প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
হেফাজতে ইসলামকে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শনিবার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘তারা (হেফাজতে ইসলাম) ইসলামবিরোধী, জঙ্গি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, তারা রাষ্ট্র ও দেশের শত্রু, তাদের ছাড় দেয়া উচিত নয়, তাদের ওপর কঠোর হওয়া উচিত, প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে মাদরাসা ছাত্রদের হত্যা: ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি হেফাজতের
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান।
শেখ সেলিম ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলা তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছেন। তাকে হেফাজতের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন সেলিম।
‘এই অপশক্তিকে ছাড় দেয়া উচিত নয়,’ বলেন তিনি।
শেখ সেলিম বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ১০ দিনের কর্মসূচির সময় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরাও হেফাজত কর্মীদের সাথে তাণ্ডবে অংশ নিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: হাটহাজারীতে সড়ক কেটে অবরোধ
এসব ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই তাদের ওপর কঠোর হতে হবে কারণ কোনো স্বাধীন দেশে এগুলো চলতে পারে না।’
জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরিধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণ রোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বৃহস্পতিবার জনসমাগম, অপ্রয়োজনে বাইরে থাকা এবং যেকোন জায়গায় মাস্ক পরিধানের জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সংসদে বলেন, `এবার ভাইরাস খুব দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। এই প্রাদুর্ভাব কেবল আমাদের দেশে নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে দেখা দিয়েছে। সুতরাং, আমি সবাইকে বলতে চাই আমরা প্রথমবার যেভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছি ঠিক সেভাবেই এবারও করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করব।’
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর (সিলেট -৩) মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর জনগণ স্বাস্থ্যবিধির নিয়মকে উপেক্ষা করার কারণে সম্প্রতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের চলাফেরা ও জনসমাগম অত্যধিকভাবে বেড়েছে, যদিও আমি বারবার সকলকে মাস্ক পরতে এবং টিকা নেয়া পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছিলাম।
কোভিড -১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা জারি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি তবে এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
‘জনসমাগম যাতে না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮-দফা নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘প্রত্যেককে বলব, বিয়ে শাদী কম লোক নিয়ে ঘরোয়াভাবে করা..যেগুলোর তারিখ হয়েছে। বাইরের লোকের সাথে না মেশা। অল্প সময়ের মধ্যে দোকানপাট সেরে কাজ শেষ করে ঘরে ফেরা।
তিনি বলেন, ‘কেউ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হোক বা না হোক, সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করছি।’
আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শাহজাহানের মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ও দপ্তর উপ-কমিটির সাবেক সদস্য মো. শাহজাহানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, মো, শাহজাহান সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিকে শাহজাহানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে কোভিড-১৯ মহামারির নতুন যে ধাক্কা আসছে তা মোকাবিলায় দলের নেতা-কর্মীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রবিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা নতুন ধাক্কা আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই ভাইরাসের ভিন্ন রূপ এসেছে। তাই, আমরা অতীতে যেমন করেছি, এখন আবার সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সভা বা সিম্পোজিয়াম, সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রীসরকার প্রধান কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় আগের মতো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।খাদ্য উৎপাদনখাদ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও জানিনা করোনভাইরাস কখন যাবে। তবে জনগণ যাতে খাদ্য সংকটে না পড়েন সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে (ভালো উৎপাদনের জন্য), প্রয়োজনে আমরা অন্যান্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে পারব।’কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং মানুষের জীবন রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি উপহার হিসেবে আমাদের আরও টিকা দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী বাকি টিকার ডোজগুলোও আমরা যথাসময়ে পেয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে।তিনি বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আমরা পেয়েছি।‘এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ২৬ মার্চ অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, যার অর্থ কোনো অঞ্চলের কেউই বাদ নেই। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা,’বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সব বার্তা রক্ষিত আছে। এগুলো তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ঈদুল ফিতরের পর স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কোচি ও হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ ও ভারত শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমন, বাণিজ্য, তথ্য-যোগাযোগ এবং ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
সেগুলো হলো- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমন সম্পর্কিত এমওইউ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি, বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে একটি সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি
এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিজিএসটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সমঝোতা স্মারক এবং রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় খেলাধুলার সুবিধা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন সই করেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অব ইন্ডিয়া (আইএনসিসি) মধ্যে সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় ক্যাডেট কোর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী সই করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূর করতে সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন সই করেন।
বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিডিএসইটি) সেন্টারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, কোর্সওয়্যার ও রেফারেন্স বই সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম এবং ভারতের পক্ষে হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী সই করেন।
এছাড়া রাজশাহী কলেজ মাঠ এবং আশপাশের এলাকায় খেলাধুলার সুবিধা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে ভারতের পক্ষে দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী এবং বাংলাদেশের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করেন।
যৌথভাবে ৫ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার যৌথভাবে পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা-দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
প্রকল্পগুলো হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঢাকা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে 'মিতালি এক্সপ্রেস' নামে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা এবং কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্রভবন কুঠিবাড়িতে বর্ধিত উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন।
এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো ভারতীয় মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি সমাধিসৌধ এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি নতুন বর্ডার হাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন।
শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে নিজ নিজ দেশের স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে ভারতের উপহার হিসেবে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স ও ১২ লাখ করোনার টিকা হস্তান্তর করেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-মোদি
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্যদিকে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে বৈঠকটি শুরু হয়।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টাইগার গেইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রতিবেশি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে কমপক্ষে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা দিলেন মোদি
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে অংশ নিতে দু'দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এ বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান: রাষ্ট্রপতি
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসারিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে যাতে কেউ ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য সব নাগরিককে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাষণ দেবেন।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনগুলো এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: পিটিএ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
পারস্পরিক সুবিধার জন্য নেপালের সাথে পিটিএ চান প্রধানমন্ত্রী