপাত্র
২১ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-ওএফএসি) একটি প্রজ্ঞাপনে মিয়ানমারের এই দুটি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার এই ব্যাংকগুলোকে বিদেশ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই দুই ব্যাংকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক হিসাব রয়েছে।
গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সোনালী ব্যাংকে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে, মিয়ানমারের দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপর সোনালী ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
পরে, মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর ওএফএসি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ আগস্ট সব ব্যাংককে একটি চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার এবং সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আপডেট তথ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের এসব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে কোনো ব্যাংক যাতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ে সেজন্য লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
সরকার উৎখাতের হুমকি বা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন শেষে আগারগাঁওয়ে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেখে ঘাবড়ে গেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন যারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখছেন না, তাই তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে এই দলের জন্ম হয়েছে এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের লোকেদের দ্বারা গঠিত দলের কাছ থেকে কী গণতন্ত্র পাবেন?
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সবসময় প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং নৌকা প্রতীক উপহার দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। দেশ আজ আর সেই অন্ধকারের যুগে নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, একে একে সবগুলো পূরণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এটাই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও।
অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু, জেলেদের মাঝে ফিরছে স্বস্তি
চার মাস ১২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বৃহস্পতিবার ( ৩১আগস্ট ) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
গত ১৯ জুলাই কাপ্তাই হ্রদে প্রথম দফার তিন মাসের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদে আরও এক মাস ১২ দিন নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জারি রাখা হয়।
কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা এবং অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। এবছর কম বৃষ্টি হওয়ায় এবং ভারতের মিজোরাম থেকে পানি না আসায় হ্রদের পানি প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তথ্য অনুযায়ী, হ্রদে ১০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকলেই অবমুক্ত করা পোনা বেড়ে ওঠার এবং মা মাছ প্রাকৃতিক প্রজননের পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। তবে বর্ষার শুরুতে হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পোনা মাছ বেড়ে উঠতে পারেনি। একারণে জেলা প্রশাসন কাপ্তাই হ্রদে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে।
অন্য বছরের থেকে প্রায় এক মাস বেশি মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে জেলেদের। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে তাদের মাঝে।
পুরান জেলে পাড়ার বাসিন্দা সজল দাশ বলেন, তিন মাস ভিজিএফ-এর ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র দুই মাস চাল পেয়েছি। আমাদের চলতে কষ্ট হচ্ছে। এখন মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার খবরে আমরা খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুলের শুনানি বুধবার
গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুল বুধবার শুনানির কার্যতালিকায় থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাড়ে আট বছর শুনানি না হওয়া রুলটি রিটকারীদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শুনানির আবেদনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রুলের নোটিশ রিটে উল্লেখিত তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
তবে এক্ষেত্রে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা না। তিনি এখন লন্ডনে তাই তার ঐ ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে।
তবে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছে বলেছেন। আগামীকাল এই রুল শুনানির কার্যতালিকা থাকবে। এর আগে সকালে এই শুনানিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক মিনিটের বাকবিতণ্ডা হয়।
আদালতে বুধবার রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী কামরুল ইসলাম, আইনজীবী সানজিদা খানম ও আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।
অন্যদিকে ছিলেন- ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান (ওই সময়ের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের অবস্থান জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ মহাপরিদর্শককে তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
পরবর্তীতে ঠিকানা ভুলের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বাদে রিট আবেদনের অন্য সকল বিবাদীদের বরাবর রুলের নোটিশ জারি হয়। অবশেষে সাড়ে আট বছর পর শুনানি না হওয়া সেই রুল শুনানির জন্য গত ২ আগস্ট আবেদন করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎখাত করতে’ দেশের অভ্যন্তরে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের কাছে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে, যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং অংশীদার দেশগুলোর তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তারা বেশ কয়েকবার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
‘আমরা এটা সরাসরি পরিষ্কার করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের নীতি অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ, ৬ থেকে ৮ আগস্ট তার বাংলাদেশ সফরের সময় দুর্নীতি মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সফরকালে নেফিউ কীভাবে দুর্নীতির অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত ফলাফল পায় না।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী ২০তম বার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।
আরও পড়ুন: সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশে' প্রতিফলিত: চীন
চীন বলেছে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘শুধু বাংলাদেশের জনগণের শক্তিশালী অবস্থান নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের একটি বড় অংশের মনে প্রতিফলিত।’
বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যটি লক্ষ করেছি। প্রকৃতপক্ষে, নিজস্ব জাতিগত বৈষম্য, বন্দুক সহিংসতা এবং মাদকের বিস্তারের সমস্যাগুলোর প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রেখে, একটি নির্দিষ্ট দেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অজুহাতে অনেক উন্নয়নশীল দেশ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।
আরও পড়ুন: চীনের আপত্তির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান বাণিজ্য চুক্তি সই
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, স্বাধীন দেশীয় ও বৈদেশিক নীতিকে সমুন্নত রাখতে এবং এর জাতীয় বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।’
তিনি বলেন, তারা সব ধরনের আধিপত্য ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করতে, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এবং জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলো এবং মানবজাতির জন্য একটি ভাগ করা ভবিষ্যতসহ একটি সম্প্রদায় গড়ে তুলুন।
আরও পড়ুন: চীনের প্রেসিডেন্ট শি বাংলাদেশি শিশু আলিফা চিনের চিঠির জবাব দিয়েছেন
ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে পরিবারসহ বাড়ি যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, বিষয়টি যতটুকু পারা যায়, সামঞ্জস্য করতে।
এছাড়া লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদেরও বলেছি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি যদি একা বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে যান, নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়তো বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে। সে বিষয়টি আমরা এডজাস্ট করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে নৌপথে ভাড়া আগের মতোই থাকবে। ভাড়ার বিষয়ে কোনো উঠানামা নেই।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় আগামী ১ জুন থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ হচ্ছে সুন্দরবন। এ সময় পর্যটক প্রবেশ ও সাধারণ মানুষের চলাচলসহ নদী-খালে মাছ শিকারও বন্ধ থাকবে।
এছাড়া এবারের মওসুমে সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির শনিবার শেষ দিন, তাই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করমজলে ভিড় করছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভান্ডার নামে পরিচিত। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণী বংশবৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালীবোটসহ সকল প্রকারের জেলে বাওয়ালি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
এছাড়া আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরতে পারবেনা জেলেরা। পাশাপাশি ঢুকতে পারবে না কোনো পর্যটকও।
এ সময়ের মধ্যে কোন নৌযানও চলাচল করতে পারবে না সুন্দরবনসহ কোনো পর্যটক স্পটে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ১০০ দিন ও বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ
বন বিভাগ এ মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এখন সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মওসুম তাই বনবিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সকল প্রকারের পাস পারমিট বন্ধ রাখা হবে।
বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হবে তাই সকল ধরনের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।
বনে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মওসুম চলছে, এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
এদের মধ্যে প্রধান বন্যপ্রাণী হলো- বাঘ, হরিণ, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বন বিড়াল ও মেছ বাঘ।
এছাড়া অন্যান্য বন্যপ্রাণীর প্রজননের ওপর গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।
এই সময় নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা বনের অভ্যন্তরে চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হবে। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
আর পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, জিরোন পযেন্ট, নিল কমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ।
সব মিলিয়ে পর্যটক ও জেলেদের মাছ আহরণ এই তিন মাস বন্ধ ঘোষণা করছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সে জন্য মওসুমের শেষ সময় দেশের দূর দূরন্ত থেকে পর্যটকরা করমজলে ভিড় করছে, আসছে দেশ-বিদেশি দর্শনার্থীরা।
এ ব্যাপারে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং বনের গহীন মাছের ও বন্য প্রাণীর বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং পশু পাখির প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধের এই তিন মাস হরিণসহ সকল প্রকারের বন্যপ্রাণী শিকার ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অবৈধ ৫টি ট্রলার ও ৪টি নৌকাসহ ১০ জেলে আটক