খুনি
আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে ও খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি ফখরুলের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে গিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।’
গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী ও জনগণকে দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার 'ভয়াবহ গণহত্যা' চালিয়েছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।
দলের পক্ষ থেকে এর আগেও ওই হাসপাতালে আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘আমি আজকেও এসেছি এখানে যারা আছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদমুক্ত করার আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী ও জনগণ জীবন দিয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতন সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা
ফখরুল বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেন।
আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
২ মাস আগে
বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন খুনিরা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও ভয় পেতেন।
তিনি বলেন, সেই কারণেই তারা মেধাবী তরুণ শেখ কামালসহ জাতির পিতার পরিবারের যতজনকে পেয়েছেন, সেই রাতে হত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় বিএনপির মিছিলে এখনো “পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার” স্লোগান দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমেই তারা স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, তাদের নেতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনে কেক কাটা সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকেই উপহাস করা।
তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেধাবী তরুণ শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার জন্য লড়েছিলেন।
তিনি বলেন, বহু গুণে গুণান্বিত ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী, ক্রিকেটার শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্লাব দেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মেধাবী তরুণ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে পরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়াসহ জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, এমন এই মেধাবী তরুণকে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল। আমরা তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার বিচারের রায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আবারও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
অগ্নিসন্ত্রাসী, খুনিরা যেন আর ক্ষমতা দখল না করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের পুনরায় ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা যেন এ দেশে (বাংলাদেশে) আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে রিজ কার্লটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দণ্ডিত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে 'উন্নয়নের মহাসড়কে' নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। দয়া করে তাদের প্রচারণায় কান দেবেন না।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে ডিএসএ অনেক ভালো: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা সবসময় বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ বানানোর চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা বাংলাদেশকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বদা তৎপর রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে বাংলাদেশ আমাদের দেশ। আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে স্বাধীনতাবিরোধীরা এবং জাতির পিতার খুনিরা সর্বদা তৎপর রয়েছে।’
রবিবার গণভবনে টানা দশম মেয়াদে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তার সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য সরকার ২৯ বছর ধরে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে – ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরে ২০০৯ সাল থেকে জনগণের ভোট পেয়ে এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং দেশের মানুষ মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের একমাত্র সিদ্ধান্ত বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমর্থনকারী সাধারণ মানুষই আমাদের ক্ষমতার সবচেয়ে বড় উৎস। তাই প্রতিটি নেতাকর্মীকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।’
১ বছর আগে
জাতীয় ৪ নেতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত যারা বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর চকবাজার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা যখন যাকে দেশে ফেরাতে পারব, তখন আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার খুব সজাগ।
আরও পড়ুন: টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জেলখানার মতো একটি নিরাপদ জায়গায় হয়েছে। যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেয়া হয়, সেখানে এ ঘটনা ঘটেছে! এমন ঘটনায় জাতি থমকে গিয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা বিচারের দাবি তুলেছিলাম। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসায় আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখতে পেলাম। শুধু সে হত্যাকাণ্ড নয়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডও নৃশংস ছিল।
তিনি বলেন, আমরা পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, কিন্তু পুরো বংশের লোককে একসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য আমরা দেখিনি। ঠিক সেই রকমই যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দায়িত্ব নিতে পারতেন, তাদেরকেও হত্যা করা হলো।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এইসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিরা যেসব দেশে পালিয়ে আছেন,সেসব দেশের আইন অনুযায়ী তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এসব দেশের সঙ্গে আমাদের অপরাধী বিনিময়ে চুক্তি নেই। এসব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের নায়ক- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রচেষ্টায় নেতৃত্বদানকারী মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে চার নেতাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে ছিলেন এএইচএম কামারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: পুলিশিং দক্ষতা বাড়াতে আরও প্রি-ডিপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং প্রয়োজন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।’
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষির্কী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা মোকাবিলা করছেন। ২১ আগস্টের বোমা হামলা আপনারা দেখেছেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মহান রব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা মহান রব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মাধ্যমে করিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহাগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পড়ুন: বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দেন।
এর আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, কোস্টগার্ড মানব ও মাদক পাচার রোধেও সফল ভূমিকা রাখছে। যার জন্য আমরা মনে করি কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের এত বড় বন্দর সেখানে সেই সময় জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহের স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০ মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক এবং জাহাজ কামরুজ্জামান দ্বারা পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৪ খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যাদের খেতাব বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী এবং মোসলেহউদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শ্রদ্ধা
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য নূরকে বীর বিক্রম, ডালিমকে বীর উত্তম, রাশেদ ও মোসলেহউদ্দিনকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
এর আগে হাইকোর্ট জাতির জনকের চার জন দণ্ডপ্রাপ্ত খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার জন্য সরকারকে র্নিদেশ দিয়েছিল।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৪৫ বছর: এখনও পলাতক ৫ খুনি
শনিবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস, যখন আদালতের রায় কার্যকর করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ‘সব পন্থা’ অবলম্বন করছে সরকার।
৪ বছর আগে
সৌদি খুনিদের ক্ষমা করে দিলেন খাসোগির ছেলেরা
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার নিহত কলামিস্ট জামাল খাসোগির সৌদি খুনিদের শুক্রবার ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তার পরিবার।
৪ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরত পাঠাতে কানাডার প্রতি ঢাকার আহ্বান
আদালতের রায় কার্যকর করতে কানাডাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
৪ বছর আগে