পাবনা
পাবনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
পাবনার চাটমোহরে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ট্রলির ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাই আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রভাকরপাড়া রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল করিম (৩৫) এবং আহত লিখন হোসেন (৩০) ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামের হাসানুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ধাক্কায় নিহত নানী-নাতি
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে ইট-বালু পরিবহনের জন্য ট্রলি গাড়ি কেনেন আব্দুল করিম। দুই ভাই ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় ইট-বালু সরবরাহ করতেন। শুক্রবার সকালে তারা চাটমোহরের প্রভাকরপাড়া এলাকায় বালু সরবরাহ করতে আসেন। ফেরার পথে প্রভাকরপাড়ার অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় আন্তঃনগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে তাদের গাড়িটির ধাক্কা লাগে। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পরে দুই ভাই মারাত্মক আহত হন।
এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে প্রাণ হারান আব্দুল করিম।
দুপুর ২টার দিকে স্বজনরা চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত লিখনকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা বলেন, অনেক চেষ্টা করেও আহত আব্দুল করিমকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য লিখনকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে৷
চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাসুম আলী খাঁন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রভাকরপাড়া রেলক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। অসাবধানতাবশত এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় এক বৃদ্ধা নিহত
পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কাবারিকোলা গ্রামের মাসুদ মুন্সির ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩০) এবং জালাল মুন্সির ছেলে বাবু মুন্সি (২৫)। সর্ম্পকে তারা আপন চাচাতো ভাই।
আহত মমিন সিকদার একই গ্রামের মন্তাজ সিকদারের ছেলে এবং আওয়াল আলী চন্ডিপুর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জামিরুলের ভুসির দোকানে বৃহস্পতিবার হালখাতা ছিল। জামিরুল তার চাচাতো ভাই বাবু ও প্রতিবেশি মমিনকে সঙ্গে নিয়ে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে কাশিনাথপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে চন্ডিপুর গ্রামের ট্রেন রাস্তা দ্রুত পার হওয়ার সময় ঈশ্বরদী থেকে ছুটে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামের ট্রেন তাদের ধাক্কা দিলে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মালিবাগে ট্রেনের ধাক্কায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু
মোটরসাইকেলে থাকা মমিন ছিটকে পড়ে গেলে সে প্রাণে বেঁচে যায়। তবে মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আওয়াল আলীর গায়ের ওপর পড়লে সে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোর সাড়ে চারটায় ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ঢালারচর এক্সপ্রেস পথিমধ্যে চন্ডিপুর গ্রামে পৌঁছালে এদুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে চাচাতো দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও দুজন।
তিনি আরও বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
পাবনায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মুলাডুলি ইক্ষু খামারের সামনে পাবনা-নাটোর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু তাসনিয়া আক্তার লামিয়া (৩) মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের সুমন আলীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বজ্রপাতে ৩ শিশুর মৃত্যু
জানা গেছে, ঈশ্বরদী-নাটোর মহাসড়কের মুলাডুলি ইক্ষু খামারের নিকট মোটরচালিত ভ্যানে চড়ে মুলাডুলি থেকে ঈশ্বরদী অভিমুখে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার ভ্যানটিকে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দিলে লামিয়া তার মা সাথী খাতুনের কোল থেকে ছিটকে পড়ে প্রচণ্ড আঘাত পায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায়।
এ সময় মা সাথী খাতুন ও ভ্যানচালক আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার স্যানাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশু লামিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে বালতির পানিতে পড়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১১৩৭ টন মালামাল মোংলায় পৌঁছেছে
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি লিবার্টি হারভেস্ট। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়ে জাহাজটি।
এর আগে গত ৩ মে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে জাহাজটি।
জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এইচএসআর ওসান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপক বিপ্লব খান বলেন, জাহাজটিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ১৩৭ দশমিক ৪৪৯ মেট্রিক টন মেশিনারি রয়েছে। জাহাজ থেকে এ সব পণ্য খালাস করে জেটির সেডে রাখা হচ্ছে।
খালাস শেষে এসব মেশিনারিজ সড়ক পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২৯ মে রাশিয়া থেকে সরাসরি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছিল এমভি আনকা স্কাই।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য নিয়ে জাহাজ মোংলা বন্দরে
তারও আগে গত ৬ মে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল বিদেশি জাহাজ এমভি আনকা সান।
এছাড়া ২৫ এপ্রিল রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে এসেছিল এমভি ইয়ামাল অরলান। আর ইয়ামাল অরলানের আগে এসেছিল এমভি ড্রাগনবল ও এমভি কামিল্লা।
সাম্প্রতিককালে সাতটি জাহাজ কোম্পানির ৬৯টি জাহাজে রূপপুরের পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার বাহিরে থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে রূপপুরের পণ্য নিয়ে সরাসরি মোংলা বন্দরে আসছে।
আর নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজগুলো রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে ভারত ট্রানজিট হয়ে আসছে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে ভারত হয়ে মোংলায় এসেছে এমভি সেজুতি
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
পাবনাপাবনার ঈশ্বরদীতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডার এমপি মোড়ে পাবনা ট্যাংক লরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তাফসির আহম্মেদ মনা (২৩) ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পাকার মোড় এলাকার সৌদি প্রবাসী তানজির রহমান তুহিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় মনা এমপি মোড়ের শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় চার-পাঁচজনের অস্ত্রধারী দল মুখে কাপড় বেঁধে কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা মনাকে উদ্দেশ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ মনাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক নিহত
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মনা পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর ফটু মার্কেটসংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালু কাটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই নিয়ে প্রতিপক্ষ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর সঙ্গে তার পক্ষের লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পারিবারিক সূত্র আরও জানায়, কয়েক দিন আগে প্রতিপক্ষ ওই গোষ্ঠী মনার পক্ষের শাহিন নামের যুবলীগের এক কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় যুবলীগকর্মী মো. লিটন, লিখনসহ কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ মনাকে গুলি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপারসহ সবাই গিয়েছেন। হত্যার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডার মন্ত্রীর মোড়ে দোকানে বসেছিলেন মনা। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন তাফসির। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রবিবার (১৮ জুন) সকালে ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ঘটনা তদন্তের পর হত্যার নেপথ্যের কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
নওগাঁয় বজ্রপাতে ৪ জন নিহত
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে পাবনা জেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ শেষে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পাবনা জেলার সড়ক যোগাযোগ, পানি উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামো উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন স্থানীয় চাহিদা ও জনস্বার্থ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, কারণ সব প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এনএসইউ’র ভিসি
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি কর্মকর্তাদের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পগুলো শেষ করার নির্দেশ দেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (অতিরিক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
দেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুত খাতে ব্যাপক দুর্নীতি‘র প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা শহরের বড় ব্রিজের পাশে লতিফ টাওয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১০ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হয়। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ বাধা দেয়, এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন: যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বিএনপির ৬টি যুব সমাবেশের সূচি পরিবর্তন
এদিকে একই সময়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ার সামনে আসলে ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুসহ অনেকে আহত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
পাবনায় সিএনজি-ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সিএনজি চালকসহ আর তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলতলা ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের রফিকুল আলমের ছেলে মাহবুবুর আলম (৪০) ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে আব্দুর রহমান। নিহত মাহবুবুর আলম পাবনায় স্কয়ার গ্রুপে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৫
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাকশী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল জানান, মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক একটি জানাজার অনুষ্ঠান শেষ করে মাহবুবুর তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে সিএনজি করে পাবনা যাচ্ছিলেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া তেতুলতলা তিন রাস্তার মোড় নামক রাস্তার বাঁকে পৌঁছানো মাত্র বিপরীতগামী টাক্টরের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
খবর পেয়ে পাকশী হাইওয়ে পুলিশ এসে দুইজনের লাশ উদ্ধার করে এবং সিএনজি চালকসহ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১
ওসি জানান, পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করলেও এর চালক পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পাকশী হাইওয়ে থানায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় বুধবার (৭ জুন) সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিহতের স্বজনদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ৩
চলমান তাপপ্রবাহ ৫-৬ দিন অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আগামী পাঁচ থেকে ছয় দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আর জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, রাজশাহী ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের বাকি অংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
বুলেটিনে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
প্রচণ্ড গরমে ঢাকার বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হয়নি
পাবনায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পাবনার চাটমোহরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলেন- চরপাড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নাহিদ (৭) এবং একই গ্রামের নাইম হোসেনের ছেলে রিদয় (৮)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যায় নাহিদ ও রিদয়সহ আরও বেশ কিছু শিশু। গোসল করার মূহূর্তে হঠাৎ করেই পানিতে ডুবে যায় ওই দুই শিশু। পরে পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাদের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু