ড. আব্দুর রাজ্জাক
আমি যা বলেছি, কোনো ভুল বলিনি: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে নিজের অবস্থান জানালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি কোনো ভুল বলিনি। বক্তব্য একদম ঠিক আছে। অনেক কথার মধ্যে বিষয়টি এসেছে।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃষি গবেষণায় জি২০'র বিনিয়োগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই বিএনপি নেতাদের কারাগার রাখা হয়েছিল। তবে নির্বাচনে এলে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাবেও রাজী হয়নি বিএনপি নেতা-কর্মীরা।’
আব্দুর রাজ্জাকের এ বক্তব্য ‘সঠিক নয়’দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বক্তব্য আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের নয়, এটি তার নিজস্ব বক্তব্য।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাই বলতে চেয়েছি- আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চেতনার আলোকে পরিচালিত হয়। আমরা সব সময় চেয়েছি এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। বহুবার আমি বলেছি বিএনপি অবশ্যই একটি বড় রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনে আমরা আনতে চাই কিন্তু সংবিধানের বাইরে আমাদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার কথার সারমর্ম ছিল, প্রধানমন্ত্রী ও আমরা সব সময় চেয়েছি, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। সেটা বলতে গিয়ে বলেছি আমরা কতদূর পর্যন্ত, নির্বাচন কমিশনার কথা বলেছি, ইয়ের কথা বলেছি। ওই উইল লেফট নো স্টোন আনট্র্যাক, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএনপি আসবে না।'
আরও পড়ুন: নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চেয়েছে আগামী নির্বাচনের সব রাজনৈতিক দল অংশ নিক। বিএনপি একটি বড় দল এটা আমরা সব সময় বলি। কিন্তু বিএনপি সব সময় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নানা রকম ফন্দি করেছে। আমরা কী দেখেছি, ১৩ সালে, ১৪ সালে ও ১৫ সালে?’
‘আমার বক্তব্য হলো- এই যে আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে চেয়েছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক। এই কথাটা বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাও বলেছি, বিএনপি চায় নির্বাচন বানচাল হোক। তারেক জিয়ার নামে মামলা রয়েছে, তার শাস্তি হয়েছে, সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তার মা (খালেদা জিয়া) অসুস্থ, তারও শাস্তি হয়েছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো- সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোক্রমে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের তো কোনো বিকল্প নেই, এই কথা আমি বলেছি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারতো কীভাবে নির্বাচনকে সবার কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়? সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থনও আমরা নিতে পারতাম, আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসত বিদেশ থেকে। এখন ওসিদের বদলি করছে, এভাবে এসপিদের ট্রান্সফার করা যেত, ডিসিদের করা যেত। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করা দরকার সংবিধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও এই সরকারকে রেখে সেটা আওয়ামী লীগ সবসময় করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেটা বিশ্বাস করে না। তারা গেছে আন্দোলনে।’
‘কীভাবে তারা রেললাইন কেটেছে! দেশে কি কোনো মুক্তিযুদ্ধ চলছে? দেশে কি যুদ্ধাবস্থা? এগুলো তো যুদ্ধের সময় করে। এগুলো বন্ধ করতে হলে মানুষকে তো গ্রেপ্তার করতে হবে। বিএনপি নেতাদের হুকুম ছাড়া কোনো কর্মী কি বাসে আগুন দেবে? তার জেল জুলুমের ভয় আছে না। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দায়িত্ব হলো মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সহিংসতা ও আগুন সন্ত্রাস করার প্রয়োজন হতো না জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার বলেছে বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কি জেলে রেখে নির্বাচন হবে?
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সেটা একটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জামিনের ব্যবস্থা করা হতো। একটা ফর্মালিটিজ করে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনে তো আইনের লোক অনেক আছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি রাজি হয় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এই কথাটিই আমি বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আলাপ-আলোচনা করে অনেক কিছুই করা যায়। খুনের আসামিরও তো জামিন হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি হবে, কোথায় গেল মামলা, একদিনেই তো উনি জামিন পেয়েছেন। নিশ্চয়ই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলে ফরমালিটিস করেছে।’
বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। কিছু ভোটার কম হলেও উল্লেখযোগ্য ভোটার ভোট দিতে আসবে বলেও মনে করেন আব্দুর রাজ্জাক।
আপনার দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আপনার বক্তব্য ব্যক্তিগত- এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এটাতো দলের বক্তব্য না, অবশ্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে দিয়েছি যেটা অনুভব করি। আমার দলও চায় সব দল নির্বাচন অংশ নিক।’
নির্বাচনে এলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামিন আর নির্বাচনে না এলে হবে না এটা কি বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না- জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে অর্থনীতি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এটা আপনাকে মানতে হবে। শুধু আইনের কথা বললেই হবে বাস্তবতাকে...। আমি এক হাজার উদাহরণ দেব।’
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আন্দোলন করে আ. লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্দোলন করে কোনো দিনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। উল্টো ব্যর্থ হয়ে চুড়ান্ত খেলায় বিএনপির বিপর্যয় হবে।
তিনি বলেন, হতাশাযুক্ত নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। আর নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তা দমনে আগের তুলনায় সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরে গম ও ভুটা গবেষনা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক কর্মমালার পাশাপাশি গ্রিন হাউজে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্বোধনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিক্ষোভ পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয়নি, শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালাতে হয়নি। শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জন রায় নিতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা চরমভাবে ব্যর্থ হবে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব হারাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে রবিবার (৬ আগস্ট) তিন দিনের সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটির।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নিজেদের খোঁড়া কবর থেকে উঠতে পারবে না বিএনপি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে। যতই আন্দোলন ও সমাবেশ করুক এই কবর থেকে উঠতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি আম বাগান পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, বিএনপি মানেনি। ২০০৮ সাল থেকে তারা আন্দোলন করছে। ২০১৪ সালে হরতাল করেছে, অবরোধকরেছে, ট্রেন লাইন তুলে ফেলেছে। ২০১৫ সালে ৩০০’র বেশি মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে মোকাবিলা করবে। কেউ যদি সহিংসতা করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দমন করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আম উৎপাদন ও সহজে বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যে আম চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আমকে শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আম যেন সারাদেশে উৎপাদন হয় এবং খুব সহজেই বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসসহ কৃষি অধিদপ্তরেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির চতুর্থ বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, চরম দারিদ্র্য ছয় শতাংশের নিচে নামিয়ে আনায় বিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দরিদ্রদের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। পিকেএসএফ প্রকল্পটি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কৃষি খাতে বিপুল ভর্তুকি ও সহযোগিতার কারণে দেশে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, তা না হলে প্রতিবছর চাল আমদানি করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সিংহভাগ ব্যয় হতো।
ইইউকে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয়, হাওর ও চর অঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনো দারিদ্র্য রয়েছে। এই প্রতিকূল এলাকায় ফসল ফলানো খুব কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য আমরা এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ফসল উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ইইউ-পিকেএসএফ প্রকল্প এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া মন্ত্রী ইইউকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতেও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এনজিওর সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি আরও বলেন, দেশের সব এনজিওর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এমন নয়।
তাই এনজিওগুলোর কাজ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মো. সেলিম উল্লাহ, রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি এবং প্রকল্প পরিচালক শরীফ আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী
পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৬ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য মজুদ আছে। তাই এ মুহূর্তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
মঙ্গলবার সচিবালয় সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। দাম বৃদ্ধির জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি। দাম কমানোর উদ্যোগ হিসেবে চাল আমদানির ওপর শুল্ক মাফ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার প্রভাবে বিশ্ব অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাই এ দাম বৃদ্ধি। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।চাল আমদানি উন্মুক্ত করা হলেও, আমদানি করছে না ব্যবসায়ীরা। গম প্রায় পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হলেও সেক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে চাল এবং গম পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে চালসহ পণ্যের দাম আর তেমন বাড়বে না। ২/১ টাকা এদিক সেদিক হতে পারে।
সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে চালসহ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পণ্যমূল্য কিছুটা বেশি হলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আসলে কার্পেটের নিচে ধূলা লুকিয়ে রেখে লাভ হবে না। যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাবে সারা পৃথিবীতেই শঙ্কা আছে। অন্যান্য দেশে উৎপাদন অনেক কমেছে, সেটি হলে কিছু করার থাকবে না।
তবে দেশীয় উৎপাদন এখনো যথাযথ রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ যতো ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিখাতে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব (পিপিপি) নিয়ে সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি বেশ কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠক করছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। পুরো পৃথিবী একটা গ্লোবাল ভিলেজ। বিএনপি তাদের সাথে মতবিনিময় করতে পারে।
তিনি বলেন, বিদেশিরা চায় আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর নিরপেক্ষ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হোক। এজন্য আমরা নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছি। পৃথিবীর সব দেশে জাপান, জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সব দেশেই নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। বিএনপি এক টানা বলে যাচ্ছে তত্ত্বাবধায় সরকারের কথা। এটা কোন দিনই হবে না।
মন্ত্রী বলেন, তবে আমরা সবাই চাই একটা সত্যিকারের নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং একটা শক্তিশালী সক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবেন। প্রধানমন্ত্রী, সামরিক বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই মিলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবো। এটিই আমাদের সংধানে আছে এবং সংবিধান অনুযায়ী আমরা নির্বাচন করবো।
রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়ায় বিদেশিদের যদি কোন মতামত থাকে কোন পরামর্শ থাকে এবং তারা যদি আমাদের সহযোগিতা করতে চায় তাহলে সেটাকে আমরা অভিনন্দন জানাবো। বিএনপি তাদের সাথে আলোচনা করছে। বিএনপিকে আমি বলবো যদি ক্ষমতায় আসতে চান তাহলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ যাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত যতো ক্ষমতাশালী দেশের হোক না কেন তারা নির্বাচনে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারবে না।
পড়ুন: বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে যান: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
যাত্রাপথে ভোগান্তিতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের আনন্দ নেই: বিএনপি
২ বছর আগে
হাওরের শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ: কৃষিমন্ত্রী
হাওর অঞ্চলে শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি আরও জানান, সারাদেশের ৬৪ ভাগ ধান কাটা শেষ৷ চলতি মাসের মধ্যেই বাকি ধান কাটা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বোরো ধানের উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, এ বছর বোরোতে ২ কোটি ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার৷ আশা করা হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় ১০ লাখ টন বেশি উৎপাদন হবে।
আরও পড়ুন: ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা থেকে ১ লাখ ২ হাজার ১০৫ জন কৃষককে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, চলতি আউশ মৌসুমে ১৩ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন৷
৩ বছর আগে
সুনামগঞ্জে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী
সুনামগঞ্জ জেলাসহ দক্ষিণ সুনামগঞ্জের হাওরে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আগাম জাতের বোরো ধান কাটার উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওরের দক্ষিণ পাড়ে আস্তমা গ্রামের হাওরে পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামের কৃষক হাজী আব্দুল হেকিমের জমিতে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে হাইব্রীড ১২০৪ জাতের ৩০ কেদার জমির ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
উদ্বোধন পূর্ববর্তী দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামের হাওরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় শত্রুতা করে বোরো ধানের ৬ বিঘা বীজতলা নষ্টের অভিযোগ
এ সময় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধব সরকার। সরকার কৃষকদের জন্য ও বোরো ফসলের জন্য অতিরিক্ত প্রণোদনা দিয়েছে। কম সময়ে, কম জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য হাইব্রিড ধান চাষাবাদ করতে উৎসাহিত করেছে। হাইব্রিড ধান চাষাবাদ করায় আগাম কর্তন করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি ফসলের ঝুঁকি কমেছে।'
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে খুলনা
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে জমিতে ধান কাটা ও আলোচনা সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ফরিদুল হাসান, জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী, সুনামগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আব্দুল হেকিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে