এফআর টাওয়ার
বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলা চলবে: হাইকোর্ট
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলা বাতিল চেয়ে ওনার্স সোসাইটির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামের করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি মামলা চলতে বাধা নেই। আবেদনকারীর আইনজীবীর আবেদনে গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আসিফ হাসান। গত ১৫ নভেম্বর ভবন মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারী পরিচালক মেহেদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী অথরাইজড কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, রাজউকের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক ইমরুল কবির ও মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও শওকত আলী। পরে নিজের ক্ষেত্রে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তাসভীর উল ইসলাম।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হন। এরপর জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নকশা বানিয়ে এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে।
আরও পড়ুন: উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আবরার হত্যা: খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সেতুর হাইকোর্টে আপিল
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
২ বছর আগে
এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি: রূপায়নের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিচার শুরু
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালত মামলায় দুই জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ১ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ার তদন্ত: সরকারের ৯ সংস্থাকে দুদকের চিঠি
আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ আই ফারুক), রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটির সভাপতি কাসেম ড্রাইসেলের এমডি তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, রাজউকের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক (নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও শওকত আলী।
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল বাকী।
রাজউকের ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা, ভুয়া ও নকশা অনুমোদন না নিয়ে ভুয়া নকশা তৈরি করে এফআর টাওয়ারের ১৯তলা থেকে ২৩তলা পর্যন্ত নির্মাণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক, বিক্রি ও অগ্নিকান্ডে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতির কারণে দুদকের উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: বনানীর ‘আহমেদ টাওয়ারে’ আগুন
৩ বছর আগে
এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি: ৩ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া এফআর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতি ও ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তিন আসামির জামিন স্থগিত করে তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৫ বছর আগে