ভূমি অধিগ্রহণ
চাঁবিপ্রবি’র প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল
নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কারণে অবশেষে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভূমি অধিগ্রহণ বাতিলের বিষয়টি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এদিকে জোর করে দখল করা জমিগুলো ফেরত চাচ্ছেন মালিকরা। এসব জমি সদরের ৩ খেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে বহরিয়া এলাকায়।
ওদিকে দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি বতর্মান শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে এই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭০ জন। এরা তিন ব্যাচের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া গ্রামে চাঁবিপ্রবি’র জন্য ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের আলোচিত বালু খেকো সেলিম খানের বিরুদ্ধে। এরা অনেক পরিবারকে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। এছাড়া জমির বাজার দরের চাইতে কম দাম দেওয়া হয়েছে তাদের। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চাঁবিপ্রবির উপাচার্য পদ থেকে নাছিম আখতারকে অব্যাহতি
ভুক্তভোগী জমির মালিক কালু খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় করার নামে আমার কাছ থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক নিয়ে নেয় সেলিম। আমি জমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেয়। দাম হয়েছে ৩৭ লাখ, দিয়েছে ১২ লাখ। আমার জমি ফেরত চাই।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. কাজল ও হাবিবুর রহমান বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান দীপু মনির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে। কিন্তু এখনতো আর বিশ্ববিদ্যালয় হলো না। আমাদের জমি আমরা ফেরত চাই। এলাকার বহু পরিবারকে নিজবাড়ি থেকে চলে যেতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য বহু বসতভিটা ও ফসলি জমি বালু দিয়ে ভরাট করেছে। ওইসব জমি এখন পড়ে আছে।
প্রায় তিন বছর যাবত চাঁদপুর শহরের ওয়াবদা (পানি উন্নয়ন বোর্ড) খলিশাডুলি এলাকায় চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের পাশেই ভাড়া বাড়ির ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সিয়াম ও নিহাল বলেন, দীপু মনি ও তার ভাইয়ের দুর্নীতির কারণে ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল করে দেয়। যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যবস্থাসহ জমি বরাদ্দ দেওয়া হোক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আমি চাঁদপুরে যোগদানের পূর্বেই অধিগ্রহণ প্রস্তাব বাতিল করা হয়। যে স্থানে ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে তা বাতিল করা হয়েছে। ওই জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি।
আরও পড়ুন: উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ না করায় চাঁবিপ্রবির প্রধান ফটকে তালা
৩ সপ্তাহ আগে
ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমে প্রায়ই অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়: ভূমি উপদেষ্টা
ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ে প্রায়ই অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হন। সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কেউ ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত বা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ না পান।
আরও পড়ুন: অসঙ্গতি দূর করতে জেন্ডার বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৪৪তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের অধীন সেতু নির্মাণে উচ্চতা সঠিকভাবে নির্ধারণ না হওয়ায় বর্ষায় পানির গভীরতা বেড়ে গেলে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হয়। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, শিল্পায়ন ও বসতবাড়ি নির্মাণে দেশের কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এজন্য নির্মাণ কাজে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে ভূমির সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া তিনি প্রকল্প গ্রহণে জলাশয় ভড়াট না করা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
৩ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ
বাগেরহাটের রামপালে খানজাহান আলী বিমান বন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপুরণ বাবদ চেক বিতরণ করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে