অনাবাদি জমিতে সুবর্ণ-৩ বোরোর বাম্পার ফলন
কসবায় অনাবাদি জমিতে সুবর্ণ-৩ বোরোর বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় অনাবাদি জমিতে সমলয়ে সুবর্ণ-৩ বোরো ধান বাম্পার ফলন হয়েছে। সময় মতো রোদ-বৃষ্টি থাকায় ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে উপজেলার ৭৮ জন কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার উপজেলার নেমতাবাদ মাঠে ৫০ একর জমিতে সুবর্ণ-৩ বোরো নতুন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
উপজেলার নেমতাবাদ কৃষক এরশাদ মিয়া বলেন, ‘এ মাঠে ৫০ একর জমিতে সুপ্রীম সিড কোম্পানির সমলয়ে বোরো হাইব্রিড ধান সুবর্ণ-৩ চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় মাঠে মাঠে সোনালি ধান কাটার উৎসব
কৃষক আল আমিন বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সুবর্ণ-৩ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি সঠিক বাজার মূল্য পাব।’
কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ৫ কানি জমিতে এই নতুন ধান আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩৭ শতক জমিতে এ ধান চাষ করেছি। সুবর্ণ-৩ ধান পেয়ে আমি খুশি।
কৃষক আবু ছায়েদ জানান, প্রথমে মনে করেছি কি ধান যেন রোপন করি চিন্তাই ছিলাম। এখন এই ধানের বাম্পার ফলনে মনে আনন্দ লাগছে।
কৃষক হিরণ মিয়া বলেন, মাশাল্লাহ এ ধানটা ভালো ফলন হয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি।
‘গত তিন বছর এমন ফলন পাইনি। এ বছর ভালো হয়েছে বলেন,’ মাঠের অপর কৃষক।
কসবা কৃষি অফিসের উপসহকারী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই ধানটি নতুন। কৃষক প্রথমেই চাষ করতে রাজি হয়নি। এখন বাম্পার ফলনে কৃষক অনেক খুশি।’
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিবিদ বিল্লাল হোসেন খান বলেন, ‘সুবর্ণ-৩ ধানের বীজ যেন সুপ্রীম কোম্পানি কোয়ালিটি সম্পূর্ণ রাখেন। আজ এই ধানে বাম্পার ফলে কৃষকের মুখে হাসি।’
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, ‘সুবর্ণ-৩ চাষে আজ কৃষকের মুখে হাসি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমলয়ে বক্ল প্রদশর্নীর মাধ্যমে সফলতা বয়ে এনেছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় না থাকলে ধান ঘরে তুলতে পারবেন এবং সঠিক বাজার মূল্য এমনটাই আশা করছেন কৃষকরা।’
৩ বছর আগে