করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে খুলনা জেলা ও খুলনায় অভিযানে ২৭টি মামলায় ১৩ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার খুলনা জেলা ও খুলনা মহানগরে মোবাইল কোর্টের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়া বলেন, আমাদের টিমটি সোনাডাঙ্গা বয়রা এলাকায় কাজ করছে। অধিকাংশ মানুষ সচেতনতার অভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাঠে মাঠে সোনালি ধান কাটার উৎসব
নগরীর ব্যস্ত ময়লাপোতা মোড়ের যানবাহনগুলো চলছিল স্বাভাবিকভাবেই। এমন সময় সাইফুল ইসলাম ব্যবসায়িক কাজে বের হন মোটরসাইকেল নিয়ে। কোন রকম মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি নেই। মোটরসাইকেলে দু'জন যাত্রী। ঠিক এ সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম হাজির। টিমের সামনেই পড়তেই মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তাকে জরিমানা করা হয় ৫০০ টাকা।
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ব্যস্ততার কারণে মাস্ক পরার কথা মনে ছিল না।'
নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, 'এটা আসলে আমার সচেতনতার ঘাটতি ছিল। এখন থেকে আর এটা হবে না।'
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু
শুধু সাইফুল ইসলামই নয়, যাদেরকে জরিমানা করা হয় তাদের সবার একই ধরনের বক্তব্য 'ব্যস্ততার কারণে আমি মাস্ক পরতে পারি নাই অথবা স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছি না।'
এর আগে, খুলনা মহানগরীতে দ্বিতীয় দফায় দেয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মোট তিনটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫৩ মামলায় ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা জেলার নিজ নিজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)।
এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহবান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে প্রচারণা চালানো হয়। 'সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮' এবং 'দন্ডবিধি, ১৮৬০' এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে কঠোর লকডাউন
খুলনা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম. রাসেল ইসলাম নূর।
তিনি বলেন, খুলনা উচ্চ ঝুঁকির থাকার পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। যাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই মাস্ক পরছেনা অথবা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার ও এপিবিএন সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।