হত্যা
সুদিন আসবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভালো দিন আসবে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
বৃহস্পতিবার আহত কিশোরগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি) নেতা শ্রাবণের মাকে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার ছেলে গণতন্ত্রের আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়েছে। তার কষ্ট বৃথা যাবে না।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত শ্রাবণকে দেখতে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে যান তিনি।
পড়ুন: যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছাত্রদল নেতার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে শ্রাবণের মায়ের সঙ্গে কথা বলে এই বিএনপি নেতা বলেন, ছেলের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাদের দল তার পরিবারের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
তিনি বলেন, ‘ধৈর্য্য ধারণ করেন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ঐশী আশীর্বাদ কামনা করেন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি... গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং অবশ্যই ভালো দিন আসবে।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ও মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুলেটের আঘাতে শ্রাবণের ফুসফুস, লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেরে উঠতে অনেক সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
দিনাজপুরে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলির দাবি বিএসএফের
দিনাজপুরের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত ও একজন আহত হয়েছে। বুধবার কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছেন।
নিহত মিনার (১৭) উপজেলার আসকরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, তারা রাত ১০টার দিকে দুই-তিন রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গতরাতে উপজেলার দিনাজপুর সীমান্তের হরিপুর-তেলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গ্রেনেডে আহত শিশু বাড়ি ফিরতে চায়
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,বুধবার সকালে হরিপুর সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়রা তার গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, নিহতের লাশ ও আহত অন্যজন বর্তমানে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ আজ একটি পতাকা বৈঠক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএসএফের দাবি, গতকাল তাদের একটি টহল দল হরিহরপুরের ১৭৪ নম্বর সীমান্ত পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (বিওপি) কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তারা জানায়, এসময় রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে প্রায় ৯-১০ জন বাংলাদেশি ‘চোরাকারবারী’কে কোনো পণ্যের চালান নিতে সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে আসতে দেখে। এসময় টহল দল তাদের থামতে নির্দেশ দিলেও চোরাকারবারীরা বিএসএফ জওয়ানদের একজনকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
বিএসএফ আরও জানায়, ওই জওয়ানকে ঘিরে ফেলতে দেখে তার সহকর্মীরা ‘চোরাকারবারীদের’ ছত্রভঙ্গ করার জন্য একটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। এতেও তারা তাতে কর্ণপাত না করে ওই জওয়ানের আরও কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
তারা জানায়, চোরাকারবারীদের আগ্রাসন দেখে ওই জওয়ান বাতাসে এক রাউন্ড পিএজি গুলি ছোঁড়ে, কিন্তু এরপরও তারা ওই জওয়ানের কাছে এগিয়ে আসতে থাকে।
এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওই জওয়ান ‘চোরাকারবারীদের’ দিকে পিএজি’র আরেকটি গুলি ছোঁড়ে।
বেশ কয়েকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ‘চোরাকারবারীরা’ ওই জওয়ান আটকে তার অস্ত্র নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল।
ওই জওয়ান আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে যে ‘চোরাকারবারী’ তার রাইফেল ধরে ছিল সরাসরি তার গাঁয়ে লাগে। এসময় ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে বিএসএফ জানিয়েছে।
তারা জানায়,গুলির শব্দ শুনে ও তাদের সহযোগীকে আহত হতে দেখে অন্য ‘চোরাকারবারীরা’ বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে দুই শিশু নিখোঁজ
স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহীর পবায় সোনিয়া খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ভবানীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত সোনিয়া পবার কইরা গ্রামের হানিফের মেয়ে।
তার স্বামী মো. নাসির ও শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরা পলাতক রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুকুরে মিলল গলায় পাটা বাঁধা অবস্থায় গৃহবধূর লাশ!
সোনিয়ার চার বছরের মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, সকালে তার মাকে মারধর করা হয়েছে।
নিহত সোনিয়ার স্বজনদের দাবি, স্বামীর বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য সোনিয়াকে নির্যাতন করতো। বুধবার তাকে মারধরের পর গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। ছোট মেয়েটাও মাকে মারধরের কথা পুলিশকে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান স্বজনেরা।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন বলেন, নিহত সোনিয়ার স্বজনেরা দাবি করছেন এটা হত্যা। তবে লাশটি ঘরে ঝুলছিল। হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর লাশ!
পিরোজপুরে কিশোর হত্যার অভিযোগে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় রফিকুল ইসলাম নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে পিরোজপুর অতিরিক্ত দায়রা জজ এস এম নূরুর ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কালাম কালু (৩৩) ও মো. হারুণ (৩৫)। তারা ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ কলারন গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।
নিহত রফিকুল ইসলাম (১৩) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মো. হালিমের ছেলে।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ১ জনের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি আবুল কালাম কালু আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মো. হারুন পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কিশোর রফিকুল ইসলাম তার মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে ইন্দুরকানী উপজেলায় তার মামা মোদাচ্ছের আলী হাওলাদারের বাড়িতে বসবাস করতো। ২০০৬ সালে ৮ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা রফিকুলকে বাড়ির কাছে একটি খাল পারে গলা কেটে হত্যা করে। পরে ঘটনার দিনই নিহতের মামা মাদাচ্ছের আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর ইন্দুরকানী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বারী মনোরঞ্জন ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আসামি দুই ভাই কালু ও হারুণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর তিন আসামি জামাল হোসেন, কবির হাওলাদার ও নিপুন শেখকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
মাগুরায় হত্যা মামলায় ১ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ২ নবজাতককে হত্যার অভিযোগ, ক্লিনিকে তালা
বিল পরিশোধে দেরী হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে জমজ দুই নবজাতক হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ক্লিনিকে চার জনকে থানায় নিয়ে গেছে এবং ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিয়েছে।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার ঝর্ণাপাড়া এলাকায় ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত দুই নবজাতকের বাবা মো. মনির পেশায় একজন টেম্পু চালক। তিনি নগরীর দেওয়ানহাট থেকে অলংকার রুটে টেম্পু চালান। তার স্ত্রী লাভলী বেগম (২২) পেশায় গৃহিনী।
আরও পড়ুন: সিলেটে তালাবদ্ধ ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, শিশু সন্তান হাসপাতালেমো. মনির বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর ২টায় তার স্ত্রীকে ঝর্ণপাড়ার ‘মাতৃসেবা নরমাল ডিলিভারি সেন্টার’ নামের ক্লিনিকে ভর্তি করান। এর আধাঘন্টা পর তার দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়। ক্লিনিক থেকে বাচ্চাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেয়া হয়। তখন ওই ক্লিনিক থেকে ১০ হাজার টাকা বিল দেয়া হয়। আমি ৫ হাজার দিয়ে বলি, বাচ্চা তো নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। ১০ হাজার কেন দিতে হবে? আপাতত ৫ হাজার রাখেন। বাচ্চার চিকিৎসা শেষে বাকি টাকা দিবো। কিন্তু তারা বাচ্চাগুলোকে অক্সিজেনও দিতে পারেনি, অন্য হাসপাতালেও নিতে দেয়নি। ফলে অক্সিজেন না পাওয়ায় আমার দুই সন্তান মারা যায়।’
তিনঘন্টা পর প্রতিবেশিসহ আমরা গেলে তারা আমাকে মৃত বাচ্চা বুঝিয়ে দেয়। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, দুই নবজাত শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশের টিম ওই ক্লিনিকে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের চারজন নার্স ও কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ আপাততে ওই ক্লিনিকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চবিতে শিক্ষার্থীকে মারধর: বিচারের দাবিতে মূল ফটকে তালা
জাবির আবাসিক হল গেটে ফের তালা
পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪ নং পূর্ব হাসনাবাদ ওয়ার্ডের বাবু কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলাল হোসেন (৬২) নোয়াখালীর সুধারাম থানার উত্তর ওয়াপদা পূর্ব সুরলিক্কা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে এবং অভিযুক্ত মোহাম্মদ হেলালের (২৬) বাবা।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
তিনি জানান, পারিবারিক বিরোধে ছেলের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। এসময় ছেলে তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে বেলালকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, ছেলেটি একটি মেয়েকে পছন্দ করে। তাকে বিয়ে করানোর জন্য বাবাকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু ছেলে বেকার হওয়ায় বাবা বিয়ে করাতে রাজি হচ্ছিল না। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা মারা গেছে।
আরও পড়ুন: যুবকের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত
ছুরিকাঘাতে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত
পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবক নিহত
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ (৩২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ শেখ চলনা গ্রামের মাদারতলা এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।
পড়ুন: পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, রবিবার বিকালে জমির ফসল ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র প্রথমে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে রাতে দুই গ্রুপ আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়ায় এবং বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলি চলে। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ এরশাদ শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আরও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় চেয়ারম্যানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা
গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে আলী আকবর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈরের মজুমদারকান্দি গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩৬) ও একই গ্রামের মান্নান ফরাজির ছেলে নুরু ফরাজি (৩৮)। তারা দুজনেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
নিহত আলী আকবর কোটালীপাড়ার বাগান উত্তরপাড় গ্রামের কাদের শেখের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করতেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় মামলার দুই আসামি কোটালীপাড়ার মহুয়া সিনেমা হলের সামনে থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট যাওয়ার উদ্দ্যেশে নিহত আকবরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।
আলী আকবর ভাড়া নিয়ে গেলে ছোট ভাই আলী আহম্মদ তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলী আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়না।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরের দিন সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের বাজুনিয়া–গান্দিয়াসুর সড়কের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নিহতের পরিবারের লোক এসে আলী আকবরকে শনাক্ত করেন। ওই দিনেই নিহতের ছোট ভাই আলী আহম্মেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোটালিপাড়া থানায় মামলা করেন।
কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মামলা তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানির পর রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযঙুক্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি কৌসুঁলী অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু ও ১ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার খোকসায় মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ওরফে লতিফকে (৩০) গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে আমৃত্যু ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচি গ্রামের মৃত ফয়েজ শেখের ছেলে মজিবর শেখ (৩৭) ও কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল আলীর ছেলে ফজলু (৩৫)।
দণ্ডপ্রাপ্ত খুশি বেগম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মজনু শেখের স্ত্রী।
জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুশি বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলু ও মজিবর পলাতক রয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় আজিম সর্দারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:ড্রামট্রাকের ধাক্কায় কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিন বিকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরের দিন ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পাটখেতের মধ্যে মস্তকহীন নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নজরুলের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চুরি করতে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ১৮ জুলাই নিহতের বড়ভাই ও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সজিরদ্দিন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড সেই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি আজিমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন:কুষ্টিয়ায় ২ দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা শুরু
সাভার থেকে অপহরণের ৩ দিন পর কুষ্টিয়া থেকে শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
যুবদল কর্মী হত্যা: পুলিশ সুপারকে আসামি করে বিএনপির মামলার আবেদন
নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী রাজা প্রধান শাওনকে হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারসহ ৪২ জন ও আজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে বিএনপির পক্ষ থেকে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান হোসেনের আদালতে এই মামলার আবেদনটি করেন। এসময় বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীর সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আবেদনটিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান সহ বিয়াল্লিশ জন কর্মকর্তা ও সদস্যের নাম উল্লেখ করে তাদের আসামি করা হয়েছে। এক নম্বর আসামি করা হয়েছে জেলা ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের এস আই মাহফুজুর রহমান কনককে। এছাড়া আজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলার আবেদনে।
মামালার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, এক নম্বর আসামি জেলা ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনকের অস্ত্রের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন নিহত হয়েছে এবং এ ঘটনায় অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা সহযোগিতা করায় তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
আদালতে আবেদন করার পর মামলার বাদী রুহুল কবির রিজভীর আইনজীবী (সুপ্রীম কোর্ট) অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছে এবং তা যাচাই বাছাই করে পরবর্তীতে আইনসম্মত আদেশ প্রদান করবে বলে তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমি তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর ঘটনা তাই প্রমাণ করেছে।
এর মাধ্যমে দেশে একদলীয় সরকারের নমুনার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
আরও পড়ুন:পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
নারায়ণগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির খান গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল জব্দ