নাটোর
নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
নাটোর সদর উপজেলায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার কালিকাপুর আমহাটি এলাকায় রেল লাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি হলেন- নুসাত (৩০)।
নিহতের ভাই জালাল জানান, শুক্রবার রাতে ক্যারাম খেলা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে নুসাতের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। পরে আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে রেল লাইনের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
নাটোর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সাদাদ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান তিনি।
নাটোরে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাসচাপায় বনপাড়া হাইওয়ে থানার কনস্টেবল ফিরোজ আহমেদের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, হাড়োয়া সরকারপাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ফিরোজ আহমেদকে লালপুরগামী রাফি পরিবহন নামের একটি বাসচাপা দেয়। এসময় কনস্টেবল ফিরোজ গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেকে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাসটি বনপাড়া হাইওয়ে থানায় জব্দ রয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিওয়নের পুলিশ সুপার মুন্সী সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
চট্টগ্রামে বাসচাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
নাটোরে বজ্রপাতে নানা-নাতির মৃত্যু
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় বুধবার বজ্রপাতে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ও তার নাতি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-উপজেলার আমির শেখ ও তার নাতি পাপ্পু (১৪)।
চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে মাছ ধরতে গেলে তাদের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
বাংলাদেশে বজ্রপাত
বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বজ্রপাত একটিতে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর এতে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
বজ্রপাতে প্রতি বছর গড়ে অন্তত ২১৬ জন মানুষ মারা যায় যা বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও অন্যান্য দুর্যোগে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে মোট বজ্রপাতের ৭০ শতাংশের বেশি ঘটনা ঘটে।
নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
নাটোরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার বাগাতিপাড়া উপজেলার করমদোসী বাজারে ও বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- বাগাতিপাড়া উপজেলার সিহাব উদ্দিনের ছেলে আশিক(২০) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকার কৃষক ছলিম উদ্দিন(৪২)।
আহতেরা হলেন- সিহাব উদ্দিন, রুপালী বেগম, মোমিন, হাফেজ, সারোয়ার, বেলাল,ও শফিক।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকালে বাগাতিপাড়া উপজেলার করমদোসী বাজারের একটি চা স্টলের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ওই স্টলে অবস্থানকারী আশিক নামে এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত আশিকের বাবা সিহাব উদ্দিন ও চা স্টলমালিক রুপালী বেগমসহ সাতজন সেসময় আহত হন। এদের মধ্যে রুপালী সহ পাঁচজনকে রাজশাহীর পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকার কৃষক ছলিম উদ্দিন বাড়ির পাশে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মৃত দুজনের লাশ পরিবার সদস্যরা নিজ জিম্মায় দাফনের ব্যবস্থা করেছেন বলেও পুলিশ জানায়।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মাগুরায় এসএসসি পরিক্ষার্থীসহ মৃত্যু ২
দেশের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
নাটোরে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নাটোরে সিংড়ার শেরকোল এলাকায়‘নাটোর আইটি বা হাই-টেক পার্ক’এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে প্রায় ৯ একর জায়গার ওপর ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ নিতে পারবে এবং তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হাই-টেক পার্ক নাটোরকে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জেলায় পরিণত করবে। এটি হবে নাটোরের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা। এছাড়া বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, নাটোর আইটি পার্কটি উচ্চপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসস্পদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু থেকেই অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এই বন্ধন আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
এই সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
লালপুরে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, ৫ গ্রামে টিকাদান
অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে দিন কাটছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের অর্ধশত পরিবারের। অসুস্থ্য একটি গরু জবাই করে মাংস বিতরণের পর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের শরীরে দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্সের মত উপসর্গ। রোগটির বিস্তার রোধে আক্রান্ত গ্রামসহ চারিদিকের পাঁচটি গ্রামে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
গত ৭ জুলাই নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলূয়া গ্রামের কৃষক মইদুল ইসলামের একটি গাভি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত ওই গাভিটি জবাই করে মাংস বিতরণ করা হয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে। অবশিষ্ট মাংস বিক্রি করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ওই মাংস কাটা ও নাড়াচাড়ার সঙ্গে জড়িতদের হাতে পায়ে ও মুখে ফোসকা পড়া ঘায়ের সৃষ্টি হতে থাকে। আতঙ্ক ভর করে মানুষের মাঝে। আক্রান্তরা ছুটে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শে আক্রান্ত গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম, কৃষক শাখাওয়াত হোসেন, গৃহবধূ বিলকিস বেগম, কৃষক মোহন আলী, হাবিবুর রহমান ভোলা ও আফতাব হোসেন নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। গরু কাটার পর থেকে এ রোগ দেখা দিলেও রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে জানান গাভীর মালিক মহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩
নাটোরে বাবার হাসুয়ার কোপে ছেলের মৃত্যু
নাটোরের লালপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার হাসুয়ার আঘাতে ছেলে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার ময়না গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হাকিম (৪২) অভিযুক্ত আজিজুর রহমান খলিফার বড় ছেলে।
পুলিশ জানায়, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে অভিযুক্ত আজিজুর রহমান খলিফার সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া বাঁধে। এ সময় তাদের বড় ছেলে আব্দুল হাকিম মায়ের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে বাবা আজিজুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে আব্দুল হাকিমের গলায় হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক পিতাকে ধরতে গ্রামবাসীর সহায়তায় অভিযান চালনো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
রাজশাহীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত এবং চার জন আহত হয়েছেন। জেলার সিংড়া ও লালপুর উপজেলায় রবি ও সোমবার এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আব্দুল আজিজ (৩০), আব্দুল কুদ্দুস (৪০), আওলাদ হোসেন (১৮)। তবে তাৎক্ষণিভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আকতার জানান, সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম মুচিপাড়া এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে একটি ট্রাক যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইককে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে মুচরে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ইজি বাইক চালক আব্দুল আজিজ নিহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা আহত তিন জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে যাত্রী আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।
হতাহতরা ইজিবাইকে করে গরু কিনতে হাটে যাচ্ছিলেন বলে জানায় হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বালি বোঝাই ট্রাক উল্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারী নিহত
এদিকে, রবিবার রাতে লালপুর উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় মাটিবাহী ট্রাক্টর উল্টে আওলাদ হোসেন নামে চালকের সহকারী নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় চালকসহ আরও দুজন আহত হন।
উভয় দুর্ঘটনায় আহত চার জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নাটোরে ‘বাইকার গ্রুপের’ ৫ সদস্য আটক
নাটোরে অভ্যন্তরীণ সড়কে অস্ত্রের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয়া বাইকার গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এই সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল, দুটি চাপাতি ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল করিম, সোহেল রানা, রইচ উদ্দিন, ইয়াকুব ও রাজিব ওরফে রাজু (২৮)। আটক রইচের বাড়ি পাবনার সুজানগরে এবং বাকি চারজনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাইকার গ্রুপের সদস্যরা নাটোর জেলার বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে তাদের সোর্স রেখে দেয়। সোর্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাইকে অর্থ বহনকারীদের টার্গেট করে ফাঁকা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে ঘটে যাওয়া ছিনতাইয়ের তদন্ত করতে গিয়ে বাইকার গ্রুপের সন্ধান পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নারী আটক
তিনি বলেন, পরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রাজু ছাড়া বাকি চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাভারে নাটোরগামী বাসে ডাকাতি, আহত ৪০
সাভারে নাটোরগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতদের মারধর ও ছুরিকাঘাতে ৪০ যাত্রী আহত হয়েছেন। এ সময় দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- ফিরোজ ও হৃদয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে আসা নাটোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পৌঁছলে সেখান থেকে নাটোরগামী আরও পাঁচ যাত্রী বাসে উঠেন। এসময় বাসে আরও ৪০ জন যাত্রী ছিল। পরে বাসটি গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় পৌঁছলে বাইপাইল থেকে উঠা পাঁচ যাত্রীবেশি ডাকাত বাস চালক ও চালকের সহকারীসহ যাত্রীদের অতর্কিতভাবে ছুরিকাঘাতে ও মারধর করে আহত করে এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মালামাল লুটপাট করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
পরে এক ডাকাত বাস চালিয়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মোড় ঘুড়িয়ে আবারও সাভারে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে বাসটি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে থামালে যাত্রী চিৎকারে মহাসড়কের পুলিশের টহল টিম সেখানে গেলে ডাকাত দলের তিন জন মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেলেও দুই ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত তিন জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খামারের আড়ালে ডাকাতি: ৪১টি গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, পালিয়ে যাওয়া অপর ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের হয়েছে।