পুলিশ
পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা: চট্টগ্রাম বন্দরে ২ ঘণ্টা পণ্য খালাস বন্ধ
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে মজুদকৃত বিপজ্জনক সেই রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হবে ছাতকে
চট্টগ্রাম বন্দরের এক একর ভূমি উদ্ধার
পুলিশের সাথে দুই ক্রেন অপারেটরের অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠা-নামা দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
বুধবার রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৬ শতাধিক ক্রেন অপারেটর এক যোগে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ জানান, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে নেতাদের অনুরোধে রাত ১০টার দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বন্দরে কাজ শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন বন্দর ক্রেন অপারেটর সোহাগ। পথে ইপিজেড জামান হেটেলের সামনে পুলিশের এসআই আনোয়ার মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র, লাইন্সেসসহ মোটরসাইকেল জব্দ করে। লকডাউনে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় কেন বের হয়েছে জানতে চাইলে সোহাগ বন্দরের কাজ শেষে ফিরছেন বলে জানালেও পুলিশ অফিসার অনোয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান সোহাগ। একইভাবে নীমতলা বিশ্বরোড এলাকায় অপর এক ক্রেন অপারেটকে থাপ্পড় মারেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এসব ঘটনার প্রতিবাদে এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে সকল ক্রেন অপারেটর বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দর ক্রেন অপারেটর উইন্সম্যান বহুমুখি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ বলেন, ‘আমরা বন্দরের পরিচালক ট্রাফিকের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পুলিশ আমাদের দুই অপারেটরের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এবং আমাদের একজন নেতা থানায় গেলে তাকে পুলিশ আটক করার হুমকি দেয়। এ কারণে অপারেটররা কাজ বন্ধ করে দেয়।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ দিন পর জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
তিনি বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমরা ৩ দফা দাবি পেশ করেছি। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে লকডাউন চলাকালে শ্রমিকদের একটি পাস ইস্যু করতে হবে। মালিক পক্ষের কাজ হলে মালিকরা যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে বা যাতায়াত খরচ দিতে হবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন।
আট দিনের লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার ভোর থেকে সিলেট নগরীর সকল প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে নগরীর রাস্তাঘাট যানবাহন ও জনশূণ্য রয়েছে। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সকালে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অতি প্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল, রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় বের হচ্ছেন তারা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে করলে পুলিশ যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদেরকে। সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, জিন্দাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্প সংখ্যক মোটর সাইকেল চলাচল করছে। বেশিরভাগ মোটর সাইকেল লকডাউনের আওতামুক্ত জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কর্মীদের। এছাড়া অনলাইনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নিয়েও কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন।
লকডাউনের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব ধরণের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও ফার্মেসিতেও ক্রেতাদের ভিড় নেই।
এ সময় মাঠে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
তারা জানান, সিলেট নগরীতে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় নেই। আন্তজেলা সড়ক-মহাসড়কেও কোনো যানবাহন চলছে না। লকডাউন অমান্য করে এখন পর্যন্ত কাউকে বাসার বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
এদিকে, শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাতেও কঠোরভাবে লকডাউন মানছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
রাজশাহীতে কোটি টাকার হেরোইনসহ ট্রাক জব্দ
রাজশাহীতে কোটি টাকা মূল্যের এক কেজি হেরোইনসহ পাথর বোঝাই একটি ট্রাক জব্দ করেছে মহারগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার রাতে মহানগরীর সিটি হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাকের ভেতর থেকে ৯টি প্যাকেটে এক কেজি হেরোইন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে হেরোইনসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
এ সময় শহিদুল ইসলাম (৩৩) নামের ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়। শহিদুল জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার উজানপাড়া এলাকার মৃত নাইমুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক ২
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, গ্রেপ্তার ট্রাক চালক জেলার গোদাগাড়ি থেকে হেরোইনগুলো পাথর বোঝাই ট্রাকে তুলে নেয়। এরপর ট্রাকটি সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে মহানগরীর সিটি হাট এলাকায় ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে এক কেজি হেরোইনসহ ট্রাক চালক শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ আটক ১
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল, সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরে চোর সন্দেহে ‘গণপিটুনিতে’ নিহত ১
ফরিদপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনির শিকার ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। তবে এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ঘটনার শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করার জন্য তার হাতের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপিটুনীতে সন্দেহভাজন দুই চোরের মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অনেকদিন ধরেই ওই এলাকায় খাবারের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর চুরির ঘটনা ঘটছিল। গত সোমবার ওই এলাকার দিলীপ বিশ্বাস ও তার ভাই আনন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে হলুদের গুড়ার সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় বাড়ির কেউই ওই খাবার খায়নি।
দিলীপ বিশ্বাস ইউএনবি প্রতিনিধিকে জানান, রাত দেড়টার দিকে বাড়ির লোকজন দরজায় টোকা দেয়ার শব্দ শুনে চিৎকার করলে, তাদের সাহায্যে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। ওই সময় পলায়নরত দুই-তিনজন ব্যক্তির একজনকে ধরে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ‘গণপিটুনিতে’২ ডাকাত নিহত
খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে মারাত্মকভাবে আহত ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
ফরিদপুর সদর সার্কেলের সরকারি পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দলও ঘটনা তদন্তে কাজ করছে।
কুড়িগ্রামে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ৩
কুড়িগ্রামে এক আইনজীবীসহ তিন মাদক সেবনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাত পৌনে ২টার দিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন আলমগীর হোসেন এবং তার সহযোগী আসাদুজ্জামান সবুজ ও মোস্তাক হোসেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে হেরোইনসহ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ আটক
আলমগীর হোসেন পৌর এলাকার প্রফেসর পাড়ার মৃত ওসমান গণির ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সহকারী পিপির দায়িত্বও পালন করেছিলো বলে জানায় পুলিশ।
অপর আসামি আসাদুজ্জামান সবুজ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ এলাকার মৃত মাহবুব জামান তোতার ছেলে এবং মোস্তাক হোসেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার এলাকার মৃত নাজমুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হেরোইনসহ আটক ১
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার গভীর রাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মূল ফটকের কাছ থেকে এই তিন জনকে মাদক গ্রহণ করা অবস্থায় আটক করা হয়। এদের তল্লাশি করে ১০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। এদের মধ্যে সবুজ পেশাদার মাদকসেবী। তাকে এর আগেও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। আর আলমগীর হোসেন নিজেকে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬৫ লাখ টাকার হেরোইনসহ আটক ২
কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘গভীর রাতে হিরোইন সেবন করার সময় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলমগীর নামের একজন নিজেকে আইনজীবী দাবি করছিলেন তবে কোন কার্ড দেখাতে পারেন নি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দেয়া হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আটক ৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাড়ির সামনের একটি ড্রেন নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউপির কাজীপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আবদুর রহমান (৫০) ওই গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সামনের রাস্তার উপর ড্রেন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে প্রতবেশি আমিনুল, বেলাল ও রুবেলের সাথে আব্দুর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দেশী ধারালো অস্ত্র ও ইট দিয়ে আবদুর রহমানকে আঘাত করে। এতে আব্দুর রহমান গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে মা-মেয়ে ও ঠাকুরগাঁওয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রিজের নিচ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে ওসি জানান।
পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের ধারাল ছুরির আঘাতে বড় ভাই রবিউল আলম (৪২) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের লালগছ গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আটক ১
রবিউল আলম ওই এলাকার সারাফত আলীর ছেলে। ঘটনার পর ছোট ভাই ফিরোজ হোসেন (৩২) পালাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রবিউল আলম পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি যায়। রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে এক পর্যাযে ফিরোজ ধারাল ছুরি বের করে রবিউলকে এলোপাতাড়ি জখম করে। রবিউল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। রবিউলের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ফিরোজ পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন
পুলিশ আরও জানায়, পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা দ্রুত রবিউলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাউসার আহমেদ রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ফিরোজ তার ভাইকে মেরে পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সালথায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ৮
লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গুজবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ জনতার বিভিন্ন সরকারি স্থপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগ সভাপতির ওপর হামলা, আহত ১৫
সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জমান জানান, উক্ত ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র
তিনি আরও জানান, সালথা থানার এসআই মিজানুর রহমান এই মামলা করেন।
পুলিশ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সালথায় আ’লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২১ পুলিশ আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার মার্কাজ পাড়া এলাকায় বাসের সাথে পুলিশের পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখী সংঘর্ষে ২১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছয়জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে (শহর বাইপাস) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ: ২৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২১
আহতরা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মো. মকবুল হোসেন, পরিদর্শক মো. বেলায়েত হোসেন, এএসআই জহিরুল ইসলাম, কনস্টেবল সৈকত, রায়হান, ওমর ফারুক, সুজন, হাসিবুল, সুমন, নাছিম, রানা, আলামিন, বিল্লাল, হৃদয়, শরিফুল, রাব্বি, শাকিল, পারভেজ, শাহনেওয়াজ বুলবুল, ইকরাম, পিকআপের চালক বিল্লাল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে জেলা পুলিশের রিকুজিশন করা পুলিশবাহী দুটি পিকআপ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ঘাটুরা-কাউতলী, ভাদুঘর-পৈরতলা-বিরাসার এলাকায় পেট্রোল ডিউটি পালন করার সময় বিপরীত দিকে থেকে আসা ইকোনো পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে একে পুলিশবাহী দুটি পিকআপ ভ্যানকে আঘাত করে। এতে চালকসহ পুলিশের ২১ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে পুলিশের এসআই জখম
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল রেজা জানান, ইকোনো পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি অন্যায়ভাবে তার সাইড লাইন অতিক্রম করে পুলিশবাহী দুটি পিকআপ ভ্যানকে আঘাত করে। এতে ২১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘাতক বাসটি জব্দ ও এর চালক ইউসুফ আলীকে (৩৫) আটক করেছে।
মামুনুলের পক্ষে ফেসবুক লাইভ: কুষ্টিয়ার সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দেয়া পুলিশের সেই এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার সকালে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, রবিবার এএসআই রাব্বানীকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এএসআই রাব্বানী কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহারের আগের দিন তিনি ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গুণকীর্তন করেন এবং সাংবাদিকদের চরম বিষোদগার করেন। পুলিশ কর্মকর্তার ওই লাইভটি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
ফেসবুক লাইভে এসে এএসআই গোলাম রাব্বানী বলেন, 'কালকে মোবাইলে দেখলাম মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও। যে ভিডিওতে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন। সেখানে আমার প্রশ্ন হলো যে অধিকাংশ সাংবাদিকরা সেখানে তাকে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আপনাকে এই অধিকার কে দিয়েছে? আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? কোন সাংবাদিকদের যদি জানা থাকে এই ধরনের আইনসঙ্গত বিষয় আমি তো পুলিশে চাকরি করি। আমার এটা জানা নেই। কিন্তু ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। সে যদি তার স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেত। তিনি (মামুনুল হক) একজন আলেম মানুষ। তাকে একটা ষড়যন্ত্রমূলক এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণটা কি? ওনার মতো একজন আলেম এই ধরনের কাজ করবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। ওনার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে আর আপনি ভিডিও টিডিও করে দিয়া ওনারে ব্যাভিচারিনী বানাচ্ছেন, এগুলো ভণ্ডামি বাদ দেন। বাংলাদেশের যে মিডিয়াগুলো আছে আপনারা অধিকাংশ বদমাশ।'
সাংবাদিকদের তিনি ভণ্ড বলেও অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি শেখ সেলিমের
তিনি বলেন, `এই বাংলাদেশে অনেক নাস্তিকরা বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম তুলে দেবে। এই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না কেন? কোন জারজ সন্তান সে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম সংসদ থেকে তুলে দেবে। সংসদের আর সদস্যরা চুপ করে বসে থাকে, পুলিশ বাহিনী চুপ করে থাকে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা চুপ করে থাকে। তাদের ভেতরে কি আল্লার কালাম নাই? বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম তুলে দেবে? তাদের ভেতর আল্লাহর কালাম থাকলে সবাই সবার পক্ষ থেকে কথা বলত। আমাদের মুখ বন্ধ।'
আরও পড়ুন: সিলেটে হরতালে হেফাজত-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, আটক ৫
এব্যাপারে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন জানান, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছে- এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।