সালথা
ঘুর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফরিদপুরের কয়েকটি গ্রাম
ফরিদপুরের সালথা ও আলফাডা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সানাতুদী গ্রামে এই ঝড় হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো গ্রাম।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
স্থানীয় বাসিন্দা দেলায়ার হোসেন জানান, টানা বৃষ্টির মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সানাতুদী গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। প্রচণ্ড বেগে মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ের আঘাতে গ্রামের লিটু মুন্সী, ফারুক মুন্সী, মুরাদ মুন্সী, দবির মুন্সী, কাইউম মুন্সী, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানা কাজী, আতি কাজী ও হাফেজ মাসগির মুন্সির অন্তত ১৮টি বসতঘর বিধস্ত হয়। এ ছাড়া গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় সবাই কৃষক।
ঝড়ের সময় ওই গ্রামের বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র সম্বল সেমিপাকা একটি বসতঘরের ওপর বিশাল একটি গাছ পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় লিপি বেগম বাথরুমে আশ্রয় নেন প্রাণে বাঁচতে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে সড়কের ওপর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বল্লভদী ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন ঝড়ে গ্রামবাসীর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, একইদিন বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় লণ্ডভণ্ড সিলেট-ছাতক রেলপথ
১ বছর আগে
সালথার আকাশে উড়লো বাহারি রঙের ঘুড়ি
আবহমান গ্রাম-বাংলা থেকে হারাতে বসেছে সেই চিরচেনা ঘুড়ি উৎসব। তাই এই হারানো ঐতিহ্যকে ফেরাতে ও বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ফরিদপুরে সালথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ঘুড়ি উৎসব।
‘ঘুড়ি উৎসবের আনন্দে এবার মেতে উঠবে সবাই’- এ স্লোগানকে ধারণ করে সালথা উপজেলা প্রশাসন এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে।
আষাঢ়ের বাদল দিনের বৃষ্টি উপেক্ষা করে শতশত দর্শনার্থী এ উৎসবে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় সালথা উপজেলা প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা ও সালথা) আসনের সংসদ সদস্য কৃষি গবেষক শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সহধর্মিণী শাহনাজ খুশি, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সালাহউদ্দিন আইয়ূবী, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক, সালথা উপজেলা আ'লীগের সাধারণ ফারুক উজ্জামান ফকির মিয়া, সালথা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো: সেলিম মোল্লা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুপা বেগম প্রমুখ।
এ উৎসবে শতাধিক ঘুড়ি উড়ানো হয়েছে আকাশে। শতাধিক প্রতিযোগী বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও রং-বেরঙের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেন। নানা আকৃতির ঘুড়ির মধ্যে ছিল মাছ, ঈগল, প্রজাপতি, লেজযুক্ত ঘুড়ি প্রভৃতি। উৎসব দেখতে শত শত মানুষের ঢল নামে।
১ বছর আগে
ফরিদপুরে ঐতিহ্যবাহী বাবুবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
ফরিদপুরের সালথায় ২০০ বছরের পুরনো বাবুবাড়িতে আগুন লেগেছে। সোমবার সকালে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বাবুবাড়ির আশ্রমের দায়িত্বে থাকা সেবক শরণার্থী মহারাজ বলেন, সকালে বাবুবাড়ির একটি রুমে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সালথা থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, সোমবার সকালে কিছু দুর্বৃত্ত বাবুবাড়ির একটি রুমে রাখা পাটখড়ির গাঁদিতে আগুন দেয়। পরে তা রুমের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা বাবুবাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় যতীন্দ্র নাথ সিংহ নামের এক জমিদার অন্তত দুইশ’ বছর আগে এ জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসূরি বৈধনাথ বাবু বাড়িটির দখলে ছিলেন। তবে তিনি ২০১৪ সালে মারা গেলে এ ঐতিহাসিক বাড়িটি শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম আশ্রমকে দেখাশোনার জন্য দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে মা-ছেলে দগ্ধ
২ বছর আগে
সালথায় সংঘর্ষ: চিকিসাধীন আরও একজনের মৃত্যু
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খারদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত আসাদ শেখ (৪৮) উপজেলার খারদিয়া গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু
তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৫ মে ফরিদপুর সালথা উপজেলার খারদিয়া এলাকায় স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন অতর্কিত হামলায় সিরাজুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন। পরে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদ শেখ নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জানান, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিরিক্ত মদপানে একজনের মৃত্যু
এর আগে একই ঘটনায় গত ৫ মে সিরাজুল ইসলাম (২৭) নামে একজন নিহত হয়।
২ বছর আগে
সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফের সংঘর্ষ: নিহত ১
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ফের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খারদিয়া ঠাকুর পাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (২৭) উপজেলার খারদিয়া ঠাকুরপাড়া এলাকার ইশারত মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে ৪ জন মৃত্যুর ঘটনায় দুই মামলা
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সময় অতর্কিত হামলায় সিরাজুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে এই দুগ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
২ বছর আগে
সালথায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
ফরিদপুরের সালথায় বুধবার রাতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত নান্নু ফকির যদুনন্দী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটবল সমর্থকদের লড়াই : ঢাকার হাসপাতালে আহত রেফারির মৃত্যু
ফরিদপুর পুলিশের সহকারী সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান জানান, উপজেলার যদুনন্দী এলাকার কাইয়ুম মোল্যা ও পাশের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত এলাকার সোনা মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় এবং বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ইটের আঘাতে নান্নু ফকিরের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২ বছর আগে
সালথায় পাউবোর খাল পুনঃখনন কাজে অনিয়মের অভিযোগ
ফরিদপুরের সালথায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় দুটি খাল পুনঃখননের কাজ শুরু হলেও কাজের মান নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
খনন যন্ত্র নিয়ে (এসকেবেটর) খাল খনন করে মাটি ফেলানো হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের ফসলি জমিতে। এতে সোনলি আশ নামে খ্যাত জমিতে থাকা পাটের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পাট চাষিরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, খরা মৌসুমে খালে পানি সংরক্ষণ ও কৃষি জমিতে পানি সেচের জন্য ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সমন্বিত পানি ব্যবস্থা প্রকল্প’র অধীনে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পাউবোর উদ্যোগে এ দুটি খালের পুনঃখনন কাজ শুরু হয়।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িদিয়া নদী থেকে বাইনাখালি পর্যন্ত ১ হাজার ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট রাজাবাড়ি খাল এবং মোড়হাট এলাকা দিয়ে বয়ে যওয়া কুমার নদী থেকে দীঘের বিল পর্যন্ত ১ হাজার ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য কেষ্টখালি খালের খননকাজ চলছে। এ খনন কাজ বাস্তবায়ন করছেন কুমিল্লার ঝাউতলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স সারা এন্টারপ্রাইজ।
খাল দুটি পুনঃখনন কাজের জন্য ৬৩ লাখ ৬২ হাজার ৪০২ টাকায় বাস্তবায়ন করার কথা তাকরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ৪১ ভাগ ছাড়ে কাজটি নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৮ টাকায়। এ খনন কাজ আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা। তবে গতকাল ৩০ মে পর্যন্ত ওই কাজের ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ কাজের তদারকিতে নিয়োজিত পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী।
গট্টি ইউপির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দ্বয় মোশাররফ হোসেন ও শাহজাহান মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, রাজাখালি ও কেষ্টখালি খাল খনন কাজ করা হচ্ছে দুটি খনন যন্ত্র দিয়ে। কাজের সাইডে প্রকল্পের ঠিকাদার বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো তদারকি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখা যায় না। কেষ্টখালি ও রাজাবাড়ি খাল খননে উপরে প্রস্থ ৪৪ থেকে ৪৫ ফিট করে কাটার কথা থাকলেও বাস্তবে কোথাও কোথাও ২৫ থেকে ৩৫ ফিট করে কাটা হচ্ছে। খালের তলায় প্রস্থ ১৩ থেকে ১৬ ফিট করে কাটার কথা থাকলেও এটিও ১০ থেকে ১২ ফিট করে কাটা হচ্ছে। খাল দুটির গভীরতা সাড়ে ৩ ফিট থেকে ৮ফিট করে খনন কথা থাকলেও বাস্তবে গভীর করা হচ্ছে ২ থেকে ৪ ফিট।
উভয় খালের দুই পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারা গোছের কাজ করে খালের মাটি ফসলি জমিতে ফেলানোয় পাট, বেগুন-মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। খালের পাড় অত্যন্ত খাড়া করে কাটা হয়েছে। খননের শুরুতেই খালের পাড়ে এলোমেলো করে মাটি রাখা হয়েছে। তাতে সামান্য বৃষ্টিতেই মাটি ধসে আবার খাল ভরে যাবে।
অভিযোগ রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোকজন সঠিক সময়ে তা পরিদর্শন করছেন না।
গট্টি ইউনিয়নের কাউলিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক এসকেন মাতুব্বর (৩৯) কেষ্টখালী খালের পাড়ে কৃষকদের ২০ বিঘা জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১০ বিঘা জমির পাট খালের কাটা মাটির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।
মেম্বার গট্টি গ্রামের বাসিন্দা মো. ওহেদুজ্জামান (৩১) জানান, তার দুই বিঘা জমির ফসল কেষ্টখালী খাল কাটার মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেষ্টখালী খালের মাটি রাখার জন্য ওই এলাকার অন্তত ১০ বঘিা জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
একই অভিযোগ এসেছে রাজাবাড়ী খাল খনন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে।
সিংহ প্রতাপ গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম (৪৩) বলেন, রাজাবাড়ী খালের মাটির কারণে তার ১৪ কাটা জমির বেগুন গাছ চাপা পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ওই খালের মাটি রাখার জন্য ওই এলাকার অন্তত আট বিঘা জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
খাল দুটির খনন কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার জাকির হোসেন বলেন, খালের গভীরতা শিডিউল অনুযায়ী শতভাগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে খালের পাশের কিছু জায়গায় ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী চওড়া করা যায়নি। কোন কোন জায়গায় কিছু কম করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ কাজ তদারকি করে ওয়াটার বোর্ড টাক্স ফোর্স। আমি একশ ভাগ কাজ করলেও তারা ৯৫ ভাগের বেশি বিল দেয় না।’
কম টাকায় কাজ নেয়ার বিষয়ে ঠিকাদার জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি ব্যবসার দিকে তাকিয়ে কাজ নেইনি, জেদ করে এবং অন্যকে নিতে দেব না এই মনোভাব নিয়ে কাজ নিয়েছি। খালের মাটি রাখায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। কেননা এ খাতে কোন টাকা বরাদ্দ নেই।’
এই প্রসঙ্গে ফরিদপুর পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অতনু প্রামাণিক বলেন, ‘পাউবো কাজের তদারকি করছে না এ অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি নিজে, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ পাউবোর কর্মকর্তারা কাজের তদারকি করছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, আপাত দৃষ্টিতে খালের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা সঠিকভাবে করা হচ্ছে বলে তাদের মনে হয়েছে। তবে বিল দেয়ার আগে শিডিউল অনুযায়ী কাজ বুঝে নেয়া হবে। কাজ সিডিউল অনুযায়ী না হলে বিল দেয়া হবে না।
অতনু প্রামাণিক বলেন, খালের মাটি পাশের জমিতেই রাখাতে হবে। তবে মাটির পরিমাণ কম বলে আমরা ইউএনকে দিয়ে জমি ইজারা নেয়ার উদ্যোগ নেইনি।’
৩ বছর আগে
সালথায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ৮
লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গুজবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতার বিভিন্ন সরকারি স্থপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগ সভাপতির ওপর হামলা, আহত ১৫
সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জমান জানান, উক্ত ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র
তিনি আরও জানান, সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমান এই মামলা করেন।
পুলিশ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
৩ বছর আগে
সালথায় রণক্ষেত্র: নিহত এক, আটক ৩
ফরিদপুরের সালথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত হাফেজ জুবায়ের হোসেন (২০) রামকান্তপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।
সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের গাড়ি, তিনটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের না হলেও তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র
এব্যাপারে সালথার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিব সরকার জানান, গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা পালন করতে সোমবার বিকালে ফুকরা বাজারে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সেখানে তিনি যাওয়ার পর মানুষের জটলা সৃষ্টি হয়। এমতবস্থায় তিনি ওই স্থান থেকে ফিরে আসেন এবং সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠান। পুলিশ যাওয়ার পর স্থানীয়দের সাথে পুলিশের বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের এস আই মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। হামলায় মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
ইউএনও জানান, পুলিশ চলে আসার পর স্থানীয় একটিচক্র গুজব রটায় পুলিশের গুলিতে স্থানীয় কয়েকজনের মৃত্যু ও বাহিরদিয়া মাদরাসার দুই মাওলানাকে গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে মারধর করা হচ্ছে। এমন গুজবে হাজারও মানুষ এসে থানা ঘেরাও করে। পরে উপজেলা পরিষদ, থানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সালথা উপজেলা সদর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর জানান, সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। একটি মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, মিথ্যা গুজবেই মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগ সভাপতির ওপর হামলা, আহত ১৫
তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সালথা থানা পুলিশের পাশাপাশি আশপাশের থানা থেকে পুলিশ সদস্যসহ র্যাব, আনসার সদস্যরা ৫৮৮ রাউন্ড শর্ট গানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাস গান, ২২ টি সাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ছোড়ে ।
পুলিশ সুপার জানান, আইশৃঙ্খলা বাহিনীর ৮ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে স্থানীয় রামকান্তপুর গ্রামের হাফেজ জুবায়ের হোসেন নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তবে আমরা তিনজনকে আটক করেছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। ’
৩ বছর আগে
সালথায় রণক্ষেত্র
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সাথে থাকা এক সরকারি কর্মচারীর লাঠিপেটায় এক ব্যক্তির গুরুতর আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা থানা, উপজেলা পরিষদ ও এসি ল্যান্ডের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সালথা উপজেলা সদর এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতার গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে ভোলায় সড়ক অবরোধ
সোমবার রাত ১০টার দিকে উত্তেজিত জনতা ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবিতে এ ঘটনা ঘটায়।
পরে ফরিদপুর, ভাঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী থানার অতিরিক্ত পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে চা খেয়ে ওই ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের মো. জাকির হোসেন মোল্যা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সেখানে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণি উপস্থিত হন।
জাকির হোসেনের অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সহকারী কমিশনারের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার কোমরে সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়। আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে জাকির হোসেনকে আহত করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আরও গ্রামবাসী জড়ো হয়। এরপর সেখানে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সালথা থানা অভিমুখে রওনা হয়ে থানা ঘেরাও করে।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদ, থানা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন, উপজেলা কৃষি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে । এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আজ যে ঘটনা ঘটলো এর আগে এধরনের ঘটনা সালথার মানুষ কখনো দেখেনি। আমি প্রাণে বেঁচে গেছি। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদে গিয়ে আটকে পড়ে যাই। চারদিকে শুধু ধোয়া আর ধোয়া কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। কোনো রকমে দোতলা থেকে লাফ দিয়ে নেমে পিছন গেট দিয়ে পালিয়ে বের হয়ে আসি।
আরও পড়ুন:ভোলা পৌরসভা নির্বাচন: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, সহকারী কমিশনারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফুকরা বাজারে পুলিশ পৌঁছালে সেখানে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে এস আই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, ‘আমার বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। ’
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার সাথে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণির বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
৩ বছর আগে