সোনারগাঁও
সোনারগাঁওয়ে ২৩৮৯২ ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মনির হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)।
এ সময় মনির হোসেনের কাছ থেকে ২৩ হাজার ৮৯২ ইয়াবা ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
শুক্রবার (২১ জুন) রাতে আষাড়িয়ার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার (২২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।
মনির হোসেন রূপগঞ্জের চনপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পেশাদার মাদকবিক্রেতা বলে জানান। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৯৮০০ ইয়াবা জব্দ, আপন দুই বোন গ্রেপ্তার
শেরপুরে ইয়াবা জব্দ, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
৪ মাস আগে
সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামীসহ আটক ২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ভট্টপুর এলাকায় সালমা বেগম নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে এলাকার পার্শবর্তী পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই রিপন খান বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিহতের স্বামী রূপচান ও তার ভাই সুলতানকে আটক করে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাই, এসআইসহ আটক ২
নিহতের বড় ভাই রিপন খান বলেন, তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে রূপচান। হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন সাঁতার জানত। কীভাবে পানিতে ডুবে মারা যাবে?’
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ২০২২ সালে মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুবাদে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রূপচান। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তিনি বহুবার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি তার স্ত্রী সালমা জানার পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কোনো এক সময় সালমা বেগমকে তার স্বামী রূপচান শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে তার লাশ ফেলে দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তিনি পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে এলাকায় প্রচার করার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহত ওই গৃহবধূর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী রূপচান ও তার ভাই সুলতানকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
৫ মাস আগে
পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, তৃতীয় শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসংক্রান্ত বিষয়সমুহ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে টেকসই নগরায়ন ও পরিবেশের সুরক্ষা সুপারিশমালাবিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনে সফলতার জন্য বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পাঠ্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়বলী যুক্ত করে ছোট থেকেই শিশুদের সচেতন করার তাগিদ হিসেবেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশমন্ত্রী এসময় পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবার অভ্যাসগত দৈনন্দিন ব্যবহার পরিবর্তনের তাগিদ দেন।
তিনি প্লাস্টিক ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বর্জ্য অপসারণে নগর সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, সরকার এককভাবে কিছু করতে পারবে না, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচনের আগে যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমন ৪৬ জন এমপিকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস ঘটনার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে
সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি, ৪ যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে চার যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
গুরুতর আহত আরও এক যুবককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনি, যুবক নিহত
রবিবার (১৮ মার্চ) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কাঁচপুর ইউনিয়নের বাঘরি গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, রবিবার রাতে বাগরি গ্রামের বিলে একসঙ্গে ১০/১২ জন যুবককে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা গ্রামে এসে জানায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের উপস্থিতির কথা প্রচার করা হয়।
এসময় আরও তিন গ্রামের বাসিন্দারা বিলের সামনে জড়ো হয়ে যুবকদের ঘিরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও একজনর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
পাবনায় গণপিটুনিতে নিহত ৩
৮ মাস আগে
বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি মনোরম জায়গা
চিরাচরিত যান্ত্রিকতায় পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে শহরের বাইরে বনভোজনে যাওয়ার সময় পাওয়া বেশ দুষ্কর। ব্যস্ততম শহর ঢাকার নিরন্তর বাড়তে থাকা ভিড়ে বেড়ানোর জায়গাগুলো সবসময়ই থাকে কোলাহলপূর্ণ। সেখানে সবুজে ঘেরা ছায়া ঢাকা পরিবেশে বা নদীর ধারে বনভোজন অসম্ভব ব্যাপার। তবে,নগরবাসীর এই চাহিদা পূরণ করতে পারে ঢাকার উপকণ্ঠে গড়ে ওঠা পিকনিক স্পটগুলো। সপ্তাহান্তের ছুটিতে দারুণ ভাবে কাটানো যেতে পারে পুরো একটি দিন। অস্থিরতার সাময়িক অবসানে একটু শান্তির নিমিত্তে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারেন ঢাকাবাসী। আর সেই পরিকল্পনার সহায়ক হতেই বনভোজনের জন্য ঢাকার কাছেই ১০টি চমৎকার জায়গার খোঁজ নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
ঢাকার কাছেই বনভোজনের জন্য ১০টি দর্শনীয় স্থান
জল ও জঙ্গলের কাব্য
বিগত কয়েক বছর ধরে ভ্রমণপিপাসুদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে গাজীপুরের পুবাইলের এই রিসোর্টটি। ৯০ বিঘা জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা রিসোর্টটি স্থানীয়দের কাছে পাইলট বাড়ি নামে পরিচিত। পুকুরে মাছ ধরা, শীতের পিঠা সহ অন্যান্য বাঙালি খাবার; সব মিলিয়ে জায়গাটির সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এক গ্রামীণ আমেজ।
আরো পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এখানকার ডে আউট প্যাকেজে বড়দের জন্য খাবারের খরচ ২০০০ টাকা। বাচ্চাদের জন্য অথবা সঙ্গে গাড়ি চালক থাকলে তাদের খরচ মাথাপিছু ১০০০ টাকা। রিসোর্টটিতে যাওয়ার জন্য গ্রুপে নূন্যতম ১০ জন থাকতে হয়। প্রতি সপ্তাহান্তেই জায়গাটি বেশ ব্যস্ত থাকে, তাই যাওয়ার আগে বুকিং দিয়ে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
উত্তরা দিয়ে টঙ্গীর রাস্তায় পূবাইল কলেজ গেট হয়ে রিসোর্টে পৌঁছানো যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক
গাজীপুরের বাঘের বাজারে অবস্থিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান এটি। সাফারি পার্কটিতে রয়েছে ৫টি সেকশন: কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, জীববৈচিত্র্য পার্ক, বিস্তৃত এশিয়ান সাফারি পার্ক ও বঙ্গবন্ধু চত্বর।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
বন্যপ্রাণীদের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সাদা সিংহ তো আছেই। এছাড়াও দেখা পাওয়া যাবে জেব্রা, হরিণ, বাইসন, ম্যাকাও, হর্নবিল, ময়ূর, হাতি, কুমির, চিত্রা হরিণ, বানর ও হনুমানের। আলাদাভাবে দৃষ্টি কাঁড়ে জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর, অ্যাকোয়ারিয়াম, হাঁসের পুকুর এবং ছোট প্রজাপতি ঘের।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বনভোজনের জন্য প্রবেশ মূল্য ৪০০ টাকা। এছাড়া জনপ্রতি ৫০ টাকা করে রাখা হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিনি খোলা থাকে সাফারি পার্কটি। ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাঘের বাজার যেয়ে বাঁ দিকে কিছুদুর গেলেই পৌঁছানো যায় এই পার্কটিতে।
সোনারগাঁও পানাম নগর
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত হওয়া বাংলাদেশের হিন্দু বণিকদের সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত এই শহরটি এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। সোনারগাঁও লোক-শিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর, গোয়ালদী মসজিদ এবং সোনারগাঁয়ের অন্যান্য আকর্ষণগুলো দেখতে দেখতে সারাটা দিন কেটে যাবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত অঞ্চলটি সপ্তাহের ৬ দিন উন্মুক্ত থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। শুধুমাত্র রবিবার বন্ধ থাকে পানাম নগর। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাত্র ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্যে এই ঐতিহাসিক স্থানটি ঘুরে বেড়াতে পারেন পর্যটকরা।
গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে মোগরাপাড়া হয়ে হাতের বাঁ দিকে কিছু দূর এগোলেই পৌঁছানো যায় পানাম নগরে।
মৈনট ঘাট
প্রমত্তা নদী পদ্মার সাগরসম রূপের জন্য স্থানীয়দের কাছে এই মৈনট ঘাট মিনি সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত। এখানে আসার পথে নবাবগঞ্জের পথে দেখে নেয়া যেতে পারে নবাবগঞ্জের জজবাড়ি, আনসার ক্যাম্প, কোকিলপ্যারি দালান, উকিলবাড়ি, খেলারাম দাতার বাড়ি বা আন্ধার কোঠার মত ঐতিহাসিক কিছু দর্শনীয় স্থান।
আরো পড়ুন: পাহাড় ভ্রমণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
লক্ষ্য যখন পদ্মার পাড়, তখন দর্শনার্থীদের সবারই মধ্যে হিড়িক পড়ে যায় ইলিশ ভাজা খাওয়ার। এছাড়া কার্তিকপুর বাজারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও বান্দুরা বাজারের চারা বিস্কুট কিনে নিতে তারা ভোলেন না।
গুলিস্তান থেকে বাবু বাজার সেতু পার হয়ে দোহারের পথে এগোলে রাস্তা গিয়ে শেষ হয় মৈনট ঘাটে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বসিলা সেতু দিয়েও ওঠা যায় দোহারের রাস্তায়।
জিন্দা পার্ক
নৌকা বাইচ, লাইব্রেরি, কৃত্রিমভাবে তৈরি খিলান-সুড়ঙ্গ এবং পদ্ম পুকুর; কোন কিছুরই ঘাটতি নেই ঢাকাবাসীদের প্রিয় জিন্দা পার্কে। পরিবারকে নিয়ে পিকনিক করার জন্য একটি আদর্শ জায়গা এই পার্কটি। ১৯৮০ সালে জিন্দা গ্রামের অগ্রপথিক পল্লী সমিতির ৫০০০ অধিবাসী দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে গড়েছেন এই অপূর্ব পার্কটিকে।
আরও পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
পার্কে ঘোরার সময় গাছের ওপর দেখা যাবে টং ঘর, মাটির ঘর, সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর লাইব্রেরি ও ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা। পার্কের লেকে নৌবিহারের জন্য সাজানো আছে ৮ টি নৌকা।
কুড়িল হাইওয়ে ধরে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত যেয়ে বাঁয়ে বেশ খানিকটা ভেতরে গেলেই পাওয়া যাবে জিন্দা পার্ক। এখানে প্রবেশ টিকেট জনপ্রতি ১০০ টাকা। লাইব্রেরির প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
আহসান মঞ্জিল
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী জমিদার পরিবারের সাক্ষী হয়ে আছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেষা এই গোলাপী প্রাসাদটি। প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পর্যটকরা যেন নিজেদের আবিষ্কার করেন প্রাচীন কোন নগরীতে।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
একসময়ের পুরনো ঢাকার সবচেয়ে উচু ভিত্তির ওপর স্থাপিত এই দালানটি ১৯৯২ সাল থেকে জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জাদুঘরটি ঘুরে বেড়াতে ২০ টাকা প্রবেশ মূল্য পরিশোধ করতে হয়। শুধু শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এছাড়া বৃহস্পতিবারসহ বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে এই দর্শনীয় জায়গাটি।
লালবাগ কেল্লা
পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত বিধায় প্রাচীন ঢাকার এই দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছে লালবাগ কেল্লা হিসেবে। মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্দান্ত এই শৈল্পিক স্বাক্ষরটি ঔরঙ্গাবাদ দুর্গ নামেও পরিচিত। তিনটি দালানে পরিবেষ্টিত দুর্গের কেন্দ্রীয় এলাকাটি। পূর্বে দিওয়ান-ই-আম ও হাম্মাম, পশ্চিমে মসজিদ। আর এই দুয়ের মাঝখানে পরী বিবির সমাধি।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
সুন্দর ফোয়ারার একটি জলধারা তিনটি ভবনকে সংযুক্ত করেছে। পুরো স্থাপনাটি অবস্থিত বুড়িগঙ্গা নদী তীরের সমৃদ্ধ লাল মাটিতে। কেল্লা রবিবার বাদে প্রতিদিনি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মাঝে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা আধঘন্টা বন্ধ থাকে। এছাড়া যে কোন সরকারি ছুটির দিনগুলোতে বন্ধ থাকে লালবাগ কেল্লা।
গোলাপ গ্রাম
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাপুরে তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত গোলাপ ফুলের এক বিস্ময়কর রাজ্যের নাম গোলাপ গ্রাম। এখানকার লাল, হলুদ ও সাদাসহ রঙ-বেরঙের গোলাপগুলো যে কোন পর্যটকের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। রাজধানীতে গোলাপ ফুল যোগানের একটি বিরাট অংশ পুরণ করে এই গ্রামটি। গোলাপের ক্ষেত্রে মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা সরু পথ নিমেষেই ভুলিয়ে দেবে শহরের যত কোলাহল।
এখানকার শ্যামপুর গ্রামে প্রতি সন্ধ্যায় বসে গোলাপের জমজমাট হাট। সেখানকার আবুল কাশেম বাজার ছাড়াও মোস্তাপাড়ার সাবু বাজারের সন্ধ্যাগুলো প্রতিদিনি মুখরিত থাকে ফুল ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। ঢাকা থেকে বিরুলিয়ায় সরাসরি বাস সার্ভিস আছে। তবে মিরপুর ১-এর দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে নৌকা ভ্রমনটি সবচেয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রা।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
ঢাকা নগরবাসীর বনভোজনের জন্য সেরা জায়গা হলো গাজীপুর। আর সেই গাজীপুরের প্রধান আকর্ষণ হলো এই ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। এখানে আছে চিড়িয়াখানা, ভাওয়ালের প্রাচীন গাছ শালের বন এবং একাধিক পিকনিক স্পট। চিড়িয়াখানায় দেখা মিলবে বাঘ, চিতাবাঘ, মেছোবাঘ, হাতি, ময়ূর ও হরিণের। থাকার জন্য আছে ১৩টি কটেজ এবং ৬টি বিশ্রামাগার। যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই বুকিং দিয়ে নিতে হবে।
উদ্যানটিতে জনপ্রতি ৫০ টাকা প্রবেশ মূল্যে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অব্দি ঘুরে বেড়ানো যাবে।
ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পেরিয়ে ময়মনসিংহ রুটে একদম ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের গেটের সামনে নামা যায়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট
বনভোজনের জন্য রিসোর্ট খুঁজতে গেলে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুরের এই রিসোর্টটি। নাট্য দম্পতি তৌকির আহমেদ ও বিপাশা হায়াত ২০১১ সালে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ করেন এই রিসোর্ট।
সবুজে ঘেরা জায়গাটিতে গড়ে তোলা হয়েছে দীঘি, ঝর্ণা, সুইমিংপুল ও কনফারেন্স হল। তাই পরিবার-পরিজন কিংবা অফিসের কলিগদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট সেরা জায়গা।
এই রিসোর্টে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তার পর ময়মনসিংহ রোড ধরে পৌঁছাতে হবে রাজেন্দ্রপুরের রাজাবাড়িতে। তারপর রাজাবাড়ি বাজার থেকে ডান দিকে চিনাশুখানিয়া গ্রাম পর্যন্ত গেলেই পাওয়া যাবে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। রিসোর্ট ঘুরে দেখতে ৫০০ টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।
আরো পড়ুন: সমুদ্রে স্নানের সময় সতর্ক থাকতে করণীয়
শেষাংশ
পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে বনভোজনের জন্য ঢাকার নিকটবর্তী ১০টি মনভোলানো স্থান শুধু একটি দিনকে স্মরণীয় করবে না; নতুন উদ্যমে কর্মব্যস্ত সপ্তাহটি শুরু করতেও শক্তি যোগাবে। এগুলোর প্রতিটি স্থানই প্রিয়জনদের নিয়ে একান্তে সময় কাটানোর জন্য একটি নিখুঁত প্রবেশদ্বার। তবে বনভোজনের পূর্বপ্রস্তুতিতে অবশ্যই সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ডগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে। সুন্দর পরিবেশকে সুন্দর রাখতে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, আনন্দের আতিশয্য যেন স্থানীয়দের বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
২ বছর আগে
সোনারগাঁওয়ে মনির হত্যা: ৪ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলোচিত মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম মো: গোলাম সারোয়ার পায়েল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও এম মাসুদ রানা।
জানা যায়, সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা মনির হোসেনকে ডেকে নিয়ে একটি মাঠে ছুরিকাঘাত করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর কচুরিপানা দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার জনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলজার হোসেন ও শাহীন। এর মধ্যে আসামি শাহীন পলাতক।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। আজ আদালত চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে দুই কন্টেইনার বিদেশি মদের চালান জব্দ
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করায় সোনারগাঁ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদেশি মদের দুটি বড় চালান জব্দ করেছে কাস্টমস হাউস।
শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ বোঝাই কন্টেইনার দুটি জব্দ করেছে।
জানা যায়, চীন থেকে মেশিনের সুতা আর ববিনের নামে দুই কনটেইনার আনা মদ আনা হয়। পরে আইপি জালিয়াতি করে বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিলেও ধরা পড়ে কাস্টমসের হাতে।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জানান, কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে ২০ জুলাই টেক্সটার্ড ইয়ান ঘোষণায় চীন থেকে আনা ১৯ হাজার ৬৫০ কেজি ওজনের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
তিনি আরও জানান, একইদিন ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা রোভিং মেশিন ববিন ঘোষণায় ২০ হাজার ৭৫০ কেজি ওজনের চালানটিও খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে ছিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ। দুইটি চালানে বিপুল পরিমাণে তরল মদ পাওয়া গেছে। আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম অপব্যবহার করে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণায় চালান দুটি খালাস করা হয়। দুটি চালানের ইনভেন্ট্রি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উচ্চ শুল্কের পণ্য হওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে এ দুটি চালানে।
গতকাল শুক্রবার বন্দর থেকে দুটি কন্টেইনার খালাসও করা হয়। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় কাস্টমসের এআইআর টিম মদভর্তি কন্টেইনার দুটি সোনারগাঁও ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে।
চালান দুটিতে কি পরিমাণ মদ রয়েছে তা গণণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় সোমবার সকালে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো.শাহজাহান শিকদার জানান, সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্রেশ কোম্পানির তিনতলা ভবনে আগুন লাগে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
আগুনের সূত্রপাত এখনও জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
পড়ুন: ফরিদপুর মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ল ১২ দোকান
যাত্রাবাড়ীতে কার্টন কারখানায় আগুন, ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
২ বছর আগে
বাম্পার ফলনের আশা সোনারগাঁও লিচু চাষিদের
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার লিচু বাগান মালিকরা গত দুই বছর করোনাভাইরাস ও লিচু মৌসুমে রমজান মাস থাকায় লিচুর ফলন হলেও বিক্রি করে তেমন লাভবান হতে পারেননি। তবে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে সোনারগাঁয়ে।
স্থানীয়রা জানান, লিচু ফল সুস্বাদু বিধায় এক সময় সোনারগাঁয়ে প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড় ও পতিত জমিতে শখের বসে লিচু গাছ লাগাতেন মানুষ। সেই লিচু পাকলে তারা নিজেরা ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠাতেন বাকিগুলো পশুপাখিরা খেতো। এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মৌসুমী ফল লিচু সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ার কারণে লিচুর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
এছাড়া সোনারগাঁয়ের লিচু দেশের জেলার অন্য এলাকার তুলনায় আগে বাজারে আসায় ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে সোনারগাঁয়ে লিচুর বাগানের চাষ করা হয়।
সোনারগাঁয়ে তিন জাতের লিচু উৎপাদন হয়। (কদমি) চায়না থ্রি, কদমি ও পাতি লিচু। এক সময় ব্যাপক হারে পাতি লিচুর বাগান ছিল। পাতি লিচুর গাছগুলোও অনেক বড় হতো। আর গাছে চারদিকে ঝুলে থাকতো থোকায় থোকায় লাল রংঙ্গের পাকা লিচু। পাতি লিচুর তুলনায় চায়না থ্রি (কদমি) লিচুর সাইজ একটু বড় ও রসালো বিধায় এখন সোনারগাঁয়ে ব্যাপক হারে কদমি লিচুর বাগান করা হচ্ছে। কদমি লিচু গাছ পাতি লিচুর তুলনায় ছোট হওয়ার কারণে এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০টি কদমি লিচু গাছ লাগানো যায়। পরিপক্ক একটি কদমি লিচু বাগান বছরে প্রায় বিঘা ৫ লাখ টাকার উপর অর্থ উপার্জন হয়। সে জন্য আগের চেয়ে দিনে দিনে সোনারগাঁয়ে লিচু বাগানের সংখ্যা ক্রমই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের লিচুর বাগানের মালিক আলমগীর জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব বাগানেই লিচুর ফলন অনেক হয়েছে। গত বছর যে বাগান এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার আশা করা যায় সেই বাগান বিক্রি হবে দুই লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।
তিনি বলেন, ‘প্রচন্ড রোদের কারণে এবার লিচু বেশি ফোলেনি।’ তবে সোনারগাঁয়ের লিচু স্বাদে ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই বাজারে এর কদর থাকে।
পড়ুন: আগাম আম পেড়ে বিপাকে সাতক্ষীরার চাষিরা
লিচু বাগানের ক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, এবার অন্যবারের তুলনায় লিচু ফলন ভালো হয়েছে। তবে অনাবৃষ্টি ও রোদের কারণে লিচু ফোলেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সোনারগাঁয়ের লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারা নিতে আসছেন। এই লিচু আগে আসে বলে দাম কিছুটা বেশি।’
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আকতার জানান, এবছর লিচুর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। শিলা বৃষ্টি ও ঝড়-তুফান কম হলে লিচুর দাম ভালো পাবেন কৃষকরা। লিচুর আবাদ আরও বাড়ানোর জন্য কৃষি অফিস কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিন জন উপসহকারী বাগান মালিকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। লিচুর মুকুল আসার পর পরই গাছের গোড়ায় পানি দেয়াসহ বাগানে কীটপতঙ্গ, মাকড়সা দূর করার জন্য বালাইনাশক স্প্রে করা সহ গাছ ও মুকুলের যত্ন নেয়ার বিষয়ে গাছ মালিকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী, জনবল নিয়ে লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাঠে কাজ করছেন।
তিনি আরও জানান, সোনারগাঁয়ে প্রায় একশ’ একর জমিতে প্রায় দুই শতাধিক বাগানে লিচুর আবাদ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে সোনারগাঁয়ে লিচু চাষ বাড়াতে লিচু চাষিদের নিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ রিয়াজুলসহ গ্রেপ্তার ৫
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলা থেকে ১৫টি মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী রিয়াজুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
তারা হলেন- রিয়াজুল ইসলাম ওরফে শুটার রিয়াজ (২২), তার সহযোগী মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে কালা ভাগিনা (২৩), মারুফ হোসেন মুন্না (২৩), মো. সেলিম (২৩) ও মো.মাহবুব মিয়া (২৩)।
বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বুধবার রাতে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩-এর একটি দল তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ গ্রেপ্তার ৬
অভিযানে তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র, একটি মোটরসাইকেল ও ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আশপাশের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তারা ওইসব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এই সন্ত্রাস গ্রুপে ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রিয়াজ হত্যাসহ ১৫টি মামলার আসামি।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা: ২৪ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
২ বছর আগে