সেবা বন্ধ
রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটারের আশেপাশে পাঠানপাড়া, সিপাইপাড়া, লক্ষ্মীপুর, ফায়ার সার্ভিসের মোড়, বর্ণালী, নগরভবন এলাকায় কোনো ইন্টারনেট নেই। এমন কি এসব এলাকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধাও বন্ধ করে রাখা আছে বলে জানান নেট ব্যবহারকারীরা।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হাওয়ার পর থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হাজারো নেতাকর্মীর ঢল
সমাবেশস্থলে একটি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সজল জানান, প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছিল নগরীর মাদরাসা মাঠে। সেখানে ইন্টারনেট নেই। মূল সার্ভার থেকেই বন্ধ করে রাখা আছে। আমাদের কিছু করার নেই।
এদিকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, এ সরকার আমাদের সব কাজেই বাঁধা দিচ্ছে। ইন্টারনেট বন্ধও একটি বাঁধা। আমাদের সমাবেশ যাতে বিপুল পরিমাণে প্রচার না পায় এজন্য তারা ভয়ে বন্ধ করে রেখেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের পূর্বে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি
বিএনপির সমাবেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন: কাদের
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা: সেবা বন্ধের আল্টিমেটাম
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ডা. সুমিত পালের ওপর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টাকারী গ্রেপ্তার না হলে জেলার সকল চিকিৎসা কার্যক্রম (ইনডোর, আউটডোর ও প্রয়োজনবোধে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা) বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)।
বুধবার দুপুরে চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবিতে খুলনা বিএমএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা আটক
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় খুলনা বিএমএ ভবনের কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে কার্যনির্বাহী সভায়ও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনটি। সভা থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামি গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলনা করোনা হাসপাতালে এক বছরেরও অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হয়নি
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে খুলনা জেলার সকল চিকিৎসা কার্যক্রম (ইনডোর, আউটডোর ও প্রয়োজনবোধে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা) বন্ধ ঘোষণা করা হবে। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত সকল চিকিৎসক কালো ব্যাচ ধারণ করবেন।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৭টার পর খুলনায় বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রোগীর মৃত্যুতে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমিত পালকে রোগীর স্বজন দ্বারা প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।