বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি
এপিএ কার্যকরে কাজ করতে হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে (এপিএ) আগামী বছরের জন্য কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এপিএ কার্যকরে কাজ করতে হবে। এছাড়া আমাদের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ভালো করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনী সেবাকে বাড়িয়ে তুলতে হবে।’
সোমবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রণালয়ে এপিএ, ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ ও শুদ্ধাচার পুরষ্কার (২০২৩-২৪) প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উদ্যোগে সাপ্লাই চেইন মনিটরিং সিস্টেম সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে ইনোভেশন দরকার হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ও অর্থনৈতিক কূটনীতি সফল করতে নিজেদের কাজ করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবছরের ইনোভেশনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সাপ্লাই চেইন মনিটরিং সিস্টেম প্রথম স্থান ও টিসিবির স্মার্ট বিপণন ব্যবস্থাপনা দ্বিতীয় স্থান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্ম পরিদপ্তরের অটোমেটিক পদ্ধতিতে রেকর্ডভুক্ত ব্যবস্থা তৃতীয় স্থান লাভ করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের দপ্তরগুলোর প্রধানরা ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ইপিবি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
৭টি সংস্থার সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর পিএমও’র
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পসহ আরও ছয়টি সংস্থার মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২৩ স্বাক্ষর করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এপিএগুলোতে সাতটি সংস্থা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য তাদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প।
তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি হল সরকারি কর্মচারীর দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য একটি ফলাফল-ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকার সমস্ত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে উন্নত পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য এপিএ পদ্ধতি চালু করে।
এ প্রক্রিয়ায় সমস্ত অধস্তন বিভাগ, সংস্থা বা দপ্তরগুলোও তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা উচ্চতর দপ্তরের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষর করে।
আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ‘নগদ’ এর মধ্যে চুক্তি সই
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌপথ খনন ও টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি
২ বছর আগে
দেশের উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) সফল বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এটাকে শুধু চুক্তি মনে করলে হবে না। দেশের সার্বিক উন্নয়নে এপিএ চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে প্রান্তিক কৃষক ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছে। অনেক ফড়িয়া ধানের মজুদ করছে- তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে না। এ সময় তিনি ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষার্থে খাদ্য কর্মকর্তাদের প্রতি মনিটরিং জোরদার করার আহবান জানান।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী
এর আগে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ২০২১-’২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খাতুনের সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মো: মুজিবুর রহমান এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার নিজ-নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে এপিএ চুক্তিতে সাক্ষর করেন। খাদ্য সচিব চুক্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
পরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইউম সরকার, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: শাহনেওয়াজ তালুকদার এবং অফিস সহায়ক মো: সুমন মিয়ার হাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী ।
৩ বছর আগে