শেরপুর
আজ সোহাগপুর গণহত্যা দিবস
আজ ২৫ জুলাই সোহাগপুর গণহত্যা দিবস। শেরপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত সোহাগপুর গ্রাম।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাকসেনারা যুদ্ধাপরাধি জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের নির্দেশে স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের নিয়ে গ্রামের সাধুর আশ্রম থেকে প্রফুল্লের দিঘী পর্যন্ত এলাকা ব্যারিকেড দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণহত্যার ‘স্বীকৃতি’ আদায়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান
কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেখানে যাকে পেয়েছে সেখানেই নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। মুহূর্তেই রক্তে লাল হয়ে যায় গ্রামের সবুজ ধানের মাঠ। পাশবিক নির্যাতন চালায় নারীদের ওপর। সেদিনের ছয় ঘণ্টার তাণ্ডবে ১৮৭ জন প্রাণ হারায়।
এই গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও সোহাগপুর বিধবাপল্লী শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আজ ২৫ জুলাই রবিবার দুপুরে শহীদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ তালুকদার মুকুল বলেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কল্যাণে আমার ইউনিয়নে স্বাধীনতা যুদ্ধে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকার সোহাগপুর গ্রামের পরিচিতি এখন বিশ্বময়। গণহত্যার স্মৃতিকে ধরে রাখতে দ্রুত স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ হোক।’
লকডাউন অমান্য করায় মাদ্রাসা সিলগালা, জরিমানা!
শেরপুরে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে তৃতীয় দিনেও মাঠে বেশ তৎপর ছিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার দুপুরে শহরের মোবারকপুর এলাকায় বিধিনিষেধ অমান্য করে চালু রাখায় নুরানী তালিমুল কোরআন মোয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নামে একটি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেইসাথে মাদ্রাসাটি খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এর পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেরপুর সদর এসিল্যান্ড তনিমা আফ্রাদ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি জানান, লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানায় মাদ্রাসাটির দায়িত্বরত হারুন-অর-রশীদকে দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের ২৬৯ ধারা অনুয়ায়ী ১০ দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের জন্য মাদ্রাসাটি সিলগালা ঘোষণা করা হয়। অভিযানে সহায়তা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকলিমা আক্তার, শেরপুরে সেনাবাহেনীর দায়িত্বরত মেজর মো. ইমতিয়াজ কবির।
আরও পড়ুন: বিয়ে করায় ছেলেদের হাতে খুন হলেন বাবা
স্থানীয়রা জানান, চট্রগ্রাম থেকে পরিচালিত নুরানী তা’লীমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশ-এর সিলেবাসে শহরের মোবারকপুর এলাকায় এ মোয়াল্লেম কেন্দ্রটি ২ বছর ধরে চলছে। ভয়াবহ করোনার মাঝেও সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাদ্রাসাটি চালু রাখা হয়। সেখানে একটি কক্ষে ছোট ছোট শিশুদের এবং আরেকটি বড় হলরুমে প্রায় শতাধিক বয়স্ক ব্যক্তিকে নুরানী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদাত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করে অযথা ঘুরাফেরা ও মাস্ক না পড়ার দায়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ জনকে আটক করা হয়। এদিন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি দল শহরের আনাচে-কানাচে এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরে মোটর সাইকেল টহলের মাধ্যমে করোনা সচেতনা সৃষ্টি ও লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকরের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান, খাবার গেল এতিমখানায়
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করার দায়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৩৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে ১৩১টি মামলায় ৮০ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবারও লকডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য, ২ প্ল্যাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বিয়ে : বর ও কনে পক্ষকে জরিমানা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে শহরের প্রতিটি প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেইসাথে পুলিশের টিমও কাজ করছে। অপ্রয়োজনে যাতে কেউ বাইরে বের হতে না পারে, সেই দিক নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
জেলায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ২২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা গত দশ বছরের একদিনের বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) মোখলেছুর রহমান।
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নালিতাবাড়ীর চেল্লাখালি ও ভোগাই নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানির তোড়ে ভোগাই নদীর শিমুলতলী বাঁধ ভেঙ্গে পৌরশহরে মধ্যবাজার, জেলখানা রোড, উত্তর গড়কান্দা, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক বাড়িঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওইসব এলাকার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হন। সকালে চেল্লাখালি নদীর পানি গাজীরখামার-নালিতাবাড়ী সড়কের বালুঘাটা এলাকায় সড়ক উপচিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানিতে ডুবল ঢাকার রাস্তা, ভোগান্তিতে মানুষ
ওই দুই নদীর পানি পরিমাপকরা (গেজ রিডার) জানিয়েছেন, দুপুর ১২টায় নালিতাবাড়ী পয়েন্টে চেল্লাখালি নদী বিপদসীমার ১ দশমিক ৭৩ মিটার ওপর দিয়ে ২৭ দশমিক ৪৭ মিটার উচ্চতায় এবং ভোগাই নদী ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ১৭ দশমিক ৯৯ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল।
চেল্লাখালির পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আলমগীর হোসেন জানান, এমন ভারি বর্ষণ গত কয়েক বছরেও দেখিনি। বর্ষণ অব্যাহত আছে, উজানেও বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে করে পাহাড়ি নদ-নদীগুলোর পানি আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে দু’কোল উপচিয়ে ঝিনাইগাতী-রাংটিয়া সড়কের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দিঘিরপাড় এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝিনাইগাতী উপজেলা কমপ্লেক্সে ও ঝিনাইগাতী বাজারে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে। এতে নিম্নাঞ্চলের কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ, ডুবে ড়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। ফলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, ঝিনাইগাতী সদর বাজারের মসজিদ রোডসহ বাজারের একাংশ হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা
হাতিবান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আলী আকবর বলেন, আমার ইউনিয়নের কমপক্ষে পাঁচটি গ্রামে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমন ধানের বীজতলা, সবজি ও বেশ কিছু পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল-মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, সকালে ভাঙ্গা বাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বৃষ্টি কমলে পানি দ্রুতই নেমে যাবে। প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোগাই নদীর পাহাড়ী ঢলে যুবক নিখোঁজ
শেরপুরে ভারত থেকে নেমে আসা ভোগাই নদীতে পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছের গুড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন এক যুবক। জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমা গ্রামে রবিবার সকাল ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যুবক বুরহান উদ্দিন (২১) ওই গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) তার সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহানের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার
স্থানীয় রামচন্দ্রকুড়া মন্ডালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, রবিবার ভোরে পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের সাথে ভেসে আসে পাহাড়ি গাছের গুড়ি ও লাকড়ি। সকাল থেকে ভোগাই নদীর তীর সংলগ্ন কালাকুমা ও পানিহাতাসহ বিভিন্ন স্থানে ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছ এবং লাকড়ি ধরছিলেন স্থানীয়রা। বোরহানও সকালে ঢলের পানিতে ভেসে আসা একটি গাছ ধরতে নদীতে নামে। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঢলের পানিতে তলিয়ে বোরহান মারা গেছে।
আরও পড়ুন: সন্ধান মেলেনি পদ্মায় নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলীর
শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
শেরপুরে নিজ বাসায় বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
শহরের পূর্বশেরী মহল্লায় শুক্রবার রাত ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লুৎফর রহমান মানিক (৪৮) সদর উপজেলার জঙ্গলদী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, ফ্রিল্যান্সার মানিক প্রায় ৮ বছর আগে শেরপুর শহরের পূর্বশেরী মহল্লার জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসার ইলেকট্রিক মেইন সুইচ বন্ধ করে রান্নাঘরে বিদ্যুতের কাজ করতে যান। কিন্তু অজান্তেই পরিবারের কোনও এক সদস্য মেইন সুইচের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করলে মানিক বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লকডাউন: শেরপুরের সাথে ৭ জেলার বাস চলচল বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি জেলায় লকডাউনের কারণে ওইসব জেলার সাথে শেরপুরে বাস চলাচলা এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার মধ্যরাতে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিং করা হয়।
এদিকে, লকডাউনের কারণে হঠাৎ করে শেরপুর থেকে সোমবার রাতের নাইট কোচ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউনের ১২তম দিনে মৃত্যু ৯, শনাক্ত ১০৭
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। এই সাত জেলায় সব কিছু বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোন কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লক রেইড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ জানান, অত্যাধিক কোভিড আক্রান্ত কয়েকটি জেলা হতে শেরপুরে চলাচলকারী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। রাতেই শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কিছু নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় তৃতীয় দফায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ল
শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থত্যাগ বা ত্যাগ স্বীকার একান্তভাবে কাম্য। হার্ড ইমিউনিটির মূল্য অনেক প্রাণের বিনিময়ে দেয়া লাগতে পারে। কাজেই রিজনাল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এটাই এই মুহূর্তে বেস্ট সলুউশন।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে শেরপুর পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। গত মে মাসে জেলায় করোনার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। অথচ জুন মাসের শুরু থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই জেলায় ৩৭৩ জনের দেহে করোনা ভাইরানের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন পার করছে সাতক্ষীরা
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, শেরপুর এখন` ইয়োলো জোন’ থেকে করোনা সংক্রমণের `অরেঞ্জ জোনে’ রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটা ‘রেড জোনে’ পরিণত হতে পারে।
‘জীবনেও ভাবি নাই, পাক্কা ঘরে থাকবার পামু’
জীবনেও ভাবি নাই, পাক্কা ঘরে থাকবার পামু। আর আইজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরও পাইলাম, তার সাথে কথাও কইলাম। এই আনন্দ কয়ে বোঝানো যাইবো না।
জমিসহ নতুন ঘর পাওয়ার পর ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে পেরে এভাবেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন শেরপুরের তাসলিমা খাতুন (৩০)।
রবিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানে শেরপুরে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এলাকার সাথে সরাসরি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপকারভোগীদের সাথে কথা বলতে চাইলে তার সাথে কথা বলেন তাসলিমা খাতুন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। আমার কোন ঘর-বাড়ি আছিল না। বাপের বাড়িতেই আছিলাম। এহন আমারে আপনি একটা ঘর উপহার দিছেন। সেই ঘর পাইয়া অনেক ধন্য হইছি। জমি দিছেন। ঘরে বিদ্যুৎ পাইছি। আরও অনেক সুবিধা পাইছি। তার জন্য অনেক খুশি’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো শেরপুরে ১৬৭ গৃহহীন পরিবার
তাসলিমা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এরকম ঘরে থাকতে পারমু কহনো ভাবতে পারি নাই। মাথার ওপর ছাদ ছিলো না। এখন নিজের জমি হইছে, নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারমু। আল্লার কাছে দোয়া করি, যেন আল্লায় আপনারে ভালো করে’। এ সময় তাছলিমা প্রধানমন্ত্রীকে হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রামে বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহহীনের অভাব ঘুচবে ১৫৭২ পরিবারের
জমি সহ ঘর পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত হলদিগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। উচ্ছাস যেন কমছে না ষাটোর্ধ্ব দিনমজুর লাল মিয়া ও তার স্ত্রী রেজিয়া খাতুনের। লাল মিয়া জানান, জন্মের কয়েক বছর পরেই বাবা-মা হারান। অন্যের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন দীর্ঘ দিন। পরে শ্যালকের (বউয়ের ছোট ভাই) অত্যাচারে সেই বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে পাখির মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন। বুড়ো বয়সে এসে নিজের নামে তিনিই কিনা পেলেন জমির দলিল ও ঘরের কাগজ। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া ও তার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন নতুন পাওয়া ঘর ঘুরে ঘুরে দেখিয়ে জানালেন, আধা পাকা ঘরটি তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। থাকার কক্ষের সঙ্গে রান্নাঘর। টয়লেটের ব্যবস্থাও ভালো। বিদ্যুৎ আছে। পানি আছে। পরিবার নিয়ে এখন খুব ভালোভাবে থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি উপকারভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেন। পরে হলদীগ্রাম আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীবৃন্দ।
হলদীগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পটি ৩ একর ১৩ শতক আয়তনের এ জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৫টি পরিবার আছে। নতুন করে যুক্ত হলো আরও ২৫টি পরিবার। আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর প্রদান উপলক্ষে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। নতুন নির্মিত ঘরগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে ঘরের দরজার সামনে লাগানো হয়েছে নামফলক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকারভোগীদের দেওয়া হয়েছে নতুন জামা-কাপড়। সবমিলিয়ে নিজের নামে জমির দলিল ও জমির ওপর সেমি পাকা ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে শেরপুর জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬৭টি গৃহহীন পরিবারকে জমি সহ ঘর দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে সদর উপজেলায় ৩০টি, নকলায় ৪২টি, নালিতাবাড়ীতে ৫০টি, শ্রীবরদীতে ২০টি ও ঝিনাইগাতীতে ২৫টি ঘর রয়েছে। এগুলো প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, রিকশাচালক, দিনমজুর, বিধবা, কাজের মহিলাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
শেরপুরে পৌঁছেছে চীনের সিনোফার্ম ভ্যাক্সিনের ১২ হাজার ডোজ
কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য শেরপুরে চীনের তৈরি ‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন’ এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জেলা ভ্যাক্সিন কমিটির সদস্যরা ‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন’-এর ১২ হাজার ডোজ টিকার চালান গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ করলে ‘বঙ্গভ্যাক্সের’ ট্রায়ালের অনুমতি: বিএমআরসি
একটি বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে শেরপুরে আসা এই ১২ হাজার টিকা ২০টি ভায়েলের প্রতিটিতে ৬০০ করে ডোজ রয়েছে। এসব টিকায় ৬ হাজার জনকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম, আনওয়ারুর রউফ জানান, আগামীকাল ১৯ জুন শনিবার থেকেই চীনের তৈরি ‘সাইনোফার্ম ভ্যাকসিন’ প্রদান করা হবে। কেবলমাত্র শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ টিকা দান কেন্দ্র থেকে এ টিকা দেয়া হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. আবুল বাশার মিয়া, জেলা ড্রাগ তত্তাবধায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দ, এমওসিএস ডা. আকরাম হোসেন, জেলা ইপিআই সুপারভাইজার, কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান ও সহকারি স্টোরকিপার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড এস্ট্রজেনিকার কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন শেরপুর জেলায় পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৯১ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৬০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৩১ জন। ভ্যাক্সিন সংকটের কারণে গত ৫ মে থেকে জেলায় করোনা টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিনোফার্ম-ফাইজারের টিকা কার্যক্রম ১৯ জুন থেকে শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন!
শেরপুরে সদর উপজেলায় পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চক আন্ধারিয়া এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (২৮) উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে ও পেশায় ট্রলিচালক।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, সদরের চক আন্ধারিয়া এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পাশের গ্রামের সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া চলে আসছিল। পরকীয়ার সূত্রে সাইফুল ওই গৃহবধূর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি সাইফুল পরকীয়ার সম্পর্ক ছিন্ন করায় ওই গৃহবধূ বিক্ষুদ্ধ হন। সোমবার রাতে ওই গৃহবধু সাইফুলকে খবর দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান এবং শারিরীক মেলামেশার ছলে তার (সাইফুলের) পুরুষাঙ্গ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দেন।
আরও পড়ুন: অন্যত্র বিয়ে করায় প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন
এসময় সাইফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তবে আহত সাইফুলের পরিবারের দাবি, পূর্ব শক্রতার জের ধরে সাইফুলকে স্থানীয় বাজার থেকে ডেকে পাশের মাঠে নিয়ে কয়েকজন যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, ঘটনা শোনার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেরপুরে আনসার আল ইসলামের এক সদস্য আটক
জেলার নকলা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার ভোরে র্যাব-৩ টিকাটুলি ঢাকার একটি আভিযানিক দল নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের লাভা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে।
আটক মো. হাসান মাহমুদ (১৯) নকলার লাভা মধ্যপাড়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ‘আনসার আল ইসলামের’ ৩ সদস্য আটক
সোমবার বিকালে নকলা থানা পুলিশ সন্ত্রাস দমন আইনে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করে।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস জানান, আটক হাসান মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিল। তার মোবাইল ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য।
আরও পড়ুন: আনসার আল ইসলাম সদস্যসহ দুজনকে ঢাকা ও রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি ফিরোজ খান বাদী হয়ে একটি অভিযোগ সহ হাসানকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় 'আনসার আল ইসলাম'র ৪ সদস্য আটক
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় র্যাবের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।