বড় স্কোর
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজ ২০২১: প্রথম টেস্টে প্লেয়ার রেটিংস
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়ার পর সত্যিকারের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। বোলিং-এ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ন্যূনতম মোট রান করতে বাধ্য করবে বলে আশা করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা যখন প্রথম ইনিংসে ১০০রানের লিড নিয়েছিল তখন সব প্রত্যাশা শেষ হয়ে যায়। চূড়ান্ত দিনে লঙ্কানরা বাংলাদেশের সব উইকেট নিয়ে ম্যাচটি হাতে রাখার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশি ব্যাটাররা প্রতিপক্ষের বোলারদের তাদেরওপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেয়নি এবং ম্যাচটি ড্র করে শেষ হয়েছিল। বাংলাদেশ দলের জন্য প্রথম টেস্ট প্লেয়ার রেটিংগুলি এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রথম টেস্টে দলের খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স রেটিং
রান-ফেস্টের প্রথম টেস্টের পরে আমরা অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের জন্য রেটিং সংকলন করেছি, যা নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে ...
আরও পড়ুন: করুণারত্নে-ধনাঞ্জয়ের কাছে পাত্তা পেল না টাইগাররা
তামিম ইকবাল (৮/১০)
রান:১৬৪|গড়:১৬৪.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:৯০|সেঞ্চুরি:০
প্রথম টেস্টে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে ভিন্ন স্টাইলে দেখা গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বাংলাদেশের বাকি ব্যাটারদের প্ল্যাকিড উইকেটে দুর্দান্ত খেলতে অনুপ্রাণিত করেছিল। তামিম প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে আউট না হলে লম্বা ইনিংস খেলতে পারতেন। অন্যদিকে, তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তামিম ইকবালের ফর্মে ফেরা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাফল্য।
সাইফ হাসান (১/১০)
রান:১|গড়:০.৫০|সর্বোচ্চ স্কোর:১|সেঞ্চুরি:০
প্রথম টেস্টে নিয়মিত টেস্ট ওপেনার সাদমান ইসলামের পরিবর্তে সাইফ হাসানকে দলে নেয়া হয়েছিল।কেননা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এইতরুণকে তার প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ দিতে চেয়েছিল। তবে সাইফ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি। তিনি প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র এক রান করেছিলেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত (৭/১০)
রান:১৬৩|গড়:৮১.৫০|সর্বোচ্চ স্কোর:১৬৩|সেঞ্চুরি:১
এই ম্যাচের আগে নাজমুল হোসেনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রতিভা প্রদর্শনের একাধিক সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি সুযোগটি কাজেলাগাতে ব্যর্থ হন। তাই একটি গুজব ছিল যে তাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। ঠিক তখনই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ-উদ্বোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ক্যারিয়ারের সেরা ১৬৩ রানের ইনিংসটি করেছিলেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ ক্রিজে ব্যাট করেন এবং ৩৭৮ বলে তার ইনিংস গড়ে তোলেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি লাকমলের বলে বোল্ড হয়ে একটি রানও না করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
মুমিনুল হক (৮/১০)
রান:১৫০|গড়:১৫০.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:১২৭|সেঞ্চুরি:১
অধিনায়ক হিসাবে মুমিনুল হকের এই টেস্টে তেমন কিছু করার ছিল না কারণ পিচটি পুরোপুরি ব্যাটিংবান্ধব ছিল। তবে মুমিনুল একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে দুর্দান্ত খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ১২৭রানের ইনিংস খেলেন, যা বিদেশের মাটিতে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ২৩রানে অপরাজিত থাকেন।
মুশফিকুর রহিম (৮/১০)
রান:৬৮|গড়:-|সর্বোচ্চ স্কোর:৬৮*|সেঞ্চুরি:০
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম প্রথম ইনিংসে ৬৮* রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে অপরাজিত থাকেন এবং বাংলাদেশকে বড় স্কোর করতে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তবে মুশফিককে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, বিদেশে মুমিনুলের প্রথম সেঞ্চুরি
লিটন দাস (৭/১০)
রান:৫০|গড়:৫০.০০|সর্বোচ্চ স্কোর:৫০|সেঞ্চুরি:০
প্রথম ইনিংসে দ্রুত ৫০ রান করে স্কোরবোর্ডকে সচল রেখেছিলেন লিটন দাস। তবে শেষ দিকে নিজের অর্ধশতকটি শেষ করেই আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দুটি উইকেট হারিয়েছে বলে এই ম্যাচে লিটন আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।
মেহেদী হাসান মিরাজ (৫/১০)
উইকেট:১|ইকোনমি রেট:২.৭৭|বিবিআই:১/১৬১| ৫ডাব্লিউ: ০
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ সবচেয়ে বেশি ইকোনমিকাল ছিলেন। তিনি ৫৮ ওভার বোলিং করেছিলেন এবং ১৬১ রানের বিনিময়ে ১উইকেট নিয়েছিলেন। মেহেদির ইকোনমিক হার ছিল ২.৭৭।
তাইজুল ইসলাম (৫/১০)
উইকেট:২|ইকোনমি রেট:৩.৬২ |বিবিআই:২/১৬৩| ৫ডাব্লিউ: ০
মেহেদীর পাশাপাশি আরও একজন স্পিনার তাইজুল ইসলাম দীর্ঘ সময় বোলিং করেন এবং ৪৫ ওভারে ৩.৬২ ইকোনমিকহারে ২টি উইকেট নেন। পিচটি ব্যাটিং-বান্ধব হওয়ায় তাইজুল কোনও অভিনবত্ব দেখাতে পারেননি।
তাসকিন আহমেদ (৬/১০)
উইকেট:৩|ইকোনমি রেট:৩.৭৩ |বিবিআই:৩/১১২| ৫ডাব্লিউ: ০
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পরফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ বাংলাদেশ টেস্ট দলে যোগ দেন এবং প্রথম টেস্টে ভাল বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। পাল্লেকেলের পিচ ব্যাটসম্যানদের অনেক কিছু দেয়া সত্ত্বেও তিনি আলাদা কিছু করতে অনড় ছিলেন। দলের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন তাসকিন।
আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি (২/১০)
উইকেট:০|ইকোনমি রেট:৪.০০ |বিবিআই:০/৭৬| ৫ডাব্লিউ: ০
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ টেস্ট একাদশের নিয়মিত সদস্য আবু জায়েদ রাহি এই ম্যাচে ভাল বোলিংয়ের জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ১৯ ওভার বোলিং করেছিলেন এবং ইকোনমিক রেট ৪সহ ৭৬ রান দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পাল্লেকেলে টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে ৩১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
এবাদাত হোসেন (২/১০)
উইকেট:১|ইকোনমি রেট:৪.৭১ |বিবিআই:১/৯৯| ৫ডাব্লিউ: ০
উইকেট নেওয়া সত্ত্বেও এবাদত হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বোলার। ২১ ওভারে তিনি ৪.৭১ ইকোনমিক হারে ৯৯ রান দিয়েছিলেন।
৩ বছর আগে