ছাত্রলীগ
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
শুক্রবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন ১১ মাস আগে কুয়েট লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পান। যখনই কোনো নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, তখন ছাত্রকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে হলের ফাইনাল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।’
কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান ওই দিন অধ্যাপক সেলিম হোসেনের সঙ্গে দেখা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি হওয়া এবং হলের নানা কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানানোর জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় প্রাধ্যক্ষ নিজ কার্যালয়ে একটি মিটিং নির্ধারণ করেন। ক্লাস শেষ করে পূর্বনির্ধারিত মিটিংয়ে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের আনুমানিক ৪০ মিনিট বিলম্ব হয়। পরে পথে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা হয় এবং তাঁকে বিলম্বের কারণ জানানো হয়। তখন তিনি আমাদের তাঁর কার্যালয়ে আসতে বলেন। এরপর প্রাধ্যক্ষ তাঁর কার্যালয়ে তালা খুললে শিক্ষার্থীরা তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে ভেতরে প্রবেশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান নাহিয়ান আরও বলেন, সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন সিনিয়রদের ভেতরে বসতে এবং জুনিয়রদের কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। সিনিয়রদের সঙ্গে তাঁর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি বাইরে অপেক্ষমাণ ছাত্রদের ডেকে ভেতরে আনেন। এ সময় তিনি তাঁদের বলেন, ‘আমার তো আড়াইটায় ল্যাবে কাজ আছে। আমি সন্ধ্যায় হলে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে পরিচিত হব।’ এরপর তিনি বিদায় নিয়ে বের হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদমান নাহিয়ান আরও বলেন, ‘আমরা জানি না শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ কী। তবে মৃত্যুসনদ অনুসারে জেনেছি, তিনি স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হলের অভিভাবক। হলসংক্রান্ত কথাগুলোতে তাঁর কাছে পেশ করার জন্যই তো আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের এই দেখা করাটাকেই কেন্দ্র করে একটা পক্ষ আমাদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা করছে। তারা শুধু অপরাধী বানানোর চেষ্টাই করছে না, বিবৃতি পর্যন্ত দিচ্ছে। উপাচার্য বরাবর দাবি জানাচ্ছি দেখা করার ফুটেজ দেখেই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপগণযোগাযোগ ও তথ্য সম্পাদক জামিউর রহমান, সহসম্পাদক আহসানুল আবেদীন, উপপাঠাগার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
এদিকে শুক্রবার সিন্ডিকেট সভা শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তাঁরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং কুয়েটের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করে যদি দোষী পাওয়া যায় তবে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি কোনোভাবেই বন্ধ না করা, অধ্যাপক সেলিমের পরিবারকে আগামী এক মাসের মধ্যে এক কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া, তাঁর পরিবারের চাকরিযোগ্য অন্তত এক সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি দেয়া এবং শিক্ষক সমিতির ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি প্রত্যাহার করা।
আরও পড়ুন: সাভারে কুয়েটের শিক্ষার্থীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
ক্যাম্পাসের পোস্টারে সূর্য সেন হলের ‘প্রভোস্ট নিখোঁজ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা এবং কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ধরতে একটি অনন্য উপায় অবলম্বন করেছে। ‘প্রভোস্ট নিখোঁজ’ লেখা পোস্টার লাগিয়ে তারা এই অভিনব প্রতিবাদ জানায়।
হলটির প্রভোস্ট মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্ররা হলের টয়লেট থেকে মধুর ক্যান্টিনে ‘প্রভোস্ট নিখোঁজ’ লেখা পোস্টার লাগিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের এক আবাসিক ছাত্র ইউএনবিকে জানিয়েছেন ডাইনিং হলে সরবরাহ করা খাবারের নিম্নমান, মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ভাঙা পানি পরিশোধক দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করা, অপরিষ্কার টয়লেট এবং খেলাধুলার সামগ্রীর অভাব ইত্যাদি কারণে ছাত্ররা এই প্রতিবাদ করছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির আবাসিক হলের ক্যান্টিনের দেয়াল ধসে আহত ২
সম্প্রতি ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কর্মীরা দুই ছাত্রকে মারধর করার পরও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেন নি বলে জানিয়েছেন আরেক ছাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অমরা যখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হই তখন প্রভোস্টকে পাওয়া যায় না। তাই নিখোঁজ নোটিশ লাগিয়েছি।
আবার অনেকের মতে, এই প্রতিবাদটি হয়তো তারাই করেছে যাদের হলে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হল ইউনিট আমন্ত্রণ জানায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
প্রতিবেদকের মাধ্যমে হলটির প্রভোস্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ‘আমি পরে কথা বলব’ বলে কলটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর থেকে তাকে কলে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তবে প্রভোস্ট নিখোঁজ নন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
তিনি বলেন, এই কাজটি আমাদের কিছু ছাত্র করেছে। তিনি এই প্রতিবাদকে ‘বিরক্তিকর’ বলে অভিহিত করেন।
আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তিন আসামি জিশান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) ঘোষণার কথা রয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে তাকে হলের সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় ২৮ নভেম্বর
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, মামলায় গ্রেপ্তার ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
তিন আসামি জিশান, রাফিদ ও তানিম পলাতক রয়েছে।
পড়ুন: আবরার হত্যা: ২৫ আসামির বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ গঠন
চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ ছাত্র বহিষ্কার
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে সংর্ঘষের ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ আগামী ২৭ নভেম্বর খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আপাততে মেয়েদের ছাত্রাবাস চালু করলেও ছেলেদের ছাত্রাবাস বন্ধ থাকবে।
চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বিকেলে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, চমেকের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করাসহ সংঘর্ষে জড়ানোর দায়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে আট জনকে দুই বছর, দুজনকে দেড় বছর ও ২০ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেকের আলোচিত সেই আকিব হাসপাতাল ছেড়ে গেছেনতিনি আরও বলেন, ‘কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে এসব শিক্ষার্থীরা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার সাথে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি একাডেমিক কাউন্সিল সভায় আমরা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সময় ছাত্রীদের হল খুলে দেয়া হবে। তবে ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ থাকবে। ছেলেদের হলের সিট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে সিট বরাদ্দ দিয়ে হল খোলা হবে।উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাতে ও ৩০ অক্টোবর সকালে চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই হামলায় নাছির গ্রুপের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০) আহত হন।রাতের ঘটনার জেরে ৩০ অক্টোবর সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী মাহাদি জে আকিবকে (২০) একা পেয়ে গুরুতর আহত করে আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা। এরপর দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়।
আরও পড়ুন: চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
এ ঘটনায় ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেয়া হয়।
অন্যদিকে, হামলায় আকিব মাথায় মারাত্মক জখম পান। এরপর দীর্ঘ সময় নিয়ে তার মাথার অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। ১৯ দিন ধরে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আকিব সম্প্রতি সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন।সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি ২১ দিন পর ২২ নভেম্বর সোমবার প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে সংঘর্ষ সংঘটিত হওয়ার দিনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে এর জন্য দুই পক্ষ দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়েছে। পাঁচলাইশ থানার মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
ঢাবির এফ রহমান হলে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের প্রথম বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বুলবুল আহম্মেদ ও রানা হোসেন এবং ফিনান্স বিভাগের মো. ইমদাদুল। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী লালন হোসাইন, মার্কেটিং বিভাগের আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আসিফ হোসাইন এবং সঙ্গীত বিভাগের ওয়াজিদ তাওসিফ। অভিযুক্তরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজুর কাছের ‘ছোটভাই’ হিসেবে পরিচিত।
সম্প্রতি রবিউল ইসলাম নামে একই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সমালোচনার মুখে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সাজু হলটিতে গেস্টরুম বন্ধের নির্দেশনা দেন। বিষয়টিতে খুশি হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে আনন্দ প্রকাশ করে পোস্ট করেছিলেন।
তাদের এ পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে হলের প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে গেস্টরুমে ডেকে গালিগালাজ করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগকর্মীরা। পরে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আলাদা করে মারধর করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই হলের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, ছাত্রলীগ নেতা লালন হোসাইন ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের নানাভাবে নির্যাতন করেন অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা কথা বলতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লালন হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমাদের হলে গেস্টরুম হয় না। তাদের নির্যাতনের প্রশ্নই আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। অপর অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম আরিফ লালনের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলেন।
এদিকে হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাজু জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর সবার সাথে বসেছিলেন। যাদের মারধর করা হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা কিছুই বলছে না। সামনে যাতে এ রকম ঘটনা আর না ঘটে সে বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে ইউএনবিকে জানান। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। আমাদের হলে গেস্টরুমে যে কোনো ধরনের জামায়েত করার জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এমন কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। তবুও আমি সংশ্লিষ্ট ব্লকের হাউস টিউটরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ভাসানীর মাজারে হামলার শিকার রেজা কিবরিয়া ও নুর
টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিলুজ্জামান। বুধবার দুপরে এ হামলার ঘটনায় তাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন বলেও তিনি জানান।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা শাকিলুজ্জামান জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভাসানীর মাজারের কাছাকাছি পৌঁছলে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী দলীয় স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
তিনি অভিযোগ করেন, দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলসহ কয়েক দফা হামলা চালানো হয় আমাদের ওপর। প্রায় ৪০ মিনিট পর আমাদের নেতাদের পুলিশের গাড়িতে করে বের করে নেয়ার সময় ফের হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সংবাদ সম্মেলন করে হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে বলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জানান।
হামলার বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সরওয়ার হোসেন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা মওলানা ভাসানীর মাজারে কাছাকাছি পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। একপর্যায়ে ড. কিবরিয়া ও নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিবির পাল বলেন, ড. রেজা ও ভিপি নূর সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের চার সদস্য আহত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ আমাকে হত্যার চেষ্টা করছে: ডাকসু ভিপি নুর
বিদ্যুতস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
কুমিল্লার লালমাইতে বিদ্যুতস্পৃষ্টে আবদুল্লাহ আল খিদরী (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে বিদ্যুতস্পৃষ্টে তিনি মারা যান।
খিদরী ওই গ্রামের প্রবাসী আবদুল আউয়ালের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলার বাকই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগ ও তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে খিদরী খাবার খেতে রান্না ঘরে যান। সেখানে তিনি ঘরের একটি বৈদ্যুতিক তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তারটি সরাতে কাছে গেলে অজান্তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান খিদরী।
লালমাই উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রাব্বি বলেন, আবদুল্লাহ আল খিদরীর মত ছাত্রলীগ নেতা বানানো সহজ ব্যাপার নয়। তিনি খুবই বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে ছিল। ছাত্রলীগ পরিবার খিদরীর মৃত্যুতে শোকাহত।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঝিনাইদহে অস্ত্রসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক
চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্যসেন হলের দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রবিবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
হলসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সূর্যসেন হল সংসদের সাবেক সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম এবং থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম।
আর অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন- উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সিফাত উল্লাহ সিফাত ও আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাঙুয়েজেস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান। তারা দু'জনেই সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী। তারা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী ইমরান সাগরের অনুসারী। ইমরান সাগর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।
আরও পড়ুন:ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, কয়েকদিন আগে তাদের ছাত্রলীগের রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য ডাকা হয়। তবে বিভাগে পরীক্ষা থাকায় তারা প্রোগ্রামে অংশ নিতে ব্যর্থ হন। এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে সিফাতসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা তাদেরকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার হুমকি দেন।এরপর গত রবিবার রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সিফাত ফোন দিলে ঘুমিয়ে থাকার কারণে ফোন ধরতে পারেননি তারা। পরে সিফাত এসে তাদের জোর করে হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তার উপর নির্যাতন করা হয়। অকথ্য ভাষায় গালাগালির এক পর্যায়ে রড দিয়ে মারতে উদ্যত হন সিফাত। বাকিরা তাকে থামাতে গেলে সে তরিকুলকেও আঘাত করে। এতে তরিকুল আহত হন। পরে তাদের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চেক করা হয়। নির্যাতন অব্যাহত থাকে রাত সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এমনকি হলের সিট ছেড়ে না দিলে তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিফাত এবং পলাশের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা সাঁড়া দেননি।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মকবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনিও সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ইউএনবিকে বলেন, 'ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি সূর্যসেন হলের। তাই হল প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। ইতোমধ্যে হল থেকে একটি কাগজও পাঠানো হয়েছে৷ আমি অনুমোদন করে দিয়েছি। হল প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।'
আরও পড়ুন:ঢাবিতে ‘সহিংসতা বিরোধী কনসার্ট’ এ শিরোনামহীন
ঢাবি’র দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ সত্য নয়
চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টা মামলা
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে আরও একটি পাল্টা মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে নগরীর চকবাজার থানায় এ পাল্টা মামলা করেন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান। তিনি চমেক ক্যাম্পাসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।
সোমবার দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- জাকির হোসেন সায়াল, মঈনুল ইসলাম, জুলফিকার মোহাম্মদ শোয়েব, মাহিন আহমেদ, ইমাম হাসান, মোহাম্মদ শরীফ, সৌরভ দেবনাথ, সাজু দাস, আহমেদ সিয়াম, ইমতিয়াজ আলম, মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, মো. সাইফুল্লাহ, অভিজিৎ দাস, মো. ফাহাদুল ইসলাম, মো. তৌফিকুর রহমান ইয়ন। আসামিরা শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে চমেক ক্যাম্পাসে পরিচিত।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা এবং মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
এর আগে গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাতে চমেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তৌফিক চমেক ক্যাম্পাসে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওই মামলার আসামিরা হলেন- সাদ মোহাম্মদ গালিব (২১), আহসানুল কবির রুমন (২১), জাহিদুল ইসলাম জিসান (২১), মাহাদি বিন হাশিম (২৪), আসিফ বিন তাকি (২৫), ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (২১), মাহতাব উদ্দিন রাফি (২১), জাহিদুল আলম জিসান (২১), সৌরভ বেপারী (২১), মো. আনিস (২১), রক্তিম দে (২১), এইচ এম আসহাব উদ্দিন (২১), তানভীর ইসলাম (২১), নাজমুস সাদাত আসিফ (২১), এনামুল হাসান সীমান্ত (২১) ও রিজওয়ান আহমেদ (২১)। আসামিরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চমেকে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগের গ্রুপটি। নাছির চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন দীর্ঘদিন। গত বছরের ২০ আগস্ট এ পদে আসেন ব্যারিস্টার নওফেল। সে থেকে ধাপে ধাপে চমেক ক্যাম্পাসে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করে নওফেল গ্রুপ।
আরও পড়ুন: চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: চমেক বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশ
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছোটখাটো সংঘর্ষের পর গত ২৭ এপ্রিল সিএমসি ক্যান্টিনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কটুক্তির ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বড় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনার পর পাঁচলাইশ থানায় উভয় গ্রুপ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। একই সঙ্গে চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডাকেন। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
সর্বশেষ গত শুক্রবার দিনগত রাত ও শনিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠক শেষে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।