রিমান্ড আবেদন
মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও উখিয়া থানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
আদালতে সোপর্দ করা দুজন হলেন উখিয়া কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম, রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ।
পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে শুক্রবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। এছাড়া উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্জুর মোর্শেদ বলেন, শওকত উল্লাহকে ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৩ বছর আগে
সাতক্ষীরায় ৪ খুন: নিহত শাহিনুরের ভাই গ্রেপ্তার, রিমান্ড আবেদন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের দুই সন্তানসহ চারজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত শাহিনুরের আপন ভাই রায়হানুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সিআইডি পুলিশ।
৪ বছর আগে