কৃষিমন্ত্রী
আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করতেছি।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন চাষীরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলতেছে গাড়ি আসেনি বা কোন কারণে আজকে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলে না থাকলেও কিছু দাও, তখন চালাকি করে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি, সবাই বলে আমাদের এখানে সারের কোন সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের লোক থাকতে পারে, সেটাও আমরা দেখছি। খুব শক্তভাবে, কঠোরভাবে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটা বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি।
আগস্টে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
জিয়া এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সমাজের সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিল এবং দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সেচ ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভক্ত করে গিয়েছেন। সে না থাকলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এছাড়া জিয়া ছিলেন ক্ষমতালোভী। তার কোন আদর্শ ছিল না। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ প্রবেশ করে নি।
তিনি বলেন, তিনি আরও বলেন, দেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জামায়াত, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী সারা দিন কামনা করছে দেশ যেন দেউলিয়া হয়ে যায়। দেউলিয়া হলে অরাজকতা সৃষ্টি করে তারা আবার ক্ষমতায় আসবে এই তাদের কামনা। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিন্টু খানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সংসদ সদস্য শাহাদারা মান্নান এবং কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
এছাড়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিসিএস (কৃষি) এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম, বর্তমান সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সারা দেশ থেকে আগত ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে সারের কোন সংকট নেই। সংকট সৃষ্টিকারীদের ক্ষমা করা হবে না।
মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব ডিলার কারসাজি করে সারের দাম বেশি নিচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আমাদের কাছে দ্রুত নাম পাঠান। এদের লাইসেন্স আমরা অবশ্যই বাতিল করব। এসব অসাধু ডিলারদের আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিব না।’
বুধবার দুপুরে যশোর পিটিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কৃষি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন:তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
প্রয়োজনের চেয়েও সারের মজুদ বেশি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে মোট উন্নয়ন বাজেট ছিল ২২ হাজার কোটি টাকার মতো। সেখানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গতবছর শুধু সারেই ভর্তুকি দিয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বিএনপি জামাতের আমলে সারের মূল্য ৯০ টাকায় নিয়ে ঠেকিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসেই সারের মূল্য কমিয়ে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এনেছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে সারের মূল্য বাড়ানো হয়নি।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদেরকে তদারকি জোরদার ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতো বিশাল অংকের ভর্তুকির সার কোনক্রমেই যাতে কৃষক ভাইদের বেশি দামে কিনতে না হয়।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষ এখন বাংলাদেশের মতো উন্নত হতে চায়। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তায় অনেক ভালো আছে, তবুও একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রতিদিন সকালে তারা ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতা দেখে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। তারা চায় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাক। সারা পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। এর মাঝেও বাংলাদেশ ভালো আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মূল্যস্ফীতি থেকে দেশকে রক্ষায় সরকার কাজ করছে। দ্রব্যমূল্যের সাময়িক উর্ধ্বগতি কষ্ট দিলেও এটা স্থায়ী না।
মন্ত্রী বলেন, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ সবাই বলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক ভাল অবস্থানে আছে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। তাছাড়া, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং কয়েকদিন আগে বিশ্বব্যাংক বলেছে খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকেও দেশ অনেক ভাল অবস্থানে আছে।কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ডিএইর মহাপরিচালক বেনজীর আলম, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন:কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,সারের কোন ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত সারের মজুদ রয়েছে। আমরা এখন আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছি। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী অনেক চতুর। তারা আমনের উৎপাদন কমবে জেনে ইতোমধ্যে চাল মজুদ করছে। সেজন্য বাজারে চালের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান ও গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভোগ্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি, মানুষ কষ্টে রয়েছে। যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি খুব খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৌসুম। খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে এবছর আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বিদ্যুত থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেজন্য আমন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।
তিনি বলেন, গতকাল কেবিনেটে এ পরিস্থিতি নিয়ে অলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি আগস্টের পরে ধান রোপণ করলে উৎপাদন কমে যাবে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচের কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এ সিদ্ধান্ত তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) পালন করবে।
২৮টি ফসলের ভবিষ্যত চাহিদা ও যোগান নিয়ে স্টাডির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,এ ধরনের স্টাডি খুবই প্রয়োজন। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাল ও গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান থাকলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন করা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে।
এসময় স্টাডিকে আরও সঠিক করার নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অধীনে দেশের বিশিষ্ট কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকের নেতৃত্বে নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের (কৃষি অর্থনীতিবিদ) সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা দলের মাধ্যমে এ স্টাডি পরিচালিত হয়। ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে ফসলের (খাদ্য শস্য) অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও যোগানের ঘাটতি/উদ্বৃত্ত প্রাক্কলন করতেই মূলত স্টাডিটি করা হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য গ্রহণের তালিকা ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। দানাদার খাদ্য থেকে সিংহভাগ ক্যালোরি গ্রহণ করলেও মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার অনেক কমে গেছে। ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালোরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ যা ২০১০ সালে হ্রাস পেয়ে ৮৩ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৮০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে।
১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০২১ সালে হ্রাস পেয়ে ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে এবং আগামী ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে হবে যথাক্রমে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ। গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিলো ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০৩০ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ যা অব্যাহত থেকে ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাবে।
পড়ুন: বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
চালের উৎপাদন ও যোগানে বিষয়ে বলা হয়, ২০৩০ সালে মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে (বীজ, প্রাণি ও মৎস্য খাদ্য, শিল্প, অপচয়, ইত্যাদি) চালের মোট চাহিদা হবে ৩৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ৪২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন। বর্তমান উৎপাদন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে আগামী ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ চালের মোট যোগান হবে যথাক্রমে ৪৩ দশমিক ২ এবং ৫৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন।
আগামী কয়েক দশক দেশের কৃষি উৎপাদন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সেচের পানির অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ধান উৎপাদন ব্যাপক ব্যাহত হবে। এটি মোকাবিলায় অধিক উৎপাদনশীল নতুন ধান প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা অত্যাবশ্যক- যাতে মোট উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা যায়। আশা করা যায়, দীর্ঘমেয়াদে নতুন ধান প্রযুক্তি পাওয়া যাবে এবং কৃষক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক অবস্থা বিবেচনায় ২০৩০ ও ২০৫০ সালে উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ১২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি (বিরূপ আবহাওয়া, উৎপাদন উপকরণ সংকট, ইত্যাদি) সৃষ্টি হলে ২০৩০ সালে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন চালের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার।
আরও পড়ুন: দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতেই দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী
দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে। এ অবস্থায় সার নিয়ে কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি দামে বিক্রি করলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি হলো জনগণ। জনগণের সমর্থন নিয়েই বার বার ক্ষমতায় এসেছে, সরকার পরিচালনা করছে। কোন বিদেশি শক্তি বা রাষ্ট্রের ওপর আওয়ামী কখনই নির্ভরশীল নয়, তাদের কাছে ধর্নাও দেয় না।
আরও পড়ুন:তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
অন্যদিকে বিএনপি সবসময়ই অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখনও ক্ষমতায় আসার জন্য তারা বিদেশি প্রভু ও রাষ্ট্রের কাছে ছোটাছুটি করছে, ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বক্তব্য দেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল।
বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মো. হামিদুর রহমান, ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সাবেক সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদসহ বিশিষ্ট কৃষিবিদরা বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, সারে গত বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এ বিশাল ভর্তুকি দেয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পিছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার আমরা করেছি। খুনীদের অনেকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তবে পাঁচজন আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে পারলে ষড়যন্ত্রের খেলা এ দেশে কমবে।
আরও পড়ুন:বিএনপি সরকারকে সরাতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যের জন্য কোনক্রমেই বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতি অস্থিরতায় তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু দেশটাকে তো আমরা চরম বিপর্যয়ের দিকে ঢেলে দিতে পারি না। এর জন্য সরকার দায়ী না। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ যারা বাধিয়েছে তারা এর জন্য দায়ী। আজকে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি একটা অস্থিরতার মধ্যে চলে গিয়েছে। এ অস্থিরতা মোকাবিলা করার জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।’
রবিবার কুমিল্লায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন উন্নয়ন (বিএডিসি) অফিস প্রাঙ্গণে ফলদ বাগান, সৌরশক্তি চালিত ডাগওয়েল ও ড্রিপ সেচ প্রদর্শীর প্লট স্থাপন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে মোকাবিলার শক্তি আ’লীগের আছে: কৃষিমন্ত্রী
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তেলের দাম যাতে কমে যায়, যাতে করে আমরা শ্রীলঙ্কার অবস্থায় না পড়ে একটা সহনশীল অবস্থানে থাকতে পারি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে বাংলাদেশেরও কমানো হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষি সেক্টরে কিছুটা প্রভাব ফেলবে, কিন্তু তাতে কিছু করার নেই।
এসময় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএডিসির গ্রেড-১ এর চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহসহ কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষি সেক্টরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে শনিবার ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস তার কর্মসূচির সময়সূচি বিস্তারিত জানায়নি।
মন্ত্রী ওয়াং রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং একই দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সফর থেকে আলাদা হতে চলেছে। আমি এই মুহূর্তে আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব না, কারণ এখনও শেষ মুহূর্তের আলোচনার ওপর অনেকগুলো বিষয় নির্ভর করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠকে (৫-৬ আগস্ট) যোগদান শেষে কম্বোডিয়া থেকে শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ওয়াংয়ের সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাঁচ-সাতটি হতে পারে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, পরিকল্পিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ‘গভীর ও বিস্তৃত’ এবং দুই দেশ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছে আরও জোরালো ভূমিকা চাইবে।
বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থান দিয়েছে। সংকট আলোচনা ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন-এই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ আবার চীন থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে কি না এক সাংবাদিকের করা এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এবার নতুন করে ঋণ নেয়ার বিষয়টি নেই।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্কটের মধ্যে এই সফর কী বার্তা দেবে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরের অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘন্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। ‘এবার, তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন।’
ওয়াং ১৯তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, স্টেট কাউন্সিলর ও স্টেট কাউন্সিলের লিডিং সিপিসি মেম্বারস গ্রুপের সদস্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতেই দাম বৃদ্ধি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে যাচ্ছি। তাই ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের দাম বৃদ্ধি ও মজুদসহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডিএপি সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ও মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ডিএপির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভেবেছিলাম ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমবে, কিন্তু কমে নি।
আরও পড়ুন: খাদ্যের জন্য কোনক্রমেই বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইউরিয়া সারের বর্তমান ব্যবহার কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমিয়ে ইউরিয়ার ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। এতে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, বরং উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। একইসাথে, কৃষকের খরচও কমবে। এটি করতে হলে আমাদের কৃষক ভাইসহ সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়ার আমদানি ব্যয় ৮১ টাকা, টিএসপি ১০৮ টাকা, এমওপি ১০৬ টাকা এবং ডিএপিতে ১২৩ টাকা। এর ফলে বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়া ৫৯ টাকা, টিএসপি ৮৬ টাকা, এমওপি ৯১ টাকা এবং ডিএপিতে ১০৭ টাকা।
তিনি বলেন, এছাড়া নন ইউরিয়া সার (টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) বছরে ব্যবহার হয় ৩২ লাখ টনের বেশি। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে চারগুণ বেড়েছে, কিন্তু দেশে আমরা দাম বাড়াই নি। কাজেই, ইউরিয়া সারের কেজিতে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে ফসলের উৎপাদনে তা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় বড় ক্ষতি হবেনা, মোকাবিলার ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যের জন্য কোনক্রমেই বিদেশের ওপর নির্ভরশীল থাকা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি কর্মকর্তাদের দ্রুত খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খাদ্যের জন্য বিদেশের ওপর কোনক্রমেই নির্ভরশীল থাকলে হবে না। আন্তর্জাতিক বিশ্ব খুবই নির্দয় ও নিষ্ঠুর; দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে তাদের মধ্যে কোন মানবতাবোধ, গণতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ কাজ করে না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ‘শস্য রপ্তানির’ একটি চুক্তি হয়েছে; কিন্তু নানা অজুহাতে সেটি এখনও কার্যকর হয়নি। এরকম অস্বাভাবিক বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে না পারলে, টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ বরেন্দ্র অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এ সময় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, দ্রুত চালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্রি ২৮সহ পুরোনো জাতের ধানের পরিবর্তে নতুন উদ্ভাবিত বেশি উৎপাদনশীল জাত ব্রিধান ৮৯, ৯২, ১০০সহ নতুন জাতগুলো কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিন ও জনপ্রিয় করুন। এ জাতগুলোর ফলন বিঘাতে ৩০ মণের বেশি হয়। এগুলো চাষ করলে চালের উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ান সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই মুহূর্তে দেশে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ। অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। এ অবস্থায় এই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করতে হবে, যান্ত্রিক করতে হবে, আধুনিক করতে হবে। উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিকে দ্রুত মাঠে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হবে: কৃষিমন্ত্রীড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে ডলারের সংকট নেই, তেলের সংকট নেই, সারেরও সংকট নেই। কিন্তু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীসহ যারা চায় সরকারের তাড়াতাড়ি পতন হোক, দেশে খাদ্য সংকট হোক, অর্থনৈতিক বিপর্যয় হোক, তারাই এটি বলে বেড়াচ্ছে। তারা স্বপ্ন দেখছে, এসব সংকট হলে আন্দোলন করে ক্ষমতায় আসবে বা সরকারের পতন হলে অগণতান্ত্রিক অনির্বাচিত সরকারের উপদেষ্টা ও মন্ত্রী হবে। আমি মনে করি, তারা গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের শত্রু।কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার,ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।কর্মশালায় বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি ও উচ্চ উৎপাদনশীল ধানের জাত চাষের মাধ্যমে তেল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা ও করণীয় বিষয়ে ৫ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষি কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।পরে বিকালে নগরীর একটি হোটেলে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ‘কৃষি সেক্টর রূপান্তরে বিনিয়োগ’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফল উৎপাদনে বিশ্বে সফলতার উদাহরণ বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী
আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
আগামী মাসে আরেকটি বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
দেশে আগামী মাসে (আগস্টে) আরেকটি বন্যা হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর এবং কৃষি সবসময়ই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। সাম্প্রতিক বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জসহ ১২টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগস্টে আরেকটি ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছে, এটি একটি রুটিন কাজ। আমরা ব্যাপক পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। একইসাথে, নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) ধান চাষে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে কৃষিখাতে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে বন্যা, খরা, সাইক্লোনসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিকীকরণ করা, যাতে কৃষকের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে। সেলক্ষ্য সরকার কাজ করছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিযন্ত্র অনেক ব্যয়বহুল, ৯০ শতাংশ যন্ত্র আমদানিনির্ভর। এসব কৃষিযন্ত্র আমরা দেশে উৎপাদন করতে চাই। পিপিপি এখানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে।
বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে তাদেরকে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, পলিসিসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া, বর্তমানে ডাল, তেলসহ যেসব কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়, তা উৎপাদনে ৪ সতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সকল কৃষিপণ্যে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, চাল আমদানির ফলে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। ‘বাজার স্থিতিশীল রাখতেই সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, চাল আমদানির আমাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টার্গেট আছে। সেই পরিমাণ চাল দেশে এসে গেলে আমদানি বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা প্রতিদিনই নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় একত্রে কাজ করছে। কাজেই চাল আমদানির ফলে দেশীয় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থা প্রধান এবং কৃষি-শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী