শ্রমিক
কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক ড্রাম বিস্ফারণে শ্রমিক নিহত, দগ্ধ ২
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানার বনগ্রাম এলাকায় পিকআপ থেকে রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম নামাতে গিয়ে বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত, আহত ৫
শনিবার (৮ জুলাই) রাত ৮টায় বনগ্রাম মোস্ট ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচার কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক ইয়াসিন (২০) বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা।
দগ্ধরা হলেন- রাব্বি (২৫) ও বিপ্লব (২৬)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান জানান, শনিবার রাত আটটায় বনগ্রাম মোস্ট ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচার কারখানা কেমিকেল ভর্তি ড্রাম বিস্ফোরণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ রাত ১০টায় ইয়াসিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদান্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপার কেরাণীগঞ্জ দক্ষিণ থানা পুলিশে রাত ১১টায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা, মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পাবনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
পাটকল চালুর অপেক্ষায় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকেরা
খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। ভালো নেই চাকরিহারা প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
তবুও পাটকল চালু হবে সাইরেন বাজবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন শ্রমিকেরা।
মিল বন্ধ থাকায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে ৯টি পাটকলের ৫ হাজার ৮৩টি তাঁত ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ফলে আবার এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে মিলগুলো উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শ্রমিকরা জানান, লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল বন্ধ করে দেয় সরকার।
লিজের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে তিন মাসের মধ্যে মিলগুলো আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছিল বিজেএমসি।
শ্রমিকরা জানান, কিন্তু এখনও চালু হয়নি। তাদের কেউ কেউ অন্য পেশায় ঢুকলেও অনেকেই বেকার। খালিশপুর, দিঘলিয়া ও আটরা শিল্প এলাকার পাটকল বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে।
শ্রমিকরা আরও জানান, অনেকে এলাকা ছেড়ে নিজ জেলায় সপরিবারে ফিরে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে মিল কারখানাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকানপাট। নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে শিল্প এলাকা।
প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, মিল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে চালু করা হবে। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হয়েছে। এখনও মিল চালু হয়নি। বেকার হয়ে কষ্টে দিন কাটছে। মাঝে ঢাকা একটি শো-রুমে চাকরি করেছি। পরে সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে।
তিনি জানান, পরিবারে তিন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও আমিসহ ৫ জন। সংসারের খরচ, লেখাপড়া, চিকিৎসা খরচসহ ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে কাজ পেলে করি, না হলে বেকার বসে থাকতে হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করছি।
খালিশপুর প্লাটিনাম জুট মিলের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শ্রমিক ছিলেন আব্দুল জলিল। ১৯৯৬ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুতেই মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর বেকার হন জলিল।
তিনি অবসায়নের অর্ধেক টাকা পেলেও পাননি সঞ্চয়পত্রের টাকা। সঞ্চয়পত্রের টাকার জন্য তিন বছর ধরে ঘুরছেন মেইল দপ্তরে। বর্তমানে প্লাটিনাম জুট মিলের সামনেই একটি দোকা ভাড়া নিয়ে চা, বিস্কুট, রুটি, কলা বিক্রি করে কোনোরকম দিন পার করছেন।
এছাড়া অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা, বাড়ি ভাড়া, লেখাপড়াসহ সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
একই মিলের আরেক শ্রমিক মোহাম্মদ আলী বলেন, মিল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের টাকা পাইনি। মিলের কাছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পাওনা ছিল। যার মধ্যে নগদে অর্ধেক পেয়েছি। বাকি ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা সঞ্চয়পত্রে পাওনা রয়েছে এখনও।
তিরি বলেন, গত তিন বছর সংসারের হানি টানতে টানতে নগদ অর্থ সবই শেষ। নিজের কোনো কাজ নেই। তবুও ছয় সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি ও স্ত্রীকে নিয়ে হাউজিং বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি। অনেক কষ্টে আছি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বিটিএমসির পাটকল ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩,১৬৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে: পাটমন্ত্রী
তিনি বলেন, গেল তিন বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, তবুও সঞ্চয়পত্র পাইনি। মিল বন্ধ করে আমাদের পথে বসিয়েছে। এই বয়সে কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই। এক ছেলে পরিবহনে কাজ করে। তার আয় দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লেখাপড়া করে। চিকিৎসাও করাতে পারি না। এখন দেনা হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘর ভাড়া, বাজার-ঘাট, লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারি না। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
এছাড়া দ্রুত পাওনা পরিশোধ এবং মিল চালুর দাবি জানান তিনি।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, মিল বন্ধের আগে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ এবং দ্রুত মিল চালু করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হতে চলেছে। এখনও অনেক শ্রমিকের সঞ্চয়পত্রের টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি বলেন, মিল চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আমরা জানতে পারিনি। ২৬টি মিল বন্ধের পর শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। অনেকে দিনমজুর, রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে। অনেকেই কর্ম হারিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। শ্রমিকরা অনেক কষ্টে রয়েছে। আমাদের দাবি শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হোক। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় মিলটি চালু করা হোক।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, পাটকল বন্ধের পর থেকে শ্রমিকরা কষ্টে আছে। মিল চালুর প্রতিশ্রুতি থাকলেও অগ্রগতি নেই।
তিনি বলেন, বিআইডিসি সড়কের আলমনগর মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত অর্ধেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
বিজেএমসি সূত্র জানায়, মিলগুলোর কাছে ২১৪ শ্রমিকের নগদ ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৩১৫ শ্রমিকের ৭৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র পাওনা রয়েছে।
বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. গোলাম রব্বানী বলেন, মাসখানেক আগে যশোরের জেজেআই জুট মিল আকিজ গ্রুপকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা শিগগিরই মিলটি চালুর চেষ্টা করছে। খুলনার প্লাটিনাম জুট মিল ফরচুন গ্রুপকে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, অন্য ছয়টি পাটকল লিজ দেওয়ার জন্য জুনের মাঝামাঝি তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর আলিম জুট মিলের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব থাকায় এটি লিজ দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
তিনি বলেন, অধিকাংশ শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা, নামের ভুলসহ বিভিন্ন প্রকার জটিলতা থাকায় তারা এখনও সব টাকা পাননি। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে পরিশোধের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যন্ত্রপাতিগুলো মাঝেমধ্যে মেইনটেন্যান্স ও চালু করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে মেইনটেন্যান্স করা দরকার, তা অর্থাভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকল বন্ধ হওয়ার উপক্রম
গাজীপুরে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রিন্স জ্যাকের্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (২১ জুন) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ওই কারখানাটির প্রায় সাড়ে ৭শ’ শ্রমিকের মধ্যে ৫০ জন শ্রমিকের এপ্রিল মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ বকেয়া রাখে কারখানার মালিকপক্ষ।
গত মে মাস আবারও কারখানা সকল শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি। ওই দিন শ্রমিকরা দিনভর বেতন-ভাতার জন্য অপেক্ষা করে বিকালে বিক্ষোভ করে চলে যান।
বুধবার (২১ জুন) সকালে কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় এসে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়।
এসময় পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়কে উঠতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক মো. ওসমান গণি জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা নেই: মন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বর্তমানে বিদেশে অদক্ষ শ্রমিকের কোনো বাজার নেই। তবে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বেড়েছে।
রবিবার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় নবনির্মিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সারাদেশে টিটিসি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কৃষকদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও নিয়েছে, তবে কৃষকদের অবশ্যই তাদের দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে এবং জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরপরই বিদেশে পাঠানো যায়।
তিনি আরও বলেন, ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাণীনগরের টিটিসিতে ৬টি ট্রেডে ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন ৮৮০ জন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, প্রকল্প পরিচালক সাইফুল হক চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।
ড. ইউনূসের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
পরে অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
মুগদায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবনের নয়তলা থেকে পড়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) বিকাল পাঁচ টার দিকে মুগদা থানার গ্রীন মডেল টাউন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নির্মাণ শ্রমিকের নাম রুস্তম আলী (৬০)। নিহত রুস্তম আলী দক্ষিণ মান্ডা মজার স্কুলের পাশে ভাড়া থাকতেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে মই থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
এছাড়া তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ইন্দুর কান্দি উপজেলায়।
মুগদা মডেল খানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাহাদুর মিয়া বলেন, রুস্তম আলী নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। গ্রীন মডেল টাউন এলাকার একটি নয় তলা ভবনে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত ওপর থেকে নিচে পড়ে যান তিনি।
এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে আমরা সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
বান্দরবানে আইইডি বিস্ফোরণে এক শ্রমিক নিহত
বান্দরবানের রুমায় ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত এবং আরও এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের বঙ্কুপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রাশেদ (১৮)চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার ছনুয়া গ্রামের বাসিন্দা। আহত মো দুলাল (৩৫) ও একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্কু পাড়া এলাকায় থানছি লীক্রী সীমান্ত সড়কের নির্মাণ কাজ করার সময় কেএনএফের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই স্থানীদের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত শ্রমিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানিয়েছেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর উত্তরায় বিলবোর্ড লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মই থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২২মে) বেলা ১২টার দিকে উত্তরার আজমপুর হোসেন মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হৃদয় সূত্রধর (৩০) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার সাওয়ালি বাজার মহেরা গ্রামের রামকৃষ্ণের ছেলে এবং তিনি বাড্ডা এলাকায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, হৃদয় অন্যদের সঙ্গে আজমপুরের হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানির বিলবোর্ড লাগাতে যান। হৃদয় আরেকজনের সঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে একটি ভবনের উপরের অংশে ওঠার চেষ্টা করছিল।
দুপুর ১২টার দিকে ভবন সংলগ্ন মইটি হঠাৎ তার ওপরে পড়ে গেলে বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে তাদের উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে হৃদয়কে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
টঙ্গীতে বিদ্যুৎপৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
সিলেটে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ২ শ্রমিক নিহত
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার কামালবাজারের বেটুয়ারমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কামালবাজার এলাকার হাজরাই গ্রামের আকমল আলীর ছেলে রুহেল আহমদ (২৫) এবং একই এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের মোখলেস মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (২১)।
এ তথ্য নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুরমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হোসেন জানান, বেটুয়ারমুখ এলাকার আবুল মিয়ার নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করতে গিয়ে ছাদ ধসে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এ দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। লাশ দুটি বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
যাত্রাবাড়ীতে মই থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় মই থেকে পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রবিবার (২১ মে) দুপুর ১ টায় যাত্রাবাড়ীর সামাদ নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাইনুল ইসলাম (৩০) বরিশাল জেলার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ওয়েল্ডিং শ্রমিক। তিনি রাজধানীর শনির আখড়া এলাকায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাইনুল ওই এলাকার একটি পাইপের গুদামে কাজ করতেন। রবিবার দুপুর ১টার দিকে ওয়েল্ডিংয়ের কাজে মই দিয়ে গোডাউনের ছাদে ওঠার সময় তিনি নিচে পড়ে যান। ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে দুপুর সোয়া ২ টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
বিষাক্ত সেপটিক ট্যাংক: খুলনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১