আরএসএফ
সুদানে আরএসএফের হামলায় ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত
মধ্য সুদানে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় অন্তত ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
বেসরকারি একটি সংগঠন আবু গৌতা প্রতিরোধ কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, গেজিরা প্রদেশের আবু গৌতা এলাকার গৌজ আল-নাকা গ্রামে আরএসএফের হামলায় অন্তত ৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসীদের গ্রামে ফিরে আসতে আরএসএফ বাধা দেওয়ায় বেশ কিছু লাশ দাফন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিবৃতির মাধ্যমে তারা নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে আরএসএফের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গৌজ আল-নাকার বাসিন্দারা গ্রামে যেয়ে লাশগুলো দাফন করতে পারে।
এ হামলার বিষয়ে আরএসএফ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) গেজিরার রাজধানী ওয়াদ মাদানি থেকে সরে যাওয়ার পর এই প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আরএসএফ।
সুদানে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সহিংস সংঘাত চলছে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে। যার ফলে অন্তত ১৬ হাজার ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
৩ মাস আগে
সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ২৫, আহত ৩০
পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী আল ফাশিরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে।
উত্তর দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রধান ইব্রাহিম খাতির সিনহুয়াকে বলেন, 'সোমবার আরএসএফ আবু শৌক শিবিরের বাজার লক্ষ্য করে চারটি গোলা নিক্ষেপ করে।
আহতদের চিকিৎসার জন্য আবু শৌক এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সৌদি হাসপাতাল ও সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আল ফাশিরের প্রতিরোধ কমিটি তাদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে জানায়, আরএসএফ সোমবার আল ফাশিরের সাব-সাহারান কলেজে বোমা বর্ষণ করেছে। এতে কলেজের প্রধান হল, পরীক্ষাগার, মর্গ এবং অন্যান্য ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ হামলা নিয়ে আরএসএফের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
গত ১০ মে থেকে আল ফাশিরে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে।
এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে এসএএফ ও আরএসএফের মধ্যে মারাত্মক সংঘাত শুরু হয়। যে সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, সুদানের আনুমানিক ১০.৭ মিলিয়ন মানুষ এখন দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছে। আর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ২.২ মিলিয়ন।
৩ মাস আগে
আরএসএফ'র প্রতিবেদনে ভুল তথ্য আছে, বাস্তবতার প্রতিফলন নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) ২০২৩ সালের মে মাসে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে ভুল তথ্য আছে এবং সেখানে বাস্তবতার প্রতিফলন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আরএসএফ'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও ‘র্যাঙ্কি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংবাদকর্মীকে ছাঁটাই করতে হলে ৩ মাস আগে নোটিশ দিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরএসএফের ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন ও র্যাংকিং প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে হতাশা আছে। ওয়েবসাইটে ভুল, অর্ধসত্য ও অপর্যাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬৩তম দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবিকাশ, সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার জন্য বর্তমান সরকারের অব্যাহত উদ্যোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। দেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার অবাধ স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্রের বিপরীতে আরএসএফের মূল্যায়ন অগ্রহণযোগ্য, পক্ষপাতদুষ্ট এবং সত্যের বিচ্যুতি বলে সরকার মনে করে।
তিনি আরও বলেন, আরএসএফের ওয়েবসাইটে ছয়জন সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন, আহমেদ খান বাবু, গোলাম মোস্তফা রফিক, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং এস এম ইউসুফ আলী সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে তারা আটক হয়ে জেলে আছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী তাদের নিয়ে আরএসএফের এ দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, আরএসএফের এর প্রতিবেদনে প্রচুর ভুল, অর্ধসত্য, অসত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশকে র্যাংকিং করা হয়েছে। এ ধরণের সূচক বা র্যাংকিংকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অনেকেই আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলতে চান যে আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এ র্যাংকিং পুনর্মূল্যায়নের জন্য আরএসএফকে দাপ্তরিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপতথ্য ও মিথ্যা রোধে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইইউ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও যোগ করেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আরএসএফের বাংলাদেশ অধ্যায়ে বর্ণিত তথ্য অসম্পূর্ণ, অপর্যাপ্ত, এবং বিভ্রান্তিকর। আরএসএফ এর দাবির বিপরীতে দেখা যায় ২০০৯ সাল থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি গণমাধ্যমের চেয়ে বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল সম্প্রসারণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, গ্রামীণ জনগণের ক্ষমতায়নসহ উন্নয়নমুখী নানা অনুষ্ঠান ও সংবাদ প্রচার করে। জনকল্যাণে সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত সব উন্নয়ন কাজ জনগণের কাছেই তুলে ধরে এ দুটি সম্প্রচার মাধ্যম। ফলে সরকার ও জনগণের মধ্যে প্রতিনিয়তই সেতৃবন্ধন তৈরি করছে বিটিভি ও বেতার। অথচ আরএসএফ রিপোর্টে উল্টোভাবে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, সাইবার স্পেসকে সন্ত্রাসী, মৌলবাদী ও দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) চালু করে। তবে আইনের কিছু ধারা নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষিতে সরকার ডিএসএ বাতিল করে এর পরিবর্তে ২০২৩ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকার। এই আইনে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত মানহানি মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের পরিবর্তে আইনী তলব করার বিধান রাখা রয়েছে। আইনগত প্রেক্ষাপট নিয়ে আরএসএফের সর্বশেষ প্রতিবেদনের উদ্বেগ এই মুহুর্তে প্রাসঙ্গিক নয়। এ বিষয়গুলো আরএসএফ এর পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত এবং তার একটা প্রতিফলন তাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে থাকা উচিত।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের দাবির সঙ্গে সরকার একমত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা বজায় রাখতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকার গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে এই চ্যালেঞ্জগ মোকাবিলায় বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার, সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা ও তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সাংবাদিক পরিচয়পত্র নীতিমালা, ২০২২ চূড়ান্ত করেছে, ২০১৪ সালে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে, মান সম্মত বেতন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকার নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করেছে, এবং দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ভালো উদ্যোগগুলো আরএসএফের প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি।
তিনি যোগ করেন, আরএসএফ এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং একবারেই বাস্তবতা বহির্ভুত। আরএসএফের এ ধরণের রিপোর্টকে পূর্ণাঙ্গ বলা যায় না। বাংলাদেশ সরকার চায় আরএসএফ বাস্তবাতার প্রতিফলন ঘটাতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরুক এবং যে প্রতিবেদন অর্ধসত্য এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে তার পুনর্মূল্যায়ন করুক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সত্য দিয়ে অসত্য মোকাবিলা করতে চাই। গণমাধ্যমের পরিবেশ নিয়ে যেখানে সত্যিই উন্নতি করার সুযোগ আছে সেখানে সরকার তা করবে। আমরা সত্যিকার অর্থেই আরএসএফের র্যাংকিং এ উপরে উঠতে চাই।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে আসা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ৩৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৪৮ জন নারী ও ৫৩ জন শিশু।
বেসরকারি সংস্থা আরএসএফ শনিবার (৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৫১ জন (৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ) মোটরসাইকেল চালক; ১৬ (৪ দশমিক ০৬ শতাংশ) বাস যাত্রী; ১৫ (৩ দশমিক ৮০ শতাংশ) ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপের আরোহী এবং ৬৮ (১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ) সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশার মতো থ্রি-হুইলারের আরোহী ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৩৯ (৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ১৮৩ (৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৪৯ (১২ দশমিক ৩১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ২২ (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ) এবং ৫ (১ দশমিক ২৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য জায়গায় ঘটেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ১১৬ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ২০টি দুর্ঘটনা হয়েছে, যেখানে ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি দেশের সড়কে উচ্চ সংখ্যক হতাহতের জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে- ১.ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ২.বেপরোয়া গতি; ৩.চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; ৪.বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; ৫.মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; ৬.তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; ৭.জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; ৮.দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; ৯.বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; ১০.গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
১ বছর আগে
কেন সুদানের সংঘাত বাকি বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
সুদানের দুই শীর্ষ জেনারেলের অনুগত বাহিনীর মধ্যে লড়াই পুরো জাতিকে পতনের ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং এর পরিণতি দেশটির সীমানা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
লড়াইয়ে দুই পক্ষেরই হাজার হাজার যোদ্ধা, বিদেশি সমর্থক, খনিজ সম্পদ এবং অন্যান্য সম্পদ রয়েছে; যার কারণে এদের কাউকেই থামানো যাচ্ছেনা। এমন দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার লেবানন এবং সিরিয়া থেকে লিবিয়া ও ইথিওপিয়া পর্যন্ত অন্যান্য দেশগুলো ধ্বংস হয়েছে।
সুদান গণতন্ত্রে রূপান্তরের চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে ইতোমধ্যেই শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বন্দুকযুদ্ধ, বিস্ফোরণ ও লুটেরাদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
সুদানে কী ঘটছে এবং এর বাইরে সংঘাতের প্রভাব কী হতে পারে সে ব্যাপারে কিছুটা জেনে নেওয়া যাক-
কে যুদ্ধ করছে?
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান এবং দারফুরের কুখ্যাত জানজাউইদ মিলিশিয়াদের থেকে বেড়ে ওঠা একটি আধা-সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে ‘হেমেদতি’ সুদানের নিয়ন্ত্রণ দখল করতে চাইছেন।
২০১৯ সালে তারা যৌথভাবে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সাহায্য করেছিল। তবে সম্প্রতি দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণে ফেরার জন্য ফের আলোচনা শুরু হয়, আর এ নিয়েই সংঘাত শুরু হয়।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলাই যায়, এবারের লড়াইয়ে বিজয়ী হতে পারে সুদানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আর পরাজিত ব্যক্তি নির্বাসন, গ্রেপ্তার বা মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন।
গতি-প্রকৃতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ, যার ফলে আরব ও আফ্রিকান দেশটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী অংশ অনুযায়ী বিভক্ত হওয়াও সম্ভব।
আরও পড়ুন: সুদানের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ: বাইডেন
টাফ্টস ইউনিভার্সিটির একজন সুদান বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ডি ওয়াল চলতি সপ্তাহে সহকর্মীদের কাছে একটি মেমোতে লিখেছেন, এ সংঘাতকে ‘গৃহযুদ্ধের প্রথম রাউন্ড’ হিসেবে দেখা উচিত।
তিনি লিখেছেন, ‘যদি এটি দ্রুত না শেষ করা হয়, তবে আঞ্চলিক এবং কিছু আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানকের স্বার্থ অনুযায়ী নিজেরা অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করে এবং সম্ভবত তাদের নিজস্ব সৈন্য বা প্রক্সি ব্যবহার করার মাধ্যমে সংঘাতটি একটি বহুমুখী খেলায় পরিণত হবে।’
সুদানের প্রতিবেশিদের জন্য লড়াইয়ের অর্থ কী?
সুদান এলাকা অনুসারে আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ এবং নীল নদকে ঘিরে রয়েছে। এটি অস্বস্তিকরভাবে আঞ্চলিক হেভিওয়েট মিশর এবং ইথিওপিয়ার সঙ্গে নীলের পানি ভাগ করে নেয়। মিশর তার ১০০ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নীল নদের ওপর নির্ভর করে এবং ইথিওপিয়া একটি বিশাল উজানের বাঁধ নির্মাণে কাজ করছে; যা নিয়ে কায়রো ও খার্তুম উভয়ই শঙ্কিত।
সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে মিশরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যেটিকে তারা ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে মিত্র হিসেবে দেখে।
কায়রো যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার জন্য সুদানের উভয় পক্ষের কাছে গেছে, তবে সামরিক পরাজয়ের মুখোমুখি হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
সুদানের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া আরও পাঁচটি দেশ রয়েছে: লিবিয়া, চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া ও দক্ষিণ সুদান। ২০১১ সালে দক্ষিণ সুদান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং খার্তুমের তেল সম্পদের ৭৫ শতাংশ তার সঙ্গে নিয়ে যায়। সীমান্তবর্তী দেশগুলোর প্রায় সকলেই তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীও দেশগুলোতে সক্রিয়।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের অ্যালান বসওয়েলবলেছেন, ‘সুদানে যা ঘটবে তা শুধু সুদানে থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাদ ও দক্ষিণ সুদানে সম্ভাব্য স্পিলওভারের ঝুঁকি সবচেয়ে দ্রুত পড়ার আশঙ্কা। কিন্তু যত বেশি সময় ধরে (যুদ্ধ) প্রলম্বিত হবে, আমরা তত বড় ধরনের বাহ্যিক হস্তক্ষেপ দেখতে পাব।’
বহিরাগত শক্তি কি সুদানের ব্যাপারে আগ্রহী?
আরব উপসাগরীয় দেশগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হর্ন অব আফ্রিকার দিকে তাকিয়ে আছে, কারণ তারা এই অঞ্চল জুড়ে শক্তি প্রজেক্ট করার চেষ্টা করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি যা মধ্যপ্রাচ্য এবং পূর্ব আফ্রিকা জুড়ে তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এবং আরএসএফের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবকে সাহায্য করার জন্য আরএসএফ হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুদানের সেনাবাহিনী ও প্রতিপক্ষ বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ৫৬
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউরোপে জ্বালানি পাঠানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লোহিত সাগরের বাণিজ্য রুট পোর্ট সুদানে ৩০০ সৈন্য এবং চারটি জাহাজ হোস্ট করতে সক্ষম একটি নৌ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
ওয়াগনার গ্রুপ, ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত একটি রাশিয়ান ভাড়াটে দল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকাজুড়ে তারা ছড়িয়ে পড়েছে এবং ২০১৭ সাল থেকে তারা সুদানে কাজ করছে।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সুদানে অবস্থিত দুটি ওয়াগনার-সংযুক্ত সোনার খনির সংস্থার ওপর চোরাচালানের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
পশ্চিমা দেশগুলো কি ভূমিকা পালন করে?
১৯৯০-এর দশকে যখন আল-বশির একটি কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতায়ন করেছিলেন, তবে সুদান আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে ওঠে যখন এটি ওসামা বিন লাদেন এবং অন্যান্য জঙ্গিদের আতিথ্য করেছিল।
২০০০-এর দশকে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে সংঘাতের কারণে এর বিচ্ছিন্নতা আরও গভীর হয়, যখন স্থানীয় বিদ্রোহ দমন করার সময় সুদানী বাহিনী এবং জানজাওয়েদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবশেষে আল-বশিরকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
২০২০ সালে খার্তুমের সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হওয়ার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ ও সাহায্য আটকে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি মিলে দেশটির অর্থনীতিকে দ্রুত পতন ঘটিয়েছে।
বহিরাগত শক্তি কি যুদ্ধ থামাতে কিছু করতে পারে?
সুদানের অর্থনৈতিক দুর্দশা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যবহার করে উভয় পক্ষকে আলোচনায় চাপ দেওয়ার জন্য একটি পথ উন্মুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু সুদানে অন্যান্য সম্পদ-সমৃদ্ধ আফ্রিকান দেশগুলোর মতোই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও বিরল খনিজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছে।
দাগালোর দারফুরে এক সময়ের উট পাল, বিশাল গবাদি পশুর পাল এবং সোনার খনির কাজ রয়েছে। ইয়েমেনে ইরান-সংযুক্ত বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধরত আরএসএফ-এর পরিষেবার জন্য উপসাগরীয় দেশগুলোও তাকে ভাল অর্থ দিয়েছে বলেও বিশ্বাস করা হয়।
অন্যদিকে, সেনাবাহিনী অর্থনীতির বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং খার্তুম ও নীল নদের তীরে ব্যবসায়ীদের ওপরও অনেককিছু নির্ভর করতে পারে; যারা আল-বশিরের দীর্ঘ শাসনামলে ধনী হয়েছিলেন এবং যারা আরএসএফ কে পশ্চিমাঞ্চলের ‘অশোধিত যোদ্ধা’ হিসেবে দেখেন।
দে ওয়াল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক তহবিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ যুদ্ধক্ষেত্রের চেয়ে কম সিদ্ধান্তমূলক হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘(সেনাবাহিনী) সোনার খনি এবং চোরাচালানের পথের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। আরএসএফ পোর্ট সুদান থেকে খার্তুম পর্যন্ত রাস্তা সহ প্রধান পরিবহন ব্যবস্থায় বাধা দিতে চাইবে।’
ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মিশর, উপসাগরীয় দেশগুলো, আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং ইগাদ নামে পরিচিত আট-দেশীয় পূর্ব আফ্রিকা ব্লকসহ মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধের চেয়েও শান্তি প্রচেষ্টাকে আরও বেশি জটিল করে তুলতে পারে।
দে ওয়াল বলেছেন, ‘বহিরাগত মধ্যস্থতাকারীরা কোনো পুলিশ ছাড়াই ট্রাফিক জ্যাম তৈরির ঝুঁকি রাখে।’
১ বছর আগে
ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৮৭ জন নিহত এবং ৭১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার প্রকাশিত এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬ জন নিহত হয়েছে; যা মোট মৃত্যুর ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
নিহতদের মধ্যে ৫৪ জন নারী এবং ৬৮ জন শিশু।
৯টি নৌপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন এবং একই সময়ে ১৭টি রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আরএসএফ ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট মৃত্যুর ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ। প্রায় ৭২ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আরএসএফ-এর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুসারে, জাতীয় সড়কে সর্বোচ্চ ১৬৮টি (৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে, ১৭৭টি (৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) শহরের সড়কে।
অন্যদিকে, মোট দুর্ঘটনার মধ্যে সর্বোচ্চ ২০১টি (৪৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৬৮টি (১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ) সংঘর্ষের কারণে, ১১২টি দুর্ঘটনা (২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ) ঘটেছে পথচারীদের চাপা/ ধাক্কা দিয়ে, ৪৭টি দুর্ঘটনা (১০ দশমিক ৭০ শতাংশ) গাড়ির পিছনের দিকে আঘাত করায় এবং ১১টি (২ দশমিক ৫০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঘটেছে, যার পরিমাণ ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ মৃত্যু; চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং খুলনা বিভাগে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩: আরএসএফ
১ বছর আগে
সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ৪০৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৭ শিশুসহ ৪৭৬ জন নিহত ও ৭৯৪ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সোমবার প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ সময়ে ১৮২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৯ জন প্রাণ হারিয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে ১০৩ জন পথচারী এবং ৬৩ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন।
গত মাসে সারাদেশে নৌপথে দুর্ঘটনায় অন্তত ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন এবং গত মাসে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ট্রাক চালকের
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৫৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৬টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ছয়টি সংঘটিত হয়েছে।
আরএসএফ সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে-ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা।
পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭
২ বছর আগে
জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু
জুন মাসে সারাদেশে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩ শিশুসহ ৫২৪ জন নিহত ও ৮২১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৪ জন মারা গেছে, যা মোট মৃত্যুর ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী, ৮৬ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ সময়ে ৮টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৬ জন আহত হয়েছে এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৯টি (৩৪.০৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৪টি (৩৭.২৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১৫.৪১ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৫৬টি (১২ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি ১.২৮ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে ২৫.০৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৫.৪১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৬.৪৮ শতাংশ, খুলনায় ১৪.৩৪ শতাংশ, বরিশালে ৯ শতাংশ, সিলেটে ২.৭৮ শতাংশ, রংপুরে ১০.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬.৪২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে, ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত।
আরএসএফ সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পিছনে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার সমাধানের জন্য এবং সেগুলো ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
২ বছর আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ মাসে ১৬৭৪ শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দিন দিন বাড়ছে। ২০২০ থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৬৭৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী হিসেবে নিহত হয়েছে ৩৩১ শিশু, যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। রাস্তা পারাপার ও রাস্তা ধরে হাঁটার সময় যানবাহনের চাপায় বা ধাক্কায় নিহত হয়েছে ১০২৭ শিশু, যা মোট নিহতের ৬১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় অটোরিকশার চাপায় শিশুর মৃত্যু
ট্রাক, পিকআপ, ট্রাক্টর, ড্রাম ট্রাক ইত্যাদি পণ্যবাহী যানবাহনের চালক ও সহকারী হিসেবে নিহত হয়েছে ৪৮ শিশু, অর্থাৎ দুই দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী হিসেবে নিহত হয়েছে ২৬৮ শিশু, অর্থাৎ ১৬ শতাংশ।
জরিপে দেখা গেছে, বাস যাত্রী হিসেবে নিহত হয়েছে ৭২ শিশু (২১.৭৫ শতাংশ) প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী হিসেবে ২৫ শিশু (৭.৫৫ শতাংশ), থ্রি-হুইলার (সিএনজি, অটোরিকশা, ইজিবাইক ইত্যাদি) যাত্রী হিসেবে ১৮৩ শিশু (৫৫.২৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের (নসিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, টমটম ইত্যাদি) যাত্রী হিসেবে ৫১ শিশু (১৫.৪০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎ অফিসের দেয়াল ধসে এক শিশুর মৃত্যু, আহত ২
২ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৫০০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ) ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এছাড়া সাতটি নৌপথে দুর্ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত এবং দুজন নিখোঁজ হয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে ১৭টি ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দুর্ঘটনার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
মোট নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন নারী ও ৫১ জন শিশু।
মোটরসাইকেল সংক্রান্ত ১২৮টি দুর্ঘটনায় মোট ১৫৬ জন নিহত হয়েছে, যা মোট মৃত্যুর ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আরএসএফ -এর অনুসন্ধান অনুসারে, সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
প্রায় ৪৯ জন চালক এবং তাদের সহকারীরাও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং এটি মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে মহাসড়কে ১৩২টি, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৮৭টি এবং গ্রামের সড়কে ৪১টি এবং শহরের সড়কে ২৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারী নিহত
২ বছর আগে