রাঙামাটি
দুর্গম পাহাড়েও পৌঁছালো টিকা
করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকা পৌঁছাল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার জেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সরকারের গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে বড়থলি ইউনিয়নে রওনা দেন।
আরও পড়ুন: সিলেট নগরীতে গণটিকা নিলেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন
এসময় বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে তিনজন স্বাস্থ্য কর্মী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের সাথে রয়েছন। প্রথমবারের মতো বিলাইছড়ি উপজেলার কোন নির্বাহী কর্মকর্তার এই ইউনিয়ন পরিদর্শনে গেলেন।
ডা. রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়নে গণটিকার প্রথম ডোজ দেয়া হলেও দুর্গমতার কারণে বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে থেকে দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে ৬০০ জনকে এই গণটিকা প্রদান করা হবে।
টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন:সিলেটে ৭ আগস্ট থেকে গণটিকাদান শুরু
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে বড়থলি ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা অসুবিধা সচক্ষে দেখার জন্য ও ইউনিয়নের প্রকল্পসমূহ সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য একাধিক বার উদ্যোগ নেয়া হলেও দুর্গমতা এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি।রাঙামাটি, ১০ আগস্ট (ইউএনবি)- করোনা মোকাবিলায় রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম ৪নং বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকা পৌঁছাল।
কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির আক্রমণে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্য
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন ২নং রাইখালী ইউনিয়নে বন্য হাতির আক্রমণে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিহারের পাশে এ ঘটনা ঘটে
নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু ভদন্ত আজ্ঞাধাম্মা থের (৫৮) ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কারিগর পাড়ার তম্বঘোনা বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ।
পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
কারিগর পাড়ার কার্বারি উথোয়াইপ্রু মারমা জানান, নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু বিহারের দেশনা শেষ করে বিহার হতে বের হলে বন্য হাতি তাকে আক্রমণ করে। এসময় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। আশেপাশে বাড়ি ঘর দূরে থাকায় সেই মূহূর্তে ভিক্ষুকে বাঁচাতে কেউ আসতে পারে নাই।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সায়ামং মারমা জানান, রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া এলাকার বন্য হাতির আক্রমণে তম্বঘোনা বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পড়ুন: শ্রীবরদীর পাহাড়ী জনপদ থেকে মৃত বন্যহাতি উদ্ধার
চট্টগ্রামে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাঙামাটিতে মাথায় গুলি চালিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের ‘আত্মহত্যা’
রাঙামাটিতে নিজ রাইফেলের গুলিতে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কনস্টেবল মো. কাইয়ুম সরকার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার বাঁশকৈর গ্রামের মো. আইয়ুব আলী সরকারের ছেলে। তিনি রাঙামাটির সুখী নীলগঞ্জ নিউপুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে চাকরি হারিয়ে যুবকের আত্মহত্যা!
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন বলেন, কনস্টেবল কাইয়ুম দায়িত্ব পালন করার জন্য ব্যারাক থেকে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় এসে এই ঘটনা ঘটায়। কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
পড়ুন:মেহেদীর রঙ না মুছতেই গৃহবধূর আত্মহত্যা!
মায়ের কাছে চিঠি লিখে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
রাঙামাটিতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে দ্বিতীয় দিনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ মাঠে রয়েছে। এসময় তারা বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে অকারণে যারা ঘোরাঘুরি করছে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
গতকালের মতো শুক্রবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটরা। একাধিক মোবাইল টিম শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৬ জনকে অর্থদণ্ড
জেলা প্রশাসনের সাথে শহরে সেনাবাহিনীর টহল ছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে বিজিবি ও পুলিশ। রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম কাজ করতে দেখা গেছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে পুলিশ, আর্মড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। তারা বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আর পৌর এলাকাজুড়ে করোনা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে তথ্য অফিস।
এছাড়া শহরে ওষুধ ও হোটেল দোকান ছাড়া অন্যসব দোকান ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক কম। সকল প্রকার যানবাহন ও নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনায় আরও ১১ মৃত্যু
রিকশাবিহীন রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা বন্ধ থাকায় কার্যত সরকারের বিধিনিষেধ সফলভাবে পালিত হচ্ছে। তবে ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে বের হলেও মোবাইল টিমের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত। এসময়ে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, ৫০ বেডের বিশেষ আইসোলেশন সেন্টার চালু
রাঙামাটিতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন জেলা শহর ছাড়াও অন্য উপজেলাগুলোতেও করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এদিকে করোনা রোগীদের জন্য ৫০ বেডের বিশেষ আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রাঙামাটিতে মোট ১৯ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ মৃত্যু ঘটেছে গত ১৬ জুন। কাউখালী উপজেলার একজন ৬৮ বছরের নারী এদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত ৯ লাখ ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১১২
রাঙামাটিতে সর্বশেষ (২৮ জুন পর্যন্ত) নতুন ৯৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১৬ জন। নতুন শনাক্তের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ১০, বাঘাইছড়িতে ৪ ও নানিয়ারচর উপজেলায় দুজন। বর্তমানে ১১৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, করোনা রোগীদের জন্য রাঙামাটি সরকারি কলেজের একটি ভবনকে করোনা রোগীদের জন্য ৫০ বেডের বিশেষ আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। বর্তমানে ১১ জন রোগী আছে সেখানে।
সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা না থাকলেও অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত আছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে রাঙামাটি জেলা পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাঙামাটির সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
রাঙামাটিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
চলতি বোরো মৌসুমে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
গত বছরের মতো এই বছরও করোনার প্রার্দুভাবে কারণে অনেক কৃষক ধান কাটার শ্রমিক সংকটে ভুগছেন। তবুও ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলার রাস্তার মাথা ও বনযোগীছড়া এলাকার কৃষক চৈতালী চাকমা ও জ্ঞান রঞ্জন চাকমা জানান, হ্রদের পানি যখন শুকিয়ে যায় তখন জলেভাসা জমিতে তারা নিজেরা অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে পরিশ্রম করে ধান চাষ করেন। এ কারণে তাদের খরচ কম হয়। এতে তাদের লাভ বেশি হয়। আর করোনাকালীন সময় তাদের পরিবারের সদস্যরা সারা বছর ভাতের জন্য আর ভাবতে হবে না।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
তাদের মতে, অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কোনো কোনো জমিতে ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ রকম আরো অন্যান্য এলাকায় প্রত্যেক কৃষকরা ধান চাষ করে লাভবান হবেন বলে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এ ব্যাপারে জুরাছড়ি কৃষি কর্মকর্তা সুস্মিতা চাকমা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ৪৬৮ হেক্টর জলেভাসা জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এখন বোরো ধান কাটার উপযোগী হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে এবার বোরো আবাদে ফলনও ভালো হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে জুরাছড়ি উপজেলায় ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন চাল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে জেগে উঠা সমতল জলেভাসা জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে রাঙামাটি জেলায় কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসা ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। সরকারিভাবে বোরো প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের হাইব্রিড বীজ ধান ও বিনামূল্যে সার দেয়া হয়েছে। ফলে বোরোতে এবার ভালো ফলন হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকায় ধান কাটার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এবার ধানের ব্যাপক ফলন হওয়ায় যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন গোলায় তুলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কৃষকের ফসল ঘরে তুলতে ধান কাটলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক
রাঙামাটিতে ঢিলেঢালাভাবে চলছে তৃতীয় দিনের লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে সারাদেশে আটদিনের সর্বাত্মক লকডাউনে তৃতীয় দিনেও রাঙামাটিতে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরের কয়েকটি স্থানে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়লেও শহরের বাজারগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
গত দু’দিন লোকজন কিছুটা বাড়ি-ঘরে থাকলেও শুক্রবার বাইরে লোকজনের উপস্থিতি দেখা মিলছে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সিলেটে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে
লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাঙামাটি শহরে কাঁচা বাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরে জরুরি পরিবহন চলাচল ছাড়াও ব্যক্তিগত যানবাহন ও কিছু কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে যারা বাইরে বের হচ্ছেন এ রকম কিছু কিছু মোটরসাইকেল আরোহীদের পুলিশি বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, সারা দেশের ন্যায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে রাঙামাটিতে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। পরিস্থিতি সুষ্ঠভাবে বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদলতের টিম শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে
তিনি জানান, যারা সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করছে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সাভারে টিলেঢালাভাবে চলছে প্রথম দিন
রাঙামাটিতে কঠোরভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন রাঙামাটিতে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে রাঙামাটির প্রতিটি এলাকায় নিরব নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে।
বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি শহরের সবকটি দোকানপাট। তবে কিছু কিছু মুদি দোকান ও সবজি বাজার খোলা রয়েছে কিন্তু মানুষের উপস্থিতি নেই।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।
শহরের ব্যস্ততম বনরূপা বাজার এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহী। সরকারের বেধে দেয়া নির্দিষ্ট কারণ বলতে না পারায় আটক করা হয়েছে বেশ কিছু মোটরসাইকেল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
এদিকে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাঙামাটিতে সকল আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
করোনায় হচ্ছে না এবারের বৈসাবি উৎসব, পাহাড়ে নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার পাহাড়ের প্রধান ও সামাজিক উৎসব বৈসাবি পালন করা হচ্ছে না।
মহামারির কারণে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু ও বাংলা নববর্ষ-২০২১ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে এসব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
আগামী ১২ এপ্রিল পাহাড়ের বৈসাবি উৎসবের প্রথম দিন। আর আগামী ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ‘ফুল বিজু’।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে বৈসাবি উৎসব শুরু
উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায় ও মা গঙ্গার উদ্দেশে নদীতে ফুল ভাসায়। কিন্তু এবার মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে কোথাও কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই।
বিজু, বৈসু, সাংগ্রাইং, বিষু-২০২১ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি চাকমা বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা মহামারির কারণে সরকারি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের সব অনুষ্ঠান স্থগিত রাখছি। জনসমাবেশ হবে এমন অনুষ্ঠান বাদ দেয়া হয়েছে। তবে প্রকাশনা বের করা হবে।’
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুরেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘সরকারি নিদের্শনার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মা গঙ্গার উদ্দেশে নদীতে ফুল ভাসানোসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি। গত বছরের ন্যায় এ বছরও কোনো উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে করা হবে না।’
বৈসাবির উৎসবকে কেন্দ্র করে এই দিনটিকে ঘিরে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। সরকারের নির্দেশনা মানতে ও নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বৈসাবি উৎসব থেকে বিরত রয়েছেন পাহাড়ের মানুষ। বেঁচে থাকলে আগামী বছর এই বিজু উৎসব আনন্দ ঘন পরিবেশে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে ভিন্ন আঙ্গিকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
আর বৈশ্বিক এই মহামারি থেকে বিশ্ব সুস্থ হয়ে আগামী বছর বৈসাবি উৎসব আরও আনন্দঘন পরিবেশে পালন করতে পারে তার জন্য পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত ১৩ নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, বিহু, জল উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। এ উৎসব পাহাড়ের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ৯ এপ্রিল থেকে উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে র্যালিসহ বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা পালন করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
দেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমাজের দৃষ্টি সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে সাংবাদিকরা ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দু-একজন সাংবাদিকের অনৈতিক কাজের জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজকে দায়ী করা যাবে না। সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। কিছু ব্যক্তির কারণে সাংবাদিকদের যাতে বদনাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন:অনেক উন্নত দেশেও বাংলাদেশের মতো গণমাধ্যম স্বাধীন নয়: তথ্যমন্ত্রী
পিআইবি’র উদ্যোগে রাঙামাটি কাপ্তাই উপজেলায় সাংবাদিকদের জন্য ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত আয়োজিত সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নেই: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদদ্দাচ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মামুন, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, রাঙ্গুনিয়া পৌর মেয়র শহহজাহান শিকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জিগারুল ইসলামসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:প্রেস ক্লাবকে সংঘর্ষের ঢাল বানানো অপরাধের শামিল: তথ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণে কাপ্তাই, রাঙ্গুনিয়া, কাউখালি, রাজস্থলী এবং রাউজান উপজেলার ৩৫ জন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদকর্মী অংশগ্রহণ করেন।