চিলমারী উপজেলা
কুড়িগ্রামে গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোটকুষ্টারি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নুরুন হুজ্জাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রবিবার (১৬ মে) সকালে নিহতের বাবা পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুপুরে শ্বশুর মতিয়ার রহমান (৬০), শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুনকে (৫০) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
মেয়ের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে এবং প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আরিফুল ইসলামের (৩০) সাথে পার্শ্ববর্তী রমনা ইউনিয়নের শরীফের হাট এলাকার আক্তারুজ্জামানের মেয়ে নুরুন হুজ্জাতুনের সাথে প্রায় তিন বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে নেহা নামে ৭ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকালে আরিফুলের স্ত্রী হুজ্জাতুন বাবার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য আবদার করে। এনিয়ে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। পরে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় হুজ্জাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আক্তারুজ্জামান মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে পাঁজনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ নিহতের শশুর মতিয়ার রহমান ও শাশুরী আম্বিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা হলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।