বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
ঢাকাএশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৭ শতাংশে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি বলেছে, ভারতের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী। ২০২৪ সালের পূর্বাভাস ৬ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আশাব্যঞ্জক বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পূর্বাভাসে নিম্নমুখী পরিবর্তন সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জন্য দক্ষিণ এশিয়া উপঅঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশে বজায় রাখা হয়েছে। উপঅঞ্চলের অন্যান্য অর্থনীতির জন্য ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রয়েছে।
উন্নয়নশীল এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের পূর্বে অনুমান করা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংশোধনের জন্য শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে দায়ী করা হয়। যা ২০২৪ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৮ শতাংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে এই বছর সামঞ্জস্যযুক্ত ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে সামান্য বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশ সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল এশিয়া শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে চলেছে। অঞ্চলটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। যাইহোক, উচ্চ বৈশ্বিক সুদের হার থেকে শুরু করে এল নিনোর মতো জলবায়ু-সম্পর্কিত ইভেন্ট পর্যন্ত ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারগুলোর জন্য সতর্ক থাকা এবং তাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং প্রবৃদ্ধি টেকসই তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উন্নত অর্থনীতিতে দীর্ঘায়িত উচ্চ সুদের হার, সম্ভবত আর্থিক অস্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে। এডিবি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এল নিনো এবং ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের মতো ঘটনা থেকে সরবরাহ ব্যাহত হলে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন করে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
১০ মাস আগে
সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিশ্বের সংকটের কার্যকর সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আরও বেশি নারীদের থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সংকটের সময় নারীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের যুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।’
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা কোরোসি আহ্বান করা ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আজকের আন্তঃসংযুক্ত চ্যালেঞ্জে নারী নেতাদের দ্বারা রূপান্তরমূলক সমাধান।‘
শেখ হাসিনা বলেন, নারীরা প্রতিটি সেক্টরে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে, সব ধরণের গতানুগতিকতা ভেঙ্গে এবং অদম্য সাহস ও নেতৃত্বের দক্ষতা দেখাচ্ছে।
পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জটিল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মতামত বিনিমিয় এবং শুধুমাত্র আমাদের নিজ নিজ দেশের জন্য নয়, মানবজাতির জন্যও ইতিবাচক ফলাফল আনার লক্ষে এই নেটওয়ার্ক (ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারস) ব্যবহার করার সময় এসেছে।
বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী নারী নেতৃত্বকে উৎসাহিত করার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
এই বিষয়ে তিনি তিন দফা প্রস্তাব বিষয় তুলে ধরেন, সেগুলো হলো লিঙ্গ সমতার বিষয়ে উপদেষ্টা বোর্ডের স্থানীয়করণ, পর্যাপ্ত রাজনৈতিক ও আর্থিক উপায়ে নারী-নেতৃত্বাধীন সুশীল সমাজ সংস্থাগুলোকে লালন ও সমর্থন করা এবং লিঙ্গ সমতার জন্য সাধারণ এজেন্ডাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা।
পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুধুমাত্র আ.লীগের আমলেই হয়: বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি রেনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং আফগানিস্তান সঙ্কটের মতো নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ইস্যুর স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এটি এজেন্ডা থেকে হারিয়ে যাবে না।
বিদায়ী ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমার কাছে ম্যাজিক রেসিপি বা ক্রিস্টাল বল নেই যে কীভাবে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) এজেন্ডা থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে না।’
বর্তমানে আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত তিরিঙ্ক বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে রোহিঙ্গা ইস্যু অদৃশ্য হয়ে যাবে। আমি এটি অনুসরণ করতে থাকব।’
‘বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্ক: ভবিষ্যত সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় (ওয়েবিনার) মূল বক্তা হিসেবে ইইউ দূত এসব কথা বলেন।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন অ্যাম্বাসডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এই ওয়েবিনার আয়োজন করে।
আলোচনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়াও আলোচক প্যানেলে সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. জিয়াদি সাত্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ফাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং কসমস ফাউন্ডেশনের ইমেরিটাস উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
এনায়েতুল্লাহ খান ক্রমবর্ধমান মার্কিন-চীন দ্বন্দ্ব, কোভিড -১৯ মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আফগানিস্তানে সঙ্কটের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, মনে হচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুটি মানুষের মন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে অত্যন্ত জটিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত, চীন ও জাপান এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতা ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা যাবে বলে আমি মনে করি না।
খান ইইউ রাষ্ট্রদূতের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, মিয়ানমারের সৃষ্ট এই সমস্যা সমাধানে ইইউ বাংলাদেশকে কী সহায়তা করতে পারে।
জবাবে রাষ্ট্রদূত তিরিঙ্ক বলেন, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই প্রথমে একটি রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, কিন্তু এটা খুবই দুঃখজনক যে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে যা সত্যিই এই অলোচনার ক্ষেত্রে এক বিরাট ধাক্কা।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তৎপরতা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, দুর্ভাগ্যবশত তারা সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছে এবং এটি খুব ইতিবাচক নয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, চীন এবং জাপানের সাথে অংশীদার হিসেবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যোগাযোগ করছি। এটি আমাদের সব সময় এজেন্ডায় থাকে।’
আন্তর্জাতিক এনজিও এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে ইইউ রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার সহায়তায় উল্লেখযোগ্য তহবিল প্রদান করে আসছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বড় ধরনের সহিংসতার পর দেশটি থেকে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বতর্মানে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এছাড়া এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে অর্থনৈতিক স্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মহামারি এবং রোহিঙ্গা- দুটি বিষয় এখন বাংলাদেশের জন্য বড় উদ্বেগ এবং এই দুটি বিষয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতির সাথে জড়িত।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলেন, বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা ইস্যু এবং টিকা কূটনীতিতে ইইউ সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, ইউরোপের মূল্যবোধ-আইনের শাসন, সরকার পদ্ধতি এবং মানবাধিকারের প্রশ্নে মিয়ানমারের সাথে ইইউর সম্পর্কের বিষয়টি আসলে তা মিলানো যায় না।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে ইইউ
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছি না ইইউ পার্লামেন্ট কেন বর্তমান মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ভট গণতন্ত্রকে সহায়তা করে। ইইউ মিয়ানমারের নির্বাচনেও সহায়তা করেছে। সামরিক কর্মকর্তারা যখন সংসদে বসেন তখন এটা গণতন্ত্র থাকে না। ইইউকে আরও কঠিন হওয়া উচিত ছিল এবং এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেত।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গা ইস্যু এবং টিকা কূটনীতিতে ইইউ সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক।
তিনি বলেন, কিন্তু যখন মিয়ানমারের কথা আসে ৯০০ এর বেশি মানুষ হত্যার পরও ইইউ এখনও মিয়ানমারের সাথে প্রায় একই ধরনের সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে। আপনারা কেবল কিছু সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন যারা কখনও ইইউ দেশগুলোতে যায় না এবং তাদের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। আপনারা খুব সম্প্রতি মিয়ানমারকে ঋণ পরিশোধেও সহায়তা করেছেন।
৩ বছর আগে
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে কমনওয়েলথকে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সোমবার বলেছেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে কমনওয়েলথকে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, `বিশ্বায়নের যুগে মানবজাতি অনেকগুলো উদীয়মান চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কোভিড পরবর্তী নিওনরমাল পরিস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলা, নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমনওয়েলথকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সাথে নিয়ে অভিনব ধারণা ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে৷ যে সব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদেরকে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত প্রয়োজন।’
ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন, ইয়ুথ পলিসি এবং ডেইলি স্টারের উদ্যোগে 'রিডিসকভারিং কমনওয়েলথ ফর ডেলিভারিং এ কমন ফিউচার' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান প্যানেলিস্ট হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:সংসদ প্রাঙ্গণে 'পিতা' প্রদর্শনীর আয়োজন একটি অনন্য উদ্যোগ: স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, `সদস্য দেশগুলোর কল্যাণের জন্য সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে কমনওয়েলথ বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের দিকে কমনওয়েলথকে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
স্পিকার বলেন, `বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথ সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৫ এর মে মাসে জ্যামাইকার কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশগুলোর মাঝে অর্থনৈতিক অসমতা নিরসনে পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তারই সূত্র ধরে উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে কমনওয়েলথ কাজ করে যাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর সমষ্টিগত শক্তিকে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে।’
আরও পড়ুন:ডব্লিউআইসিসিআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্পিকার
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ সবুজ ও নিরাপদ পৃথিবী বিনির্মানে গুরুত্বারোপ করেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে জাতি উন্নীত হয়েছে। কোভিডকালীন সময়ে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও দুরদর্শিতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন যা অনুকরণীয়।
স্পিকার বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ)। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ২০১৪ সালে তিন বছরের জন্য সিপিএ নির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিল যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও অনন্য অভিজ্ঞতা। কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং কমনওয়েলথ বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, অধ্যাপক সালিমুল হক, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন। এ সময় ওয়েবিনারে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
৩ বছর আগে