গৃহিণী
কুষ্টিয়ায় রাতভর মাদরাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে কুষ্টিয়ায় এক মাদরাসা শিক্ষক (৫০) ও গৃহিণীকে (৩৩) রাতভর গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ঘাসখাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
মাদরাসা শিক্ষকের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। আর গৃহিণীর বাড়ি ঘাসখাল গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, গৃহিনীর স্বামী ঢাকায় হকারের কাজ করেন। এদিকে তার সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতে এলে তাদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই শিক্ষক শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গৃহিণীর ঘরে ঢোকেন। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের ধরে ফেলেন। সে সময় উৎসুক জনতা তাদের গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাতভর মারধর করেন।
সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়েছে মাদরাসা শিক্ষক ও গৃহিণীকে। তাদের হাত ও পিঠ বাঁধা। বাড়িতে উৎসুক জনতার ভিড়।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, লোকমুখে ও ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। তাদের রাতভর গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার করা হোক।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, এক মাদরাসা শিক্ষক ও এক নারীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল উৎসুক জনতা। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন জবি সমন্বয়ক
সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে
শখের বসে গৃহিণী থেকে সফল খামারি
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। সাধারণ একজন গৃহবধূ শখের বসে গরু পালতে গিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল খামারি।
২০১৬ সালে তিনটি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। খামারে এখন ৩১টি গরু রয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ১২০-১৩০ লিটার দুধ। প্রতি লিটার ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করছেন মনোয়ারা। প্রতি কোরবানির ঈদে বিক্রি করেন গরু। এবারের ঈদ উপলক্ষেও বিক্রির জন্য ছয়টি গরু করেছেন মোটাতাজা।
শুরুটা হয়েছিল বাড়ির অল্প কিছু জায়গায়। এখন ৮০ শতক জায়গায় দাঁড়িয়েছে খামার। খামারের দেখাশোনার জন্য রয়েছে পাঁচজন কর্মচারী। গরুর খামারের সাথে সবজি চাষ, হাঁস, দেশি মুরগি ও ছাগল পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
পুকুরে করেছেন মাছের চাষ। এ খামারের নিরাপত্তায় ও সার্বক্ষণিক তদারকিতে লাগানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। গরুর পরিচর্যায় ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তি। খামারের গো-খাদ্যের যোগানের জন্য আলাদা করে ৬০ শতক জমিতে লাগানো হয়েছে জার্মান ঘাস। খামারের গোবর সবজি চাষে সার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করার।
পড়ুন: টুং টাং শব্দ, ব্যস্ততা নেই কুমিল্লার কামার পাড়াতে
মনোয়ারার জানান, এ সাফল্যের পেছনে পরিবারের সদস্যদের ছিল বড় ধরণের সহযোগিতা। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবী স্বামীর অনুপ্রেরণায় তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।
৫ বছর আগে পরিবারে খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাতে তিনটি উন্নত জাতের গাভী কিনেছিলেন মনোয়ারা। সেই থেকেই মূলত খামার গড়ার স্বপ্ন সত্যিই হতে থাকে মনোয়ারার।
তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনায় গোয়ালে গাভী পালন শুরু করেছিলাম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত দুধ এলাকার মানুষজন কিনে নেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। পুষ্টিকর, খাঁটি ও মান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যে গড়া বলেই এ খামারের নাম দিয়েছি ‘পিওর ডেইরী ফার্ম’।
৩ বছর আগে
খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে গৃহিণী নিহত
জেলার দীঘিনালায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে এক গৃহিণী নিহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে