কৃষক
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরা সদরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মনিরামপুর গ্রামে এ হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আতর মোল্লা (৪৫) মনিরামপুর গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের মামলায় মৃত্যুর একমাস পর কবর থেকে বাবার লাশ তুলে ময়নাতদন্ত!
নিহতের স্বজনরা জানান, এলাকার একটি বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সালিশ বৈঠকে স্থানীয় গ্রাম্য মাতবর আব্দুল মান্নান ও অপর গ্রাম্য মাতবর মুরাদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তা নিয়ে সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে ইফতারের আগে আতর মোল্লাকে তার বাড়ির কাছে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সন্ধ্যার পর মাগুরা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আতর মোল্লা গ্রাম্য মাতবর আব্দুল মান্নানের সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
মাগুরা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আতর মোল্লার মৃত্যু হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক বিরোধের সঙ্গে নতুন করে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়েছেন আতর মোল্লা।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১১
মাগুরায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
মাগুরার মহম্মদপুরে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর কালিশংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুল ইসলাম মোল্যা (৩০) একই গ্রামের হাসান মোল্যার ছেলে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানান, জমিজমা নিয়ে ওসমান মাতুব্বরের সঙ্গে তার স্বামীর বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে তিনদিন আগে প্রতিবেশি ওসমান মাতুব্বরের গোয়াল থেকে একটি গরু চুরি হয়। এই ঘটনায় আরিফুলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ আনা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় সালিশ হয়। তখন দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আরিফুল মাছ ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওসমান মাতুব্বরসহ চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আরিফের তিন ভাইসহ কয়েকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
নিহত আরিফুলের স্ত্রীর দাবি করেন, তিনি গরু চুরির সঙ্গে জড়িত নন, জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
ওসি জানান, হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। এখনও কেউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার
মাগুরায় দুই দলের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১০
মাগুরায় দুই দলের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত ও অপর ১০জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় কালিশংকরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক আরিফুল ইসলাম (৪০) কালিশংকরপুর গ্রামের অলী হাসানের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাক চাপায় মুক্তিযোদ্ধা নিহত
মহম্মদপুর থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার জানান, বালিদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত রবিউল ইসলাম ও গোলজার ইসলামের সমর্থিত লোকদের এলাকায় নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় কালিশংকরপুর গ্রামে উভয় দলের সমর্থৃকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে আরিফুল ইসলাম প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, আহতদের মাগুরা সদর ও মহম্মদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট শুরু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এই ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
সাভারে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে নিহত ৩
মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতে মতলব উত্তরে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকালে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মুক্তিপল্লী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষক রেহান উদ্দীন (২৩) উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মুক্তিপল্লী গ্রামের জোহর উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ফসলের মাঠে কৃষক রেহান উদ্দীন কাজ করছিলো। বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রাপাতে রেহান উদ্দীন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা রেহানকে অজ্ঞান অবস্থায় দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডিউটি ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের মুক্তিপল্লী গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রেহানের বিধবা স্ত্রী ও ছোট একটি বাচ্চা রয়েছে।
এছাড়া তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
বজ্রপাতে তিন জেলায় নারীসহ নিহত ৩
১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রমজান মাস। কিন্তু তার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি (আইপি) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে রমজানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৫ মার্চের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে কোনও অনুমতি দিবে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
এছাড়া আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে গেলে ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হবে।
অন্যদিকে সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাব ফেলে সরকার ও ভোক্তাদের ওপর। কিন্তু এবার রমজানে দাম বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ ভারতে এবার পেঁয়াজের ফলন বেশি হওয়ায় সেখানে দাম তুলনামূলক অনেক কম।
তিনি বলেন, দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে এখনও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে এবং দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রমজানে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এখন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ঠিক এই সময়েই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রমজানে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে আমদানিকারকদের ভারতে ১০ হাজার পেঁয়াজের এলসি করা আছে।
এছাড়া, ১৫ মার্চের পর আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভোক্তাদেরও রমজানে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রমজান মাসে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা দরকার। আর যদি আমদানির অনুমতি বন্ধ করতে হয় ঈদের পর বন্ধ করা যেতে পারে। তাহলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত থেকে রেহাই পাবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব অনুমতি পত্র (আইপি) দিয়েছে এবং যেসব আইপি দেয়া হচ্ছে সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
যদি নতুন করে আইপি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা না আসে তাহলে এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ ২৪ টাকা আর দেশিয় পেঁয়াজ ২৬ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভারতীয় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
শৈবাল: সুন্দরবন উপকূলে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কৃষকদের
সামুদ্রিক শৈবাল বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাব্যতা যাছাই চলছে। সফলতাও পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে নতুন আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সংলগ্ন খুলনার কয়রায় ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সামুদ্রিক শৈবাল চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে সফলতা পায় সরকারের কৃষির উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।
বর্তমানে সামুদ্রিক শৈবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। ফলে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় চাষ সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে পারলে নতুন আয়ের দুয়ার খুলবে।
শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালীর মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় দু’বছর আগে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরে বীজ দিয়েছিল। এখানে আমরা ৩০ জন চাষ করি। তেমন কোন কষ্ট নেই। মাঝেমধ্যে রশিতে আবর্জনা বাধলে ছাড়িয়ে দিতে হয়। দুই রকম বীজ দিয়েছিল। এর মধ্যে বারি ১ খুব ভালো হয়।
তিনি আরও বলেন, শৈবাল কাঁচা অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে স্যারেরা প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে কিনে নেয়। আমি এ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকার শৈবাল বিক্রি করেছি। বড় আকারে চাষ করতে পারলে তেমন কোনো পরিশ্রম ছাড়াই বেশ আয় যোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন: শাবি অধ্যাপকের উদ্ভাবন: স্থলজ পরিবেশে হবে সামুদ্রিক শৈবাল
খুলনার কয়রা উপজেলার টেপাখালী গ্রামের বাসন্তী মুন্ডার বলেন, নোনা পানির মাছের ঘেরের মধ্যে রশি টানিয়ে শৈবালের বীজ বেঁধে রেখে দেই। এই শৈবাল পানি থেকে সরাসরি পুষ্টি নিয়ে বাড়ে। এদের কোনো মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল বা ফল হয় না। এটা দেখতে সেমাইয়ের মত।
তিনি বলেন, সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি বীজসহ যাবতীয় উপকরণের ব্যবস্থা করেছে।
একই উপজেলার ছয় নং কয়রা গ্রামের গোলাম মোস্তফাও মৎস্য ঘেরের মধ্যেও একইভাবে শৈবাল চাষ করছেন।
তিনি বলেন, পানির এক ফুট নিচ দিয়ে শক্ত রশি টানটান করে টানানো হয়েছে, বাঁশের সঙ্গে রশি বাঁধা রয়েছে। সেই রশিতে ১৫ সেন্টিমিটার পরপর শৈবালের বীজ বেঁধে দেয়া হয়। কোনো পরিচর্যা ছাড়াই বড় হয়। পরে আমাদের কাছ থেকে স্যারেরা নিয়ে যাচ্ছে। শুনেছি এগুলো অনেক কাজে লাগে, মানুষেও খায়।
পরীক্ষামূলক সামুদ্রিক শৈবাল চাষ চলছে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জের পালবাড়িওতে। সুন্দরবন উপকূলের প্রায় শতাধিক চাষির ঘেরের নোনাপানির নিচে রশিতে দুলছে নতুন স্বপ্ন।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কয়রার (এমএলটি সাইট) সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, কৃষকদের উৎপাদন ভালো হচ্ছে। যা উৎপাদন হচ্ছে সেটা শুকিয়ে রেখে দেয়া হচ্ছে। বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে পারলে কৃষকরা আরও আগ্রহী হবে এবং লাভবান হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবেষ দাস (উবনবংয উধং) বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ল্যাবরেটরির আওতায় স্বল্প পরিসরে একটি গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এখনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল মানুষের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি গুড়া করে হারবাল পণ্য হিসেবে মানুষ ব্যবহার করতে পারে। প্রসাধনী তৈরিতেও এটির গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়া কৃষিক্ষেত্রে এটির ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। শুকিয়ে পাউডার হিসেবে মাটিতে ব্যবহার করলে মাটির পুষ্টি ধারণ ও পানি শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, লবণাক্ততার প্রভাব কমাবে।
এছাড়া ক্ষতিকর ব্যাকটোরিয়া যেগুলো ফসলে রোগ সৃষ্টি করে সেটা নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
আরও পড়ুন: রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান
ভোলায় সরিষা আবাদে লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক
কৃষি কাজ করেই চলে মো. তাজুল ইসলামের সংসার। তিনি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। তার দিগন্তজোড়া সরিষাখেতে দুলছে থোকায় থোকায় সরিষা। আর কিছুদিন পরই খেতের সরিষা ঘরে তুলবেন তিনি।
কৃষি বিভাগ থেকে সরকারিভাবে দুই কেজি বীজ পেয়েছেন এবং আরও দুই কেজি কিনে এ বছর দেড় একর জমিতে অগ্রহায়ণ মাসে সরিষা আবাদ করেন।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
এতে তার প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তার আশা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এমন প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলার হাজির হাট বুড়ি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার কৃষক মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, গত বছর সরিষা আবাদ করে খুব অল্প সময়ে তার ৩৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর আবারও সরিষার আবাদ করেছেন। আগামী বছর তিনি আশা করছেন দুই একর জমিতে আবাদ করবেন। তার মতো এলাকার আবদুল খালেকসহ বহু কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। কাঁচা সরিষা ফুলের মন জুড়ানো দৃশ্যে যেমন হাসি ফুটেছিল কৃষকের মুখে, তেমনি ভালো ফলন আসায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের মতে, ভোলা জেলার সাত উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সয়াবিন তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার দুইশ’কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে ভোলা জেলায় পাঁচ হাজার আট শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। আর উৎপাদন হয়েছিল আট হাজার ১২০ মেট্রিকটন।
লাভজনক ফসল হওয়ায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার কৃষক সরিষা আবাদ করেছে। এ বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ হাজার আটশ’হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা জানায়, ভোলা জেলায় সাধারণত বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বারি-১৮, বিনা সরিষা-৯, বিনা সরিষা-৪ জাতের আবাদ বেশি করা হয়।
আমন ও বোরো ধানের মাঝামাঝি সময়ে চাষ হওয়া সরিষা জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। সরিষার পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানের পুষ্টি জোগান দেয়। বীজ রোপণের পর থেকে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
প্রথম দিকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ ছাড়া তেমন পরিশ্রমও হয় না সরিষা চাষে। তাই স্বল্প সময়ে চাষ সম্ভব বলে অনেক চাষিই সরিষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ভোলার পূর্ব ইলিশার গুপ্ত মুন্সি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পারভেজ মিজি তার সরিষা খেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, তিনি গত ৮/১০ বছর ধরে সরিষা আবাদ করছেন। এ বছর ৬ গন্ডা জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। পাঁচ মণ সরিষা হয়েছে। তিনি ১৮ হাজার টাকায় বিক্রিও করেছেন। তার ১০/১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
উল্লাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খেতে পানি দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দুর্গাপুর তেঁতুলিয়া গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আব্দুল মোমিন (৩২) ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
জানা যায়, শনিবার সকালে আব্দুল মোমিন নিজেদের জমিতে বৈদ্যুতিক পাম্পে পানি সেচ দিতে মাঠে যায়। পরিবারের লোকজন দুপুরে তার জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়ানো অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চরফ্যাশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
চরফ্যাশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
ভোলার চরফ্যাশনে নিজের জমির আলুখেতে মটর দিয়ে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) উপজেলার মিয়াজানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইউসুফ খলিফা (৪০) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াজানপুর গ্রামের মোজাফল খলিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণ ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত
চর মাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, র্দীঘ দিন ধরে ইউসুফ খলিফা চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের মিয়াজানপুরে কৃষি কাজ করে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইউসুফ তার আলুখেতে মটর দিয়ে পানি দিচ্ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত তিনি।
পরে স্থানীয় কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানে দুপুরের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. মুরাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রাজাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
মতলবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কৃষকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সুমন দাশ শিশির (৫৫) নামে এক কৃষকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ত্রিপুরা সুন্দরী এলাকা বাটানা পাহাড়ের ঢাল সংলগ্ন কৃষি জমি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ সুমন দাশকে গুলি করে হত্যা করেছে।
নিহত কৃষকের সুমন দে শিশির রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড লক্ষীছড়া গ্রামের দুর্গাচরণ দে’র ছেলে। তবে সুমন দাশের আদি বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নে থাকতেন। সেখানে কৃষিকাজ করে চলতেন। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
এলাকাবাসী জানায়, পাহাড়ের জমিতে সবজি ও পান চাষ করার কারণে রাতে সেখানেই থাকতেন সুমন। তবে রাতে অবস্থান না করার জন্য সন্ত্রাসীরা তাকে একাধিকবার হুমকি-ধামকি দিয়ে সতর্ক করেছিল।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, আজ সকালে ওই জমিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, কপালের মাঝখানে একটি গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি গুলি করে কেউ হত্যা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাবারের খোঁজে ৩ তলা ভবনে গন্ধগোকুল!
কক্সবাজারে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চট্টগ্রামে স্বামী আটক