লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুল্যা আল নোমানের (প্রকাশ সুমন কারী) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
এসময় ঘরটি থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। পুলিশের ধারণা, অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণেই তার মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিলেটে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল্যা আল নোমান পৌর এলাকার বাঞ্চানগর গ্রামের ক্বারী বাড়ির মৃত আমির হোসেন ডিলারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর গ্রামের নিজ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘরে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিতেন সুমন কারী। শনিবার বিকালে প্রতিবেশীরা ওই ঘরটি ভেতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে প্রতিবেশীরা সুমন কারীকে পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পরে শহর ফাঁড়ি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং সুমন কারীর লাশ উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুলিশ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সুমন কারী আর ঘরে ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লক্ষ্মীপুর সদর সার্কেল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক ওই নেতার লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত মাদক সেবনে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে ঘরের মেঝে থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন
লক্ষ্মীপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুর নবী বকুল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বকুল একই এলাকার আলী রাজা পাটওয়ারী বাড়ির মৃত অজি উল্যা মাস্টারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্থানীয় আব্দুর রউফ গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল একই এলাকার নুর নবী বকুলদের। সকালে বিরোধের জমি থেকে সুপারি পাড়তে যায় প্রতিপক্ষ আব্দুর রউফ মাস্টার, আসরাফ ইসলাম বাবুল, জাফর আহমেদ পলাশ গংরা।
আরও পড়ুন: যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
তারা আরও জানান, বকুল এতে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বকুলকে ঘুষি দেয় ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ তার পরিবারের। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলাশীষ রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে তার গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জোড়া খুনের মামলায় আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইব্রাহিম খলিলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার তকিরহাট এলাকা থেকে র্যার-১১ এর অভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামি ইব্রাহিম রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় ইব্রাহিমকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, স্ত্রী রিনা ও তার পরকীয়া প্রেমিক ইউসুফকে হত্যা করেন ইব্রাহিম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয় তাকে। তবে রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া সন্দেহে যুবককে হত্যা: আটক ২
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান কামালের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল মারা গেছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু
তার প্রথম নামাজে জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল ১১টায় ও দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ আছর লক্ষ্মীপুর মডেল স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পরবর্তীতে তার নিজ বাড়িতে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শাহজাহান কামাল প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রায় এক বছর তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
নিহত কিশোর মো. আকাশ (১৩) সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকার কাঠালি গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন- পারভিন আক্তার, মনির হোসেন ও মোসলেহ উদ্দিন। বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার যাত্রীবাহী বাসটি নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর থেকে চন্দ্রগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল।
পরে ঘটনাস্থল পৌঁছালে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিচালক ও পাঁচ যাত্রী আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকৎসক আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ৬ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাসটি আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অপরাধী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদের শত্রুতা ছিল।
‘জিসান বাহিনী’ মামুনকে তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসানের মৃত্যু হয়। জিসানের মৃত্যুর পর জিসানের ছোট ভাই তুহিন ‘জিসান বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন।
জিসান বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন।
শত্রুতার জেরে ২০১৮ সালের ১৮ কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথিপত্র ও সাক্ষী যাচাই-বাছাই করে আদালত দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সজীব নামের একজন নিহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ বিএপির অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিহত যুবক সজিবের বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পঠান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ দু’দলের পূর্ব নির্ধারিত পৃথক কর্মসূচি পালনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা শহরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন।
বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এ্যানি চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের গোডাউন রোড থেকে পদযাত্রায় মিছিল নিয়ে বের হন।
এসময় শহরের সামাদ একাডেমির মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যানার ফেষ্টুন ছেঁড়া শুরু করে বিএনপির কর্মীরা। মিছিলের মাঝামাঝি স্থান থেকে বিএনপি’র ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী হঠাৎ করে কলেজ রোডের দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আসা ১৫ থেকে ২০ জনকে ধাওয়া করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মদিন উল্যাহ হাউজিং এর একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে এক যুবক। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবক প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যায় বলে জানান বাড়ির মালিক।
এদিকে বিএনপির মিছিলটি ঝুমুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। একইভাবে শহরের বাগবাড়ি এলাকায়ও সংঘর্ষ হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের।
এদিকে ঝুমুর এলাকায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে হাইওয়ে সড়কে উঠতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল ও কাঁদানী গ্যাস নিক্ষেপ করে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বিএনপি মিছিল নিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে হাইওয়ে সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। বিএনপি’র হামলায় সদরের ওসি মোসলেহ উদ্দিন, সদর সার্কেল অফিসার সোহেল রানাসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
লালমনিরহাটের পচা আম বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল বৃদ্ধের
লক্ষ্মীপুরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
লক্ষ্মীপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল জাতীয় মহাসড়কের সাইফিয়া দরবার শরীফ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আটিয়াতলি এলাকার মো. মনজুর ছেলে শাফায়েত হোসেন ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে রাজন হোসেন।
এছাড়া আহতরা হলেন- তুষার, রিয়াজ ও শোয়েব ইসলাম। শোয়েব লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার সোহেল রানার ছেলে, রিয়াজ চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় চলন্ত মোটরসাইকেলে বসা আরোহীরা সেলফি ধারণের চেষ্টা করছিল। এ সময় দ্রুতগতির আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, ‘আমরা দুইজনকে মৃত পেয়েছি। তুষার নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় সিএনজি-ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৪
লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল শিশুর
লক্ষ্মীপুর পৌরশহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ হারালো ১০ বছরের এক শিশু। বৃহস্পতিবার পৌরশহরের ইটেরপুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুপা আক্তার সামিয়া (১০) সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়েনের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোহাম্মদ সোহেলের মেয়ে এবং কামান খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার দালাল বাজারে নিজ বাড়ির অটোরিকশা করে বাসটার্মিনাল আসার পথে ইটেরপুল এলাকায় সড়কের অসাবধানতাবশত গলায় থাকা ওড়না অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে পেঁচিয়ে নিচে যায়। ওই শিশুর সঙ্গে থাকা তার স্বজনেরা চিৎকার করলে চালক অটোরিকশা থামিয়ে দেন। পরে অচেতন অবস্থায় ওই শিশুটিকে তাৎক্ষণিকভাবে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, অটোরিকশার মোটরের সঙ্গে অসাবধানতাবশত ওই শিশুর গলার ওড়না পেঁচিয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর
কুড়িগ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকনিকের বাড়িতে পড়ল ট্রাক, প্রাণ গেল শিশুর
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মো. মিলন হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রী জাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি জাহানারা আদালতে হাজির ছিলেন। ঘটনার ১৩ মাস পর এ হত্যা মামলার রায় হলো।
মামলার বাদি তাদের ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন ওরফে মাহবুব। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাহানারা বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করে। উক্ত মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে জাহানারা বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারি গাছের সঙ্গে হাত বাঁধা মিলনের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামী মিলনের সঙ্গে তার ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাদের তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিলন অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। খিটখিটে স্বভাবের কারণে মিলন বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতেন।
রমজানের শেষ ১০ দিন জাহানারা তার স্বামীকে মসজিদে এতেফাকে বসতে বলেন। এতে তিনি গালমন্দ করেন। ঘটনার রাতে জাহানারা তার স্বামীকে ঘরের পেছনের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে সুপারি গাছের সঙ্গে গরুর দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলেন। পরে একটি নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে।
পরদিন সকালে জাহানারা নিজেই পরিবারের সদস্যদের স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানায় এবং দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
পরে পুলিশের কাছে তার আচরণ সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড