জরিমানা
ঢাকাগামী কোচ কাউন্টার খোলার দায়ে জরিমানা
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে অবৈধভাবে ঢাকাগামী কোচ কাউন্টার খোলার দায়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পৌর শহরে বাবলু কোচ কাউন্টার সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টিকিট বিক্রি করতে থাকলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করে।
বর্তমান করোনা রোধকল্পে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ জনকে জরিমানা
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রাণীশংকৈলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা বলেন, বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে আন্তঃজেলা পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অথচ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য টিকিট বিক্রি করছিল বাবলু এন্টারপ্রাইজ।
আরও পড়ুন: স্কুল চালু রাখার দায়ে সিরাজগঞ্জে শিক্ষকের জরিমানা
এদিকে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করায় দুই বাস চালককে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সত্যপীর ব্রিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহাগ এই জরিমানা করেন। দিনাজপুর হতে দুটি বাস যাত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করলে তাদের আটক করে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিয়ের আয়োজন, লাখ টাকা জরিমানা
বরিশালে ৩ কোটি টাকার চিংড়ি রেনু জব্দ, ৪ জনকে জরিমানা
বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাক থেকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ চিংড়ি রেনু পোনা জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রুপাতলীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে এই চিংড়ি রেনু জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ওজন বাড়ানো ও সতেজ রাখতে চিংড়ি মাছে ক্ষতিকর জেলি!
এই ঘটনায় আটক জাকির, লিটন, রিয়াজ ও টুলুকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিগত অর্থবছরে চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল নৌ সদর থানার ইনচার্জ এসআই অলোক চৌধুরী বলেন, কলাপাড়া থেকে ট্রাকে করে গলদা রেনু পোনা খুলনার উদ্দেশে যাওয়ার খবরে রুপাতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালালে ঢাকা মেট্রো ট -১৬-৭২৭২ ট্রাকটি জব্দ করা হয়।ট্রাক থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ চিংড়ি রেনু পোনা জব্দ করা হয় যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে হিমায়িত চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার পরিধি কমছে
তিনি বলেন, ট্রাকের সাথে থাকা ৪ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিশাত তামান্না তাদের সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
মানিকগঞ্জে তরমুজ বাজারে অভিযান, ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
মানিকগঞ্জে তরমুজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে অভিযান করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার মানিকগঞ্জ সদরের ভাটবাউর ও জাগীর ধলেশ্বরী পাইকারি আড়ত এবং বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজারে অভিযান চালিয়ে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশনা দেন। এ সময় পিস হিসেবে তরমুজের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করে দামে কারসাজি করার অপরাধে ৩ জন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন
অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। এ সময় সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন, কনজুমার এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপসহ ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অসময়ে তরমুজ চাষে ভাগ্যবদল রূপসার ২০ চাষির
ক্যাব সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ বলেন, সারা দেশের ন্যায় মানিকগঞ্জেও চাহিদা বাড়ায় গত কয়েকদিন ধরে তরমুজের ঊর্ধ্বমুখী দাম ও ভোক্তাদের অভিযোগ উঠে আসছিল। এ নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্নভাবে প্রসাশেনের সহযোগিতা চেয়ে আসছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস এর নির্দেশনায় জেলা ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর জেলার ভাটবাউর ও জাগীর পাইকারি আড়ত এবং বাসস্ট্যান্ডে ফলের দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন:ঘেরের পানির ওপর মাচায় ঝুলছে রসালো তরমুজ
মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, ক্ষেতের মালিকানা হাতবদল ও অতিরিক্ত চাহিদা তরমুজের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হবার অন্যতম কারণ। জেলায় কেজি হিসেবে নয় পিচ হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ এর ব্যাতিক্রম করলে অভিযোগ পাওয়া মাত্র তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করল হাইকোর্ট
সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি না হয়েও রিট দায়ের করায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দকে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, শখের বশে কোনো মামলা (রিট) করবেন না। এ ধরনের রিট করলে খারিজ করে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে। জরিমানা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
রাজধানীতে সম্প্রতি এক নারী ডাক্তারের সাথে এক ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে রিট ও লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন।
তখন আদালত বলেন, মিস্টার আকন্দ আপনি শখের বশে মামলা করবেন না। চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় রিট করার আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) আপনার নেই। এটা আগেই বলেছি। এ ধরনের রিট রিজেক্ট করলে বড় অঙ্কের জরিমানা (হেভি কস্ট) দিয়ে রিজেক্ট করব। প্রস্তুত থাকবেন।‘
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এর আগে সোমবার লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এই আইনজীবী। রিটে চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগ এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মামুনুর রশিদ ও সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া ওইদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
এদিকে গত ২৫ এপ্রিল জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। দুটি রিটই দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
আলোচিত বিষয় নিয়ে রিটকারী আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত বছরের ১২ অক্টোবর ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় গুরুতর আদালত অবমাননা হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন আপিল বিভাগ।
এ ঘটনায় তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে তাকে তিন মাসের জন্য আইনপেশা থেকে বরখাস্ত করেন আদালত। এছাড়া এর আগে রিট করে জরিমানাও গুণেছেন এই আইনজীবী।
বগুড়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরি, দুই কারাখানায় জরিমানা
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় লাচ্ছা কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার শেখাহার নামক স্থানে দুটি লাচ্ছা সেমাই কারখানায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া সুলতানা ও মো. আশরাফুর রহমান।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ: ঢাদসিকের অভিযানে ১৩ মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা
বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জানায়, অভিযান পরিচালনাকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, হ্যান্ড গ্লাভস না পরা, মাথার ক্যাপ পরিধান না করা এবং মেঝেতে ময়দার খামি বানাতে দেখা যায়।
ভ্রাম্যমান আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এর মধ্যে সিয়াম লাচ্চা সেমাই ১৫ হাজার টাকা, নাইম রিমন লাচ্ছা সেমাই ৬০ হাজার টাকা।
তথ্য গোপন করে বারবার করোনা পরীক্ষা করায় দম্পতিকে জরিমানা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে একাধিকবার করোনা পরীক্ষা করায় বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝোটন চন্দ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা নিবাসী অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীকে এই জরিমানা করা হয়। ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুর রহমান (৩৬)। তিনি প্রাইম ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর নাম তাইয়েবা আক্তার মিলা (২৬)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ফরিদপুরের বোয়ালমারী শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান (৩৬) ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা (২৬) গত ৫ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান। একদিন পর রিপোর্টে স্ত্রী মিলা করোনা শনাক্ত হন। কিন্তু হাফিজুর রহমানের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: করোনা: ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে আরও ৪ জনের মৃত্যু
এরপর গত ৮ এপ্রিল হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাদের নাম পাল্টে যথাক্রমে রিপন খান ও নিলা বেগম নামে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করান। ওই টেস্টে উভয়েরই করোনা শনাক্ত হয়। এরপর আবার ওই দম্পতি ২১ এপ্রিল নিজেদের প্রকৃত নামে অর্থাৎ মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা নামে করোনা টেস্ট করান।
এবারও তাদের করোনা পজিটিভ আসে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান গত কয়েক দিনে মো. হাফিজুর রহমান ও রিপন খানের মোবাইলে ৮-১০ বার ফোন দিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত হন যে হাফিজুর রহমান ও রিপন খান একই ব্যক্তি।
তথ্য গোপনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দকে বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার আঁধারকোঠায় হাফিজুর রহমানের নিজ বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ওই দম্পতিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝোটন চন্দ বলেন, তথ্য গোপন করে বারবার করোনা পরীক্ষা করান মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী। তারা দু’জনেই স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনকে হয়রানি করেছেন।
স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ: ঢাদসিকের অভিযানে ১৩ মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের আওতায় আরোপিত বিধিনিষেধ তদারকিতে শুক্রবার ছুটির দিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকায় একযোগে ৬ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঢাদসিকেরঅঞ্চল ১, ২ ও ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) পাশাপাশি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করেন।
অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে হোটেলে বসিয়ে খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অনুমোদন ছাড়া দোকান খোলা রাখার দায়ে মোট ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় মোট ৩৩ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঢাদসিকের অঞ্চল-১ এর আনিক মেরিনা নাজনিন রাজধানীর সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি ২৭, পান্থপথ, সোনারগাও রোড, বেইলী রোড ও মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ধানমণ্ডি ২৭ এ বিকেল ৩টার পরেও একটি চশমার দোকান খোলা রাখায় ৩ হাজার টাকা, বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়ায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে ১ হাজার টাকা এবং বেইলি রোড এলাকায় অনুমোদনবিহীন ফুটপাতের ওপর জিলাপি বিক্রি করায় এ-ওয়ান বেকারিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে ৩টি মামলা দায়ের ও নগদ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো’র তত্ত্বাবধানে ফকিরাপুল বাজার, মুগদা কাঁচাবাজার, ওয়াসা বাজার ও মান্ডা মেইন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরায় ১০ ব্যক্তিকে সাময়িক সময় আটকে রেখে পরবর্তীতে তাদেরকে মাস্ক পরিধান করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় শারীরিকভাবে অক্ষম এমন আরও কয়েকজনকে মাস্ক দেয়া হয়। এছাড়াও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখায় প্রায় ১০০ ব্যক্তি ও দোকানকে সতর্ক করা হয়।
অঞ্চল -৬ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার নগরীর নন্দী পাড়া বাজার এলাকায় আজ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং লকডাউনে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন: ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা নির্জন
এদিকে ঢাদসিকের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-৬ এর ডেমরা, সারুলিয়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ও বনশ্রীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় ৩টি মামলার মাধ্যমে ৭ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন।
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, ডেমরা, কোনাপাড়া, শনির আখড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ করে বেলা ৩টার পরেও দোকান খোলা রাখা, হোটেলে বসিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা, সরকার ঘোষিত অনুমোদিত দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকান খোলা রাখায় আদালত ৫টি মামলা দায়ের এবং সর্বমোট ১৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবীর ত্রপা অঞ্চল ৩ এর আওতাধীন মৌলভীবাজার, চকবাজার ও ইসলামবাগ বাজার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় ২টি মামলা এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে লকডাউনের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করার লক্ষে মাইকিং করা হয়। এছাড়াও অভিযানে বিনা প্রয়োজনে অযথা বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়।
লকডাউনের তৃতীয় দিন: উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা খুলনায় এখনো সচেতনতার অভাব
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে খুলনা জেলা ও খুলনায় অভিযানে ২৭টি মামলায় ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার খুলনা জেলা ও খুলনা মহানগরে মোবাইল কোর্টের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়া বলেন, আমাদের টিমটি সোনাডাঙ্গা বয়রা এলাকায় কাজ করছে। অধিকাংশ মানুষ সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাঠে মাঠে সোনালি ধান কাটার উৎসব
নগরীর ব্যস্ত ময়লাপোতা মোড়ের যানবাহনগুলো চলছিল স্বাভাবিকভাবেই। এমন সময় সাইফুল ইসলাম ব্যবসায়িক কাজে বের হন মোটরসাইকেল নিয়ে। কোন রকম মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি নেই। মোটরসাইকেলে দু'জন যাত্রী। ঠিক এ সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম হাজির। টিমের সামনেই পড়তেই মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তাকে জরিমানা করা হয় ৫০০ টাকা।
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ব্যস্ততার কারণে মাস্ক পরার কথা মনে ছিল না।'
নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, 'এটা আসলে আমার সচেতনতার ঘাটতি ছিল। এখন থেকে আর এটা হবে না।'
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু
শুধু সাইফুল ইসলামই নয়, যাদেরকে জরিমানা করা হয় তাদের সবার একই ধরনের বক্তব্য 'ব্যস্ততার কারণে আমি মাস্ক পরতে পারি নাই অথবা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছি না।'
এর আগে, খুলনা মহানগরীতে দ্বিতীয় দফায় দেয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মোট তিনটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা জেলার নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।
এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহবান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে প্রচারণা চালানো হয়। 'সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮' এবং 'দন্ডবিধি, ১৮৬০' এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে কঠোর লকডাউন
খুলনা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম. রাসেল ইসলাম নূর।
তিনি বলেন, খুলনা উচ্চ ঝুঁকির থাকার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। যাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই মাস্ক পরছেনা অথবা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার ও এপিবিএন সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
লকডাউন: সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ জনকে জরিমানা
সিরাজগঞ্জে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় তিন দিনে ৪৬ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ নিয়ে জেলায় ৫৩৯ জনকে জরিমানা করা হলো।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে মাস্ক পরিহিত না থাকা, লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, কারণ ছাড়া বাইরে বের হয়ে জটলা পাকানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
এসব মামলায় ৪০ জনকে বিভিন্ন পরিমাণে মোট ১৩ হাজার ২০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিরাজগঞ্জে ডেইরি বাংলা ফুডের ২ লাখ টাকা জরিমানা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পৌর শহরের দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ডেইরি বাংলা ফুডস লিমিটেডে দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির রাখার দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রায় দেড় হাজার কেজি দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডেইরি বাংলা ফুডস লি. দীর্ঘদিন ধরে দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছে।
শাহজাদপুর পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।