গল্প
প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হয়ে যাব।
আরও পড়ুন: তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অন্যায়ের কাছে আপস না করে, পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জীবনে বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটে গেছে সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। প্রধানমন্ত্রীর জীবনে লড়াইয়ের, সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদের এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে জয়ের গল্প, সে গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুদের কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আইনজীবী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম।
আরও পড়ুন: সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিতে আরও বেশি শ্রম-মেধা বিনিয়োগ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
এই সিনেমার গল্প কখনো জানতে চাইনি: আরিফিন শুভ
ঘোষণা এসেছে ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) মুক্তি পাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় সিনামাটি পরিচালনা করেছেন বলিউডের শ্যাম বেনেগাল। আর এর মূখ্য চরিত্রে রয়েছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ।
আরও পড়ুন: বুসান: ‘অটোবায়োগ্রাফি’ দেখে হল ভর্তি দর্শকের উচ্ছ্বাস
সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা থেকে প্রচারণায় বেশ সরব আরিফিন শুভ। সম্প্রতি রাজধানীর রাস্তায় সিনেমার প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরসঙ্গে গতকাল (১০ অক্টোবর) ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ এর সংবাদ সম্মেলনে সিনেমাটিতে অভিনয় করতে পেরে নিজের অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন গণমাধ্যমে।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন আরিফিন শুভ। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমায় যদি অল্প সময়ের কোনো চরিত্র অথবা স্পটবয় থাকতে বলা হলেও আমি থাকতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমার গল্প কি সেটা আমি কখনো জানতে চাইনি। কারণ প্রথমত এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক। দ্বিতীয়ত, এটির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। কাজটি করার জন্য এগুলোই যথেষ্ট। আমি এমন একটা মানুষের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি, যিনি লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে একটি দেশকে স্বাধীন করেছেন। আর এই সিনেমার পর যদি আমি মরেও যাই বা আর কোনো সিনেমা করতে না পারি, তাতেও কোনো আক্ষেপ থাকবে না।’
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় আরিফিন শুভ ছাড়াও রয়েছেন- চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, রিয়াজ আহমেদ, জায়েদ খান, দিলারা জামান, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আবারও টলিউডের নায়িকার সঙ্গে শাকিব খান
প্রকাশ্যে এলো 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার' সিনেমার গান
১ বছর আগে
পুনর্মিলনে: প্রতিটি চরিত্র গল্পের প্রাণ
ওটিটি বাংলাদেশের ফিকশন জগতের জন্য আশীর্বাদ বলাটাই হয়তো স্বার্থকতা হবে। কারণ আমাদের দেশের নির্মাতারাও যে এভাবে এত সুন্দর ও স্পষ্টভাবে গল্প বলতে পারে তা আগে আর জনা যায়নি। এখন তো সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনায় বাংলা কনটেন্ট সবচেয়ে গুরুত্ব পায়।
এবার এই লেখার শিরোনাম প্রসঙ্গে আসি। গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘চরকি’র পর্দায় মুক্তি পেল মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্মিলনে’। যেটির খবর প্রকাশের পর থেকে ব্যাপক আলোচনায় ছিল। সিনেমাটি নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে নির্মাতার লোকেশন সিলেকশন নিয়ে প্রশংসা করতে হয়। চা বাগানের এলাকার আঁকাবাঁকা পথ, উপর থেকে সবুজের সমারহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী জিন্নাত বরকতুল্লাহ মারা গেছেন
পৌনে দুই ঘণ্টার এই সিনেমার আরও যেই বিষয়ে নির্মাতা খুব যত্ন দিয়েছেন তা হলো চরিত্র। প্রতিটি চরিত্রকে তিনি আলাদাভাবে ভেবে ডিজাইন করেছেন তা শেষ পর্যন্ত দেখলে বোঝা যায়। বাড়ির মুরুব্বি থেকে শুরু করে ছোটদের স্ক্রিন টাইম বেশ গুছিয়ে নিয়েছেন আরিয়ান।
যে দুটি চরিত্র নিয়ে একটু আলাদাভাবেই বলতে হয় তারা হলেন অন্তু ও নয়ন। নূর ইমরান মিঠুকে প্রথম দেখি ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ সিনেমায়। পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ে তার সাবলীলতা বরাবরই ভালো লাগবে। মিজানুর রহমান আরিয়ানের কারণে তার প্রতি ভালো লাগাটা বাড়লো।
শুরুতে থেকে শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি তিনি যেভাবে বয়ে নিয়ে গেছেন তা প্রশংসনীয়। আর ‘পুনর্মিলনে’র অন্তু হচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। ধরা যাক আপনার সামনে একটি ফুলের বাগানে আছেন, সেখানে যেই ফুলের স্নিদ্ধতা আপনাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করবে সে অন্তু। বিশেষ করে সিনেমার প্রায় শেষাংশ যেন অন্তুময়।
‘পুনর্মিলনে’ যে তাসনিয়া ফারিণ করছেন সেটি তো সবারই জানা। পুরো সিনেমায় অল্প সময় পাওয়া গেছে তাকে। হয়তো তিনি যেই চরিত্রে ছিলেন সেটির স্পেস নির্মাতা নিজেই খুব বেশি দিতে চাননি। অবশ্যই সেটি নির্মাতার নিজস্বতা। কিন্তু যেহেতু তাসনিয়া ফারিণের শেষ কয়েকটি কাজে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে তাই হয়তো এখানে তার অভিনয়ের জায়গাটা পেলে দর্শক হিসেবে ভালো লাগতো।
এবার একটু গল্প নিয়ে বলি। গল্প চলে বর্তমান আর অতীতের পথ ধরে। এমন ছকে গল্প বলাটাও নতুন না। মানে দর্শক এভাবে গল্প দেখে অভ্যস্ত। এটি বলার কারণ, নির্মাতা এখানে প্রতিটি সিকোয়েন্স যেভাবে গল্পটাকে গেঁথেছেন তার শুরুর অনেকটা সময় চোখে খটকা লাগার মতো। মানে মনে হবে একটা ঘটনা শুরু হয়ে সেটার শেষ না হয়েই অন্য ঘটনায় চলে গেছে।
আর এটি যখন কয়েকবার হয় তখন দর্শকের মাঝেও একটা অপূর্ণতা তৈরি হয়। যেহেতু বর্তমান ও অতীত গল্পের সংমিশ্রন তাই এই যত্নে খানিকটা কমতি দেখা গেছে।
‘পুনর্মিলনে’ যদি এবার একটা ফুলের ঝুড়ি ভাবেন সেখানে দেখবেন সব সুন্দর সুন্দর ফুল, শুধু মালা গাঁথাটা মনে হয় আরেকটু ঠিকঠাক হতে পারতো।
তবে আপনি যখন সিনেমাটা দেখা শেষ হবে এসবকিছু যেন ভুলে যাওয়া যায়। তার কারণ সিয়াম আহমেদ। তিনি যে প্রতি নিয়ত অভিনয়ে আরও দক্ষ হয়ে উঠছেন ‘পুনর্মিলনে’ সেটি প্রমাণ করে। শেষ পর্যন্ত গল্পের আবেগ ধরে রেখেন এই অভিনেতা। সিনেমা শেষে ভাবনার বেশিরভাগ জায়গাজুড়েই সিয়াম।
আরও পড়ুন: 'বাঘা যতীন' লুকে দেবের চমক
বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যা বললেন রাজ
১ বছর আগে
অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প 'জাওয়ান' থেকে নেওয়া: বর্ষা
বাংলাদেশে 'জাওয়ান' মুক্তি নিয়ে শুধু দর্শকরা নয়, এ দেশের তারকারাও বেশ উচ্ছ্বসিত। অনেকে হলে সিনেমাটি দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেন চিত্রনায়িকা বর্ষা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশেও আজ মুক্তি পাচ্ছে 'জাওয়ান'
ব্লকবাস্টার সিনেমা 'জাওয়ান' দেখার পর গণমাধ্যমে এই তারকা বলেন, ‘আমাদের সামনে ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে। মজার বিষয় হচ্ছে- আপনারা অনেকেই বলবেন নেত্রী সিনেমার গল্প ‘জাওয়ান’ থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমনটা একবারেই নয়। এর শুটিং প্রায় দেড় বছর আগে হায়াদ্রাবাদে করেছি।’
বর্ষা আরও বলেন, ভালো একটি সিনেমা নির্মাণ করতে দরকার ভালো গল্প, বাজেট। আমরা হয়তো ‘জাওয়ান’ বানাতে পারব না। তবে বাংলাদেশের জায়গা থেকে সেরা কাজটা করার চেষ্টা সব সময় থাকবে।
‘দিন দ্য ডে’ সিনেমা দিয়ে সবশেষ আলোচনায় ছিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। আর অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘নেত্রী: দ্য লিডার’।
আরও পড়ুন: জাওয়ান: বাদশাহ তার ‘মুকুট’ নিয়ে ফিরল
'সুজন মাঝি' নিজ গুণে দর্শক পাবে: নিপুণ
১ বছর আগে
‘সাড়ে ষোল’ জটিল সুন্দর গল্প: মম
ছোট ও বড় পর্দার অনেক নিয়মিত তারকা এখন ব্যস্ত ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম সেই সাড়ির একজন।
টিভি নাটক ও সিনেমায় অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। তবে ওটিটিতে যেন নতুন এক মমকে দেখলো দর্শক। তেমনি এক চরিত্র নিয়ে ‘হইচই’-এর পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই তারকা।
আগামী ১৭ আগস্ট হইচই’তে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘ষাড়ে ষোল’।
আরও পড়ুন: আসছে অনম বিশ্বাসের ‘ভাইরাস’
ইয়াসির আল হক পরিচালিত এই সিরিজে সাংবাদিক রিনি চরিত্রে মমকে পাবেন দর্শক। অন্যদিকে বিখ্যাত আইনজীবী চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো।
এছাড়াও এতে আরও রয়েছেন ইন্তেখাব দিনার, শাহেদ আলী, ইমতিয়াজ বর্ষণ, কাজী নওশাবা আহমেদ ও আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ।
‘সাড়ে ষোল’তে অভিনয় প্রসঙ্গে ইউএনবিকে মম বলেন, ‘সাড়ে ষোল’ জটিল সুন্দর গল্প। সাসপেন্সে ভরা একটি সিরিজ এটি। এখানে আমি সাংবাদিক রিনি চরিত্রে অভিনয় করেছি।
মম বলেন, ‘সিরিজের পুরো টিমের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ স্ক্রিপ্টটা যখন পড়ি তখন থেকে প্যাচিয়ে একই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। এমনকি শুটিং করার সময় অনেকবার কনফিউসড ছিলাম। কিন্তু পরিচালকের প্রতি আমার ভরসা ছিল এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার মুন্সিয়ানা দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’
সিরেজর এই চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে মম আরও বলেন, ‘আসলে প্রতিটি চরিত্রই আমার কাছে চ্যালেঞ্জের। কারণ আমি তো নিজের চরিত্রে মানে মম হয়ে তো অভিনয় করি না। আমার সবসময় অন্য কেউ হয়ে অভিনয়টা করতে হয়। সেই চ্যালেঞ্জটা এখানেও ছিল।’
‘সাড়ে ষোল’ সিরিজে করপোরেট ম্যানেজার রাকিবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, এডিসি আলতাফ চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ, গাফফার চরিত্রে শাহেদ আলী, পাবলিক রিলেশনস অফিসার চরিত্রে আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ এবং রেজার স্ত্রী আয়েশা চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে ‘সাড়ে ষোল’ সিরিজের ট্রেলার।
আরও পড়ুন: ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা: অপু বিশ্বাস
কলকাতায় এবারের অভিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে: সাইমন সাদিক
১ বছর আগে
বান্নাহ’র মিষ্টি প্রেমের গল্পে শ্রাবণ্য-আরশ
মন খারাপ ছিল জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী শ্রাবণ্য তৌহিদার। কেননা ঈদে প্রচারের অপেক্ষায় থাকা বিশেষ নাটক হারিয়ে ফেলেছেন এর নির্মাতা।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হণ্যে হয়ে খুঁজলেও যার আর অস্তিত্ব মেলেনি কোথাও। প্রযোজকের ক্ষতি আর নিজের কষ্টসাধ্য চরিত্রটির জন্য দারুণ মন খারাপ ছিল তার।
সে দুঃখ কিছুটা ভুললেন নতুন একটি নাটকে।
আরও পড়ুন: ঈদে কনার সঙ্গে তৌহিদের গান ‘রোদ্দুরে’
জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায় ঈদ নাটক ‘তুমি আমার সব’-এ শ্রাবণ্য জুটি বেঁধেছেন আরশ খানের সঙ্গে।
নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, নাটকের গল্পটি মূলত দুই কাজিনের গল্প। মেয়েটি ছেলেটির প্রতি জমিয়ে রাখা দীর্ঘদিনের অব্যক্ত আবেগ ও ভালোবাসার কথা প্রকাশের জন্য তার কাঙ্ক্ষিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল।
ছেলেটি তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করলেও ধীরে ধীরে আশৈশব একসঙ্গে বেড়ে ওঠা পাশের মানুষটির মধ্যেই অন্য এক মানুষকে খুঁজে পায়।
কিন্তু পরিণয়ের পথেও নিজের মুখোমুখি দাঁড়াতে বাধ্য হয় ছেলেটা।
নাটকটিতে অভিনয় করে শ্রাবণ্যর অভিজ্ঞতা অম্ল এবং মধুর। কেননা ব্যক্তিজীবনে শ্রাবণ্য যেমন তার ঠিক উল্টো একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।
শ্রাবণ্য বলেন, সারাজীবন যেটা হয়েছে, কলেজ বা ভার্সিটিতে ছেলেরাই আমার পেছনে সবসময় ঘুরেছে, আমি পাত্তা দেইনি।
এখানে আমাকেই ছেলেটার প্রেমে কিছুটা বেহায়াপনা করতেই হয়। যেটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
খুব মিষ্টি প্রেমের গল্প। বান্নাহ ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম কাজ। আমি মুগ্ধ তার নির্মাণ কৌশল দেখে।
তীব্র গরমের মধ্যে মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িতে চিত্রায়িত হয়েছে নাটকটি। বারবার ঘামে ভিজে যাচ্ছিল পোশাক, সে পোশাক শুকিয়ে ফের শুটিং।
এমন কষ্টই করেছেন শ্রাবণ্য।
১ বছর আগে
হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
মো. ইশতিয়াক হোসাইন
মনোমুগ্ধকর বর্ণনা ও নজরকাড়া ভিজ্যুয়াল দিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করার জন্যই সিনেমা ও সিরিজ তৈরি করা হয়। আর টিজার ও ট্রেইলারের মাধ্যমে দর্শকেরা এই বিনোদনমূলক কন্টেন্টের প্রথম জমজমাট দেখা পায়। হলিউডে টিজার ও ট্রেইলার তৈরি শিল্পটি উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন তরুণ বাংলাদেশি, বর্তমানে হলিউডে এই তুলনামূলকভাবে অজানা কিন্তু বৃহৎ শিল্পের একজন গর্বিত সদস্য।
মানসম্মত টিজার ও ট্রেলার তৈরি করে বৈশ্বিক সীমানা পেরিয়ে জিসান কামরুল হাসান নামের একজন বাংলাদেশি তরুণ হলিউডে মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় কিছু সিনেমা ও সিরিজের টিজার ও ট্রেলারে তার কাজের মাধ্যমে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
মার্ভেল স্টুডিও’র সাম্প্রতিক গ্রাফিক-ইনটেনসিভ হিট ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’ থেকে ‘লাস্ট নাইট ইন সোহো’ সমালোচকদের দ্বারাও ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের কুমিল্লার লাকসাম থেকে জিসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের কালভার সিটিতে গিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ-কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন।
দেশের একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কার প্রকাশের পর জিসানের নাম বিনোদন অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এবং নেটিজেনরাও হলিউডে জিসানের যাত্রা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
হলিউড থেকে ইউএনবির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে জিসান বলেন, ‘আসলে ২০০২ সালে খুব অল্প বয়সে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। যখন আমি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ফিল্ম ‘লর্ড অব দ্য রিংস’-এর জাঁকজমকপূর্ণ ভিজ্যুয়াল দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি মোশন গ্রাফিক্স সম্পর্কে আশ্চর্য হয়েছিলাম এবং তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি এটা শিখব।’
২০০২ সালে স্বপ্ন দেখলেও জিসান ২০০৭ সালে তার প্রথম ব্যক্তিগত কম্পিউটার পেয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ তিনি সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ইউটিউব দেখে নিজে থেকে ফটোশপ প্রাকটিস শুরু করেন। থ্রিডি অ্যানিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্সের প্রতি তার আগ্রহ এবং আগে থেকে চর্চার জন্য তিনি ঢাকার আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইউএসটি) থেকে সিএসইতে স্নাতক পড়ার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময়ে গ্রাফিক ডিজাইন ও ফটোগ্রাফি থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করেছি, এসময় আমি প্রথম মোশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব পাই। ২০১২ সালে একদিন আমার মেসের এক রুমমেটের এক সিনিয়র আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন যে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তার ব্যবসার জন্য কাজ করতে আগ্রহী কিনা।’
জিসান স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি আমার ক্যামেরা কিনি এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফটোগ্রাফি শুরু করি। আমার জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। সেসময় আমি কিছু শর্ট ফিল্ম বানাই, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতাম, একঝাঁক সৃজনশীল ও প্রতিভাবান বন্ধুদের সঙ্গে মিশতাম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ‘ছবির হাট’-এ নিয়মিত ও ঘন ঘন যেতাম।’
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জিসান বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান এবং কাজী শামসুল হক নামের একজন প্রবাসী সাংবাদিকের সহায়তায় একটি পত্রিকায় গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
জিসান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি জানতাম না, আমার আসল সংগ্রাম মাত্র শুরু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসি। প্রথম বছর আমাকে খুব হিসেব করে চলতে হয়েছিল। একটা বড় ও সম্পূর্ণ নতুন শহর, বেশ ব্যয়বহুল পরিবেশ এবং বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার সমস্যা। তবু আমি টিকে ছিলাম, কিন্তু তারপরে কোভিড-১৯ আঘাত হানে এবং আমি বুঝতে পারি যে সবকিছু একপাশে রেখে আমাকে আমার লক্ষ্যে সফল হওয়ার চূড়ান্ত চেষ্টাটা করতে হবে।’
জিসান ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি আমার জন্য ‘হয় এখন নাহলে আর কখনোই না’ পরিস্থিতি ছিল। তাই আমি আমার সবকিছু দিয়ে এই কাজটা শুরু করি। আমি আমার চাকরি ছেড়ে দেই, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে শুরু করি, আর্টিকেল ও বই পড়ি, সিনেমার মূল্যায়ন দেখি এবং নতুন সফ্টওয়্যার যেমন আফটার ইফেক্টস, ফোর ডি সিনেমা, হাউডিনি ও নিউকে শিখতে শুরু করি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১৫-১৮ ঘণ্টা এই রুটিনটা অব্যাহত ছিল। একজন নবাগত হিসেবে এটা আমার জন্য অকল্পনীয়ভাবে কঠিন ছিল, কিন্তু আমি আমার জীবনের অনেক রাতের ঘুম ও অন্যান্য বিলাসিতাকে ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে এটা করেছি।’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
নেটফ্লিক্সের জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন মেঘ
২ বছর আগে
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
গল্প শোনার প্রতি সবারই একটা বিশেষ ভালোলাগা কাজ করে; হোক সেটা নিজে বই পড়ে, নানী-দাদীর কাছ থেকে গল্প শুনে কিংবা ইউটিউবে অডিওবুক স্ট্রিমিং করে। আর যদি সেটা হয় রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প, তাহলে তো কথাই নেই। একদা এক ব্রাক্ষণ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো অথবা পোড়োবাড়িতে প্রবেশের সাথে সাথে তার পেছনের দরজাটি বন্ধ হয়ে গেলো; কথাগুলো দূর থেকে শুনতে পেলেও অবচেতন মনেই যেন সবাই কান পেতে থাকে পরে কি ঘটছে তা শোনার জন্য। এখন হয়ত আর সেই গল্পদাদু নেই, কিন্তু রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার জন্য আছে দারুণ কিছু বাংলা ইউটিউব চ্যানেল। তেমনি কয়েকটি চ্যানেলের ব্যাপারে জানা যাবে আজকের ফিচারে।
রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার সেরা ১০টি বাংলা ইউটিউব চ্যানেল
থ্রিলার ল্যান্ড
২০২০ সালের ১৫ মার্চ থ্রিলার, হরর, ফ্যান্টাসি ও সাসপেন্স গল্পের ওপর ফোকাস করে খোলা হয় এই ইউটিউব চ্যানেলটি। ভারতীয় কতক গল্পবলিয়েদের কন্ঠের মাধুর্যে গত দুই বছরে চ্যানেলটির সংগ্রহ হয় ৮ লাখ ৪৯ হাজার গ্রাহক। কমেন্ট বক্স জুড়ে দর্শক মুখরতা স্থির চিত্রের নেপথ্যের কথাগুলোর আবেশের কথা জানান দিয়ে যায়। থ্রিলার ল্যান্ডে এ পর্যন্ত মোট ১১৭টি ভিডিও বানানো হয়েছে, যেগুলোতে পাওয়া সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৪ লাখেরও বেশি।
এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পাওয়া অডিওবুকটি হচ্ছে মহুয়াডহর মায়া শিরোনামের ভিডিওটি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি করে গল্প বলা প্রকাশ করা হয়ে থাকে চ্যানেলটিতে। বাংলা রহস্য ও ভৌতিক গল্পের চ্যানেলের দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড শীর্ষস্থানীয় একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আযহার বাংলা সিনেমা ২০২২: সিনেমাপ্রেমিদের ঈদ আনন্দ
ভেল অব টেল্স
বিশ্বসাহিত্যের প্রায় প্রতিটি ধারাকে ফিচার করা হলেও এই চ্যানেলের গল্পগুলোর মধ্যে রহস্যের উপস্থিতিটা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ভারতীয় কয়েকজন গল্পকথক নামকরা সাহিত্যগুলোর পাশাপাশি নিজেদের কন্ঠে নিয়ে আসে নিজেদেরই রচিত কিছু গল্প। সর্বমোট ৮৫টি ভিডিওর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাহিনীগুলো বিদেশি গল্প থেকে অনূদিত, যার কাজটি করেন চ্যানেলের পরিচালকরাই।
২০১৯ এর ২৯ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ভেল অব টেল্সের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে ৪১ লাখের বেশি বার দেখা ভিডিওগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ পেয়েছে শার্লক হোমসের সিংহের মানি গল্পটি। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে থ্রিলার ল্যান্ড-এর পরেই রাখা যেতে পারে এই চ্যানেলটিকে।
স্ক্যাটার্ড থটস
বিশ্ব বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্প শুনতে হলে স্ট্রিমিং করতে হবে স্ক্যাটার্ড থটসের ভিডিওগুলো। রোমহর্ষক পোস্টার আর কন্ঠের নাটকীয়তায় পুরো ভিডিওটি যে আসলে স্থির চিত্রের, তা বেমালুম ভুলে বসতে হবে। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কয়েকজন ভারতীয় তরুণ-তরুণী তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টায় প্রতিনিয়ত চ্যানেলটির গুণাগুণ বাড়িয়ে চলেছেন।
তার ফসল আজ অবধি চ্যানেলটির সংগৃহীত ১ লাখের বেশি গ্রাহক এবং ১২৭টি ভিডিওতে ৯৩ লাখের বেশি ভিউ। সহজ বাংলা ভাষায় যখন রহস্যের জটগুলো খুলতে শুরু করবে, সে মুহুর্তের চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার মত অমূল্য আর কিছু হয় না। এখন পর্যন্ত চ্যানেলটি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার যে ভিডিও দেখা হয়েছে তার শিরোনাম হলো শার্লক হোমসের ব্রুস পার্টিংটন প্ল্যানের অ্যাডভেঞ্চার।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
থ্রিলার স্টেশন
থ্রিলার ল্যান্ডের কয়েক মাস আগে ২০১৯-এর ৩১ অক্টোবর এই ইউটিউব চ্যানেলটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখন পর্যন্ত এর অর্জিত গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। চ্যানেল টাইটেল প্রায় একই রকম হলেও কিন্তু ভারতীয় বাংলা চ্যানেল দুটোর নির্মাতারা এক নন। অবশ্য দুটোরই ইউটিউব কন্টেন্টের মুল বিষয়বস্তু এক- থ্রিলার, গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প।
চ্যানেলটির বর্তমান ভিডিও সংখ্যা মোট ৪৭টি এবং তাতে সর্বমোট ভিউ সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। গল্পকথকরা এখানে সব সময় স্থির চিত্রের আড়ালে থাকেন না। মাঝে মাঝে স্টুডিওতে রেকর্ড করা অবস্থাতে তাদের পুরো গল্প বলাটাও দেখানো হয়। ভিডিওগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ভালো লাগা কন্টেন্টটির নাম ‘রাত নামলেই’।
গল্পের ফেরিওলা
রাজদ্বীপ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল ও তাদের কিছু বন্ধুরা মিলে গল্পের ফেরিওলার নাম। ২০২০-এর ৪ এপ্রিল থেকেই তিনি তার অসাধারণ গল্প বলার নৈপুণ্য দিয়ে অতি যত্নে গড়ে তুলেছেন গল্প ফেরিওলা ইউটিউব চ্যানেলটি। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন জনরাতে পরিভ্রমণ হলেও রাজদ্বীপ ইউটিউবার মূলত রহস্য ও হরর কন্টেন্টের জন্য বিখ্যাত।
এখন পর্যন্ত ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির অর্জন ১ লা্খেরও বেশি গ্রাহক। সর্বমোট ১২১টি ভিডিওতে ১০ লাখের বেশি ভিউ পাওয়া চ্যানেলটি এখনো গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া ভিডিও হলো ‘সাবাশ ফেলুদা’। প্রাসঙ্গিক স্থির চিত্রের পাশাপাশি এর ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যানিমেশনগুলোও বেশ মনোযোগ ধরে রাখার মত।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
এখনো গল্প
এখনো গল্প ঠিক গল্পের চ্যানেল নয় বরং বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথামালা। চ্যানেলের গল্পবলিয়েরা নিজেদের এবং দর্শকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতাগুলোকে তুলে ধরে নিজেদের কন্ঠে। ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটির বেড়ে ওঠার গতি বেশ ধীর।
২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর-এ প্রতিষ্ঠিত হয়েও এখন পর্যন্ত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৪২ হাজার থেকে কিছু বেশি। মাত্র ৭৯ ভিডিওতে সর্বমোট ভিউ পড়েছে ২৫ লাখের বেশি। হরর জনরার পাশাপাশি রোমান্টিক গল্পও এই চ্যানেলটির একটি প্রধান কন্টেন্ট। সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় কন্টেন্টের তালিকায় শীর্ষে আছে একটি রোমান্টিক গল্প। তবে দ্বিতীয় স্থানটি অধিকার করে আছে ‘শেষ ট্রেন’ নামের হরর গল্পটি।
ক্ষীরের পুতুল
বিখ্যাত এক সাহিত্যের নামানুসারে নির্মিত এই ইউটিউব চ্যানেলটির পরিচালকেরা হলেন সঞ্জিত মল্লিক, মৃত্যুঞ্জয় দাস এবং বিক্রম সাহা। এই চ্যানেলটির কন্টেন্ট কোন অডিওবুক নয়; গল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণ করা হয়েছে কার্টুন। স্বভাবতই শিশু-কিশোরদের গল্প শোনার জন্যও দারুণ একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এটি। হরর-ফ্যান্টাসি বা রূপকথার গল্পগুলোই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে এই ভারতীয় বাংলা চ্যানেলটিতে।
২০১৯-এর ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার পর চ্যানেলটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজারের অধিক। ক্ষীরের পুতুলের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো- এই দুই বছরে মাত্র ২৮টি ভিডিওতে মোট ভিউ পড়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। গল্পগুলোর অধিকাংশই সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১৩ মিনিট দীর্ঘ। এগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ভিডিওটির শিরোনাম ‘রিক্সায় ভূত’।
আরও পড়ুন: শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
ফাহিমের অডিও বুক বাংলা
বাংলাদেশি ইউটিউবারদের মধ্যে রহস্য গল্প নিয়ে অডিওবুক বানানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ইউটিউবার ফাহিম। হুমায়ুন আহমেদে রহস্য ও অদ্ভূতুড়ে গল্প শুনতে আগ্রহী হলে যেতে হবে এই চ্যানেলটিতে। এছাড়াও শ্রুতি মধুর শব্দ চয়নে বিদেশি গল্পের অনুবাদগুলো দারুণভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে ফাহিমের অডিওবুকে।
এই চ্যানেলটির যাত্রা শুরু ২০১৮ সালের ২ মার্চে। চার বছরে ফাহিমের অর্জন ৩ লাখের বেশি গ্রাহক। প্রতিটি কন্টেন্ট বেশ দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও কমেন্ট বক্সে ভক্তদের উন্মাদনা ফাহিমকে তার কন্টেন্টের অডিও গুণাগুণ আরও বাড়াতে প্রেরণা যোগায়। তার প্রমাণ মেলে তার ৩৮৯টি ভিডিওর ৩৯ লাখের বেশি ভিউতে। ফাহিমের সেরা কন্টেন্ট হলো হুমায়ুন আহমেদের ‘মিসির আলীর চশমা’।
গল্প তরু হরর
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর পথ চলা শুরু হয় গল্প তরু হররের। এটি মূলত গল্প তরু ইউটিউবের একটি শাখা চ্যানেল। দুটোরই বিষয়বস্তু গল্প বলা বা অডিওবুক। নামের মতই গল্প তরু হররে রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প ফিচার করা হয়ে থাকে। ১০১টি ভিডিওতে মোট ২ লাখের বেশি ভিউয়ে সমৃদ্ধ এই বাংলাদেশি চ্যানেলেও শোনা যাবে হুমায়ুন আহমেদের রহস্য গল্পগুলো। এখন পর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদের ‘দৌলত শাহর অদ্ভূত কাহিনী’ অডিওবুকটি সেরা কন্টেন্ট হয়ে আছে। গ্রাহকের দিক থেকে যাচাই করা হলে চ্যানেলটি বেশ ছোট; মাত্র ৪ হাজারের বেশি এর গ্রাহক সংখ্যা।
গল্পকথন বাই কল্লোল
কল্লোল নামটি ইতোমধ্যে একটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে বাংলা গল্প শোনা লোকদের মাঝে। ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রথম ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে গল্পকথনের ইউটিউব অভিষেক ঘটে। দেড় বছরের মাথাতেই কল্লোল বেশ নামডাক পেয়ে যান। অবশ্য তার কন্টেন্ট শুধু হরর গল্প নিয়ে নয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিক জনপ্রিয় শাখা-প্রশাখাগুলো জীবন্ত হয়ে উঠে তার কন্ঠের স্পর্শে।
গত চার বছরে তিনি মোট ৫৬২টি ভিডি প্রকাশ করেছেন, যেগুলোতে সর্বশেষ মোট ভিউ পড়েছে দেড় কোটিরও বেশি। বর্তমানে কল্লোল এই চ্যানেলটির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি গ্রাহককে গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। তার ২০২১-এর ১০ অক্টোবর শুরু করা রূপকথা বাই কল্লোল নামের ইউটিউব চ্যানেলটিও ইতোমধ্যে ৯ হাজার ৯৮০ জন গ্রাহক পেয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মোশাররফ করিমের ‘অমানুষ’
পরিশিষ্ট
রোমাঞ্চকর রহস্য ও ভৌতিক গল্প শোনার এই বাংলা ইউটিউব চ্যানেলগুলোর গ্রাহকদের সবাই কিন্তু শিশু-কিশোর নন। টান টান উত্তেজনায় চাদরে নিচে বিছানায় সেধিয়ে যাওয়ার নেশার কাছে ছোট বেলার মত বড় বেলাও হার মেনে যায়। তাই এই দর্শকদের বিরাট অংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষজন। নস্টালজিয়া থেকেই হোক অথবা হরর গল্পের প্রতি ভালবাসা থেকেই হোক; কানে ইয়ার ফোন গুঁজে জীবন্ত হয়ে ওঠা ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের কন্ঠে বুদ হয়ে থাকার ঝোঁক কেউই সামলাতে পারেন না। ভিডিওগুলোর পোস্টার এবং এনিমেশন ঘটনাগুলোকে চোখের সামনে এত প্রানবন্ত করে তোলে, যা সেই গল্পদাদুর নাটকীয় কন্ঠ শুনে মানসপটে ভাসতে থাকা চলচ্চিত্রের থেকে কোন অংশে কম নয়।
২ বছর আগে
‘স্বয়ং’ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন
‘গল্প বলি, সামাজিক অবিচার নির্মূল করি’, এই অনন্য চিন্তা থেকেই প্রায় এক বছর আগে পথচলা শুরু হয় '‘স্বয়ং’' প্ল্যাটফর্মের। তাদের উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লৈঙ্গিক বৈষম্যসহ সামাজিক নানা অবিচারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।
এই যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করতে, শুক্রবার (৭মে) এক ভার্চুয়াল আয়োজনের মাধ্যমে স্বয়ং তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট swayong.org এর পথচলা শুরু করলো।
সূচনালগ্ন থেকেই স্বয়ং তার কাজ দিয়ে সমাজে নিজের সরব উপস্থিতির প্রমাণ জানিয়েছে। এই অল্প সময়েই ১২টি অভিযানের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করেছে ৯৮ টি একক গল্প। অনলাইন জগতের বাইরে গিয়েও স্বয়ং করোনা মহামারির সময়ে অর্থায়নের মাধ্যমে পাশে দাড়িয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রবীণ নাগরিকদের পাশে।
তাদের অর্জনের ঝুলিতে আরও আছে ইউ.এন.ডি.পি আয়োজিত ‘ডিজিটাল খিচুড়ি’- প্রতিযোগিতায় ‘আইডিয়া-লেভেল রানার্স আপ’ শিরোপা।
স্বয়ং- এর প্রতিষ্ঠাতা স্বাতীল মাহমুদ বলেন, “এটা বিশ্বাস করা অনেকটা কঠিন যে স্বয়ং তার অস্তিত্বের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে। আমরা গল্পের মাধ্যমে সামাজিক অবিচার নির্মূল করার জন্য বাস্তব ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাস্তব জীবনের গল্পগুলি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আমাদের যাত্রা শুরু করি। আর এখন আমরা একটি সম্প্রদায়, সম্মিলিতভাবে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।"
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন স্বয়ং এর কো ফাউন্ডার মিতুল মাহমুদ। অনলাইনে অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন উইমেন ভিউ এর প্রতিষ্ঠাতা খাদিজা আহসান, আইডিয়া প্রজেক্ট, আই.সি.টি বিভাগের সিদ্ধার্ত গোস্বামী, এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বনশ্রী মিত্র নিয়াগী।
তারা প্রত্যেকেই" স্বয়ং" এর জন্য শুভকামনা জানান।
অনুষ্ঠানের মধ্যেই ওয়েবসাইটি প্রথম লঞ্চ করা হয় এবং সকলকে একটি ভার্চুয়াল সফরের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
‘স্বয়ং’ মনে করে তাদের এই নতুন সংযোজন তাদের অবস্থানকে একই সাথে শক্তিশালী এবং প্রামাণিক করবে।
৩ বছর আগে