হত্যা
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল, বিচারক জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ফরিদা বেগম উপজেলার বাগাট গ্রামের রাশেদ শেখ মেয়ে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সরোয়ার শেখ (৩৫) মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সরোয়ার শেখের মা ছাহেরা বেগম (৫৫), মামা ওবায়দুল শেখ (৪৫) ও আলিয়ার শেখ (৬০)।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৬ জুলাই সকালে তার মেয়ে তাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে মারধর করছে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পান যে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত জব্দ করে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে। দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে নিহতের গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে গলাটিপে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামি সরোয়ার শেখের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ১১(ক) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় উল্লেখিত আসামিকে ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
‘চার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, আমি আমার মৃত্যুর বিচার চাই’
অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন গৃহবধূ জ্যোতি আগরওয়াল। রবিবার সকাল ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউতে) মারা যান তিনি।
জ্যোতি নীলফামারী সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়া এলাকার সুমিত কুমার আগরওয়াল স্ত্রী। দুই সন্তানের জননী তিনি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নেয়া না হলেও বাড়িতে চিকিৎসা দেন তার জা ডা. অমৃতা আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় গৃহবধূর মৃত্যু
অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন শুক্রবার বিকালে তাকে নেয়া হয় রমেক হাসপাতালে।
তবে মৃত্যুর আগে আত্মহননের জন্য শ্বাশুড়ি, স্বামী, জা ও দেবরকে দায়ী করে চিরকুট লিখে গেছেন তিনি। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
চিরকুটে লেখা আছে, ‘২০০১ সালের ১২ ডিসেম্বর বিয়ের পর থেকে আমার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে শ্বাশুড়ি উমা দেবী। দেবরের বিয়ের সময় নেয়া গহনা ও টাকা আজও ফেরত দেয়নি। চাইতে গেলে সবাই আমাকে অকথ্য নির্যাতন করে।
ইতোপুর্বে একবার নয়, চার চার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছি আমি। তারা কোনদিন আমাকে সুখের দিন দেখতে দেয় নি। আমার মৃত্যুর জন্য এই চারজন দায়ী। আমি আমার মৃত্যুর বিচার চাই।’
তবে তার দুই সন্তান নির্দোষ বলে লেখা হয় চিরকুটে।
সুমিত কুমার আগরওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে উড়ো চিঠির কথা বলা হচ্ছে এটি তার স্ত্রীর লেখা নয়। তার হাতের লেখার সঙ্গে এটির মিল নেই।
জানা গেছে, জ্যোতি আগরওয়ালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়। শহীদ পরিবারের সদস্য সুমিত আগরওয়াল সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আগরওয়াল এর পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে গিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সাইফুল ইসলাম জানান, শুনেছি, তবে এখনও কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। থানায় জানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
দৌলতপুরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে গলা কেটে হত্যা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক নারীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়েশা আক্তার পলি (৩০) ওই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আক্তার মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আক্তার মিয়ার সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে তার সৎ ভাই গাবরু মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে। সম্প্রতি আক্তার মিয়ার স্ত্রী আয়েশা আক্তার পলি একটি নারী নির্যাতন মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সৎ ভাসুরের ছেলে মাসুক ও মামুন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাসুক ও মামুন, বোন শেফা ও বোন জামাই শামীম পলির ঘরে যায়। তারা মামলা করার কারণ নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে পলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে।
মায়ের ওপর এমন নৃশংসতা দেখে পলির আট বছর বয়সী সন্তান শহীদ একটি খাটের নিচে আশ্রয় নেয়। শাশুড়ী মালেকা বানু ভয়ে বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
গাজিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খান জানান, আক্তার মিয়া ও পলি এক সময় টেইলারিং পেশায় ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় তিন বছর আগে আক্তার মিয়া পলিকে বিয়ে করেন। পলির আগের ঘরের সন্তান শহীদ।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আশরাফ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে পুলিশ মাঠে নেমেছে। এখনও মামলা হয়নি।
ওসি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত পলির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ট্রাক-বাস-মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ৪
হবিগঞ্জে হাওরে নৌকাডুবি: ৪ নারী নিহত
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গোপালগঞ্জ সদরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাই ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় পর সদর উপজেলার হরিদাসপুর ইউনিয়নের মোচড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পরিবহন ব্যবসায়ী ফুলমিয়া মোল্লা (৪৮) ওই এলাকার মৃত এলায়েক মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, নিহত ফুলমিয়া মোল্লার পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এরই জেরে বিকাল থেকে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও কথাকাটি হতে থাকে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা!
এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর নিহত ফুলমিয়ার ছোট ভাই লিংকন মোল্যা ও বড় ভাই জাহাঙ্গীর মোল্যা ও তাদের ছেলেরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
আরও পড়ুন: জমি সংক্রান্ত বিরোধে কুষ্টিয়ায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা
তিনি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ফুলমিয়াকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৫ দিন পর বাংলাদেশি তরুণের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণের লাশ পাঁচদিন পর বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে।সোমবার বিকাল ৪টার দিকে দিনাজপুর সীমান্তের ৩১৪/৪ নম্বর পিলারের কাছে বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-২৯ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর তারা লাশ হস্তান্তর করতে সম্মত হন।
পড়ুন: বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
বিএসএফ’র গুলিতে নিহত কিশোর মিনহাজুল ইসলাম মিনার (১৭) দিনাজপুর সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
গত শনিবার ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মিনার নিহত হওয়া সহ আরও একজন আহত হন বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, স্থানীয়রা হরিপুর তেলিপাড়া এলাকায় ওইদিন সকালে গুলিবিদ্ধ একটি লাশ দেখতে পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলির দাবি বিএসএফের
কুড়িগ্রামে আটকের ৩ ঘন্টা পর বাংলাদেশিকে ফেরত বিএসএফের
রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যা: ২৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে চার্জগঠন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ: মামলার চার্জ গঠন ১০ নভেম্বর
তিনি জানান, মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার নির্ধারিত তারিখ ধার্য ছিল। হত্যা মামলাটিতে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালত শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
ফরিদুল আলম আরও জানান, চার্জগঠনের মাধ্যমে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
মামলার ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন আদালতে হাজির ছিল। বাকি ১৪ জন পলাতক। মামলায় মোট ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
এর আগে সাড়ে ৮ মাস তদন্ত শেষে গত ১৩ জুন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন। পরে সেটি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আক্তার জাবেদের আদালতে তোলা হয়। এরপর চার্জগঠনের শুনানি হয়।
মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তার ভূমিকা ছিল।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার ভাই হাবিবুল্লাহ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী-শাশুড়ির জামিন, চার্জ গঠন ২৪ জানুয়ারি
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আসেন। তখন থেকেই টেকনাফ অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে নানাভাবে রোহিঙ্গাদের সংগঠিত করতে থাকেন।
মুহিবুল্লাহ ২০০০ সালের শুরুতে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গড়ে তোলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানরাইটস’ নামের সংগঠন, যা এআরএসপিএইচ নামে বেশি পরিচিত। অন্যদেশের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গেও গড়ে তোলেন গভীর যোগাযোগ। ধীরে ধীরে মুহিবুল্লাহ হয়ে ওঠেন প্রধান পাঁচ রোহিঙ্গা নেতার একজন।
বিদেশিদের কাছে আগে থেকে পরিচিত হলেও ২০১৭ সালে তিনি বনে যান রোহিঙ্গাদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সে সময় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে তাদের যোগাযোগে ভূমিকা রাখতে থাকেন নিয়মিত।
মুহিবুল্লাহ কয়েক দফায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। তার উত্থানে সহায়ক হয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ২০১৮ সালে ইউএনএইচসিআরকে সংযুক্ত করার ঘটনা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষে বিচার শুরু
ফতুল্লায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্ত্রী রীনা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী আক্তার হোসেনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কিশোর হত্যার অভিযোগে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
এ সময় পাঁচজনকে খালাস দেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আহমেদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সাজেদা বেগম, রমজান ওরফে নিবারন ও মনোয়ারা বেগম।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ১ জনের যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, রীনা বেগম ও আক্তার হোসেন পরস্পরে ভালোবেসে বিয়ে করে ফতুল্লার কানাইনগর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। কিন্তু আক্তার হোসেনের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছিল না।
২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আক্তার হোসেন তার রীনা বেগমের বাড়ি গিয়ে বলেন রীনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে পরিবার আক্তার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে রীনাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ফতুল্লায় থানায় মামলা হয়। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক পল্ট্রি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার ভূজপুর থানার হাসনাবাদ এলাকা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মো. ইউসুফ (৩৮) ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাত ১১ টার দিকে নিজের মাছের প্রজেক্ট ও মুরগির খামারে উদ্দেশে ঘর থেকে বের হন ইউসুফ। কিন্তু রাতে ফিরে না আসায় রবিবার সকালে তার স্ত্রী তাকে খুঁজতে গিয়ে মাছের প্রজেক্টের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
তাদের দাবী দুর্বৃত্তরা ইউসুফকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ফুটবলারের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
জেলার সদর উপজেলায় শনিবার সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে এক ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আরিফুল ইসলাম রকি (২৫) উপজেলার খানখানাপুর সরদার পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় আবুল কালাম জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে খানখানাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন হাইস্কুলের সামনে বসে ছিলেন আরিফুল। এ সময় খানখানাপুর বাজারের দিক থেকে মোটরসাইকেলে এসে কিছু দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তার মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গুলি করে হত্যা
খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শওকত হাসান জানান, কে বা কারা কী কারণে তাকে গুলি করে হত্য করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা!
তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সেখান থেকে তারা কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
পাবনায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাবনার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর প্রামাণিককে (৫০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর প্রামাণিক ওই ইউনিয়নের চর প্রতাপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর শাখা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, জুম্মার নামাজের ঠিক কয়েক মিনিট আগে নজুর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ভয়ে তার সঙ্গীরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা গুলির শব্দ শুনে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন। এসময় মৃত অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, দুপুর ১টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা