টাকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম ও টাকাসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম ও জাল টাকাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা মূল্য মানের জাল টাকা, জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি (স্ক্যানার সংযুক্ত কালার প্রিন্টার, প্রিন্টারের পাউডার কালি, জাল নোট তৈরির জন্য ব্যবহৃত সাদা কাগজ, হার্ড ড্রাইভ, কি-বোর্ড, মাউস, মাল্টি ফ্লাগসহ ইলেকট্রিক ক্যাবল, এন্টি কাটার এবং খালি জারিকেন ইত্যাদি) জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
এসব মালামালসহ গ্রেপ্তারদের বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে জাল নোট প্রস্তুতকারী ও বাজারজাতকারী চক্রের সদস্যরা জাল নোট প্রস্তুত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জাল টাকা প্রতারণামূলকভাবে বাজারজাত করে আসছে। এই চক্রের সদস্যরা অল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় আসল টাকার ভেতর জাল টাকা মিলিয়ে লেনদেন করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব গোপন সংবাদে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কামালমোড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার
নাটোরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
স্বর্ণের ভরিতে কমল ৮৪০ টাকা
চলতি এপ্রিলে কয়েক দফায় স্বর্ণের দাম ভড়ি প্রতি মোট ৪ হাজার ৫৬০ টাকা বাড়ানোর পর মাত্র ৮৪০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম কমানোর নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় (বাজুস।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাজুস সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
এর আগে গত বুধবার বাজুস জানিয়েছিল, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, যা এ যাবৎকালের মধ্যে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। চলতি এপ্রিলে বাজুস এ পর্যন্ত তিনবার (৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম বাড়ানোর রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
শনিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্সের বাজার মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। এছাড়া প্রতি ভরি স্বর্ণ ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
সর্বজনীন পেনশন স্কিম: ৬ মাসে ১৯,১৫৮ জনের ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জমা
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পে (ইউপিএস) বিভিন্ন খাতের মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আকর্ষণীয় প্রস্তাব দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ (এনপিএ)।
এ লক্ষ্যে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীসহ প্রবাসী, বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের মধ্যে সুবিধাগুলোকে তুলে ধরা, তালিকাভুক্তির সহজ প্রক্রিয়া ও সুবিধা প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে এনপিএ।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এই প্রকল্প জনগণের সাড়া কম পাওয়া প্রসঙ্গে এনপিএ'র সদস্য (সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে) ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, জাপান ও কোরিয়ার মতো বিভিন্ন উন্নত দেশ ১৯৬০ সালে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে। এত বছর পর সেসব দেশে সর্বজনীন পেনশন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে।
‘আমাদের এত সময় লাগবে না। সর্বজনীন পেনশনের বিষয়ে ওই দেশগুলোর অভিজ্ঞতা আমরা দেখেছি,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'শুরুর দিকে তাদেরও আমাদের মতো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি মনে করি, সেসব দেশের তুলনায় অনেক আগেই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আমরা সফল হব।’
আরও পড়ুন: সুরক্ষা স্কিম: স্ব-নিযুক্ত বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে রেজিস্ট্রেশন করবেন
তিনি বলেন, প্রায় ৬ মাসে ১৯ হাজার ১৫৮ জন ইউপিএসে যুক্ত হয়েছেন এবং এ পর্যন্ত প্রায় ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ফান্ডে জমা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা বলেন, এনপিএ জনগণের আমানত রক্ষায় অত্যন্ত সচেতন। এ তহবিল থেকে সরকার কোনো ঋণ নিতে পারবে না।
বরং ‘আমরা ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করি, যেখানে বিল ও বন্ডে বিনিয়োগের আয় নিশ্চিত হয়। ফলে এই তহবিল নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো শঙ্কা-দ্বিধা থাকবে না।’
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট বহুল আলোচিত অভিন্ন পেনশন স্কিমের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এই উদ্যোগ ১৮ বছরের বেশি বয়সী দেশের সমস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য। এই স্কিমের অধীন প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী নাগরিকরা ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা উপভোগ করতে শুরু করবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখনও এই আর্থিক সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন নয়। এজন্য এনপিএ প্রবাসীদের অংশগ্রহণ আরও সহজ করতে চায়। পাশাপাশি দেশের মানুষের মধ্যে ইউপিএস প্রচারে আকর্ষণীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনে উৎসাহিত করতে তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: সমতা স্কিম: স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যেভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিম-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন
জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ নির্দেশনা দেয়। উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য সব ব্যাংকের এমডিদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকার সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা চক্রে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। সরকারের এ উদ্দেশ্য পূরণে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
তাই বেসরকারি ব্যাংকের এমডিদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পাশাপাশি সরকারি পেনশন স্কিমে ব্যাংক হিসাবের উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পেনশন স্কিমে বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত এবং পেনশন আয়ের ওপর কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পেনশন স্কিম: প্রবাসীদের আকৃষ্ট করছে না প্রবাস স্কিম
এই পর্যায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকে পরিচালিত সরকারি পেনশন স্কিমের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উৎসে কর ও আবগারি শুল্ক মওকুফ করা প্রয়োজন। বর্তমানে ব্যক্তি, কোম্পানি ও অন্যান্য তহবিল নির্বিশেষে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্থিতি অনুসারে আবগারি শুল্ক কাটা হয়।
অর্থনীতিবিদ ড. এবিএম মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, জনগণের মধ্যে আস্থার অভাব এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনের অভাবের কারণে পেনশন স্কিমের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম।
তিনি বলেন, পেনশন প্রকল্পের টাকা কোথায় বিনিয়োগ হবে, কীভাবে লাভবান হবে বা লোকসান হবে সে সম্পর্কে মানুষ এখনও সচেতন নয়।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের প্রকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ে।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনও রয়েছে, যেটির অভাব এখানে রয়েছে। তাই আগামী দিনে এই প্রকল্পের কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।’
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম: প্রথম মাসে নিবন্ধন ১৩ হাজারের নিচে
সিলেটে এক রাতেই অন্তত ২০ জনের টাকা ও মোবাইল ছিনতাই
সিলেটের ওসমানীনগরে এক রাতে অন্তত ২০ জন পথচারী ও ব্যবসায়ী একদল অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছেন। এ সময় ছিনতাইকারীদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গোয়ালাবাজার-বালাগঞ্জ সড়কের কালাসারা হাওরের সেতুর উপর ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- ওসমানীনগরের তাজপুর ইউপির হস্তিদুর গ্রামের দিলওয়ার হোসেন, পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়নের নসিওরপুর গ্রামের পাবেল আহমদ ও একই গ্রামের ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসল্লি ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় কালাসারা হাওর পাড়ে সেতুর কাছে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী বাঁশ দিয়ে পথচারী, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাত্রী ও পথচারীদের বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এ সময় ছিনতাইকারী দল একে একে প্রায় ২০ জনকে আটক করে ছিনতাই করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত, পুলিশ সদস্য আহত
ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া নসিওরপুর গ্রামের পাবেল নামের যুবক কৌশলে তার ভাইয়ের কাছে মোবাইলে কল করে জানালে অস্ত্রধারীরা তাকে গুরুতর আহত করে। ছিনতাইয়ের খবর গ্রামে পৌঁছালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে হস্তিদুর ও নসিওরপুর গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতেই ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ছিনতাইয়ের শিকার পাবেল আহমদ, দিলওয়ার মিয়া ও আলামিন জানান, আমরা বাজার থেকে যাওয়ার পথে প্রায় ৮ থেকে ১০ জনের একদল ডাকাত আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব কিছু নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে মারধর করে। অনুমান ১৫ থেকে ২০ জন লোককে আটক করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি হস্তিদুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আজির উদ্দিন বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে হস্তিদুর ও নসিওরপুর গ্রামের লোকজন এসে প্রায় ১৫ জনের হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে উদ্ধার করি এবং রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠাই।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে একাধিক অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, ১০ যাত্রী আহত
গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরকে দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশপাশি এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছর তিন মাস কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় শিশু হত্যা মামলায় দুই শিশুর ১০ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে মামলাটি দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম অফিস।
দণ্ডিত মো. ইফতেখারুল কবির ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের চট্টগ্রাম ও আর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যাংকিং প্রায়োরিটি ম্যানেজার ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাদী-বিবাদী পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আদালত সাজার রায় ঘোষণা করেছে। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ও.আর. নিজাম রোড শাখার ফজিলাতুন্নেসার নামে এক গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকার ভুয়া এফডিএ দেখিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো. ইফতেখারুল কবিরের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এক বিশেষ মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, বর্তমানে ই-কমার্স প্লাটফর্মটি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে গ্রাহকদের হারানো অর্থ ফেরত দিতে তার প্রতিষ্ঠান খুব বেশি সময় নেবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তা অধিকার শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ মোবাইল কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমসিএ) এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি বলেন, ইভ্যালি বর্তমানে যেভাবে কাজ করছে এবং মুনাফা করছে, তাতে সবাই সহযোগিতা করলে গ্রাহকদের দায় নিষ্পত্তিতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
ক্যাশ অ্যান্ড ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে ইভ্যালির ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে রাসেল বলেন, যেখানে পণ্য পাওয়ার পর গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করবেন। এই অর্থ সরাসরি পণ্য সরবরাহকারী কোম্পানির কাছে যাবে। সেখান থেকে সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
বিএমসিএ'র মতে, বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের বাজার প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ই-ক্যাবের সচিব আবদুল ওয়াহেদ তমাল, মহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় স্বাধীন থিংক-ট্যাংক সিপিডি।
সিপিডি জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তহবিল লুণ্ঠন করা হয়েছে।
সিপিডি উল্লেখ করেছে, বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য ব্যবসায়িক সংগঠন ও ব্যক্তিদের করা বেশ কয়েকটি অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। যার ফলে বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থের অপব্যবহার হয়েছে, যার পরিমাণ হাজার হাজার কোটি টাকা।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিপিডি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি বড় অনিয়মের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন সংকলন করেছে, যার পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকারও বেশি।’
আরও পড়ুন: কয়লা-এলএনজি'র ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকার: সিপিডি
মহেশখালীতে জেলের জালে ১৬৯টি পোপা মাছ, দাম হাঁকছেন ১ কোটি টাকা
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মোজাম্মেল নামে এক জেলের জালে ১৬৯টি পোপা মাছ ধরা পড়েছে। এগুলোর দাম হাঁকা হচ্ছে এক কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মহেশাখালী ধলকাটা মালিকানাধীন এফবি মোজাম্মেল ফিশিং ট্রলারের জেলেদের জালে ১৬৯টি মাছ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার মাছ
এরপর শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ট্রলারটি মহেশখালী জেটি ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছগুলো দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। ট্রলার থেকে মাঝি-মাল্লারা পোপা মাছগুলো ফিশারি ঘাটে নিয়ে আসেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত।
ট্রলারের মালিক মোজাম্মেল বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায় ট্রলারটি। সাগরে জাল ফেললে জালে ধরা পড়ে ১৬৯টি পোপা মাছ। তবে মাছগুলোর ওজন মাপা হয়নি।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মাছের দাম হাকা হয়েছে এক কোটি টাকা। এ পর্যন্ত মাছগুলো দাম উঠেছে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভালো দামে বিক্রির আশায় মাছ ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে নিয়ে যাওয়া হবে।
মহেশখালী উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারহান তাজিম বলেন, এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি। এই মাছের বায়ুথলী দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিকাল সুতা তৈরি করা হয় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। পোপা মাছের বায়ুথলী বেশ মূল্যবান বলে এই মাছের দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়কালে ভুয়া পুলিশ আটক
মাদারীপুরের রাজৈরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় শাহিন শেখ নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহিন শেখ উপজেলার বৌলগ্রামের শাহ আলম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে একাধিক লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিলেন শাহিন।
এসময় বিষয়টি সাধারণ মানুষের সন্দেহে হলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিচয় দানকারী শাহিন শেখকে আটক করে।
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, আটককৃত শাহিনের কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি-ডাকাতির মামলাসহ বিভিন্ন ধরনের একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
যশোরে লাঠির আঘাতে নারীর মৃত্যু, প্রেমিক আটক
মাগুরায় ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ: আটক ১
মাগুরায় ঘর দেওয়ার কথা বলে দরিদ্রদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার মাগুরা সদরের সিতারামপুর গ্রামে টাকা উত্তোলনের সময় সন্দেহ হলে প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে পড়ে।
প্রতারক চক্রের মাঠকর্মী ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন, ১০ সিএনজি-গাড়ি ভাঙচুর
আটক নারীর নাম ঋতুপর্ণা (১৮)। তার বাড়ি সদর উপজেলার শ্রীকুন্ডি গ্রামে। তবে ঘটনার মূল হোতা মনিরুল পালিয়ে গেছেন।
সিতারামপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী রাবেয়া, রাশেদা, জানান, সম্প্রতি সপ্তাহখানেক আগে ব্র্যাকের মাঠকর্মী পরিচয় দিয়ে এক নারী এসে নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মানুষকে তাদের নিজ জমিতে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া সহ গরু-বাছুর দেওয়ার কথা জানায়।
সদরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সাবিনা আক্তার জানান, ঘর নির্মাণ ও গরু-বাছুর দেওয়ার কথা বলে সাফি, জামেনা, জোসনাসহ গ্রামের প্রায় ৫০ জনের কাছ থেকে ঘরের ৫৮০ টাকা, গরু-বাছুরের ১৮০ টাকা করে আদায় করে নেন ওই নারী।
আগামী সংসদ নির্বাচনের পর পরই যাচাই-বাছাইসহ বাকি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে বলে তাদের জানায়। পার্শ্ববর্তী সত্যপুর গ্রামেও ঘটেছে একই ঘটনা।
এদের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীর অধিকাংশই গ্রামের দরিদ্র নারী।
অভিযুক্ত ওই নারী এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা আত্মসাতে নিজের সম্পৃক্ত থাকার কথা এড়িয়ে ব্র্যাকের ম্যানেজার পরিচয় দানকারী জনৈক মনিরুল নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। এই কাজের জন্য তাকে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ঋতুপর্ণা জানান, দেড় মাস আগে পারনান্দুয়ালী এলাকার মনিরুল ব্রাকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে এই কাজে নিয়োজিত করেন। এরপর থেকে গ্রামে গিয়ে মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা তুলে মনিরুলের হাতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, দুপুর ২টার দিকে সদরের সীতারামপুর গ্রামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায়ের সময় গ্রামবাসীর সন্দেহ হলে স্থানীয় ব্র্যাক অফিসে খোঁজ নিতেই প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তিনি আরও জানান, পরে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী তাকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের জমির পর্চার কাগজসহ নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে।
তিনি জানান, এই ঘটনায় জড়িত প্রতারক চক্রে অন্যতম মনিরুলসহ অন্যদের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: মাগুরা-১ আসনে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন সাকিব
মাগুরায় স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে