বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন
ভারতে পাচার হওয়া ৭ তরুণী দেশে ফিরলেন
প্রায় দুই বছর পর ভারতে পাচার হওয়া সাত বাংলাদেশি তরুণীকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা তরুণীরা হলেন- যশোরের শিরিনা বিশ্বাস, কুড়িগ্রামের আঞ্জুমান সুমি, ফরিদপুরের মৌসুমি আক্তার, চট্রগ্রামের রিয়া আক্তার, শ্রীপুরের সোহাগী আক্তার মিম, খাগড়াছড়ির জাকিয়া আক্তার ও সুনামগঞ্জের সুমা আক্তার। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে এসব তরুণীদের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থার হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
পাচারের শিকার তরুণীরা জানান, ভালো কাজ দেয়ার নাম করে তাদেরকে সীমান্ত পথে ভারতে নেয় দালালরা। পরে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরছে তারা।
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রাম অফিসার এ.বি.এম. মুহিত হোসেন জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে এসব তরুণীরা দুই বছর আগে ভারতে যায়। পরে তাদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে।
খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। এরপর রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের উপহার `লাইফসাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স’ বেনাপোল বন্দরে
তিনি জানান, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে নিরাপত্তার কথা ভেবে তরুণীদের যশোর গাজীর দরগায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদেরকে আইনি সহায়তাসহ কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
৩ বছর আগে
ভারত থেকে ১৩০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে সোমবার সকালে আট ট্রাকে করে ১৩০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যার মূল্য দেড় কোটি টাকা।
সোমবার বিকালে বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিস্ফোরকের চালানটি দিনাজপুরের উদ্দেশে নেয়া হবে।
এর আগে রবিবার রাতে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এ বিস্ফোরক দ্রবের চালানটি বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ চালানের কাগজপত্র বন্দর ও কাস্টমসে দাখিল করেছেন এএস ইন্টারন্যাশনাল নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল
এএস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার আল আমিন জানান, বিস্ফোরকটির চালান খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করা হয়েছে। কাস্টমসের কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেয়া হবে। পরে ট্রাকগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
বন্দর সূত্র জানায়, এক লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৬ ডলার মূল্যে ১৩০ মেট্রিক টন ওজনের বিস্ফোরক দ্রব্য দিনাজপুর মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ভারত থেকে আমদানি করেছে। যার মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৫৩ লাখ ২ হাজার ৫৮২ টাকা। এদিকে এর আগে গত ১৪ মার্চ ৮ ট্রাকে ১১১ মেট্রিকটন ও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১০ ট্রাকে ১২০ মেট্রিক টন বিস্ফোরক আমদানি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড খননকাজ পরিচালনার জন্য ভারতের নাগপুর থেকে এই বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
কারাভোগের পর ভারতে থেকে ফিরলেন নারীসহ ৩ বাংলাদেশি
ভারতে দুই বছর কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এক নারীসহ তিন বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ রবিবার রাতে তাদের হস্তান্তর করে।
ভারতফেরতরা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর থানার জরিপডাংগী গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার গঙ্গানগর গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে এলাহী মিয়া (৫৫) ও খুলনার দিঘলিয়া থানার আলী মোল্লার মেয়ে তাছলিমা আক্তার (২১)।
আরও পড়ুন: ২ বছর কারাভোগ শেষে ভারত থেকে ফিরল ৮ নারী
ফেরত আসা এলাহী মিয়া বলেন, অভাব অনটনের সংসারে দেশে কাজ না পেয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারত যাই। ভারতের রাজস্থানে রাজমিস্ত্রির কাজ করাকালে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের ২ বছরের সাজা প্রদান করেন। দুই বছর কারাভোগ শেষে আরোয়া ডিটেক্টর নামে একটি শেল্টার হোমে ৬ মাস থাকার পর রবিবার দেশে ফিরেছেন।
তাছলিমা জানান, তার বোন দীর্ঘ দিন ভারতে থাকে। তার মাধ্যমে তিনি চোরাইপথে ভারতে যান। মুম্বাই পুলিশের কাছে ধরা পড়ে কারাভোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে ফিরল ৩০ বাংলাদেশি
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে এরা বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারতে পাড়ি জমায়। সেখানে কাজ করার সময় তারা আটক হয়। উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল বলেন, ‘সোমবার ফেরত আসা তিনজনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এরপর যদি কোনও এনজিও সংস্থা গ্রহণ করে, তাহলে তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তা না হলে, নিজ উদ্যোগে তারা বাড়ি ফিরে যাবে।’
৩ বছর আগে
২ বছর কারাভোগ শেষে ভারত থেকে ফিরল ৮ নারী
ভারতে দুবছর কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আট নারী দেশে ফিরেছেন।
৩ বছর আগে
করোনা: ভারত থেকে ফিরে বেনাপোলে বিপাকে শতাধিক যাত্রী
করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জটিলতায় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছে ক্যানসার রোগীসহ শতাধিক পাসপোর্ট যাত্রী।
৩ বছর আগে