আল-আকসা
সশস্ত্র সহিংসতায় ক্লান্ত গাজাবাসীর ঈদে নেই আনন্দ
ফিলিস্তিনি মুসলিম জনগণের, বিশেষত গাজার মুসলমানদের ঈদ আনন্দ বদলে গেছে শঙ্কায়। পরিবার নিয়ে ঈদের ভোজ আর আনন্দ করার বদলে প্রতি মুহূর্তেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাটছে ঈদের দিন।
আরও পড়ুন: হামাসকে কঠোর হুশিয়ারি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর
পবিত্র রমজান শেষে বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বের মতো ফিলিস্তিনেও ঈদ পালিত হচ্ছে। আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের বিশাল জামাত। কিন্তু গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং দখলকৃত ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সহিংসতা গাজাবাসীর ঈদ আনন্দকে মলিন করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় সংঘর্ষে ২০০ ফিলিস্তিনি আহত
বর্তমান ফিলিস্তিনদের আন্দোলনকে গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর ও জোরালো আন্দোলন হিসেবে দেখছে বিশ্ব। আরব ও ইহুদিদের মধ্যকার সংঘর্ষ চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। রাস্তায় সাধারণ জনগণের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হচ্ছে নিয়মিত।
ইসরায়েল এবং স্বাধীনতাকামী হামাসের মধ্যকার গত তিনটি যুদ্ধ শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি সীমান্ত এলাকা এবং ইসরায়েলি জনবসতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু জেরুজালেমের সাম্প্রতিক সহিংসতা যা এক গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিচ্ছে, তা ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র ফিলিস্তিন আর ইসরায়েলে মধ্যে।
সাধারণত ফিলিস্তিনে ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয় ছুটির দিন হিসেবে। পুরো এক মাস রোজা রাখার পর এই দিনটিতে ফিলিস্তিনিরা ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। এছাড়া গণভোজের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপনের জন্য সকলে একত্রিত হয়।
কিন্তু গাজা উপত্যকার মানুষেরা ঈদের আনন্দ আর খাওয়া-দাওয়ার বদলে পরবর্তী হামলার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। একদিকে হামাসের অব্যাহত রকেটা হামলা, অন্যদিকে ইসরায়েলের বিমান হামলা, সবমিলিয়ে পুরো গাজায় পরিণত হয়েছে ধোয়ার নগরীতে।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া হামাসের রকেটা হামলার পর থেকে ইসরায়েল এ পর্যন্ত দু’টি বড় বিল্ডিং ধ্বংস করেছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই স্থাপনাগুলো হামাসের ঘাটি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস ২০০৭ সালে ফিলিস্তিনি সরকারের কাছ থেকে গাজার দখল নিয়ে নেয়। তারা মুসলিমদের নিজেদের ঘরে এবং বাড়ির আশেপাশের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে খোলা ময়দানে নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকার কথা বলেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামাস বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত রকেট হামলা অব্যাহত রাখে।
৩ বছর আগে