দুর্দান্ত কোনো ফলাফল
দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
কোভিড-১৯ এর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে বুধবার থেকে নতুন একটি লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অভাবে এই লকডাউনে কোনো দুর্দান্ত ফল লাভের সম্ভাবনা নেই।
তারা বলছেন, লকডাউনের সময় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করে জনগণকে জোরপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে বাধ্য করে 'কারফিউ জাতীয়' পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের সময় কল-কারখানাগুলো খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন এতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, লকডাউন কার্যকর করার আগে সরকারের উচিত হতদরিদ্র, দিনমজুর ও বস্তিবাসীদের জীবন চালাতে খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
৫ এপ্রিল থেকে প্রায় সবকিছু খোলা রেখে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। আর এই লকডাউনের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান নয়। কারণ দেশে এই সময়ে ৪৭ হাজার ৫১৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয় এবং ৫০৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণহানির সাপ্তাহিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে সকল অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ করে সাত দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সরকার সোমবার নতুন কতগুলো নির্দেশনা জারি করে। তবে, লকডাউনের সময় কারখানাগুলো খোলা থাকবে।
লকডাউনের প্রস্তুতি
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. বে-নাজির আহমেদ বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'বড় সমস্যা হলো সরকার কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই আবারও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চলেছে। আপনি ১৭ কোটি লোককে সাত দিনের জন্য বাড়ির ভিতরে রাখতে চাইলে অনেক প্রস্তুতি নেয়াও জরুরি। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য এমন পদক্ষেপে বিপুল সংখ্যক লোককে ব্যস্ত থাকার কথা।'
এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রতিটি এলাকায় অস্থায়ী দোকান তৈরি করা উচিত ছিল যাতে মানুষ রমজান মাসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখান থেকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সংগ্রহ করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রণোদনার মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
'একজন বস্তির বাসিন্দা প্রতিদিন রোজগার না করে বাঁচতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন হতদরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করা এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা যেন তাদের লকডাউনে জীবিকার জন্য বাইরে যেতে না হয়।'
৩ বছর আগে