ভোলা
ঢাকা ও আশপাশের শিল্পকারখানায় সিএনজি হিসেবে আসছে ভোলার গ্যাস
অবশেষে চলতি মাসেই ভোলা থেকে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) আকারে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশের শীর্ষস্থানীয় সিএনজি স্টেশন অপারেটর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকোর এই উদ্যোগটির উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ঢাকা ও গাজীপুর ও টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য চলতি বছরের ২১ মে রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) সঙ্গে চুক্তি করে ইন্ট্রাকো।
১০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ৪ হাজার ঘনমিটার গ্যাস নিয়ে আসবে এবং প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) ৪৭ টাকা ৫০ পয়সায় শিল্পকারখানায় বিক্রি করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৫০ লাখ ঘনফুট (এমএমসিএফডি) এবং পরে বেসরকারি শিল্পে ২০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ভোলা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রি করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট গ্যাস ফিল্ডে পেট্রোলিয়াম তেল ও গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে
বাপেক্স এবং এসজিসিএল উভয়ই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহায়ক সংস্থা ও প্রধান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এটি ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নমুখী উৎপাদন এবং সরবরাহ উভয়ই পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর অধীনে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনটি চুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৫৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস। সরবরাহকৃত গ্যাসের মধ্যে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২ হাজার ৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। ফলে এখনও ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৪২৪ এমএমসিএফডি গ্যাস।
আরও পড়ুন: সিলেটে নতুন কূপে গ্যাসের সন্ধান
ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৮০ থেকে ৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে।
ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ উদ্বৃত্ত ক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
পাইপলাইন ও সঞ্চালন সুবিধা না থাকায় ভোলা ক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ অন্যান্য জ্বালানি চাহিদার শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি সরকার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না সে বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মন্ত্রিসভাকে জানান, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপের প্রথম স্তরে জ্বালানি পাওয়া গেছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলনে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল (ব্যারেলে ১৫৯ লিটারের সমান) তেলের প্রবাহ লক্ষ্য করা গেছে।
মাহবুব হোসেন বলেন, ভোলা থেকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পে গ্যাস সরবরাহ করা হয়, যা পরিমাণের দিক থেকে খুবই নগণ্য, তাই ভোলায় পাওয়া গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী সেখানে সার কারখানা স্থাপন করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
চীনের সিআরইসি ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড (সিআইআরই) এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও আরইবির মালিকানাধীন বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেডের (বিআরপিএল) যৌথ অংশীদারিত্বে ৩৫০ একর জমির ওপর 'মাদারগঞ্জ সোলার পাওয়ার কোম্পানি' নামে কোম্পানিটি স্থাপন করা হবে।
প্রস্তাবিত কোম্পানির বিআরপিএলের ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার থাকবে এবং চীনা কোম্পানির ৭০ শতাংশ মালিকানা থাকবে। এ বিষয়ে তাদের (চীনা কোম্পানি) সঙ্গে ২০ বছরের চুক্তি সই হয়েছে।
মন্ত্রিসভা সমুদ্র পর্যটন নীতি-২০২৩ এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী পরিষেবা নীতি-২০২৩ এর খসড়াও অনুমোদন করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি এবং বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়।
তবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি অধ্যাদেশ ২০২৩ এর একটি খসড়া বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও মন্ত্রিসভা মনে করে নতুন সংসদ গঠনের পর এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা যেতে পারে, এখনই অপরিহার্য নয়।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
ভোলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে যুবক নিহত, গ্রেপ্তার ১
ভোলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে মো. টুলু নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরমনষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুলু ভোলা চরমনষা গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে। এদিকে এই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুককে দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: নাশকতার অভিযোগে ২৮ অক্টোবর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, টুলু ও অভিযুক্ত ফারুক ওই গ্রামের সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুইটি আলাদা ঘরে বসবাস করতেন। শুক্রবার বিকালে তাদের পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জেরে শনিবার সকালে টুলু কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে ফারুক তাকে ছুরিকাঘাতে করেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে ফারুক পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই টুলুর মৃত্যু হয়।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যার কাজে ব্যহৃত ছুরি জব্দ করে এবং দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ১
ভোলায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে বোমা তৈরির সময় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মনির বয়াতি (৪৮) এবং ওই এলাকার তালের আলীর ছেলে। আহত ব্যক্তির নাম ফিরোজ।
আরও পড়ুন: খুলনায় চায়ের দোকানে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৩
স্থানীয়রা জানান, ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন আজাহার মাঝির ঘরে সোমবার রাত ১১টার দিকে মনির বয়াতি ও ফিরোজ বোমা তৈরির সময় তা বিস্ফোরিত হয়।
এতে মনির বয়াতি, ফিরোজ গুরুতর আহত হন। এ ছাড়াও আরও একজন তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন। এদিকে আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য ভোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে আহত মনির বয়াতির মৃত্যু হয়।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুল আলম জানান, বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবি’র কলা ভবন থেকে দুটি বোমা উদ্ধার
গাইবান্ধায় ৮টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার
ভোলায় ইলিশ ধরায় ১২ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে ১২ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযানে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও ২০ হাজার মিটার সুতার জালসহ ৬০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল থেকে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ.এম.এম হারুন অর রশীদ জানান, মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কোস্টগার্ডের একটি দল এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নদী থেকে ২২ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে জব্দ করা জাল মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ১০ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক ২১
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ভোলার ঘটনায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তিনি সোমবার তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়েছেন। ইলিশা, চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন এলাকায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মোট ১৪টি অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অভিযোগে ২১ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেদের কাছ থেকে দুটি নৌকা, ১২ হাজার মিটার অবৈধ জাল এবং ২২ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, জব্দকৃত মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দুই জেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আটক অন্য জেলেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক
সমুদ্রে মাছ শিকারে বিরত জেলেদের জন্য আরও ১১ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ৩৪ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৮ জেলেকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৫৪ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি নৌকা ও ১৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে ৪ দিনে মোট ৩৬ জেলেকে আটক করা হলো।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৩৬ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা, দুই জেলেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ করা মাছ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
অন্যান্য দ্বীপদেশগুলোর মত জাঁকজমক না হলেও, বাংলাদেশের উপকূলগুলো মোটেই বঞ্চিত হয়নি প্রাকৃতিক শোভা থেকে। পৃথিবীর এই বৃহত্তম ব-দ্বীপের আঙ্গিনা সযত্নে ধুয়ে দিয়ে যায় বঙ্গোপসাগরের ফেনিল জলরাশি। সামুদ্রিক হাওয়ার পরশে পলিমাটির অলঙ্করণে যেন নিয়ত সেজে থাকে কাঁচা জীবনধারার ঘনবসতিগুলো।
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মনপুরা চলচ্চিত্রটি ঠিক যেন এমনি এক কাদামাটি তুলে এনেছিল সাগরের বুক থেকে। তারপর চলচ্চিত্রপ্রেমি থেকে ভ্রমণপিপাসুদের হৃদয় অব্দি পাড়া হতে খুব বেশি সময় লাগেনি মনপুরার। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগসূত্র না থাকলেও তারা ছুটে গেছে এই দ্বীপ সৈকতে।
চলুন, সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক এই মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
মনপুরা নামের পটভূমি
দ্বীপের নাম কিভাবে মনপুরা হলো সে নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। স্থানীয় বায়োজ্যেষ্ঠগণের মতে, দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্য্য ও উপকূলবর্তী খাবার আগন্তুকদের মন জয় করত। এ কারণেই দ্বীপ ও ইউনিয়নের নাম মনপুরা হয়েছে।
অনেকের ধারণা, মনগাজী শাহবাজপুর জমিদারের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছিলো বিস্তৃত এই জায়গাটি। ফলে তার নামের উপর ভিত্তি করেই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
এছাড়া একটি অদ্ভূত গল্পও প্রচলিত আছে এ দ্বীপকে ঘিরে। জায়গাটিতে আগে বাঘ ও হাতীর মত হিংস্র সব জন্তু-জানোয়ার বিচরণ করতো। একদা মনগাজী নামের এক লোক বাঘের আক্রমণে শিকার হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান। সেই থেকে সবাই দ্বীপটিকে মনপুরা নামে ডাকতে শুরু করে।
ভোলার ইলিশায় নদী তীরের সিসি ব্লক ধ্বসে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু
ভোলার ইলিশায় এলাকায় তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লক ধ্বসে লাইজু নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে উত্তাল মেঘনা নদীর ঢেউ আর তীব্র স্রোতের আঘাতে ইলিশার লঞ্চঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে সিসি ব্লক ধ্বসে যায়। এ সময় ব্লকের উপরে থাকা বাকপ্রতিবন্ধী নারী লাইজু বেগম ও এক শিশুসহ অন্তত ৫ জন নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করলে ঘটনা স্থলে লাইজু বেগমের মৃত্যু হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইলিশায় সিসি ব্লক ধ্বসে কয়েকজন নদীতে পড়ে গেছে। এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পিকআপ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ভোলায় নসিমন উল্টে শ্রমিক নিহত, আহত ৫
ভোলায় নসিমন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. আল আমিন (৩৫) সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১
আহতরা হলেন- মঞ্জু, মো. বাবুল, নূর উদ্দিন, আব্দুল ও আজিজল। তাদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে।
আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে সদর উপজেলা থেকে একটি নসিমনে করে ঢালাইয়ের মিক্সার মেশিনসহ ১০-১৫জন নির্মাণশ্রমিক দৌলতখান উপজেলায় কাজে যাচ্ছিলেন। এসময় বাংলাবাজার এলাকার ব্রিজ থেকে নামার সময় নসিমনটি উল্টে ছয় জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়।
পরে খবর পেয়ে ভোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন নামের এক শ্রমিক মারা যান।
ভোলা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারি পরিচালক মো. লিটন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহতের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, নসিমন উল্টে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো পাঁচ শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল যেহেতু ভোলা সদর ও দৌলতখান থানার সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই ঘটনাস্থল নির্ধারণ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে ভবনে রং করার সময় রশি ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত