অর্থায়ন
নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে অর্থের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন।
রবিবার (১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পূর্ব, এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক পিটারিস উস্তুবাসের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ই্ইউ) একটি প্রতিনিধিদল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি থেকে আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে এবং আরও ১০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ৯০ শতাংশই বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকার উপকূলীয় ও অফশোর বায়ু শক্তি, উভয় ক্ষেত্রেই আরও প্রকল্প গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় বায়ুশক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।
তিনি বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশ বায়ু প্রকল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তাই বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করতে এই বিষয়ে কাজ করতে পারে ইইউ। ট্রান্সমিশন লাইন ও সাব-স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে গুণগত মান ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল হওয়ায় দেশে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হারিয়েছে। এই পরিমাণ বিনিয়োগ এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আসা উচিত।
তিনি প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন, ছাদে সৌরবিদ্যুৎ বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
পিটারিস বলেন, ইইউ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইইউ’র ৭০৬ মিলিয়ন ইউরো থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারে, যা কারিগরি সহায়তা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অনুদান হিসেবে সরবরাহ করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি, গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাস, বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ইইউ ‘এনার্জি কানেক্টিভিটি ইন সাউথ এশিয়া’ নামে একটি প্রকল্পে কাজ করছে।
এছাড়াও ইইউ ‘পার্টনারশিপ ফর গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’- প্রকল্পের আওতায় টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (স্রেডা) সহায়তা করছে।
আঞ্চলিক বিদ্যুতের বাজার, ইইউ বাজার, গ্রিডের উন্নয়ন, আঞ্চলিক স্থান, নেপাল থেকে পাবলিক সেক্টরের সহযোগিতা, সমন্বিত জ্বালানি এবং পাওয়ার মাস্টার প্ল্যানের বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, দক্ষিণ এশিয়ার সেক্টর হেড অড্রে মেলোট এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে: বক্তারা
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পাচ্ছে, তার ২০গুণ বেশি অর্থায়ন জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে করছে বিশ্বের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক।
২০১৬ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণের জন্য ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। তাই জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ ক্যাম্পেইনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাণঘাতী জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি বাংলাদেশি তরুণদের
অ্যাকশনএইডের পরিচালিত সমীক্ষার তথ্য বলছে, বাণিজ্যিক কৃষিতে ব্যাংকগুলো ব্যয় করেছে ৩৭০ বিলিয়ন ডলার, এটিও জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। জলবায়ু সংকট সৃষ্টির পেছনে অর্থায়নকারী শীর্ষ ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- এইচএসবিসি, সিটিগ্রুপ, জেপি মর্গান চেসসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্যাংক।
সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলের শীর্ষ ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি ও বাণিজ্যিক কৃষিতে অর্থায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপে এইচএসবিসি, বিএনপি পারিবাস, সোসাইটি জেনারেল, বার্কলেস; আমেরিকায় সিটি ব্যাংক, জেপি মরগান চেজ, ব্যাংক অব আমেরিকা; এশিয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, চায়না সিআইটিআইসি ব্যাংক, ব্যাংক অব চায়না এবং মিতসুবিশি ইউএফজে ফিন্যান্সিয়াল।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, গ্লোবাল সাউথের বাণিজ্যিক কৃষির অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বায়ের ২০১৬ সাল থেকে ২০ দশমিক ৬ বিলিয়ন অর্থায়ন পেয়েছে।
‘ফান্ড আওয়ার ফিউচার’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সমাধানের চেয়ে আমরা দ্রুত সমস্যা তৈরি করছি। সমস্যা সমাধান ও নীতি কার্যকর করতে আমাদের একটি সামগ্রিক কাঠামো তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশের কোনও সুস্পষ্ট নেট শূন্য গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নেই, যেটি স্থাপন করা প্রয়োজন এবং টেকসই সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে বৃহত্তর সমন্বয় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমাদের সমাধানের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না, আমাদেরই সঠিক পথ খুঁজে বের করতে হবে।
আইসিসিসিএডির পরিচালক ড. সালেমুল হক বলেন, সরকারকে আমাদের বিশ্বের দূষণকারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্বে কিছু সরকার আছে, যারা দূষণকারীদের পক্ষে কথা বলে। ধনী ব্যক্তিরা সমস্যা তৈরি করছে এবং দরিদ্র মানুষ তার পরিণাম ভোগ করছে। জলবায়ু অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রত্যেককে সোচ্চার হতে হবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে কীভাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জলবায়ু সংকটের মূল চালক। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ, জবাবদিহি ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সুন্দর পৃথীবির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের দায়িত্বের সঙ্গে অর্থায়ন করতে বলি। আমাদের অবশ্যই ন্যায়বিচার চাইতে হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকি থেকে সরে এসে বিকল্প টেকসই রুটের জন্য তা কাজে লাগাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা ভালো যে সরকার নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করছে, কিন্তু আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য যদি হয় জীবাশ্ম জ্বালানি হ্রাস, তাহলে আমাদেরও একটি হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সাবেক পরিচালক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত বলেন, আমাদের বাসযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্যাংকগুলো টেকসই রেটিং পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন৷ অর্থ যেমন জলবায়ু সংকটে ইন্ধন জোগাচ্ছে, তেমনি নিয়ন্ত্রকদের উচিত টেকসই ও নবায়নযোগ্য বিনিয়োগের দিকে ব্যাংকগুলোকে ধাবিত করা।
প্যানেল আলোচনায় আনোয়ার ফারুক, সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার; শুভাশীষ বড়ুয়া, হেড অব ইমপ্যাক্ট বিজনেস, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ; ড. আতিক রহমান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সেন্টার অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ; সামিয়া চৌধুরী, সিইও, এমটিবি ফাউন্ডেশনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট আলচকরা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোকে অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণ কার্যক্রমের জন্য প্রকল্প এবং করপোরেট অর্থায়ন বন্ধ করার এবং অন্যান্য সব জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ক্ষতিকারক বাণিজ্যিক কৃষি কার্যক্রমের অর্থায়ন দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।
এতে আরোও সুপারিশ করা হয় যে- ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই কমিউনিটির অধিকার রক্ষার জন্য উপযোগী পলিসি গ্রহণ করতে হবে করতে হবে।
প্রতিবেদনে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণে অর্থায়ন বন্ধ করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারকে অবশ্যই ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়।
পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষিতে অধিক বিনিয়োগ ও গুরত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
১ বছর আগে
বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন এডিবি’র
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সংস্কার, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা; বিশেষ করে নারী-নেতৃত্বাধীন ব্যবসাকে স্বল্প খরচে উদ্ভাবনী ব্যাংক অর্থায়নে সহায়তা করতে মঙ্গলবার বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির পর ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া সাসটেইনেবল ইকোনোমিক রিকভারি প্রোগ্রামের আওতায় এটি এডিবির দ্বিতীয় উপ-কর্মসূচি।
এডিবি’র দক্ষিণ এশিয়ার প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট আমিনুর রহমান বলেন, ‘এই উপ-কর্মসূচি বাংলাদেশকে রাজস্ব বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয় ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে সক্ষম করবে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোর সংস্কারকে আরও বৃদ্ধি করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী মূল্যের ঋণ পেতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
তিনি আরও বলেন, ‘লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাইজেশন বিষয়ে দৃঢ় লক্ষ্যসহ উপ-কর্মসূচিটি সরকারকে দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম করবে।’
এই কর্মসূচি নতুন আয়কর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আয়কর আদায় বৃদ্ধি, কর ফাঁকি কমানো, সম্মতি ও প্রয়োগ ব্যবস্থা জোরদার করবে এবং দেশের করের পরিধি বিস্তৃত করবে।
এডিবি অনুসারে, ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট ও ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে এবং পাবলিক প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন সহজতর করা হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল চ্যানেল ও ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনী অর্থায়ন সেবা চালুর জন্য নতুন প্যাকেজটি সহায়তা করবে।
এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুবিধা দেয়। ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসা এবং নারী উদ্যোক্তা যাদের জমি বা সম্পত্তি নেই, তারাও তাদের লেনদেন প্রাপ্তি এবং অন্যান্য ধরনের অনির্ধারিত জামানত, যেমন ছোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন
লিঙ্গ সমতা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রচার করা এবং সরকারি বিনিয়োগ ও জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের এজেন্ডা মোকাবিলা করা এই নতুন কর্মসূচির কয়েকটি মূল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে ৩ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এডিবি
১ বছর আগে
প্রাণঘাতী জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি বাংলাদেশি তরুণদের
বাংলাদেশের তরুণ কর্মীরা জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অর্থায়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে এবং নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য জি-৭ দেশগুলোর বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু ধর্মঘটের সময়, ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করার এবং জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির ওপর দেশের নির্ভরতা কমানোর অঙ্গীকার করেছে, প্রাথমিকভাবে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস(এলএনজি)।
বক্তারা বলেন, অক্সফামের সর্বশেষ বিশ্লেষণে দেখা যায় যে গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) দেশগুলোর জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য অবৈতনিক সহায়তা এবং অর্থায়নে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাছে ১৩ দশমিক তিন ট্রিলিয়নমার্কিন ডলার ( ১২ দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ইউরো) বকেয়া ঋণ রয়েছে।
জাপানের হিরোশিমায়২০২৩ সালের ১৯-২১মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪৯তম জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই জরুরি আবেদনটি আসে। শীর্ষ সম্মেলনে জরুরি জলবায়ু সংকট সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংকট নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ, একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং উন্নত দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানায়।’
তাদের আবেগপূর্ণ আবেদনে, তরুণ কর্মীরা হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়ার মতো মিথ্যা সমাধানের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পাশাপাশি ক্ষতি এবং ক্ষতির অর্থায়নের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশি তরুণ কর্মীদের দাবি যে জি-৭ দেশগুলো জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ক্লিন এনার্জিকে অগ্রাধিকার দেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে।
তারা জি-৭-এর মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি এবং নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়নের বিষয়ে আলোচনাকে ঘিরে বিদ্যমান অস্পষ্টতা, বিলম্ব এবং অস্থিরতার উপর আলোকপাত করেছে।
তরুণ কর্মীরা মতামত দিয়েছেন যে দুর্ভাগ্যবশত, সদস্য দেশগুলোর প্রতিশ্রুতিগুলো বর্তমানে স্থবির বা এমনকি বিপরীত দিকেও চলছে ।
বাংলাদেশের উৎসাহী যুবকরা তাদের দেশের বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা করার জন্য সমালোচনামূলক স্টেকহোল্ডারদের আহ্বান জানায়। এলএনজির মতো ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির ক্ষতিকর পরিণতিগুলো তুলে ধরে, যা দেশের জন্য আর্থিকভাবে বোঝা।
তারা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে উদ্ভূত জটিল চ্যালেঞ্জগুলোর উপর আরও জোর দেয়। নতুন বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উচ্চ অনুপাতের জন্য তাদের দৃঢ় সমর্থনের লক্ষ্য হলো জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তনের প্রসার।
এছাড়াও, বাংলাদেশি তরুণদের দাবি যে উন্নত দেশগুলো প্যারিস চুক্তি মেনে চলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে কঠোরভাবে এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে এবং বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ থেকে নিরুৎসাহিত করে, যার ফলে ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পায়।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান ঘোষণা করেছেন, ‘ক্ষতিকর এবং ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জরুরি প্রয়োজন অনুধাবন করার জন্য আমরা আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এখনই পদক্ষেপ নেয়ার সময় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব ইতোমধ্যেই জলবায়ু ও জ্বালানি সংকটে ভুগছে, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যথেষ্ট বিনিয়োগ এবং জি-৭ দেশগুলোর মতো বিশ্ব নেতাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ অপরিহার্য। আমরা আর কোনো বিলম্ব সহ্য করতে পারি না; তাদের এই মুহূর্তের জরুরিতার প্রতি জাগ্রত হতে হবে।’
তরুণ অ্যাক্টিভিস্টরা জলবায়ু অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতির পক্ষে কথা বলে, যার অন্তত ৫০ শতাংশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির অর্থায়নের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ করা হয়।
তদুপরি, তারা দৃঢ়ভাবে দাবি করে যে জাপান সহ জি-৭ দেশগুলো বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর হাইড্রোজেন জ্বালানি এবং অ্যামোনিয়ার মতো অপরীক্ষিত, বিতর্কিত এবং ব্যয়বহুল প্রযুক্তি চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
আরও পড়ুন: জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন স্টাডিজ (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে এবং বায়ু দূষণরোধে অবিলম্বে কাজ করতে হবে। কারণ, দু’টি আন্তঃসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আসুন আমরা ব্যক্তি, ব্যবসায়িক হিসাবে ঐক্যবদ্ধ হই। এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের সুবিধার্থে এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে পথ প্রশস্ত করি৷ আমরা প্রতিটি নিঃশ্বাস গ্রহণ করি এবং প্রতিটি তাপপ্রবাহ সহ্য করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের একটি প্রখর অনুস্মারক৷’
কপ-২৮ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) -এর পরিচালক প্রফেসর সালেমুল হক জোর দিয়ে বলেন, ‘জলবায়ু সংকট ভবিষ্যতের জন্য সীমাবদ্ধ কোনো দূরের হুমকি নয়; তাদের ন্যূনতম অবদান থাকা সত্ত্বেও এটি ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’
‘ধনী দেশগুলো এবং জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য অপরাধী প্রধান কর্পোরেশনগুলো তারা যে ক্ষতি করেছে তার জন্য দায়িত্ব নেওয়া এবং সকলের জন্য একটি ন্যায্য এবং টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এটিই উপযুক্ত সময় ।
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেরি হওয়ার আগে আমরা এখন আমাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের কাছে সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার জন্য ঋণী।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
১ বছর আগে
জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ধনী দেশগুলো ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিণতি মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।
বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে ইইউ কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ওয়াইভা জোহানসনের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০০৯ সালে বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে পরিণতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর সহায়তা হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ না হওয়ায় কিছু উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে তাদের উষ্ণতা নির্গমন হ্রাস ত্বরান্বিত করার জন্য অবিশ্বাস এবং অনীহা তৈরি হয়েছে।
ইহসানুল করিম বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আগামী বছর ইইউ ও বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করবে।
তারা রোহিঙ্গাসহ অভিবাসন ইস্যুতেও আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা।
তিনি আরও বলেন, নতুন শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত এই সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
হাসিনা আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যার জন্য সারা বিশ্ব এখন ভুগছে।
ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশিদের অভিবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এটা বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আইওএম-এর সহায়তায় আমরা কয়েকজন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে নিয়েছি।
ইভা জোহানসন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইইউ বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইইউ বর্তমানে সাড়ে চার মিলিয়ন ইউক্রেন শরণার্থীকে আতিথ্য দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অনেক বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
‘কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমাদের জনবল দরকার, এখান থেকে (বাংলাদেশ) মানুষ যদি আইনি পথে আসে তাহলে উভয়ের জন্যই লাভজনক হবে।
তারা জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন।
জোহানসন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ জানতে চান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই নিজস্ব সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমনে পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সারাদেশে অনেক গাছ লাগানো হচ্ছে। বাংলাদেশ যেকোনও ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের গৃহীত নীতির কারণে নারীরা এখন প্রতিটি খাতে ভালো কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার তৃণমূলের উন্নয়নে বিশ্বাসী। ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
আরও পড়ুন: টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকার বাচ্চারা ফ্ল্যাটে থেকে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্পে দ্রুত অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য সফররত বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসারের সঙ্গে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে গ্যাস মিটার স্থাপনের জন্য বিশ্বব্যাংক দুটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে– যার বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিদ্যুৎ খাতে ছয়টি প্রকল্প রয়েছে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ হল থেকে ঢাবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্জন, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হাইড্রোজেন ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
নসরুল হামিদ উল্লেখ করেন, ‘হাইড্রোজেন এনার্জি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাংক একটি নীতিমালা প্রণয়নে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’
তিনি বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বায়ু শক্তি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ খাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
নবায়নযোগ্য শক্তি, ক্যাপটিভ পাওয়ার, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক শক্তি সংকট, সৌর সেচ পাম্প, লিথিয়াম ব্যাটারি, জলবিদ্যুৎ, আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য, নেট মিটারিং ও ছাদে সৌর, সবুজ বিল্ডিং, বিদ্যুৎ ও শক্তির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার, জ্বালানি, তেল শোধনাগার ও ভূমিভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নিয়েও আলোচনা হয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগ খুবই আশাব্যঞ্জক।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের শীর্ষে এই নির্বাহী দক্ষতার উন্নতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ক্রস বর্ডার পাওয়ার ট্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক (অবকাঠামো) গুয়াংজে চেন এবং ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর দন্দন চেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
অর্থ আত্মসাত: অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালের ১২ বছর কারাদণ্ড
২ বছর আগে
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু দুই যুগেও হতো না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ সাফল্য সম্ভাবনা’- শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় তারা পেয়েছে কি শিক্ষা নিলো। তারা অর্থায়ন না করা আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমনি বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২ বছর আগে
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের কাজের ৪২ শতাংশ অগ্রগতি
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন নতুন রেললাইন প্রকল্পের আগস্ট পর্যন্ত কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪২ শতাংশ। ২০২২ সালের জুনে এডিবির অর্থায়নে নির্মিত এ প্রকল্পটি চালু হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪ বছর আগে