জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানতে চায় জ্বালানি খাতে বছরে কত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে কারা জড়িত?’
রাজধানীর মিরপুর এলাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠে জাতীয় পার্টির মিরপুর ও শাহ আলী থানা ইউনিটের কাউন্সিলে বক্তব্যে জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
তিনি জানান, যারা প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছেন তাদের তালিকাও তারা জানতে চান। অর্থ পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে সুইস ব্যাংকে চার লাখ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারকারীদের তথ্য প্রকাশ না করে সরকার নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বাঁচাতে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করছে না।
ড. জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের স্বার্থের কথা বললে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজেন।
দেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি নেতা বলেন, আমাদের বোকা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সারা দেশে এখন লোডশেডিং হচ্ছে? ডলারের দাম কেন এত বেড়েছে? জ্বালানির দাম এত বেড়েছে কেন?
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
জনদুর্ভোগ নিয়ে সরকার খুব একটা চিন্তা করে না: জিএম কাদের
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
২ বছর আগে
করোনায় কর্মহীনদের জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দাবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের কাছে করোনায় কর্মহীনদের পরিবারের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মহামারিজনিত কারণে যারা বেকার হয়ে গেছেন তাদের পরিবারের কয়েক কোটি সদস্য ভালো অবস্থায় নেই। সুতরাং, সরকারের জন্য প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
রবিবার এক বিবৃতিতে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা এই দাবি করেন। তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই মহামারির এই সংকটময় সময়ে মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, করোনার সময়কালে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। যেখানে মহামারির আগে দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ ছিল।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সাহায্য করার জন্য সরকারের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল।
৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৬ জন অধিবাসীর একটি নির্বাচনী আসনে বার্ষিক সরকারি সহায়তা বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকার প্রায় এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ জন (প্রায় ৩৩ শতাংশ) দরিদ্র। সরকার ২০২০-২০২১ অর্থবছরে এই এলাকায় এক কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৭০ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছে। শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের পাশাপাশি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৯ টাকা মূল্যের খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে এবং মোট বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৭৪৯ টাকা। সুতরাং, মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল বছরে ১৯১ টাকা এবং মাসে মাত্র ১৬ টাকা। একজন দরিদ্র ব্যক্তি কিভাবে প্রতি মাসে মাত্র ১৬ টাকা সরকারি সাহায্য নিয়ে বাঁচবে?
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জিএম কাদের এ ব্যাপারে আরও বলেন, আমি সরকারের কাছে দাবি করছি যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে (কর্মহীনদের) প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করুন। যদি স্বচ্ছভাবে দুই কোটি পরিবারের মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হয়, তাহলে তা দরিদ্রদের জন্য একটি বড় সাহায্য হবে। এতে প্রতি মাসে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ দাবি
৩ বছর আগে
‘মাদক’ নির্মূলে বিশেষ ইউনিট গঠনের দাবি জিএম কাদেরের
মাদক বিস্তারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এর বিস্তার রোধে সরকারকে একটি বিশেষ ইউনিট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান মাদক বিস্তারের পরিণতি জঙ্গিবাদের মতো ভয়াবহ হবে। যদি এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।’
গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক মাদকের সংবাদের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, জনগণ জানে যে তরুণ প্রজন্ম এলএসডি, আইস এবং খাটের মতো মারাত্মক মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীসহ ২ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ আটক
তিনি বলেন, ‘ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ এবং গাঁজা এখন সহজলভ্য হয়ে গেছে। জাতির জন্য এর চেয়ে দুঃসংবাদ আর কিছু হতে পারে না।’
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, ‘মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে বাঁচাতে না পারলে তরুণ প্রজন্ম অকর্মন্য, উগ্র এবং অসভ্য হয়ে উঠবে। তারুণ্যের অপার সম্ভাবনা ধ্বংস হবে।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মাদকের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
জিএম কাদের বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে গত তিন বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যার কয়েক শতাধিক ঘটনা ঘটেছে, তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় নাসির ও অমি ৭ দিনের রিমান্ডে
এই পরিস্থিতিতে মাদকের নির্মূলে সরকারকে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
৩ বছর আগে
এইচএসসি পরীক্ষা: সিদ্ধান্ত পুনবিবেচনার আহ্বান জিএম কাদেরের
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল বিবেচনায় ফল ঘোষণা করার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আবারও বিবেচনা করতে শনিবার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
৪ বছর আগে