কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি
অসুস্থ সঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি
দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যা ও আর্থিক সংকট নিয়ে নিজ বাড়িতে চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। এ সময় তার পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
কুষ্টিয়া শহরের জেল খানা মোড়ে এরশাদ নগর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া।
এব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, কিছুদিন আগে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার দুরাবস্থা নিয়ে আরেক বাউল শিল্পী নেত্রকোনার কুদ্দুস বয়াতী তার ফেসবুকে একটা ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের নজরে আসে। গুণী এই শিল্পীর দুরবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। যোগাযোগ করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে।
আরও পড়ুন: অর্ধশত বছর ধরে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জমি প্রভাবশালীদের দখলে
এদিকে, শনিবার বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে শিল্পীর বাড়িতে যান। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের পক্ষ থেকে অসুস্থ শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার হাতে সহযোগিতা পৌঁছে দেন।
নগদ ১০ হাজার টাকা ছাড়াও সহায়তার মধ্যে ছিল ৫০ কেজির চাল, ২০ কেজি আটা, ডাল, সেমাই, চিনি, সোয়াবিন তেল, নারিকেল তেল, সাবান, আলু, পেয়াজ, লবণ, হুইল পাউডার, পাউডার দুধসহ অন্যান্য সামগ্রী।
আরও পড়ুন: বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম: ভাটি বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির এক কীর্তিমান শিল্পী
এ সময় কুষ্টিয়া পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম লিমনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনিক জানান, হঠাৎ সহযোগিতা পেয়ে অসুস্থ এই শিল্পী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: বাউল শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা
কাঙ্গালিনী সুফিয়ার প্রকৃত নাম টুনি হালদার। তবে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। লালন গীতি, লোক সঙ্গীত ও বাউল গানের জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিকেরও বেশি গান গেয়েছেন। কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই, পরাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে, নারীর কাছে কেউ যায় না, আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া প্রভৃতি গানের জন্য তিনি বিখ্যাত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মঞ্চে গান পরিবেশন করেছেন। ১০টি আন্তর্জাতিকসহ ৩০ টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে গুণী এই শিল্পীর ঝুঁলিতে।
৩ বছর আগে