জলবদ্ধতা
চসিক মেয়রের বাড়িতে হাঁটু পানি
রবিবার রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সোমবার সকাল থেকে পথচারী, অফিসগামী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।এদিকে বৃষ্টির পানি জমে হাঁটু পানিতে ডুবে আছে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাসভব্ন। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে সর্বোচ্চ ২৪১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে নগরীর বিভিন্ন দোকানপাট ও বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি উঠছে। আবহাওয়া অফিসের মতে এমন বৃষ্টি থাকবে আরও দুইদিন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যুআবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, এই বৃষ্টি থেমে থেমে আরও দুইদিন থাকতে পারে। সকাল থেকে বৃষ্টি থেমে গেলেও বিকালে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর ভারি বৃষ্টিতে নগরের বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভোর সাড়ে ৬টার পর বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও নামেনি বৃষ্টির পানি। হাঁটু পানি জমেছে চান্দগাঁও থানায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসকারী ১৮৫ পরিবার উচ্ছেদ
২ বছর আগে
বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকা
মুষলধারে বৃষ্টিতে পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনীর অধিকাংশ এলাকায়। এতে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরবাসী।
আজ রবিবার ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় সকাল ৯টার পর থেকে। দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিভাগে ৭৮৯ মিলিমিটার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, প্রাক মৌসুমী বায়ু ও লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে তা থেমে থেমে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েন সাধারণ মানুষ। সেই সাথে পানির মধ্যে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে চালকদের।
নগরীর চকবাজার জামাল খান, আগ্রাবাদম বড়পোল, ছোটপোল, হালিশহর পতেঙ্গা, ইডিজেড, প্রবর্তক মোড়, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর বাকলিয়া, ষোলশহর দামপাড়াসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষকে পানির কারণে চরম বেকায়দায় পড়তে দেখা গেছে।
নগরবাসীর অভিযোগ বছরের পর বছর পার হলেও জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে কোনোভাবেই পরিত্রাণ মিলছে না চট্টগ্রামবাসীর সিডিএর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলার পরও কোনো উন্নয়ন না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরবাসী। তারা বলছেন সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার শেষ হচ্ছে না।
৩ বছর আগে