বেইজিংয়ের প্রস্তাব
কোভিড ভ্যাকসিন: জরুরি স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি তৈরিতে বেইজিংয়ের প্রস্তাবে ঢাকার সায়
জরুরি অবস্থার সময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি’ তৈরিতে চীনা প্রস্তাবের সাথে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানও চীন থেকে অনুরূপ প্রস্তাব পেয়েছে এবং সম্মতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা নীতিগতভাবে এটি পছন্দ (প্রস্তাব) করেছি।’
তিনি বলেন, ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ এই প্রস্তাব পেয়েছে এবং ২৭ এপ্রিল মন্ত্রি-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ প্রস্তাবের বিষয়ে আরও বিস্তারিত চেয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে ২৭ এপ্রিল মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: টিকার মজুদ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ভারতে সম্প্রতি করোনার ভয়ংকর পরিস্থিতিতে চীন সহযোগিত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
ড. মোমেন বলেন, চীন উপহার হিসেবে ৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ দেবে এবং আশা করি শিগগিরই বাণিজ্যিক ক্রয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
৩ বছর আগে