প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়ে এবং নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপ করে কিছুই অর্জন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলি, এই মাটি আমাদের। আমরা জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই আমাদেরকে হুমকি দিয়ে অর্জন করার কিছু নেই। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন শেষে আগারগাঁওয়ে এক নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেখে ঘাবড়ে গেছেন।
কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, অনেকে আছেন যারা নাকি দেশে গণতন্ত্র দেখছেন না, তাই তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাচ্ছেন।
শেখ হাসিনা বিএনপির নাম উল্লেখ না করে বলেন, দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে এই দলের জন্ম হয়েছে এবং জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের লোকেদের দ্বারা গঠিত দলের কাছ থেকে কী গণতন্ত্র পাবেন?
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের নামে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করছে। ভীতি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো বাধা ছাড়াই উন্নয়নের প্রবাহের দিকে অগ্রসর হবে এবং এ ধরনের ভয়কে জয় করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সবসময় প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীক দিয়েছে স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং নৌকা প্রতীক উপহার দেবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। দেশ আজ আর সেই অন্ধকারের যুগে নেই। বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তার একমাত্র কাজ।
তিনি বলেন, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, একে একে সবগুলো পূরণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করেছি। এটাই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রহরীর মতো জেগে থাকুন: ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও।
অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।